হত্যাকাণ্ডের পর

তখন কি জানতাম
আহ্লাদে দরোজা ভেজাতে গিয়ে
একটা টিকটিকি কাতরাচ্ছে
ভীষণ থেঁতলে গিয়ে?
বেচারা টিকটিকি
শরীর ভরা তার অ্যানিমিয়া নাকি?
কই, আকাশের নীল কার্পেটে
রক্তের কোন বিন্দু তো টপাটপ ওঠেনি ফুটে!
তুমিও টের পাওনি মোটে?
আহ্লাদী হরিণীর মতো
দরোজা বন্ধ করেছো ঘরে ঢুকে’
অপেক্ষা করেছো
চুম্বনের আশায় চোখ বুঁজে
কোন আর্তনাদ কানে ওঠেনি বেজে?
পরে ভালোমতো ভেবে
মনে হয় —
তোমার ঠোঁটের অমন কড়া লাল
সে কি তবে কিছু’ নয়?

আজ দরোজার চিপায় তার
চ্যাপ্টা শরীর বলে,
কেমন চুম্বন হলো
কাল দরোজা বন্ধ হলে?

৩,০৬৮ বার দেখা হয়েছে

২৫ টি মন্তব্য : “হত্যাকাণ্ডের পর”

  1. সুব্রত (৯৪-০০)

    নুপুর দা,
    আপনার এই কবিতার রহস্য উন্মোচন করা আমার মত নাদান বেরসিকের কর্ম নয়।তবে কবিতাকে যে যার এংগেলে দেখতেই বেশি ভালবাসে।তাই আমিও আমার মত করে বুঝে নিলাম।আর আমার মত বলতে কি বুঝালাম সেটা আপনি আপনার মত করে বুঝে নেন। 😉

    জবাব দিন
  2. আন্দালিব (৯৬-০২)

    নূপুর ভাই, আমি রীতিমত মুগ্ধ! প্রথমত, আমি ছন্দ-প্রকরণ ভালো বুঝি না। অন্ত্যমিল তো আসেই না আমার। তাই যাঁরা সেভাবে লিখতে পারে তাঁদের প্রতি আমার অসহায়ত্বমিশানো ঈর্ষা কাজ করে ভীষণ।
    আমি প্রথমে পড়লাম, খালি সেই ছন্দের মোহে। পরেরবার পড়লাম 'টিকটিকি'র রূপকায়ন বুঝতে। অওসাম!!!আপনার দৃষ্টিকোণ আমার দারুণ লাগতেছে!

    জবাব দিন
  3. ইফতেখার (১৯৮৪-১৯৯০)

    আরে, তু্ই তো দেখি আমাদের ব্যাচের, দু'এক জন পড়লেও '৮৪ এর কেউ লিখে তা জানতাম না। কবিতা বুঝিনি কিছুই, ছোট ছোট পুলা-পাইন দেখি ভালোই বুঝে।

    '৮৪ অল সিসি একটা গ্রুপ মেইল করা হইছে (cadets84@yahoogroups.com), মেইল দিস।

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।