একটি অতিপ্রাকৃতিক কক্ষভোজনঃ অ্যান এপিক অ্যাডভেঞ্চার

…..বুয়েট লাইফটা অনেক বেশি ডাইন্যামিক। পি. এল.(প্রিপারেটরী লীভ, ’পাছায় লাথথি’ ভাববেন না!) শুরু হবার আগ পর্যন্ত আজ ক্লাশ টেস্ট, কাল ল্যাব টেস্ট, পরশু ভাইভা, তরশু কুইজ-এই করে করে কিভাবে যে এক একটা সেমিস্টার পার হয়ে যায়, টেরই পাইনা। পুরোটা সময় কাটে একটা ঘোরের মধ্যে। ক্লাশ চলাকালীন যতই আঁতেল বা সুপারকুল হবার চেষ্টা করি না কেন, নতুন টার্ম শুরুর আগে যখন পূর্ববর্তী টার্মের আমলনামা (মার্কশীট) হাতে দেয়া হয়,

বিস্তারিত»

ফাউ প্যাচাল-২

আমি ঘুরে ফিরে আবার ফাউ প্যাঁচাল পাড়তে আসলাম। কারণ আমার বখিল কাব্যচর্চায় ঘোর অমানিশা, কলম ছন্দ খুঁজতেছে আকুল হয়ে। তাই বলতে পারেন, এই প্যাঁচাল আমার কপিতা ক্ষেতে বেগুন ফলানো। তাছাড়াও অধিকাংশ ব্লগারই সিনিয়র যেনারা সমালোচনা কখনই করেন না, বরং উৎসাহ দ্যান। তাহলে আজকের গল্প শুরু করি………………
গল্প ৩-
এই গল্প আমার বেশ প্রিয় একজন স্যার কে নিয়ে। স্যার পড়াতেন বোটানি, ছিলেন বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের হেড।

বিস্তারিত»

যেদিন মোনালিসা দেখতে গেলাম

প্যারিসে গেলে লুভর মিউজিয়ামে যাওয়া নিয়ম। বিশেষ করে মোনালিসা দেখে না আসা অপরাধের মধ্যে পড়ে। তাতে মোনালিসাকেও অপমান করা হয়। তাই প্যারিসে গেলেই মোনালিসাকে দেখে আসতে হয়। মোনালিসার বাস লুভর মিউজিয়ামে।
ইউরোপে সহজে ফ্রি কিছু পাওয়া যায় না। সবকিছুই দাম দিয়ে কিনতে হয়। খানিকটা ব্যতিক্রম লুভর। তবে এজন্য একটি যদি আছে। আর তা হলো মাসের প্রথম রোববার লুভরে যেতে হবে। এদিন লুভরে প্রবেশ বিলকুল ফ্রি।

বিস্তারিত»

সর্দি, জ্বর ভালবাসা

অনেক আগে ছোট থাকতে কোন এক গল্পের বইয়ে পড়েছিলাম কাফ লাভ শব্দটি। একেবারেই কোন ধারণা ছিল না এটা কি ধরনের ভালবাসা হতে পারে। ততদিনে অমুক তমুক অনেক ভালবাসার কথা শুনে ফেলেছি কিন্তু এটা নতুন ছিল। তাই অন্য কাকে যেন জিজ্ঞেস করেছিলাম এইটার মানে কি। কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করলে ঐ বয়সে কেউ কেন জানি জানিনা এই কথা বলত না একটা কিছু না একটা কিছু উত্তর দিতই।

বিস্তারিত»

নীরবে একদিন

বুয়েটের হলের খাওয়াদাওয়ার মান সেইরকম। প্রতিদিন একই রকম অখাদ্য। মাঝে মাঝে কনফিউজড হয়ে যাই,ভাত খাচ্ছি না ঘাস খাচ্ছি। কোন টেস্ট পাই না। অবশ্য শুনসি ঢাকা ভার্সিটির খাওয়াদাওয়ার মান আরো খারাপ। তো সপ্তাহে একদিন আমরা এই অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য বাইরে খাইতে যাই। জেনারেলি চাঙ্খারপুলের নান্না মিয়াই আমাদের ভরসা। মাঝেমাঝে স্টার বা নীরবেও যাওয়া হয়।
এই ঘটনা এই টার্মের ফোর্থ বা ফিফথ উইকের। বুধবার রাতে আমি বাইরে খাইতে যাব।

বিস্তারিত»

প্রয়োজনীয়তাই উদ্ভাবনের জনক

Disclaimer: আজ অনেকদিন পর আবার সিসিবিতে লিখতে বসলাম। আসলে এই লেখা দেবার উদ্দেশ্য হল সিসিবিতে আমার হাজিরা সম্পর্কে সকলকে জানানো। মাত্র বিএমএর সেকেন্ড টার্ম শেষ করে আসলাম। সেকেন্ড টার্ম শারীরিক দিক দিয়ে সবচেয়ের কষ্টের টার্ম। তাই টার্ম ভালভাবে শেষ করতে পারায় খুব আনন্দ লাগতাছে :tuski: :tuski: :tuski: । আর আজকে আমার এই লেখা এই সেকেন্ড টার্মেরই একটি মজার ঘটনা সবার সাথে শেয়ার করার জন্য।

pepsi

সতর্কীকরনঃ ইহা একটি গান্ধা পোষ্ট,

বিস্তারিত»

বুয়ার ডিভি লটারী!!!

