আমি সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখের কথা বলি
দুপুরের মেঘে ভেজা ফসলের মাঠ
ঘাস ও ঘাসফুলে মৃদু চারুপাঠ
বাতাসের কথা বলি
আকাশের কাছে প্রার্থনার ভঙ্গিতে মাথা নিচু করা
বটবৃক্ষের নাম লিখে কেটে ফেলি বারবার
লজ্জাবনতা ডেওয়ার গাছ মুখ নিচু করে জলের গায়ে
নিজেকে দেখে
আমি তার ও তার স্তনরূপ ফলের স্তাবক করি
মানীকে হীন করি না,হীনকে জানাই না সংবর্ধনা
গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে জেগে উঠোনে হাটি
বিড়বিড় করে পাঠ করে নেই বিপুল আঁধার
আঁধার কাব্য
জোৎস্না আমাকে কটাক্ষ করে,মুখ ঘুরিয়ে নেয়
আমি হাসি,হা-হা,কোন মঞ্চে যেন জোকস শুনেছি
ডাইনী আমাকে মারতে আসলে চোখ টিপে দেই
সে তো হতবাক
আমি কারুকে আঘাত করি না,এর মানে নয় আমি ভালো লোক
এ হলো আমার দুর্বলতা
তবে ঠিক ঠিক মানুষের মতো রাগ জমে আমার
সাগরের কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমা চাইবার ইচ্ছে আছে
কতদিন আমি সাগরের খুব কাছে যাই নি
হাসিতেও বেদনা ছড়ানো যায় একথা আমি আগে শুনি নি
সম্প্রতি জেনে আয়নার সামনে দাড়াতেই কেমন কান্না পেলো
আমার কোন কবিতায় আমি ব্যাক্তিগত দুঃখ লিখি না
এমন একটি কবিতাও নেই সুখের দিনে কাঁদতে পারি
আমি ব্যর্থতম কবি!
তবু আমি গান লিখি সমৃদ্ধির,উজ্জ্বল স্বপ্ন্বের
আমি সবুজ বন ও লাল কৃষ্ণচূড়ার কথা বলি
আমি গেরস্থ চড়ুই ও তার তৃপ্তির কথা বলি
তাতে যদি আর কিছু ভালো থাকা যায়!
৫ টি মন্তব্য : “সুনীল সুখ ও রূপোলী দুঃখ”
মন্তব্য করুন
বরাবরের মতোই ভালো লাগলো। তোমার কবিতায় শব্দচয়ন, প্রকাশ ভঙ্গিমায় খুব পরিচিত কোন কবির আদলের একটা ছাপ পাই, অন্তত এ কবিতাটা পড়ে খুব জোর দিয়ে ব্যাপারটা অনুভব করছি। ভুলও হতে পারে।
নিচের বানানগুলো শুধরে দিওঃ
জোৎস্না => জ্যোৎস্না
ব্যাক্তিগত => ব্যক্তিগত
আমি তবু বলি:
এখনো যে কটা দিন বেঁচে আছি সূর্যে সূর্যে চলি ..
হতে পারে ...আমার নিজস্ব ভাষা মনে হয় এখনো গড়ে উঠে নি...আবুল হাসান...কিংবা আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ?এদের কারুর?
People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.
ভাষায় তোমার দখল বাড়ছে। খুব আশার কথা।
চালিয়ে যাও। :clap:
তোমার এই লেখাটি ফিরে ফিরে পড়ছি।
একেক সময় একেক লাইন ভালো লাগছে...
:clap: তোর কবিতা পরা শেষ হলে একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়। এটাও তার ব্যাতিক্রম না।