মেমেন্টো

ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস না করার শাস্তি আমি এখনো মাঝে মাঝে পাই। একবারে পথে ঘাটে।

ফার্স্ট ইয়ারে আমি কার্জন হল ভালো করে চিনতামই না। দিনরাত কাটতো কলাভবনে। টিএসসিতে। ওখানে মেয়েরা কতো সুন্দর করে সেজেগুজে আসে। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। তার তুলনায় কার্জন হলের মেয়েরা একেবারে রসকষহীন। যেমন ডিপার্টমেন্ট, তেমনি তার ছাত্রী। দুই একটা ব্যাতিক্রম অবশ্য ছিলো। যেমন জুয়োলজি। আমরা বলতাম ‘লিপ্সটিক সাইন্স।’ এই নামের অবশ্য একটা মাহাত্ম্য ছিলো।

বিস্তারিত»

বোকামি

১.
গল্পটা এক সাংবাদিকের। নামটা আর বললাম না। ধরলাম তার নাম দবির। অফিসে ঢুকতে হয় ৪টার মধ্যে। দবির অফিসে আসলো। নিজের কম্পিউটার অন করতে গিয়ে দেখে কাজ হচ্ছে না। অন হলো না কম্পিউটার। আমাদের তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের লোকজন বসে ৫ তালায়। দবির ফোন করলো সেখানে। তখন আমাদের নতুন পিএবিএক্স বসেছে। ফলে নাম্বার সব গেছে উল্টে-পাল্টে । ফোন চলে আসলো ডেপুটি চিফ রিপোর্টারের টেবিলে। তখন সেই টেবিলে বসে ছিল আরেকজন।

বিস্তারিত»

একখানা নির্দোষ গল্প

রহিম মিয়ার থুতনিতে গুনিয়া গুনিয়া মাত্র সাতটা দাঁড়ি। থুতনির এই সাতটা দাঁড়ি অন্যরকম সৌন্দর্য ছড়াইতেছিল। অনেকবার ভাবিয়াছে এই কয়টি রাখিয়াই বা কি হইবে। কিন্তু কাটিতে মন চায় না। রেজর চালাইতে ইচ্ছা হয় না। থাকুক না হয় ৭ খানা দুষ্প্রাপ্য দাঁড়ি।
রহিম মিয়ার কিন্তু শান্তি নাই। শান্তি হরণ করিয়াছে পাড়ারই কয়টি ফাজিল পোলা। তাহাকে দেখিলেই পিছনে লাগে আর চিৎকার দিতে থাকে। -ও রহিম মিয়া, দাঁড়ি কয়ডাবেচবা নি।

বিস্তারিত»

কতো রঙ্গো জানোরে মানুষ -২

এক.

খবরের কাগজে বা ম্যাগাজিনে ‘ব্যাক্তিগত সমস্যা ও সমাধান’ পাতাটি নিশ্চয়ই অনেকবার দেখেছেন। খেয়াল করে দেখবেন এসব পাতায় সমাধান দেন বেশির ভাগ সময় একজন নারী। কেন? পুরুষরা ভালো সমাধান দিতে পারেন না? কে বলে? পুরুষদের দেয়া সমাধান অনেক বেশি ভালো হয় ! বিশ্বাস না হলে নিচের চিঠি আর তার সমাধানটি পড়ে দেখুন।
……………………………………

প্রিয় সম্পাদক ভাইয়া
গত সপ্তাহ খানেক আগে আমি অফিসে যাবো বলে বাসা থেকে গাড়ি নিয়ে বের হলাম।

বিস্তারিত»

একজন ‘মৃত’ ব্যক্তির গল্প

১.
মতি ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। মাঝে মধ্যে অতি মধুর ব্যবহার, কখনো ঝাড়ি। সেইদিন ছিল ঝাড়ির দিন। ঝাড়ি খাইয়া মেজাজ খারাপ। রাম্তায় ট্যাক্সি পাইলাম না। মেজাজ আরো বিলা। বাসায় ফিরতে ফিরতে মহাক্লান্ত।
দরজা খুলে দিলো ৭ বছরের পুরোনো বউ। কিন্তু দেখলাম যেন নতুন বউ, সেজেছে, চুলও কি কেটেছে? শাড়িটাও মনে হল নতুন, নাকি অনেক দিন পড়ে না?
মনে হলো মুগ্ধ যখন হয়েছি তখন কিছু একটা বলা দরকার।