যারা এইবার অনলাইনে ডিভি-২০১১ এর জন্য আবেদন করেছেন, তাদের জন্য এই ছোট্ট লেখাটা পড়া ফরয! এই তো গতকাল দুপুরে খাবার সময় আমাদের বাসার বুয়া আম্মুকে বললোঃ
“আফা, দোয়া কইরেন, ডিবি এইবার ফাইয়া গেলে হয়, আমরিকা জামুগা! এই দেশে আর না।”
আম্মুর প্রশ্নঃ “তুমি ডিভির ফর্ম জমা দিছো? এখন তো সব কম্পিউটারে করতে হয়, তোমারটা কে করে দিলো?”
বুয়াঃ “ফরম দেওন লাগবো না আফা।

বিস্তারিত»

কৈশোর

56

রাত দুইটার সময় যদি কেউ ঘুম ভাঙিয়ে বলে “স্যার আপনারে ডাকে”-তাহলে কেমন মেজাজ গরম হয়!ঠিক সেই ঘটনাই ঘটলো!রাত দুইটায় হাউজ বেয়ারা গফুর ভাই দরোজা ধাক্কিয়ে ঘুম ভাঙালো,বললো
-আপনারে স্যার ডাকতাসে!
-“স্যার মানে?কোন স্যার?”আমার গলায় তীব্র বিরক্তি!
-ডি এম সাবের স্যার।স্যার ওইখানে খাড়ায়া আছে।
জানালায় দাঁড়িয়ে দেখলাম ডি এম রুমের লাইটা জ্বালানো,বাইরে একটা ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে!সাবের স্যার,ক্যাডেট কলেজে সবচেয়ে অপছন্দ করি এমন স্যারদের একজন।আমাদের ইংরেজী পড়ায়।পড়ায় মানে ক্লাসে আসে আর কি!পড়াশোনা কিচ্ছু নাই!আর ক্যাডেটদেরও নাক একটু উঁচু,ইংলিশ ভার্সনে পড়ি…ইংরেজী তো আমরা পারিই!তাই স্যারও অবসরে শুধু কার কী ফল্ট আছে এইসব খুঁজে বেড়ায়!আর সবসময় দেখেছি ইংলিশ ডিপার্টমেন্টটাই বজ্জাত হয় সবচেয়ে বেশী।আর ইয়াং টিচারদের গ্রুপদেরও নাম থাকে আলাদা,যেমন বন্ড,ডগ স্কোয়াড ইত্যাদি!

বিস্তারিত»

২১ নভেম্বর ২০০২: ‘লাকি স্যাভেন’ বিবাহ বার্ষিকী!

‘এর পরের বার আমাদের জন্য হবে লাকি স্যাভেন।’ পরবর্তী বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে মনের আনন্দে হায়দার তার স্ত্রীকে এ কথাটি বলেছিল। খুব দ্রুত তাদের ৬ টি বছর কেটে যায়। ২০০৩ সালে এক গেট-টুগ্যাদারে প্রথম বারের মতো আমরা অধিকাংশই তাদের দেখতে পাই। তখনো তাদের দাম্পত্য জীবনের এক বছরও হয় নি। আমাদের মাঝে যেহেতু প্রথম তারই বিয়ে হয়, তাই প্রথম দিকে তাদের খুব স্ট্রাগল করতে হয়েছিলো।

Rumi-Rona-Satisfaction
সুখী দম্পতি রুমি ও রণা

২০০৫ তাদের জীবনে অন্যতম স্মরণীয় ম্যারেজ ডে।

বিস্তারিত»

বেতন-ভাতা নিয়া বড়দের গপসপ

বেতন বাড়াইছে সরকার। তবে তা কেবল সরকারি লোকজনদের জন্য। পত্রিকায় খবরটা পড়ে বসের কাছে হাজির হলো জুলমাত খোন্দকার।
-স্যার আমারও বেতন বাড়াইতে হইবে। আমার পেছনে কিন্তু তিনটা কোস্পানি লেগে আছে।
বস-রিয়েলি? তা কোম্পানিগুলো কে কে?
-স্যার, গ্যাস কোম্পানি, টেলিফোন কোম্পানি ও বিদ্যুৎ কোম্পানি। ~x(

