সৈয়দ মুজতবা আলীকে আমার ভাল লাগে। লোকটা মহারসিক ছিলেন। এত কনফিডেন্স নিয়ে বললাম, এখন কেউ যদি চেপে ধরে, “কেমনে জানলেন, আপনি তো মুজতবা আলীকে দেখেনই নাই?” তাহলে আমিও বিগলিত হেসে বলবো, তাঁর লেখা পড়ে মনে হয় জনাব। তিনি অত্যন্ত রসিক ছিলেন। আমাদের পাঠ্যেও তাঁর লেখা ছিল কি না মনে নেই, সদ্য পাশুরে ভাইয়েরা আমাকে কনফার্ম করো। তবে আমি পাঠ্যের পাশে তার বই রেখে বেমালুম পড়তাম। সেই সময়ে নেশা চাপলো যখন বাবার পোস্টিঙয়ের কারণে মা তার সন্তানদ্বয় নিয়ে পিতৃগৃহে। সেখানে আমার মামার বইয়ের বিরাট সম্ভার। আমাকেও কে জানি বললো, বেশি বেশি গল্পের বই পড়লে চোখ নষ্ট হয়, চোখ নষ্ট হলে চশমা পাওয়া যায়। আমি চশমার লোভে বই পড়া শুরু করলাম। এক পর্যায়ে পেলাম আলী সাহেবকে। তিনি মোটামুটি বাক্যঝঙ্কার আর পৌরাণিক উপমা মিশিয়ে আমার চর্মচক্ষু রঙিন করে দিলেন..
তো, এতদিন গেল, এত বকবক করলাম, পাতার পর পাতা লিখেও ফেললাম। কিন্তু একবারও মুজতবা আলীর কথা এলো না কেন? এমন প্রশ্ন আপনি করতেই পারেন! আসলে হয়েছে কি, নিঃশ্বাস না আটকালে যেমন বাতাসের মূল্য টের পাওয়া যায় না, এসির বাইরে না বেরুলে যেমন গরমের তাপ টের পাওয়া যায় না, তেমনি সর্দি কাশি না হওয়া পর্যন্ত সৈয়দ মুজতবা আলীকে স্মরণ করা হয় না। তাঁর “বেঁচে থাকো সর্দি কাশি” পড়ে যতটা হেসেছি, মজা পেয়েছি, সাথে মন ভার-ভারও হয়ে উঠেছে, তেমনটা আর কোন রম্য লেখাতেই হলো না। আজকে হ্যাচ্চো হ্যাচ্চোর ঠেলায় যখন নাক বেচারা ফাটে, খকখক কাশিতে গলার ফর্দাফাই (নাকি পর্দা-ফাই?), তখনই মনে পড়ল আলী সাহেব বলেছিলেন, “দুই নাকে রাইন আর ওডার বইছে!” তা উনি জর্মনদেশের বাসিন্দা, এমনধারা নদীর নাম নিতেই পারেন যার নাম আমার বাপ-দাদা কেউ শুনেন নাই, শুনলেও চোখে দেখেন নাই, চোখে দেখলেও নাতি বা পুত্রকে এসে বলে যান নাই। মোদ্দাকথা, আমি জানতে পারি নাই।
ভূগোলে আমি বরাবরই গোল্লা। এই গোলগাল পৃথিবীর উত্তল পিঠে কোথায় যে কী তা ঠিক ঠাহর হয় না মাঝে মাঝেই। পরে শুনলাম পুরো ভূখণ্ড নাকি এককালে একসাথেই ছিল! তাকে “প্যানজিয়া” বলতো। পরে কেমনে কেমনে দূরে সরে গেছে। { শিক্ষাঃ কেবল মর্ত্যের পাপী-তাপী পুরুষ-নারী, মতান্তরে বিএফ-জিএফ-রাই দূরে সরে না। মায় পুরো স্থলভাগই যোজন যোজন দূরে ছিটকে যায়} এমনধারা না হলে সবাই কত কাছাকাছি থাকতাম। হেঁটে হেঁটেই এপার ওপার করা যেত। বুশের মত বেয়াক্কেল বা সাদ্দামের মত ঘাউরা বেশি লাফালাফি করলে বাড়ির কাছে গিয়ে হাউকাউ করা যেত সবাই মিলেই! কিন্তু দুই নাকের শিকনির নহরের মতোই, সব খাবলা খাবলা মাটি আলাদা হয়ে গেল, কেউ টেরটিও পেল না। এখন কত পাসপোর্ট, ভিসা, ইমিগ্রেশন, মাইগ্রেশন, রেসিডেন্ট, ওয়ার্ক পারমিট, স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সে যাক, কথা হচ্ছিল নাকের নহর নিয়ে। গত হপ্তায় বিষম ঘটনা ঘটে গেল। গরমের এই সময়টায় আমি বরাবরই সাবধান থাকি যেন ঠাণ্ডা না লাগে। সেদিন খুব ঘেমে নেয়ে বাসায় ফিরে, কোথায় ঠাণ্ডা হবো, আমি ঢুকে পড়লাম বাথরুমে। কী ভূত চেপেছিল কে জানে। কলেজ বাথরুমের মত লা লা লে লে আন্দাজে গান গেয়ে বেরিয়ে চুল মাথা মুছে বসে রইলাম। রাত ঘনালে দেখি নাকের মাঝে শুলশুল করছে! একটু পরে গলার ভেতরে খুশখুশ। আমি নিজেই উশখুশ শুরু করলাম। শারীরবৃত্তীয় ব্যাপার-স্যাপার বুঝি কম। খালি উদ্দীপনা-পরবর্তী-প্রতিক্রিয়া (পুলাপাইন খ্রাপ কথা ভাব্বা না) টের পাই। রাতের পরে সকালে উঠেই দেখি মাঁআঁআঁআঁআঁ! নাঁক বঁন্ধ, খ্যাঁশখ্যাঁশে কাঁশি। দুপুর গড়াতে না গড়াতেই হালকা গা গরম। আমি তো মহাখুশ। এই পেয়েছি সুযোগ, অফিস ফাঁকি দেবার। 🙂
মানুষ ভাবে এক, আর উল্টাপাল্টা কিছু একটা ঘটে যায়, কিন্তু যেটা ভেবেছে সেটা কিছুতেই ঘটে না। পরীক্ষা নিতে হবে সেই সময়েই। নিজের পরীক্ষা দেয়ার হলে ডজ্ মারা যায়, না বলে কয়ে পরে একটা ভুয়া ডাক্তারের চুয়া সার্টিফিকেটও দেখানো যায়, কিন্তু যেখানে আমি নিজেই পরীক্ষক, সেখানে ফাঁকিবাজির জো নাই। তাই আমাকেও এই গরমে, ভাজি হতে হতে বিদ্যালয়ে যেতে হয়, নাক টানতে টানতে কথা বলতেই হয়, খকখক কাশি ঠেকাতে ঠেকাতে খাতা বিলি করে হাঁটাহাঁটি করতে হয়। বড়ো হওয়ার বড়ো জ্বালা। কোনমতে গার্ড শেষ হলেই, হেড স্যার আমার ঘাড়ে আজাইরা কোন কাজ চাপানোর আগেই, আমি বাসায় ফুটলাম। এসে দেখি আমার ঘরও ফুটন্ত কড়াই। জানালা খোলা ছিল বলে হু হু করে গরম বাতাস ঢুকে গেছে। সেখানেই পিঠ পেতে শুয়ে রইলাম। পনেরো মিনিট পর পর গিয়ে নাক ঝাড়ি, ফিরে আসতে আসতেই ভারি হয়ে যায়। কিছুক্ষণ ফোঁৎ ফোঁৎ তারপরে আবার বেসিন…
এমন যন্ত্রণায় তো স্বয়ং ইয়েসউদ্দীনও পড়েন নাই। তাই আমি শুরু করলাম ডুয়াল অ্যাটাক। একদিকে অ্যান্টিহিস্টামিনে নাক জমাট বাঁধাই, তারপরে অ্যান্টাজল দিয়ে সেটা তরল করি। জমাট তরলের ফাঁকে পড়ে একটা সময়ে নাক ফুরফুরে হয়ে ওঠে। তাতে আগের মতোই ঘণ্টায় ষাট কিমি বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। কিন্তু অন্যদিকে গলার অবস্থা বেগতিক। ওখানে ঝড়োবাতাস সহ দমকা দমকা আওয়াজ বেরিয়ে আসছে। থামানোর উপায় (বাংলাদেশের দূর্যোগকালীন ব্যবস্থার মতোই) আমার জানা নেই। জলোচ্ছ্বাস এলে যেমন, গরু-ছাগল নিয়ে মানুষ পাকা দালানে ওঠে, তেমনি কাশি বিপর্যয়েও আমি আশ্রয় নিলাম জিথ্রক্সের কাছে। ৫০০ মিলিগ্রামের শুকনো ট্যাবলেট কী বেমালুম গলার ক্ষতে পরশ বুলিয়ে দিল। আহা! এমন আরাম, প্রশান্তি আর কোথায় পাবো? পেলাম, আমি ইহাকে পেলাম। রোজ কোঁৎ করে গিললাম, সাথে জ্বরের বাণঃ প্যারাসিটামল। এই ফার্মাসিউটিক্যাল ট্যাকটিক্সে তিন ভাইরাসীয় সেনা একেবারে পর্যুদস্ত হয়ে গেল। কপালের ঘাম শুকালো, সাথে নাকের ভেতরে ‘রাইন-ওডার’! গলার ব্যথা গেল ও কথা ফিরে এল। সব মিলিয়ে আবার আগের মতোই আমি “ফিট! একদম ফিট!”