বিস্তারিত»

ফাইট ক্লাব

‘ফাইট ক্লাবে’র সাথে আমার প্রথম পরিচয় বুয়েটে গিয়ে।

আমি তখন ঢাবি’র একুশে হলে থাকি। আমাদের ব্যাচের আর কেউ নেই কার্জন হলে। বন্ধু-বান্ধব সব কলা ভবনে। সনেট ম্যানেজম্যান্টে, সুব্রত ল’তে। সারাদিন ওখানে আড্ডা দেই আর রাতে বুয়েটে গিয়ে মাসুদের রুমে থাকি। কি করবো ? বন্ধুদের ছাড়া থাকতে আমার একদম ভালো লাগে না। তাই নিজের হলের রুম আর ডিপার্টমেন্টের ধারে কাছেও যাই না। এমন অনেক সময় গেছে আমি মাসের পর মাস ধরে বুয়েটে মাসুদের রুমে।

বিস্তারিত»

ফাহিম-বন্দনা-১

যুবরাজ

(গল্পের যুৎসই কোন নাম না পেয়ে এই নামটা চুরি করলাম আরেকটা গল্পের নাম দেখে, আডমিন ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি দিয়ে দেখবেন আশাকরি)

সোহরাব আলী তালুকদার নামে একজন প্রিন্সিপাল ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজে। আমি তাঁর গল্প শুনতে শুনতে তাঁর প্রেমে পড়ে গেলাম। “ তারে আমি চোখে দেখিনি, তার অনেক গল্প শুনেছি’ টাইপ প্রেম। এই সব গল্প আমি শুনতাম ফাহিমদের কাছ থেকে।

বিস্তারিত»

একটি ব্লেজার স্মরনে

যুবরাজ

:salute: (আন্তরিক কৃ্তজ্ঞতা মডারেটর ও এডমিন এর প্রতি, আমার অতি প্রিয় এ ব্লগে লেখার সুযোগ দেয়ার জন্য।)
আমি ক্যাডেট কলেজে ঢুকিনি বলে জীবনে প্রথম আক্ষেপ হল বিএমএতে যাওয়ার পর।আমার ২৮ জেনারেশনে কেউ সেনাবাহিনীতে ছিলনা। নিজেকে সিভিলিয়ানের কোন ধাপে ফেলা যায় সেটা নিয়ে আমি নিজেও সন্দিহান।“ র সিভিলিয়ান” বলে একটা কথা আছে, আমি বোধহয় সেই গোত্রের।

বিস্তারিত»

কত রঙ্গো জানোরে মানুষ !

১.
অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়ার হোবার্টে রিজডন নামে এক কারাগারে প্রায় ২০ জন কয়েদী মিলে এক নিরাপত্তা রক্ষীকে তাদের কয়েদখানায় আটকে ফেলে এবং তার মুক্তিপণ হিসেবে কতৃপক্ষের কাছে ২৪টি পিজা ও কোক দাবি করেন। নইলে ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।
নিরুপায় হয়ে কতৃপক্ষ কয়েদীদের সাথে নেগোসিয়েশনে বসেন এবং শেষ পর্যন্ত ১৫টি পিজা ও কোকের বিনিময়ে আপোস হয়।
মধ্যরাতে কোক ও পিজা পাবার পর কয়েদীরা ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে ছেড়ে দেন।

বিস্তারিত»

আমার হুজুর হওয়ার কাহিনী!!!! (৫ মিনিট)

লাস্ট টার্মে কলেজে পৌছেই সিদ্ধান্ত নিলাম নিজের মাঝে পরিবর্তন আনতে হবে! কোন ধরনের নিয়ম বহির্ভুত কাজে যোগ দিব না! প্রপার ক্যাডেট বলতে যা বোঝায়,তাই হব! ঠিক করলাম নামাজ পড়তে হবে! পরদিন ফজর থেকে শুরু করলাম নামাজ পড়া। জুনিয়রকে বলে দিয়েছি রিভেল দিতে,ক্লাস সেভেন এইট নামাজ পড়ে,তাদের থেকে হুজুর দেখেই একটাকে বললাম “ফজরের নামজে জামাতের আগে ডাক দিবা”! জুনিয়রটাও মহাউৎসাহে ডাক দেয় প্রতিদিন! প্রথম দুদিন আমারও চরম ঊৎসাহ!

