আমার স্বপ্ন, খড়কুটো ধরে ভেসে থাকা
উচ্ছিষ্ট মানুষের মতো নয়।
আমার স্বপ্ন- নয় কোন দরিদ্র নটের,
‘বিত্তবানের’ মিছে অভিনয়।
আমার স্বপ্ন, পরিশ্রমী কৃষকের প্রাণ,
তার সোনা আঊষের যৌবনবতী ক্ষেত;
যেখানে স্বপ্নের মতো অবারিত ধান
স্বপ্ন দেখায় কৃষাণীর কালো চোখে,
রূপালী ফিতের মতো সে—ই নদী,
যে কিনা বয়ে যায় আকাশের সীমানা অবধি
শনঘাস, কাশ, হোগলার ঝোপের ভিতর বহুদূর।
দিনের বেলায় সোনালী রোদে ঝিকিমিকি
যে নদীর আসমানী বুক কেটে,
চকিতে শুশুকের পিঠ ভেসে ওঠে।
আমার স্বপ্ন, সেই শুশুকের মসৃণ পিঠে
একঝলক পিছলে যাওয়া রোদ্দুর,
দিনান্তে- কাঁঠালের ছিন্ন-ভিন্ন ছায়ায়
পাতার বাঁশীতে রাখালিয়া সুর,
ম্লান গোধুলী আলোয় জ্বলজ্বলে প্রথম তারাটি,
উপরে বিস্তীর্ণ মেঘের ছায়া,
আর নীচে শক্ত পাথর-মাটি।
১৪ টি মন্তব্য : “স্বপ্ন”
মন্তব্য করুন
1st :grr :tuski: :tuski: :tuski: :
ভাল লাগছে সাজিদ ভাই।
খুবই ভালো লাগলো। এখন মনে পড়ছে, অনেক দিন গ্রাম দেখা হয়না...
তাহলে ভাই দেরি না করে, শহরের হট্টগোল ফেলে আমার প্রিয় গ্রাম 'আলোকদিয়া' একবার ঘুরে আসুন। এই কবিতাটা আলোকদিয়া'তে বসে লেখা। আমার নানা বাড়ি। আসল নাম 'আলোকদ্বীপ'। ইছামতী'র বুকে সন্ধ্যায় বা ঘুটঘুটে আঁধার রাতে নৌকা থেকে এই গ্রাম আলোর দ্বীপের মত লাগে।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
ভাল লেগেছে খুব। :clap:
এইটা ফাটাফাটি :boss:
পুরা কবিতাটাই ভালো লাগসে...মনে হয় চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম...
"আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস"
ওয়াও!!!!!! অসাধারণ!
:clap: :clap: :clap:
সরাসরি প্রিয়তে চলে গেল, সিসিবিতে যদি দুটি কবিতা আমার ভালো লেগে থাকে তার একটি হবে অবশ্যই আপনার এইটা। বোঝাই যাচ্ছে কবিতার টেকনিকাল রিচনেসের দিকে আপনি যথেষ্টই মনোযোগী। কয়েকটা চিত্রকল্পতো আমি বলবো আন্তর্জাতিক মানের। যেমন-
এবং
এটা আমাকে চমকিত করেছে, বিষেশত ৫টি পঙ্কতিতে একটি বাক্যের বিন্যাস সিমুলেইট করেছে অনেকটা একের পর এক আসতে থাকা চমকের অনুভুতি।
একটা সফল রূপকও দেখতে পাচ্ছি-
ছিন্ন-ভিন্ন বিশেষণটির ব্যাবহার আমি বলবো অভাবিত।
একুশ লাইনের কবিতা হিসেবে এটা যথেষ্টই রিচ আমি বলবো। তবে, মনে হয় চিত্রকল্প ও রূপকের সাথে সাথে কয়েকটি উপমা এবং এপিথেট (এর একটা সুন্দর বাংলা আমি জানতাম, ভুলে গিয়েছি, কেউ মনে করিয়ে দিলে উপকৃত হব) থাকলে কবিতাটি আরও রিচ হত।
ফর্ম সম্পর্কে আরও একটা ব্যাপার আমার মনে হয়, স্তবকবিন্যাসের ব্যাপারটা, আমি মনে করি আপনার কবিতাটায় আরও একটা স্তবক যোগ হলে টেকনিক্যাল রিচনেসের সাথে ইমোশনাল রিচনেসও বেড়ে যেত। যেমন, আপনার এই একটিমাত্র স্তবককে যদি বলি "এম্বাঙ্কিঙ" তাহলে দ্বিতীয় একটা স্তবক হতে পারতো "রিক্যাপিচুলেইশন", অনেকটা সনেট এর মত। ফলে, যেটা হতে পারতো- আপনার কবিতার গতিধারায় একটা বাঁক থাকতো, একটির বদলে দুটি ভাবনার খোরাক এটা যোগাতে পারতো। এটা একটি গৌন এবং ব্যক্তিগত মতামত যদিও।
আপনার কবিতার প্রসংসনীয় ব্যাপারটি হচ্ছে, প্রকৃতির নারীত্ব ভাষার পৌরুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনি, আবার এটা শেলীর ওয়েস্টউইন্ডের মত লাউডও হইয়ে যায়নি, কবিতার ফর্মটা আরও একটু জটিল হলে আমি বোধহয় একে তুলনা করে ফেলতাম কীটস্ এর নাইটিঙ্গেলের সাথে। যাই হোক, ভালো থাকবান এবং এরকম কবিতা আরও চাই।
ভাই, অসঙ্খ্য ধন্যবাদ। তোমার বিশ্লেষণ পরে আমার খুব ভাল লাগলো। অনেক অনুপ্রাণিত হলাম। যোগাযোগ রেখ। আমার মেইল ঠিকানা as.sazid@yahoo.com. বিদেশে আছি। দেশে এসে অনেক কথা আর দেখা হবে।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
সাজিদ ভাই, এক কথায় অপূর্ব! :boss: :boss:
অসাধারন একটী কবিতা। মাটির সোঁদা গন্ধ পেলাম যেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। দোয়া কোর।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।
চমৎকার কবিতা সাজিদ :clap:
উপরে অর্ণব যেভাবে এনালাইসিস করেছে ওভাবে হয়তো বুঝিনি, কিন্তু পড়ে যেতে পেরেছি একসুরে। :boss:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
ভাই, অসঙ্খ্য ধন্যবাদ।
অভিলাষী মন চন্দ্রে না পাক,
জ্যোস্নায় পাক সামান্য ঠাঁই,
কিছুটাতো চাই, কিছুটাতো চাই।