[প্রাককথাঃ
যারা জানেন না,তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে,আরসিসি বাংলাদেশের সীমানা ঘেষে রাজশাহী শহর থেকে ২৬ কি.মি. দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে অবস্থিত।গ্রামটার নাম মোক্তারপুর।ক্যাডেট কলেজটাকে সবাই চিনেন।তাই গ্রামটাকে পরিচিত করার জন্য আমি টপিকে গ্রামের নাম দিলাম।আরেকটা কথা আমাদের অরকা’র অর্থায়নে এই গ্রামে ”অরকাপল্লী” স্থাপিত হয়েছে,যেখানে দুঃস্থ অনেকেই ঠাঁই পেয়েছে।এই সুযোগে জানিয়ে রাখলাম।।……..
অত্যন্ত পরিতাপের সহিৎ অবলোকন করিলাম যে, ডায়লগস ফ্রম জেসিসি,এমজিসিসি,এসসিসি,সিসিসি এমনকি পিসিসি পাবলিশ হইয়া গেলেও শাহী ক্যাডেট কলেজের ডজার ক্যাডুগুলা ব্লগে প্রবল প্রতাপের সহিৎ ডজ মারিতেছে।আমি এতকাল অপেক্ষা করিতেছিলাম,কোন দায়িত্ববান শাহী ক্যাডেট কলেজের অসংখ্য বাণীচিরন্তনী প্রকাশ করিবেন।কিন্তু আমার আর তর সহিতেছে না।তাই স্মৃতির গলি ঘুপচিতে পলান্টিস খেলতে থাকা ডায়লগগুলো ধরিয়া আনিয়া সিসিবি পরিবারে পেশ করিলাম।আর দেরি করিলে হয়ত,অন্য কেউ কহিয়া দিবেন,এর থেকে ক্রেডিটটা আগে আমিই লইয়া ফেলি,মাঠ ফাঁকা মনে হইতেছে………
বৃষ্টি বিড়ম্বনা ও বিভ্রাট
গল্প শব্দবিভ্রাট নিয়ে। বাস্তবে ঘটা এবং সত্য ঘটনা।
সুকুমার রায়ের গল্পে পড়েছি, “দাদা। জল পাই কোথায় বলুন তো?” প্রতিউত্তরে বলেছে “মুশকিলে ফেললেন, এখনতো জলপাই এর সময় না।তবে আম-কাঠাল হলে চলবে?”
আমার গল্প এইসব বিড়ম্বনা বা বিভ্রাট নিয়েই। একবার ক্লাসে এক ম্যাডাম জিজ্ঞাসা করলেন,”এই তোমাদের ক্লাস ক্যাপ্টেন কে?” আমার বন্ধুর সরল মনের উত্তর, “কাদের”।
ম্যাডাম খেপে গিয়ে বললেন, “ফাজলামো করো।একটা চড় দিয়ে দাত কয়টা ফেলায় দেবো।কাদের আবার?