গল্পটা খুব নিরস হয়ে গেল। তাইলে বরং একটা সরস গল্প বলি। বহু পুরোনো এবং খানিকটা অশ্লীল।

বিস্তারিত»

বাজারের নাম শেয়ার বাজার

শহর ভর্তি বানর। বানরের যন্ত্রনায় টেকা দায়। সেই সময় শহরে এলো এক আগন্তুক। এসেই ঘোষনা দিল এক একেকটি বানর ধরে দেওয়ার জন্য দেওয়া হবে ১০ টাকা। শহরবাসীর প্রধান কাজই হয়ে গেল বানর ধরা। দ্রুত বানর ধরে ধরে খাঁচায় পুরে ১০ টাকা করে নিয়ে বাড়ি ফিরলো সবাই।
এরপর ঘোষণা এলো, একটি বানরের জন্য এবার দেওয়া হবে ২০ টাকা। শহরবাসি আবার নেমে গেল বানর ধরতে। খুব বেশি পাওয়া গেল না,

বিস্তারিত»

৮ নভেম্বর ২০০১: ঠিক ৮ বছর আগে যেভাবে শুরু হয়েছিলো . . .

৮ নভেম্বর ২০০১ জীবনে ভীষণ আনন্দময় একটা দিন প্রেরণা’র জীবনে। রুমি নামের একটা ছেলে সেল ফোনের নম্বরটা দিয়ে বললো, ‘কোন অপরিচিত মেয়েকে আমি নম্বরটা দেই না। তবে আপনার কাছ থেকে একটা কল আশা করবো।’

Rumi-and-Rona
কোন কথাটা বেশি প্রযোজ্য- ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ নাকি ‘হিডেন’?

এরপর প্রতিদিনের কথা বলা, মাঝে মাঝে দেখা করা থেকে আজ দীর্ঘ ৮ বছর পর তারা এত কাছের মানুষ যে,

বিস্তারিত»

খাওয়া-দাওয়া নিয়ে দুটো গল্প

ভূমিকাঃ এই গল্প গুলো আমার নিজের আইডিয়ার না, সংগৃহীত বলতে পারেন, আর ঈষৎ মডিফায়েড। রঙ চড়ানো বলা যেতে পারে অনায়াসে।

১। ঢেউ গুনা

জন দরদী রাজামশাই বিস্বস্ত গোয়েন্দা মারফত খবর পেলেন প্রধান উজিরে আজম লোকটা মহা দুই নম্বর। দুই নম্বর মানে, সেই লোক সবখানে ট্যাক্স বসিয়ে প্রজাদের কাছ থেকে যথেষ্ট পরিমান টাকা আদায় করছে কিন্তু রাজ কোষাগারে তা জমা দিচ্ছে না।

বিস্তারিত»

আমার বিয়ে !

কথায় বলে, যার বিয়ে তার খবর নাই, পাড়া পড়শীর ঘুম নাই। পাড়া পড়শীর ঘুম হারাম হওয়ার অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আমার বন্ধুরা সবাই বিয়ে করে ফেলেছে। এলাকায় যাদের বিয়ে করার মত সদিচ্ছা ছিল তারাও সবাই ছাদনা তলা ঘুরে এসেছে। বাকী রইলাম কেবল এই আমি। কাজেই আমার শুভাকাংখী (?) বন্ধুবান্ধব আর জুনিয়র পুলাপানের আপাতত একমাত্র মাথাব্যাথা হল আমি কবে বিয়া করব সেইটা। যাইহোক একেক জনকে একেক কায়দায় ম্যানেজ করে এখনো আমি বহাল তবিয়তে জীবিতদের (পুরুষ মানুষ ২ প্রকার;

বিস্তারিত»

আমার প্রেমিকারা-১

একটা একটা করে প্রেমিকাদের বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, আর আমি ডাকটিকেট সংগ্রহ করার মত তাদের বিয়ের কার্ড জমিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রেমিকারা কিন্তু ভাল,একটু বেশি-ই ভাল কারণ এখন ও আমাকে ওরা খুব মিস করে তাই নিমন্ত্রন দিতে ভুলেনা। আর আমি ও মহান হৃদয়ের মানুষ,যেতে একদম ভুল করিনা। তবে বিপদ হয়েছে গত মাসে। একজনের বিয়েতে গিয়ে এমনই হয়েছে যে আমাকে দেখে কান্না শুরু করে দিল, আর কান্নার ধরন এমনই যে বেচারির পার্লারের খুব ঘষামাজা সাজ ধুয়েমুছে একবারে ফকফকা।

বিস্তারিত»