উৎসর্গ: ফয়েজের সাপ-কাহিনী।
হিলহিল এঁকেবেঁকে জলের আস্তর সরিয়ে সরিয়ে একটা সাপ — নালার পাড়ে পাড়াতো শিশুদের উল্লম্ফ উল্লাস — কারো হাতে টিঙটিঙে ভাঙা ডাল, খোঁচাতে গিয়েও সম্ভ্রমে থমকে যায় বারবার। একটা ক্ষুদে দর্শক কণ্ঠ খেলিয়ে কি সুন্দর তুলে আনে সাপুড়ে বাঁশির কোমরদোলানো সুর — চকিতে বেদের মেয়ে অঞ্জু ঘোষ মনে পড়ে। সাপটি ফিরেই যাচ্ছিলো, এই সুর শুনতে পেলে আনমনা হয়ে সেও খানিক থমকায়: পরক্ষণেই তার চকরাবকরা মাজায় বাংলা সিনেমা জুড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি নাচতে লেগে যায়…….
1st
পড়লাম, বুঝছি এন্টিনা আরো বড় করতে হবে :-B :-B
:thumbup:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
সাব্বির,
বোধহয় অঞ্জু ঘোষ-ই সমস্যার কারণ।
তোমাদের জেনারেশন মনে হয়
'বেদের মেয়ে জোসনা' সিনেমাটির সংগে
পরিচিত নয়, তাই না?
ভাইয়া, পুরা তো শেষ করলেন না, নাকি শেষ হইয়াও হইলনা শেষ এর মত।
পুর্নেন্দূ পত্রীর কথোপকথন-২ সাপ নিয়ে একটা কবিতা আছে। পড়েছেন বা শুনেছেন নাকি?
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
হুম্।শেষ-ই। একটুকরো ছবি, এর বেশী কিছু না।
পূর্ণেন্দুর কবিতাটা পড়িনি তো!
পাঠাতে পারো?
ভাইয়া হারিকেন দিয়া খুজতেছি, পাচ্ছি না।
সেইরকম প্রেমের কবিতা। ৪০ বয়সের শুভঙ্কর প্রেমে পড়ছে নন্দিনীর, নন্দিনী আবার বাচ্চা মাইয়া। তুমুল প্রেমালাপ।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কিছু এলোমেলো লাইন তুলে দিচ্ছি যেখানে সাপের উল্লেখ আছে পূর্ণেন্দুর একটা কবিতায়:
খুব সুখী হবে জীবনে,
শ্বেতপাথরে পা, সোনার পালংকে গা
এগোতে সাতমহল, পেছোতে সাতমহল.....
....। তারপর রক্তের রাঙামাটি খুঁড়ে খুঁড়ে একটা সাপ
...... দাঁতে মুক্তোদানার মতো বিষ....
বিয়েবাড়ির ব্যাকুল নহবত তার হাসি...
"সেই সাপটা বুঝি তুমি?"
"না, বাসরঘরে ঢোকার সময়
যাকে ফেলে এসেছিলে
পোড়া ধূপের পাশে"......
তুমি কি এটার কথাই বলছিলে?
ঠিক ঠিক, এইটাই, শিমুল মোস্তফা আর শিরিন বকুল কি আবৃত্তিটাই না করল। পুরাই প্রেমে পড়ে গেলাম।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
কি সুন্দর করে মাত্র একটা প্যারাতে অনুভূতিগুলো প্রকাশ করলেন। :boss:
ছোটগল্পের ভূমিকা মত মনে হচ্ছে। আশা করি, গল্পটাও দারুন হবে।
There is no royal road to science, and only those who do not dread the fatiguing climb of its steep paths have a chance of gaining its luminous summits.- Karl Marx
না রে ভাই,
আর তো গল্প নাই।
একদিন অফিস যাবার পথে
এই ছবিটা দেখে পরে তুলে রাখা.....
ভাল্লাগলো।
ভাই,
সুন্দর শুরু...
আরো চাই আপনার এইরকম লেখা...
এই জাতীয় লেখা আমার মন ছুঁইয়ে দিয়ে যায়...
আরো চাই...আরো...
শুরু দিয়েই শেষ!
😛
এরকম কিছু লেখালেখির এক্সারসাইজ,
একটি দৃশ্য বা ঘটনা দেখে তাকে
বিবৃত করা, আসলে অন্য লেখার জন্যে
প্রস্তুতির একটা অংশ।
দু-তিনটে মুহুর্তকে ধরে নেয়ার চেষ্টা করেছি মাত্র।
এর বেশী কিছু না।
চমৎকার আর অদ্ভুত ধরণের সুন্দর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সামিয়া।
অতি চমৎকার। :clap: :clap: "চক্রাবক্রা" কি সাপ ছিল সেটা? 🙂
কী সাপ ছিলো চিনতে পারিনি তখন।
😀
নুপুর ভাই
দৃশ্যটি আপনা আপনি ফুটে উঠল চোখের সামনে। সুন্দর লাগলো।
------------------------------------------------------------------
কামলা খেটে যাই
ধন্যবাদ হোসেন।
আমার একটু শংকা ছিলো কি জানি লেখাটা কেমন লাগবে তোমাদের।
পাঠকের ভালোলাগা আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করে।
:boss: :boss: