ক
এভাবে একদিন আমার কথাও শুকিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় আমি মূক।
হাসিও মুছে যেতে পারে হঠাৎ পিপাসা পাওয়া রাতে
এমনকি আমি বোধহীন হতে পারি, এ ঘটনাও অসম্ভব নয়
নিউরনে স্ফুলিঙ্গ থেমে গেলে আমি অরূপাক্ষ নদে ভেসে যেতে চাই।
সনাতন তথাপি অতি প্রিয় একটি কবিতা এখানে পুনরায় নিবেদিত হলো।
অন্যরকম !
অনেকখানি অনিশ্চয়তার বেড়াজাল ডিঙিয়ে-
আরও একটি নিশ্ছিদ্র তন্দ্রাচ্ছান্ন রাত্রি পেরুলো।
প্রসন্ন মেজাজে বিছানায় গেলেও জানা ছিল না যে-
আগামী কালের সোনালী রোদ্দুর দেখতে পাব কি না?
স্বপ্নরা ছুটি নিয়ে চলে গেছে-
পরিশ্রমী উচ্চাভিলাষী লোকদের আঙিনায়।
জোছনার আলোর সাথে মিলেমিশে
নানা রঙ নিয়ে খেলা করে তাদের বিছানার চারপাশে।
সত্যি করে বলছি –
বিস্তারিত»বাসর রাত
শীতের রাতে আজ কুয়াশা নেই,
আছে পূর্ণিমার আলো;
আজ রাতের গভীরেও পাখি গান গেয়ে যায়;
প্রকৃতি যেন আজ ভুলে গেছে যত তার নিয়ম-অনিয়ম।
অপ্রত্যাশিত মহিমায় আজ প্রকৃতি ভুলে গেছে সুরের ব্যাকরণ,
হারমোনিয়ামে বাজছে উল্টা-পাল্টা আওয়াজ –
সুন্দরী ও স্বপ্নভঙ্গ
সুন্দরী!
মৃগনাভী কস্তুরী
তৎসম সুগন্ধি,
উচ্ছাসে বাসন্তী …
চকিতে কটা চাহনি,
পরক্ষণে মৃদু হাসি,
চলনে উঠে হিল্লোল
ধরনী হল চঞ্চল –
অনুস্বপ্ন -১
এক শাওন রাতে
অঝোর বৃষ্টির সাথে,
চাদর পেতে বারান্দায় আধশোয়া হয়ে
বৃষ্টি, কফি আর তুমি,
মাতাল বাতাস বয়ে যায়
তোমার এলো চুল চুমি,
ভাবি আমি মনে মনে
একি স্বর্গ নাকি ভুমি ?
একদিন ভোর দেখার রঙ আমাকে মেরে ফেলবে না
গ্রাফিতি-ফুটপাত দিয়ে হাঁটছিলাম,
বিবিধকোণ ছকত্বকী ফুটপাত
সেখানে পদছাপেরা ক্ষণস্থায়ী এবং ধুলিকণার নিবিড় নিবাস;
আমি হাঁটছিলাম অথচ সেখানে আমার ছাপ পড়ছিল না।
প্রসারিত হাতের রেখাগুলো কুঁচকানো,
আমার দিকে তেড়ে আসে, “ভিক্ষা দে”!
চাপা ক্রোধ! “দিবি না কেন”!
আমি কররেখার মতোই কুঁকড়ে যাই। “দে!”
অলৈঙ্গিক শৈথিল্য কামড়ে ধরে তলপেটের চিনচিনে ব্যথায়, “দিবি না?”
ওই হাত অনেক জীবন সয়েছে,
তোমার মৃত্যুতে
বৃথা স্বপ্ন দেখে কি লাভ, যদি কোনদিন সে স্বপ্ন না দেখে সূর্যের আলো?
কি হবে মিছে আশা করে, যদি সে আশার না থাকে কোন বাস্তবতা?
আর কখনও কি তোমার ভালবাসায় আমি ধন্য হব! –
কি হবে সেইসব কল্পনায় – যেখানে দুঃখ শুধুই ক্রমবর্ধমান?
আর কখনও কি তোমার স্পর্শ আমি অনুভব করব
গভীর নিশীথে রূপালী চন্দ্রায়?
লাভ কি সেইরাতের কথা ভেবে,
একটি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি(!) প্রয়াস – ‘গুপ্ত অভিসার’
গুপ্ত অভিসার
ভূ-তত্ববিদদের ইশারা পেতেই – চিহ্নিত স্থানে
মাটি খুঁড়ে উত্তোলিত হলো গুপ্তধনের সিন্দুক।
ডালা খুলতেই ফুস করে উড়াল দিল
দুটি বন্দী প্রজাপতি !
সময়ের হাতে কিডন্যাপ হয়ে যাওয়া
কিছু সুপ্ত রঙ্গীন ভাবনা…
একটি নষ্ট কবিতা – ভদ্রজন পড়বেন না দয়া করে
মাঙ্গলিক পূণ্য
তোমার রন্ধ্রে রন্ধ্রে পাপ জমেছে
প্রখর গ্রীষ্মের স্বেদবিন্দুর মতো –
তুমি কি পার সেই পাপকে ক্ষমা করতে ?
পাপ – সে কেন পাপ হবে
– এসো, হোক না এ আমাদের প্রথম স্মৃতি।
স্মৃতি – মনের খাঁচায় গ্রোথিত এ ক্ষণ
এক অসুন্দর সুখ –
ধরে নিলাম সেটা জীবনের শ্রেষ্ঠ সুখ।
সুখ – আপেক্ষিক এ তত্ত্বে
তোমার আমার মিলন যেন সাগরে সাগরে সঙ্গম –
কেউ কারো মাঝে বিলীন না হয়ে
নিজের অস্তিত্ত্বে একে অপরের মাঝে হারিয়ে যাওয়া।
অপলাপ-৩
কাল রাতে ঘুম আসছিল না মনে হচ্ছে ইতিমধ্যে জ্বর চলে এসেছে। বিদেশে একা একা অসুস্থ হওয়া বড়ই খারাপ। রাতের বেলা তাই কিছু অসংলগ্ন লাইন মাথায় ঘুরছিল একটু এদিকওদিক করে কোবতে হিসেবে চালাবার অপপ্রয়াস।
*********************************************************************************************************************
মাঝে মাঝে সময় এত দীর্ঘ ঠেকে
ঘুম না আসা মাঝরাতে,
যখন ঘড়ির টিকটিক
জগতের একমাত্র শব্দ বলে মনে হয়।
সমস্ত বিশ্বে একা আমি জাগ্রত।
বিছানায় এপাশ ওপাশে ঘুমাবার আকুলতা।
আজ একটি বিশেষ দিন
আজ একটা বিশেষ দিন,কি বিশ্বাস হচ্ছে না বুঝি ?
পাচ্ছেন না কোন ক্লু ইন্টারনেট, পেপার খুঁজি ?
কেন আপনি দেখেননি ,
আজ দুই পাহাড়ের মাঝে সূর্য কেমন রাঙ্গা হয়ে ওঠে,
আজ বাগানের সবগুলো ফুল যেন একসাথে ফোঁটে ।
আজ কেমন নীল হয়ে সেজেছে ঐ আকাশ,
আজ সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুটাও নেয় বুক ভরে শ্বাস ।
আজ ফসলের মাঠে কৃষকের মন ভোলানো হাসি,
বিস্তারিত»চিরহরিৎ শান্তিরক্ষীরা ! (উৎসর্গ – সকল প্রয়াত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে…)
চিরহরিৎ শান্তিরক্ষীরা !
ওরাই তো চির হরিৎ শান্তিরক্ষী;
নীল হেলমেট পড়ে শপথ নিয়েছে বিশ্ব শান্তি রক্ষায়।
তারা প্রতিজ্ঞা নিয়েছে-
শান্তি কায়েম, শান্তি রক্ষা আর শান্তি জোরদার করার।
এ যেন মাটির বুকে বেয়োনেট খুঁচিয়ে অনবদ্য এক পদ্য লেখা;
যে পদ্যে প্রতিষ্ঠা পাবে বিশ্বশান্তি, বন্ধুত্ব আর উন্নতি।
রিপুহত্যাযজ্ঞ
১.
…দুপুর গড়িয়ে চলে এলেও ঘেরা-পর্দা ঘরে সবুজ-আঁধার, বিনম্র; চলাচল করে। আমি ওঘর থেকে এলোমেলো ঘুম পায়ে এসে একটু হকচকিয়ে যাই, দেখি অন্ধকারের সবুজ মায়া তখনও যা টেবিলের প্রান্তে লেগে ছিল। আমাদের ঘরের একাকী রসনা-টেবিলে কিছু বোনা-কাপড়ের ম্যাট চকচকে-কাঁচ গেলাশেরা মিনারেল বোতলে ভরা মমতা-জল উদভ্রান্ত আর বিষন্ন বসে থাকে। এ ঘরে এলেই তারা সবাক-সশব্দ হয়ে ওঠে, কিশোরীর ঋতুমন্ত হয়ে ওঠার মতো তাদের কোমল ব্রীড়া,
অন্যরকম তুমি
আজ অন্যরকম সকাল, সূর্যটা আজ অন্যরকম –
আজ তোমাকে ভালবাসতে ইচ্ছে করে একটু অন্যরকম।
আজ স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে তোমায় নিয়ে অন্যভাবে,
আজ স্বপ্নরা সব অপেক্ষাতে তোমায় রাঙাবে বলে।
আমি আনন্দে আনন্দে নেচে বেড়াই তোমায় ভালবেসে,
নিজেকে আজ বড় ভাল লাগে তোমায় ভালবাসি বলে।
তুমি কি ভাবছ পাগল হয়েছি, বলছ একি হল আমার –
বিশ্বাস কর, আজ সকালে সূর্য উঠেছে পাগল হবার।