ফুটনোটঃ পুরো লেখার মাঝে কোথাও কিন্তু সর্দিকাশির ভালো দিকটা বলিনি। খালি বকেই গেলাম হতচ্ছাড়া নচ্ছার ভাইরাসগুলোকে। তবে লেখাটাতো আসলে তাদের গুণগানের জন্যেই, তাই শেষ করার আগে একটু ভাল দিক বলি। সুস্থ থাকলে কেউ তেমন পাত্তা দেয় না। আসি যাই, চোখের সামনেই ঝুলছি বলে সবার কাছেই সাধারণ, স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিলাম। এই কয়দিনের অসুখে নানাপ্রান্তে হাঁকডাক বড়ো মধুময় লাগলো।
কেউ ফেসবুকে নক দেয়ঃ কিরে, তোর খবর কি? আওয়াজ নাই!
কেউ এসেমেস করেঃ দোস্ত, কেমন আছিস? একটা জিটুজি কর। অফিস করতে করতে কাহিল হয়ে গেলাম তো! তোরে অনেকদিন দেখি না।
আর কেউ বারবার ফোন করে খোঁজ নেয়ঃ ঠাণ্ডা লাগাবা না। গলায় কাপড় জড়িয়ে রাখো। সময়মত অষুধ খাও। আজকে গোসল করতে পারো তবে বেশি ভিজবা না। গরম পানিতে গার্গল করো, ভালো লাগবে। তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ো, রাত অনেক হয়েছে।
ক্যাডেটে পড়া অব্দি মা ছাড়া এভাবে কেউ যত্ন করে নাই। এই ভয়ানক সর্দিকাশির সুবাদে সেটার পরশে মন কেমন করে উঠলো। আমি তো সাধারণ মানুষ, এমন অসাধারণ ভালোবাসা পেলে কীভাবে তা সামলাই!
***
১৮ জুন, ‘০৯
এখন সুস্থ্য তো?
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হ্যাঁ রকিব। এখন সুস্থ। হালকা সর্দি+কাশি এখনও রয়ে গেছে (তবে সারার পথে)। 🙂
তোমার কি খবর?
রকিব এইটা কি ধরনের ব্যবহার? শুধু জিজ্ঞেস করলা আন্দালিব কেমন আছে? আদা/লেবু দিয়া এক কাপ চা দিবা না? x-( x-(
অনেক ধন্যবাদ এডু স্যার। আসলেই পুলাপাইন একটু বেদ্দপ হইয়া গেছে। আপনি সিনিয়র বলে আমি আর পাঙ্গানি দিলাম না। আপনার হাতে সোপর্দ করলাম! :hatsoff: :hatsoff:
অ্যাই রকিব!! x-( ডাবল আপ! কুইক! 😡 😡
স্যার, আপনি আপনার রুমে গিয়ে রেস্ট নেন।রকিব, আন্দা রে চা দিয়া স্টীলের হ্যাংগার নিয়া দেখা করবি :grr:
😕 😕
:teacup: :teacup: :teacup: :teacup: :teacup:
তখন সানা ভাইয়ের অফিসে ইস্পিসাল অর্ডার ছিল তো 😀
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
সৈয়দ মুজতবা আলী আমার খুবই প্রিয় লেখক। নেশাতুরের মত আমি তার বই পড়ি। পড়া হয়নি তার এমন বই যেখানেই পাই কিনে ফেলি। “বেঁচে থাকো সর্দি কাশি” আমার খুব প্রিয় গল্প। মাঝে মাঝেই পড়ি।
দুদিন ধরে আমাকেও সর্দি কাশি ভুগাচ্ছে খুব , তবে আমি দিব্যি পাত্তা না দিয়ে ফ্রিজের পানি আর ভদকা অন দা রক মেরে যাচ্ছি 😀
দেখি কে জিতে !
---------------------------------------------------------------------------
বালক জানে না তো কতোটা হেঁটে এলে
ফেরার পথ নেই, থাকে না কোনো কালে।।
ভদকা অন দা রক হয় নাকি? আমি কিছুদিন বারে কাজ করসিলাম সব সময় তো দেখতাম ভদকা খালি খায় অথবা কিছুর সাথে মিক্স করে, যাউগগা, তোমারে একটা শিখাই বাংলাদেশে রেডবুল পাওয়া যায় না? ভদকা রেড বুল দিয়ে মিক্স করে খেও, যদি ভালো না লাগে তো তোমারে আমি ভদকা অন দা রক খাওয়াবোনে।
কামরুল ভাই, আসলে সমস্যাই ছিল না। আগে কখনই ঠাণ্ডা লাগলে আমি এতটা পাত্তা দেই নাই। কিন্তু এখন ক্লাসে গিয়ে বকবক করতে হয়। নাক ফোৎফোৎ করলে কেমন লাগে বলেন? এই কারণে ক্র্যাশ কোর্স নিলাম! 😀
ভদকা অন দ্য রক চালাইলে বাড়িতে আমার মাথাতেই রক ভাঙ্গা হইতে পারে! 😕 😕
সামি ভাই, আপনি আরও বিপদে ফেলবেন আমাকে, বুঝছি! 🙁
সৈয়দ মুজতবা আলীর সমগ্র পড়েছিলাম এক বন্ধুর কাছে থেকে নিয়ে ...... সে রকম জিনিস ...... এখনো কালেকশনে আনতে পারিনি 🙁 🙁
মুজতবা আলীর লেখা রম্যের তুলনা এখনও পাইনি। আর পাবোও না সম্ভবত। আপনি পুরোটা না হলেও 'চাচা-কাহিনী' অথবা 'গল্পসমগ্র' বইটা সংগ্রহ করেন। সময় কাটানোর উপাদেয় উপায়! 🙂
আন্দা , তোরে অনেকদিন পর দেখলাম ব্লগে। সর্দি কাশি বাদে তবিয়ত ভালো তো??
লিখা পড়ে সিরকম মজা পেলাম।
ভালো থাকিস দোস্ত।
বাকি তবিয়ৎ তথৈবচ। সবাই ভিসা ফাণ্ডিং নিয়ে বিদেশে যাইতেছে দেখে বাবা-মা কিঞ্চিৎ চাপে রাখছে। এটা একটু ঝামেলা করতেছে। মানসিক চাপে আছি বলেই বেশি বেশি কলেজের কথা মনে পড়তেছে। আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম...
তোর কী খবর?
কিরে আমিন তোরে অনেকদিন দেখি না। কেমন আছস? নেটে আসলে নক করিস মেসেঞ্জারে।
আমাদের মেট্রিকের বইতে ছিল "রসগোল্লা"। 😕 আমি কিন্তু "সদ্য পাশুরে" নই! 😛
ওহ! তাই তো! রসগোল্লার ঝাণ্ডুদা আর তার টিনের বাক্স! ভুলেই গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আলম। তোমার স্মৃতিশক্তি তো দেখি খুবই ভালো। :clap:
সৈয়দ মুজতবা আলীর ছেলে আমাদের এক্স ক্যাডেট, সেকেন্ড ব্যাচের সৈয়দ ফিরোজ আলী ভাই, উনিও খুব রসিক মানুষ।
আন্দালিব তোমরা রসগোল্লা পড়ো নাই ক্লাস নাইন টেনে? ঝান্ডু দার চরিত্র বিশ্লেষণ খুবই ইম্পোরটেন্ট ছিল B-) ...