বিস্তারিত»দুষ্মন্তপুরান-২
রাজা দুষ্মন্ত মধ্যাহ্নভোজন সারিয়া নিদ্রা যাইতেছিলেন। স্বপ্নে দেখিলেন, কাঁচুলি আর কৌপিন পরিহিতা এক পিনোন্নতা গুরুনিতম্বী তাহার চতুর্দিকে নৃত্য করিতেছে। নৃত্য করিতে করিতে এক পর্যায়ে সে রাজার কোলে চড়িয়া বসিল। বসিয়া রাজার চিবুক,ওষ্ঠ্য,ললাট স্বীয় জিহবা দ্বারা লেহন করিতে লাগিল। রাজা উত্তেজনায় শিহরিয়া উঠিলেন। রূপসীকে সুধাইলেন,ওহে অপরূপা, তুমি এতোদিন কোথায় ছিলে? কি নাম তোমার? সে কহিল,ভৌ।
রাজার ঘুম চটিয়া গেল। তাকাইয়া দেখিলেন,এক সারমেয় সন্তান তাহার কোলে চাপিয়া তাহার সর্বাঙ্গ লেহন করিতেছে।
বিস্তারিত»ডায়লগ De MGCC রিলোডেড
সাবধান…হুশিয়ার…খাবার্দার… (ইয়ে মাশরুফ ভাইয়া, এখানে দ এর পর বা’ নাই কিন্তুক)
ব্লগাধিরাজ,শাহেনশাহ্ সিসিবি তাঁহার সাম্রাজ্যে আগত এক পর্যটকের নামে ভয়াবহ সমন জারি করিয়াছেন… ঐ পর্যটক দিনকতক আগে বাদশাহের সহিত সাক্ষাত্ করিয়া তাহার নাজরানা পেশ করিয়া গিয়াছিল।রাজপ্রাসাদের সদস্যগণ মহাউত্সাহে সেই নাজরানা গলাধঃকরণ করিলেও বর্তমানে সকলেই (শাহেনশাহ নিজেও) ভয়াবহ বদহজমের সমস্যায় ভুগিতেছেন।রাজ্যশ্রেষ্ঠ হেকিমের দাওয়াই,যদি পর্যটক অবিলম্বে ততোধিক অখাদ্য নাজরানা পেশ করে,তাহা হৈলে সকলেই আরোগ্য লাভ করিতে পারিবেন।
দুষ্মন্তপুরান (পিজি-১৩)
রাজা দুষ্মন্ত বড়ই চিন্তিত। বিগত দু’দিন যাবৎ শকুন্তলাকে দেখা গিয়াছে মোবাইলে কোন এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সাথে ফাইট দিতে। সে ঘন ঘন ছোট বার্তাও পাঠাইতে থাকে। আবার ফিরতি বার্তা পড়িয়া মুচকি মুচকি হাসে। তাহাকে ওই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির কথা সুধাইলে সে বলে, তুমার তাতে কি? ইয়েতে চুল্কাচ্ছে?বেটা বুড়া ভাম! আজকাল রিক্সাওলারা পর্যন্ত মোবাইল ইউস করতেসে। আর তুমি একটা আখাইত্তা,নিজের একটা মোবাইল কেনারও মুরোদ নাই,আবার নাম দিসে রাজা,হেঁহ।
বিস্তারিত»জীবিত বা মৃত ব্যক্তির সাথে কোনো মিল নাই কিন্তু
১.
আলফ্রেড হিচকক মশাই জীবনে একটাই কমেডি বানাইছিলেন। ১৯৪১ সালে মুক্তি পায় মি. অ্যান্ড মিসেস স্মিথ। কঠিন ভালবাসা দুই জনের মধ্যে। একদিন তারা আবিস্কার করলো তিন বছর আগে তারা যে বিবাহ করেছিলেন, সেইটা বিধিমত হয় নাই। নতুন কইরা যখন বিবাহের কথা উঠলো, বাইকা বসলো মিসেস স্মিথ। সে নাকি কোনো অবস্থাতেই এই ছেলেরে আরেকবার বিয়া করবো না।
সিনেমাটা দেইখা একটু ভাবিত হইলাম। মনে মনে চিন্তা করলাম,
ডায়লগ De MGCC
প্রাচীনকালে পর্যটকেরা যখন রাজ্যের রাজার সাথে প্রথম সাক্ষাত্ করতেন,সঙ্গে থাকতো নানা উপঢৌকন।সিসিবি’র সাথে গত এক বছর ধরে আমার দিনে কমসে কম তিনবার সাক্ষাত্ হলেও পর্যটকের মর্যাদা লাভ করেছি(সদস্যপদ) দুদিন আগে।লেখক হিসেবে কোন মানের মধ্যে না পড়লেও পৃথিবীর সব ব্লগের শাহেনশাহ্ সিসিবিকে(আমার জানামতে, এবং আমি জানি বাংলাদেশের সব ক্যাডেটের জানামতে) উপেক্ষা করার সাহস আমার নেই,তাই হুজুরকে সামান্য নাজরানা…
১.এক সিনিয়র আপা যিনি পানিশমেন্ট দেওয়ার জন্য বিখ্যাত ছিলেন;
মূষিক-কথন
(আমার বন্ধু লুজ আমাদের সব গোপন খবর সিসিবিতে ফাঁস করে দিচ্ছে। এইটা ফাঁস করার আগেই লিখে ফেলাই… )
আমাদের ব্যাচের কলেজ গেমস প্রিফেক্ট ছিল জকি। তার মত পিকুলিয়ার এবং গাইন্ধা সিজিপি মনে হয় না কোন কালে কোন কলেজে ছিল। তার বেডের তলে একটা বালতি ছিল। তার মধ্যে সে তার যাবতীয় ময়লা ও গাইন্ধা কাপড় রাখত(ইনক্লুডিং আন্ডি’স)।এবং প্রতি টার্মে সর্বোচ্চ ১ বার সে অইগুলা ধুতে দিত।
“যে কিলাইয়া কাঁঠাল পাকাইয়াছিলো…………”
ছ’ফুট।
তাহারে নিয়া কিভাবে লেখা শুরু করিতে পারি? ক্লাস টুয়েলভে পড়িবার কালে তাহার হাইট ছ’ফুটে গিয়া থামিয়াছিল। এবং ক্লাস সেভেনে যখন তারে প্রথম দেখি, হাইট ছিলো চাইর ফুট আট ইঞ্চি। তাহার মুখ ছিলো এই এক্টুখানি আর কান দু’খানা ছিলো বেশ বড়; দুষ্টলোকেরা তাই তাহার চেহারার সাথে লেমুরজাতীয় কোনো প্রাণীর সাদৃশ্য পাইত। সে তাহার ছ’বছরের সংক্ষিপ্ত কলেজ জীবনে জন্ম দিয়াছিলো অগণিত কিংবদন্তীর। সে কলেজ আউট হইয়াও দিন দশেক পরে ফিরিয়া আসিয়াছিলো আমাদের কাছে বীরের বেশে।
শানে নূযুল: বিফলে মূল্য ফেরত!!
অনেকের মনেই প্রশ্ন আসিতে পারে, “বিফলে মূল্য ফেরত” জাতীয় বিজ্ঞাপনসমূহের সূচনা এই বংগদেশে কিরূপে হইলো। ইহার সঠিক সূচনা সম্পর্কিত দলিল যে কোনো ইতিহাস বেত্তা দিতে পারিবেন না, ইহা আমি হলফ করিয়া বলিতে পারি।কিন্তু আমার জনক তা জানেন বলিয়া জোর গলায় দাবী করেন।
জনক বলিয়া কথা। পারিবারিক কোন্দল এড়াইতে আমি সেই গপ্পো গিলিয়া যাইতে পারি। কিন্তু আপনারা গিলিবেন, না নেহায়েত মস্করা বলিয়া হাসিয়া উড়াইয়া দিবেন ইহা সম্পূর্ণরূপ আপনাদিগের উপরেই ছাড়িয়া দিলাম।
বিস্তারিত»একটা শিক্ষামূলক পোস্ট
১.
রাজার ছেলে ও ধোপার ছেলে একসাথে লেখাপড়া করে। বড় হয়ে রাজার ছেলে রাজা হলো, আর ধোপার ছেলে ধোপা। ধোপা প্রতিদিন কাকডাকা ভোরে গাধার পিঠে কাপড় নিয়ে রাজপ্রসাদে যায়, কেউ দেখার আগেই ফিরে আসে।
একদিন রাজা যাবে শিকারে। প্রধানমন্ত্রী জ্যোতিষীকে দিয়ে দিন গননা করে ভাল একটা তারিখ বের করলেন। খুব ভোরে রওয়ানা দিয়েছেন রাজা। সামনেই পড়ে গেল ধোপা। মন্ত্রীরা হায় হায় করে উঠলেন,
সপ্তম শ্রেণীর সাতকাহন-পর্ব ২>>শিক্ষানবিশি কুচকাওয়াজ
ডিসক্লেইমার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-কে আপনারা যতই মহিমান্বিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মনে করুন না কেন,বুয়েটবাসীরা একে অত্যন্ত সম্মান ও ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে ”Bangladesh University of Extreme Torture” বলে সম্বোধন করে থাকে।গেল সপ্তাহে আমার ৩য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারের ক্লাশ সমাপ্ত হল।৩টা কুইজ,১টা সি.টি(Class Torture),৪টা গিগা সাইজ ল্যাব রিপোর্ট সাবমিশন মিলিয়ে ”মানবীয় সিপিইউ” এর টাস্ক ম্যানেজারের উপর দিয়ে ”হারিকেন ক্যাটরিনা” বয়ে গেল।কুইজের প্রশ্ন হাতে পেয়ে মনে হল,আমি স্থির,আর বাকিসব আমার চারপাশে পর্যাবৃত্ত গতিতে ঘূর্ণায়মান!
