সিঁড়ি

সিঁড়ি

আমরা সিঁড়ি তৈরী করি
উন্নয়নের কথা ভেবে
তাদের কিছু জড়
আর কিছু জীবিত।

জীবিত সিঁড়িদের কিছু
সুবিধা দিতে সদা প্রস্তুত
তাদেরি উপর দিয়ে
আমরা উঠে যাই উপরে
এ ভাবে যদি পেয়ে যাই
সৌভাগ্যের লিফট
অবহেলা আর উপেক্ষার
অন্ধকার আবর্জনায়
পড়ে থাকে সেই সিঁড়ি!

কখনো পিছু ফিরে দেখিনা
কিন্তু দুর্যোগ দুর্বিপাকে
ইমার্জেন্সি এক্সিটে
অকৃতজ্ঞের মত
বেরিয়ে আসি
তাদের বুক মাড়িয়ে!

বিস্তারিত»

আকবরনামা

নামটি শুনে কাঁপত সবাই
বিশ্বে যত দেশ
এখন আমি শুয়ে আছি
চোখটি বুজে বেশ!!

হীরা দিয়ে তৈরী হল
আমার ঘুমের ঘর
সেই ঘরেতে ঘুণ ধরেছে
হীরার তলে চর!!

দ্বীন এলাহির মালিক আমি
মানতো সবাই ডরে
উথাল-পাথাল লাগিয়ে দিতাম
সব প্রজাদের তরে!!

মুখের উপর চলত শাসন
অমান্যতে মরণ
তবু আমায় সব লোকেতে
করত নেচে বরণ!!

বিস্তারিত»

লক্ষন বিত্তান্ত

ভাল্লাগে না মনের দশা
তেতো আমি ঝগড়াটে
ঘেন্না করি নিজের পা
ঘেন্না করি নিজ হাতে
আনচান করে না মন
জমিন কোথায় মনোহর
ভয় জাগায় পৌনঃপুনিক
আলো আনা নিত্য ভোর

রাতের ঘুম ঘেন্না লাগে
বিগাড় লাগে সরল লোক
শোনাও কেন তোমরা সবে
খ্যাত ফালতু ভদ্র জোক
লিখতে কিছু ভাল্লাগে না
শান্তি না পাই আঁকতে
ভূড়িয়াল চতুর্দিকে
পারি নাকো সইতে

হতাশ আমি বুকটা খালি
হলাম বুঝি গ্রেফতার
অসুস্থ নই,

বিস্তারিত»

সমব্যথী

যারা কারো কথা ভেবে নীরবে এখানে ওখানে
দু’এক ফোঁটা অশ্রু ফেলে গোপনে গোপনে,
আবার চকিতে চোখ মুছে মুখে ম্লান হাসি হাসে,
আমি তাদের ব্যথার ভাষাটা বুঝি।

যে নারী রসুইঘরে পঞ্চব্যঞ্জন রাঁধতে রাঁধতে
প্রবাসী সন্তান কিংবা অন্য কারো কথা ভেবে,
দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে আবার রান্নায় মনোযোগী হন,
আমি তার দীর্ঘশ্বাসের কারণটার কথা জানি।

যে কিশোরী রাফ খাতায় অঙ্ক কষতে কষতে
হঠাৎ একটি মুখ এঁকে ফেলে,

বিস্তারিত»

প্রচন্ড শরৎ

একেবারে গোবেচারা ছেলেটা
একেবারে হতশ্রী-
করুণা যতটা আশা সামাজিকভাবে প্রয়োজন,
ততটাও আসবেনা আপনার!

তবে, ওর চোখ দেখলে…
একদম দুরন্ত মহাসাগরের মত
সহস্র একাদশীর চাঁদেও
চাঁদের বুকে পৌছুতে না পারার বেদনার মত চোখ
আর অল্প, আর অল্প একটু আকর্ষণেই
যে সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে
উন্মাতাল ক্রোধে গ্রহত্যাগ করবে…

অমন দুরন্ত চোখের ছেলেদের
বেছে বুঝে আকর্ষণে জড়াতে হয়,

বিস্তারিত»

এলোরে বৈশাখ এলোরে!

এলোরে বৈশাখ এলোরে!

বছর ঘুরে বৈশাখ আসে
নতুন বছর নিয়ে,
নতুন আলোয় পথ দেখিয়ে
সামনে এগিয়ে যেতে।
     এলো এলো এলো রে ভাই
     বৈশাখ আবার এলো রে।।

পুরাতনের ভুল ভ্রান্তি
দারুণ মুছে ফেলে,
হাটতে হবে সবুজ পথে
সামনের পথ ধরে।
     এলো এলো এলো রে ভাই
     বৈশাখ আবার এলো রে।।

হতাশা আর কষ্টগুলো
আর দেবে না বেদনা,

বিস্তারিত»

তখন এই ভালো….