অসাধারণ দিনলিপি পড়ে খুব ভালো লাগল, আশা করি তোমার সর্দি কাশি খুব শীঘ্রই সেরে যাবে।
সামি ভাই, সৈয়দ ফিরোজ আলী ভাই রসিক হবেন এটাই স্বাভাবিক। বাপে যে চীজ! :))
"রসগোল্লা" পড়েছিলাম। ঝাণ্ডুদার চরিত্রও চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছিলাম। কিন্তু সেই ঘটনা রসগোল্লার মতই গিলে খেয়ে ফেলেছিলাম বেমালুম! 🙁 মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ বস্! :boss:
কত অজানারে! 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমি সৈয়দ মুজতবা আলীর বিরাট ফ্যান। উনার লেখা :just: অসাধারন।
উনার দুই ছেলে আমাদের এক্স-ক্যাডেট।
আমিও মুজতবা আলীর :just: ফ্যান! :hatsoff:
সৈয়দ মুজতবা আলীই তো বলেছেন
" সর্দি ওষুধ খেলে সারে এক সপ্তাহে আর না খেলে ৭ দিনে"
অনেক আগে পড়েছি মনে নাই।
আন্দা তোর একসপ্তাহ শেষ হইছে? (যেহেতু তুই ওষুধ খাইছস)
হ!
হাহা, গুরু বলেছেন, আমি তার উপরে মাতবরি করে ওষুধই চালাইলাম! লাভের লাভ অবশ্য কিছু হয় নাই। মোটামুটি এক হপ্তাই লেগে গেল সারতে। 😛
তোর শরীর কেমন এখন?
দিন গুনি আগামী সোমবারের। হাসপাতালে ভর্তি হব ঐদিন।
তপু, তোমার মোবাইল নাম্বার টা দিও তো।
সৈয়দ মুজতবা আলী মনে হয় বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ রম্য লেখক(আমার মতে)। এই লোকটা অসাধারন কিছু লেখা আমদের উপহার দিয়েছেন।
শুধু রম্য লেখক বললে মনে হয় মুজতবা আলীকে ঠিকমত প্রকাশ করা যায় না। ভ্রমণ কাহিনী বিষয়টা বাংলা সাহিত্যে সার্থক ভাবে উনিই মনে হয় প্রচলন করেছেন।
আন্দালিব ভাই রম্যের কথা বলেছিলেন বলে শুধু রম্য উল্লেখ করলাম। আমার কাছে ওনার স্থান একজন লেখক হিসেবে অনেক উপরের দিকে। ওনার লেখ "পুর্ব বাঙলার রাষ্ট্রভাষা" প্রবন্ধটি বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক প্রবন্ধ বলে আমি মনে করি।
পড়া হয়নি বইটা। দেখি এইবার দেশে গেলে যদিও রাজনীতি আমি ভাল পাই না পড়ার জন্য।
মুজতবা আলীর তুলনা নাই।
আমার সর্দি হয়েছিল গত সেমিস্টার ফাইনালের সময়। লাভের লাভ যেটা হয়েছিল, সেই প্রথম তিন তিনটা রুমাল কিনলাম। তিনটাই একসাথে পকেটে পুরে তারপর পরীক্ষা দিতে যেতাম। তিন ঘণ্টা এসির সুশীতল সুবাতাসের সুবাদে আমার নাকের অবস্থা কি হয়েছিল বুঝতেই পারছেন। ক্ষতির মধ্যে যেটা হয়েছিল, প্রতি পরীক্ষার ১৫ টা মিনিট রুমালগুলোই খেয়ে নিত।
মুজতবা আলী :boss:
নেক্সটবার দেশে এসে উনার রচনা সমগ্র কিনতে হবে । তোমরা নীল নদের দেশে। পন্ডিতমশাই পড় নাই? এটাও মুজতবা আলীর এবং কোন ক্লাশে যেন পাঠ্য ছিল মনে নাই ।
এতো দেখি সব্যসাচী :clap: :clap:
আন্দাতো রম্যও দারুন লিখে :boss:
সুস্থ হয়ে উঠ শিগগিরই, তবে যদি ইকটু আধটু হ্যাচচু লাইগা থাকলে ইরাম লেখা বাইরায় তাইলে অবশ্য তার আর দরকার নাই 😀
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
:thumbup: :thumbup:
আন্দালিব, তোমার রম্য রচনা পড়ে খুব ভাল লাগল। 🙂