ফাউ প্যাঁচাল-০৩
আমি নাকি এর আগের লেখাগুলায় চাপা মারছি আর ছোট ঘটনাকে অতিরঞ্জিত করছি,এই ধরনের কথা বলায় হপ্তাখানেক আগে আমি বাপ্পী (মাহবুব ০০-০৬, BCC)-রে মাইখানেক দাবড়াইছি আর মিনিটদশেক পিটাইছি। যদিও তারে পিটানো নিয়ে আমার কোনোই আক্ষেপ নাই তারপরও বলতেই হয়, আমরা কমবয়েসী এক্স-ক্যাডেটরা একসাথে হইলে যেসব বিষয় নিয়ে গ্যাঁজাই সেইগুলা একই ভাষায় কখনও পোস্ট করলে বিরাট বিপত্তি আছে;সিসিবি নাস্তানাবুদ হয়া যাবে। তাই কিছু নিরীহ ছোটখাট ঘটনারে এক্টুখানি fabrication সহ লিখি…………….এবং এখন থেকে ফাউ প্যাঁচাল সাধু ভাষায়……
বিস্তারিত»‘এফ পি’
কলেজে একটা ‘এফ পি’ ছিল।সোহরাওয়ার্দি হাউসের সামনের রাস্তায় সাদা কালি দিয়ে লেখা ছিল।ঐ টা ছিল আসলে ফিনিশিং পয়েন্ট,অর্থাৎ ক্রস কান্ট্রি বা ইডি খেলে দৌড়ে এসে ঐ খানে ফিনিশিং হত।ক্লাস ৭ থেকে ‘এফ পি’ দেখে আসছি,কিন্তু ‘এফ পি’র সংজ্ঞা বদলে গেল ক্লাস ৮ এর মাঝামাঝি সময়ে।কারন হল ক্লাস ৮ এ আমরা দেখলাম কলেজে একজন ভূগোলের নতুন ম্যাডাম আসলেন,নাম ফরিদা পারভিন।
ফরিদা পারভিন ম্যাডাম সম্পর্কে আমার সিনিওররা অনেক কিছুই আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশী বলতে পারবেন ।
বিস্তারিত»দেশে বাঘ বিদেশে বিলাই, আসেন সবাই শেওয়াগকে কিলাই !!!
ভারতের ব্যাটসম্যানদের নিজেদের মাটিতে রানের ফুলঝুরি ছুটিয়ে, বিদেশের মাটিতে রানের জন্য খাবি খাওয়ার হাজার নিদর্শন আছে। আবার ভারতের বোলারদের অবস্থাও তাই। ভারতের স্পিনাররা দেশের মাটিতে পারলে প্রত্যেকেই দশ উইকেট নেয়। কিন্তু বিদেশের মাটিতে সেই উইকেট টেকার বোলাররাই যেন স্ট্যাম্প চোখে দেখেন না। বেধড়ক মার খেয়ে তক্তা হয়ে যায়। যা হোক ভারতের দেশে বাঘ, বিদেশে বিলাই স্বভাব নিয়ে অনেক মজার মজার কৌতুক আছে।
বিস্তারিত»