একটি নিঁখুত গোলাপ

একটি নিঁখুত গোলাপ

আমায় পাঠিয়েছে সে
নিঁখুত একটি গোলাপ
তরতাজা একদম
পছন্দের বার্তাবাহক
হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসায়
পরিশুদ্ধ সুগন্ধি শিশির
ভেজা নিটোল গোলাপ।

আমি জানি সেই ফুলের ভাষা
“আমার ভঙ্গুর পাতা জানে হায়
এ খামে ভরা তার হৃদয় ”
বলে সে নিটোল গোলাপ।

বুঝিনি কেন, কেউ কখনো
পাঠালো না নিঁখুত লিমুজিন?

বিস্তারিত»

একলা একায়

একলা একায়—-

ডাহুক ডাকে দূরের বনে
ময়ুর নাচে মনে,
একলা পাখী অভিমানে
দারুণ বরিষনে।।

কোকিল ডাকে গহীন রাতে
দূরের বনবাসে,
দুইটা মানুষ অভিসারে
অনেক আশেপাশে।।

ঝি ঝি ডাকে সমস্বরে
নিরেট অন্ধকারে,
একলা আমি কাব্য সাজাই
সুরের বাহুডোরে।।

©️ বাপ্পী খান

বিস্তারিত»

কি এমন???

কি এমন???

কি এমন কথা ছিলো
বলে গেলে না?
কি এমন গান ছিল
শোনা হলো না?

কি এমন দোষ ছিল
ক্ষমা হলো না?
কি এমন রাগ ছিল
ভুলে গেলে না?

কি এমন পাপ ছিল
মোছা গেলো না?
কি এমন ক্ষোভ ছিল
সহা গেলো না?

কি এমন প্রেম ছিল
কাছে এলে না?

বিস্তারিত»

আমার কাছে কোনটা কেমন?

আমার কাছে কোনটা কেমন?

তোমার কাছে মেঘটা কেমন?
আমার কাছে তৃষ্ণার মতন।
তোমার কাছে বৃষ্টি কেমন?
আমার কাছে সুরের মতন।
তোমার কাছে পাহাড় কেমন?
আমার কাছে বাউল লালন।
তোমার কাছে ঝিনুক কেমন?
আমার কাছে প্রেমের মতন।
তোমার কাছে কুয়াশা কেমন?
আমার কাছে ছন্দ পতন।
তোমার কাছে জোনাকী কেমন?
আমার কাছে অরূপ রতন।

বিস্তারিত»

কাক

কী এক হতভাগা পাখি

রাজ্যের যত ময়লা
খেয়ে করে পরিস্কার

তারই বাসায় চুরি করে
কোকিল ডিম পাড়ে

ডাকাতি করে ভালোবাসা

অথচ চোর দুর্নামটি
গেল না কোনমতে

কবে না কি নিয়েছিল
ময়ূরের পুচ্ছদেশ

কিংবা কারো সস্তা
রঙিন কাঁচের চুড়ি!

দেখো হে ভেবে
আর কবার

গল্পটা এবার
পাল্টানো দরকার…

বিস্তারিত»

ধোঁয়ার পলিটিক্সকে

সিগারেট পুরুষালী, তুই কে হে অসভ্য মেয়ে
নিকোটিন কেন? র‍্যাটম খা, সিরিঞ্জে বিষ নে,
তোর স্বাধীনতা দেখে নষ্ট হয় পাড়ার মেয়েরা
তোর ধূমপানে জল আসে পুরুষের শিশ্নে!

অবশ্য বিড়ি কৃষকের, নিচু শ্রেণী, তামাকেও চলে-
গ্রাম্য মেয়ে হতি, কালো দাঁত পুঁড়ে যাওয়া জর্দাতে
তাতেও আপত্তি নেই, তবু সিগারেট কেন? তাও রাস্তায়?
সমাজ নষ্ট হয়,

বিস্তারিত»

হ্রস্ব জীবন, দীর্ঘ প্রতিবিম্ব

ঝুলে থাকে সে ঝুলে থাকা একটি পাতায়,
কিংবা কখনো নিশ্চুপ বসে থাকে
কোন সবুজ ঘাসের উঁচু করে থাকা মাথায়।
কখনো শিশির বিন্দু হয়ে, ধানের শীষে…
নয়তো জলে ভাসমান কোন পদ্মপাতায়,
কিংবা হিল্লোলিত কোন পুষ্পকোরকে।

যেখানেই সে থাক, যেভাবেই থাক,
তার স্মৃতি রয়ে যায় এক মুগ্ধ কবির নয়নে।
মৃদুমন্দ বাতাসে আন্দোলিত হতে হতে,
একটা সময় সে টুপ করে ঝরে পড়ে,

বিস্তারিত»

অকবিদের কবিতা

অকবিদের কবিতা-
হয়তো সবই যাচ্ছে তা,
উর্বর বাংলার জনসংখ্যার মত
অগণিত…
অসহায়…
জন্মায় আগাছার মত।

তবুও আশায় থাকি-
একদিন আগাছার মধ্য থেকেই
সবার অলক্ষ্যেই-
কেউ কেউ উচ্চশির হবে,
মহীরুহ হয়ে দাঁড়িয়ে রবে,
গাছ আগাছার মাঝে, সগৌরবে!!!

অকবি’র কথাঃ একথা অনস্বীকার্য, সিসিবি’তে যারা কবিতা লিখেছেন এবং এখনও লিখছেন, তাদের সবার কবিতার মান (আমার নিজেরগুলো মতই) উচ্চ নয়।

বিস্তারিত»

দুটি কবিতা

~সুরঞ্জনা~

হেমন্তের নক্ষত্রখচিত রাত
সুরঞ্জনা চলে গেছে
রাখেনি কবির অনুরোধ
পিছু ফিরে দেখেনি
লক্ষ্মী পেঁচা ঝরা পালক
কুয়াশায় ভেজা জোনাকির আলো
ধূসর পান্ডুলিপি জীবনের আনন্দ

©টিটো মোস্তাফিজ
২২ অক্টোবর ২০২০
রাজশাহী

♦♦♦

~বরিষণ দিনে~

পথের ধারে জলাধারে
টুপ করে দেয় ডুব
কই টিপি ছানা
খলশে শোলের পোনা
জলে ছাড়া বুদবুদ
নিমিষেই যায় মিশে
টোকা দেয় আবেশে
কাগজের নৌকায়
সযতনে এঁকে রাখা
বর্ষার স্মৃতির খাতায়

©টিটো মোস্তাফিজ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
নাটোর

বিস্তারিত»

নারী ও প্রকৃতি

নারী ও প্রকৃতি

নারী ও প্রকৃতি
একে অপরের প্রতিকৃতি,
শোভায়, স্বভাবে, মননে, মেজাজে
দেখি তাদের আমি একই সাযুজ্যে।

তারা উভয়ে প্রাণের ধারক ও বাহক,
ঝড় ঝঞ্ঝায়, ক্ষুধায় প্রতিপালক।
গর্ভে, ক্রোড়ে, বক্ষে, আঁচলে রেখে
লালন করে নবজাতককে সস্নেহে।

সকল সৌন্দর্যের উৎস প্রকৃতিমাতা
নারী তার থেকে আহরণ করে স্নিগ্ধতা।
ঋতুতে ঋতুতে প্রকৃতি যে রূপ বদলায়,

বিস্তারিত»

পরাণ

পরাণ
মো ও খা ও।

হারিয়ে গেলে কোথায় বল তাহার দেখা পাই
বুকের মাঝে বসত করে চোখের সমুখ নাই,
বীনা তারে সুরের সাধন কোন সে পাখি গায়
থামলে বাদন শুন্য আসর গায়েন কোথা যায়।

আখির পলক মনের ঝলক ভাবনা মনে যত
পাপড়ি দোলায় সুখের মেলায় সপ্ন অবিরত,
টানলে রশি বাশের বাঁশি গাইবে না আর গান
থামবে গাড়ী অচিন বাড়ী চড়বে কাধে যান ।

বিস্তারিত»

করো না এমন করোনা।

ক‌রোনা এমন ক‌রোনা
‌মো ও খা ও।

এমন ক‌রে কি বে‌চে থাকা যায়
একা একা ঘ‌রে,
তোর সা‌থে হ‌বে না দেখা এখন
‌কি হ‌বে প‌রে?
‌চো‌খের আকাশে সু‌খের সাতরঙ
কত কথা ব‌লে,
যত খুনসু‌টি ব‌ন্দি বু‌কের মা‌ঝে
‌‌ঢে‌কে‌ কি রাখা চ‌লে?

নদী‌তো বই‌ছে এখ‌নো ছ‌ন্দে ছ‌ন্দে
আকাশে উঠে‌ছে চাদ,
ক‌ন্ঠে না মি‌লি‌লে সুরে সু‌রে গান
‌মি‌টি‌বে কি সুখ সাধ।

বিস্তারিত»

ডরোথি পার্কার এর তিনটি কবিতা

পরাজয়

আমার যদি চকচকে বন্দুক থাকতো
তাহলে এক পৃথিবী মজা নিতে পারতাম
বুলেট ছুটিয়ে তাদের মাথার ভিতর
যারা কি না আমাকে কষ্ট দেয়!

কিংবা আমার যদি বিষাক্ত গ্যাস থাকতো
সময়গুলো কাটিয়ে দিতে পারতাম
যাদের ভালোবাসি না তাদের সাবাড় করে!

কিন্তু আমার কোনো মারাত্মক অস্ত্র নেই
তাই নিয়তি মাড়িয়ে যায় আনন্দের ক্ষণ
তাই তারা আজও ছোটে মহা আনন্দে
নরকবাস যাদের একচ্ছত্র অধিকার!

বিস্তারিত»

বাবার আবদার

ব্যস্ত থাকি অফিস কাজে

সন্ধ্যা নাগাদ ঘর,

এই রুটিনে চলছে-ত বেশ

জীবন নিরন্তর।

 

বাবুর স্কুলের পড়ার বোঝা

রোজকার হোমওয়ার্ক–

বন্ধু বান্ধব মিলে চলি

সামলাই নেটওয়ার্ক।

 

মা’র ঔষধ, বাবার খরচ

মাস শেষে দেই পাঠিয়ে,

চিঠি ও লেখা হয়নাত আর

সংসার নেই গুছিয়ে।

বিস্তারিত»

কোভিডের দিনগুলি

কোভিডের দিনগুলি
============

এখানে থাকার কথা ছিলো একটি ফড়িং-এর
কথা ছিল পানকৌড়ির একটি স্থিরচিত্রের-
যা আমরা দেখেছিলাম কালনীর কুয়াশায়।

এখানে থাকার কথা ছিলো নিদেনপক্ষে একটি শিশুর
কথা ছিলো এক যুগলের ভুল সময়ে মিলনের-
বাণিজ্যমেলায় যাদের সাক্ষাত হয়েছিলো।

এখানে থাকার কথা ছিলো একটি হলুদ বিকালের
কথা ছিলো সাহেব পার্কে একটি আত্মহত্যার-
যেটার কারণ ছিলো একটি শূন্য নীল খাম!

বিস্তারিত»