বিস্তারিত»

ছাড়া গরু অথবা বউ দূরে থাকার অসুবিধাসমূহ

ভালোই চলতেছিল সময়। প্রেম করি,খাই-দাই, ঘুমাই। কিন্তু বাধ সাধলো বাপ মা, তাদের এক কথা বিয়ে করা লাগবে। তাদের যতোই বুঝাই, আরো দুই বছর যাক, তা না তারা বলে তোর ছোট ভাইয়ের আগে তোর বিয়ে করাই লাগবে। কি আর করা, একদিন রাজী হয়ে গেলাম। বিয়ের আগে বেশ কিছু ঝামেলা বাধলো,ফলাফল আগে প্ল্যান ছিল আমি কানাডায় যাবো একবারে নতুন করে আমাদের সংসার শুরু করব, কিন্তু এখন অবস্থার ফেরে ঠিক হলো সে তিন সপ্তাহের জন্য ইংল্যান্ড আসবে হানিমুন করতে তারপর ফেরত চলে যাবে।

বিস্তারিত»

ছাপার আগে-২

নতুন টাকার পাঁচকথা

১.
ভাই টাকাটা ভাংতি হবে?
দোকানদার রাগত দৃষ্টিতে প্রশ্নকর্তার দিকে তাকালনে। তারপর গর্জন করে উঠলেন, ইস! শখ কত? পাঁচশ টাকাই ভাংতি হয় না আবার উনি এসেছেন এক হাজার টাকা নিয়া।
আসলেই। ভাঙতির বড় আকাল। ভাংতি নিয়ে কত যে হয়রানির মধ্যে পরতে হয় তা আমাদেও প্রত্যেকেরই জানা। আপনি একটি নোটের পরিবর্তে কয়েকটি নোট নিয়ে যাবেন এটা য়েন কারোই সহ্য হয় না।

বিস্তারিত»

ছাপার আগে-১

[বহুদিন পর আবার অনুরোধে ঢেকি গিলছি। ফলাফল একটি ফান ম্যাগাজিনে আবারো লিখতে শুরু করেছি। ভাবছি লেখাগুলি চামে এই ব্লগে শেয়ার করব, প্রকাশের আগে]

আহা! মেলামাইনের কি সোয়াদ!

১.
ইত্যাদিতে দেখেছিলাম একবার এক ভদ্রলোক কচ কচ করে কাচ খাচ্ছেন। কাচ সম্পর্কে আমার ধারণা সেদিনই কাচের টুকরার মত ভেঙে যায়। কাচ খুবই সেনসেটিভ জিনিস। তার সাথে একটু আধটু ইতরামি করলেই রক্তারক্তি কান্ড ঘটে যায়।

বিস্তারিত»

একদিন স্বপ্নের দিন

আমার স্বপ্নগুলো সব সময় কেমন যেন আজব ধরনের হয়।

স্বপ্ন মানে ঘুমানোর পর যে স্বপ্ন দেখি সেই স্বপ্ন। আমি একদিন আব্বাস কিয়ারোস্তমির মতো ফিল্ম মেকার হবো, জীবনের সেই স্বপ্ন না।
আজব হয় কারন কেমন করে যেনো ঘুরে ফিরে সব স্বপ্ন ক্যাডেট কলেজে গিয়ে শেষ হয়। এমনকি ক্যাডেট কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার এতোদিন পরেও আমার অনেক স্বপ্ন শুরুই হয় ক্যাডেট কলেজে।
অনেকে বিশ্বাস করবে না,

বিস্তারিত»

আমার লেখালেখির গল্প……..

**ব্যস্ততার কারণে আলমকে নেয়া সিরিজটা আগাতে পারছি না। এই ফাকে সামহোয়ারের আমার এই লেখাটা দিলাম। এটা পুরোটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে না হলেও বেশিরভাগ অংশই ক্যাডেট কলেজের গল্প।দেয়াল পত্রিকার জন্য রাত জাগা সকল ক্যাডেটকে লেখাটা উৎসর্গকৃত।

লেখালেখি করিবার সাধ ছোটবেলা হইতে আমার ছিল এমন দাবি করাটা বোধ করি অযৌক্তিক।আমার লেখালেখি করিবার অনুপ্রেরণা বলিতে আমার এক ফুফা।তাহার কথা ভাবিলে অবশ্যি ভারী চশমা মোটা গোফের কোন গম্ভীর চেহারা কল্পনার নয়নে আসিয়া উপস্থিত হয় না।

বিস্তারিত»