তুমি একটা কিছু বললেই,
আমি চুম্বকের মত আকর্ষিত হই,
অভিভূত হই, আলোড়িত হই।
তোমার অদেখা মুখটা খুঁজতে থাকি,
চোখ দুটো খুঁজি, চোখের তারা খুঁজি।
আমার কান দুটো অতন্দ্র প্রহরীর মত
জেগে থাকে, বৃষ্টির শব্দ শোনার মত
তোমার সুরেলা কন্ঠ শোনার জন্য।

কিন্তু এসব কোন কিছুই যখন হবার নয়,
এ দু’চোখ তোমাকে
খুঁজে পাবে না,

বিস্তারিত»

কয়েকটি সাম্প্রতিক কবিতা

কেন ভালোবাসি,কেন নিভে যাই,
কেন ফিরে আসি,শুধু ক্ষতি বাড়াই।

তুমি তো জানো, কেন এ ক্রন্দন,
তুমি তো জানো প্রেম কেন হয়ে যায় ক্লিশে।
আমাদের অনুযোগ
প্রাত্যহিক মিলনে যায় মিশে।

আর যা মেশে না, আর যা অমিল হয়ে রয়,
কিছু তা তোমার মতো,
সত্য কিন্তু অবধারিত নয়।


আত্মবিনাশের পথ পেলে অবশেষে,
ক্ষতি নেই,

বিস্তারিত»

একটি নিঁখুত গোলাপ

একটি নিঁখুত গোলাপ

আমায় পাঠিয়েছে সে
নিঁখুত একটি গোলাপ
তরতাজা একদম
পছন্দের বার্তাবাহক
হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায়
পরিশুদ্ধ সুগন্ধি শিশির
ভেজা নিটোল গোলাপ।

আমি জানি সেই ফুলের ভাষা
“আমার ভঙ্গুর পাতা জানে হায়
এ খামে ভরা তার হৃদয় ”
বলে সে নিটোল গোলাপ।

বুঝিনি কেন, কেউ কখনো
পাঠালো না নিঁখুত লিমুজিন?

বিস্তারিত»

একলা একায়

একলা একায়—-

ডাহুক ডাকে দূরের বনে
ময়ুর নাচে মনে,
একলা পাখী অভিমানে
দারুণ বরিষনে।।

কোকিল ডাকে গহীন রাতে
দূরের বনবাসে,
দুইটা মানুষ অভিসারে
অনেক আশেপাশে।।

ঝি ঝি ডাকে সমস্বরে
নিরেট অন্ধকারে,
একলা আমি কাব্য সাজাই
সুরের বাহুডোরে।।

©️ বাপ্পী খান

বিস্তারিত»

কি এমন???

কি এমন???

কি এমন কথা ছিলো
বলে গেলে না?
কি এমন গান ছিল
শোনা হলো না?

কি এমন দোষ ছিল
ক্ষমা হলো না?
কি এমন রাগ ছিল
ভুলে গেলে না?

কি এমন পাপ ছিল
মোছা গেলো না?
কি এমন ক্ষোভ ছিল
সহা গেলো না?

কি এমন প্রেম ছিল
কাছে এলে না?

বিস্তারিত»

আমার কাছে কোনটা কেমন?

আমার কাছে কোনটা কেমন?

তোমার কাছে মেঘটা কেমন?
আমার কাছে তৃষ্ণার মতন।
তোমার কাছে বৃষ্টি কেমন?
আমার কাছে সুরের মতন।
তোমার কাছে পাহাড় কেমন?
আমার কাছে বাউল লালন।
তোমার কাছে ঝিনুক কেমন?
আমার কাছে প্রেমের মতন।
তোমার কাছে কুয়াশা কেমন?
আমার কাছে ছন্দ পতন।
তোমার কাছে জোনাকী কেমন?
আমার কাছে অরূপ রতন।

বিস্তারিত»

কাক

কী এক হতভাগা পাখি

রাজ্যের যত ময়লা
খেয়ে করে পরিস্কার

তারই বাসায় চুরি করে
কোকিল ডিম পাড়ে

ডাকাতি করে ভালোবাসা

অথচ চোর দুর্নামটি
গেল না কোনমতে

কবে না কি নিয়েছিল
ময়ূরের পুচ্ছদেশ

কিংবা কারো সস্তা
রঙিন কাঁচের চুড়ি!

দেখো হে ভেবে
আর কবার

গল্পটা এবার
পাল্টানো দরকার…

বিস্তারিত»

ধোঁয়ার পলিটিক্সকে

সিগারেট পুরুষালী, তুই কে হে অসভ্য মেয়ে
নিকোটিন কেন? র‍্যাটম খা, সিরিঞ্জে বিষ নে,
তোর স্বাধীনতা দেখে নষ্ট হয় পাড়ার মেয়েরা
তোর ধূমপানে জল আসে পুরুষের শিশ্নে!

অবশ্য বিড়ি কৃষকের, নিচু শ্রেণী, তামাকেও চলে-
গ্রাম্য মেয়ে হতি, কালো দাঁত পুঁড়ে যাওয়া জর্দাতে
তাতেও আপত্তি নেই, তবু সিগারেট কেন? তাও রাস্তায়?
সমাজ নষ্ট হয়,

বিস্তারিত»