আয় না সখী,
অপলক পেট পেতে দি’
ভেবে আর লাভ হবে কি।
বরফের শয্যা পাতা
জালে পড়ার দিনটি থেকে’
আমাদের রক্ত দেখে
কারুর আর
বুক কাঁপে কি
বরফের মন গলে কি!
শ ওয়াটের দেঁতোহাসির
মাছব্যাপারী হাঁকছে দ্যাখ্
হেঁ হেঁ আসুন স্যার
মাননীয় ধর্মাবতার
রূপোলী পেটের বাহার
পাবেননা এমনটি আর
বাজারের অন্যকোণে।
যেনোবা আপনমনে’
ভাবছিলো তার বিবির কথা
হিসহিসিয়ে বলেছে সে
গায়গতরে হাত বুলিয়ে :
এবার ভালোবেসে
আলতো সুইট হেসে
বাবুটির দম লুটে নে
কিছুতে লেট করিসনে
নিয়ে যাও ফূর্তি লোটো
আঁশ ছাড়াও বাছো কোটো
তেলে ভাজো মশলা মেখে
জিভের ডগায় আলতো চেখে
মচমচিয়ে মুণ্ডুখানা
দাঁতের নীচে পিষে দিও
আধবুড়ো হে রোমিও
কেবল টুকরো
হতে হতে যখন
প্রতিদিন রক্তক্ষরণ
ডুবসাঁতারের অতীত
কাঁদে
বরফ-চোখে
ফেলে আসা পুকুর
কাঁদে
জালে পড়ার দিনটি কেমন
ফিসফিসিয়ে রৌদ্র আনে
এছাড়া কি আছে বলো
লিপিস্টিকের হাসির মানে…..
ফিনিশিং-এ এসে কিছুটা নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হই। :hatsoff:
নস্টালজিয়ার নষ্ট লজিক কেন হঠাৎ?
বহুত দিন আগে সিসিবিতে একখান পোস্ট দিছিলাম, "ঘাই" 🙂 মারাত্মক গল্প একখান 😀
যাউজ্ঞা, আপনি নিজেকে বদলাচ্ছেন মনে হচ্ছে, আমার কাছে পুরোনোটাই ভালো লাগছিল।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তোমার গল্পটা এখুনি পড়লাম।ফাটাফাটি লিখেছো। :boss:
ওটা পড়ে ফেললে আর এটা লিখতে পারতামনা।
নিজেকে পাল্টাচ্ছিনা আসলে।অন্তত সচেতনভাবে। একেকটা ভাবনা একেক ভাবে আসে।
খুব বেশি কিছু আর করার থাকেনা নিজের।
মাছেরা যদি জানতে পারলো আপনি ওদের নিয়ে দারুন একটা কবিতা লিখেছেন...
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
মাছেরই গল্প, আবার শুধুই মাছেদেরো নয় কিন্তু।
কিছু একটা বুঝতে পারতেছি মনে হয় 😀
ঠিকই বুঝছো তাইলে।
চুম্বক আছে কবিতাটাতি, টানে।
আপনার মন্তব্যে ধন্য হয়ে গেলাম আলীম ভাই।
হাওয়ায় ভাসছি...
নূপুরদা, অসাধারণ!! খুবই সুন্দর হইছে...
অশেষ ধন্যবাদ সামিয়া।
কী অদ্ভুত কবিতা লিখলেন নূপুরদা।
শেষে এমন 'সাডেন এন্ড সারপ্রাইজিং কন্সেপচুয়াল শিফট'।
অদ্ভুত সুন্দর ।
আপনার কবিতার প্রথম বাক্য থেকেই পাঠকের ভেতর যে আশা তৈরী হয়, তা যেকোনো ভাবেই হোক না কেনো- হতাশায় পরিনত হয়না ; এখানেই বোধহয় জিতে যান আপনি। :just: :gulli2: