(কলেজ থেকে চলে আসার কয়েকদিন আগে এই কবিতাটা লেখা। আমাদের ফেয়ারওয়েল উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের নামেই কবিতার নামটা দেয়া।)
উদাসী বাতাসে আসর ভাঙ্গার গুঞ্জন শুনি
আজকাল। স্মৃতির ডাকপিয়ন হঠাৎ হঠাৎ
কড়া নাড়ে। লুকোচুরি চলে তার সাথে।
গল্পচ্ছলে বলে কিনা-
আমার নাকি রাধাচূড়া-রক্তকায়ার স্তুপ মাড়িয়ে
আর কোনদিন হাঁটা হবে না-
ভোরবেলা কংক্রিটে চিৎ হয়ে শুয়ে জলরঙা সেই আকাশ,
ছুটির সন্ধ্যায় মাঝমাঠে বুক খোলা শার্ট গায়ে
তারা গোণা………… কত টুকরো গল্প!
জোনাকির মিছিলের মত সব কোথায় যেন পালায়।
বহুদিন পরও মনে পড়বে
দক্ষ তস্করের ভুমিকায় গাঢ় আঁধারে ‘আকাশ ভ্রমণ’
কিংবা আম্রহননের সাতকাহন!
বিজলী ডাকা ঝড়ে তোমাদের বাড়িয়ে
দেয়া বন্ধুত্বের ঊষ্ণ হাত ও
কুন্তলিনীর লাজুক চাহনি।
কত কথা লাট খাওয়া ঘুড়ির মত পাক
খায় স্মৃতির জানালায়-
সব কি আর বলা যায়?
দল বেঁধে স্নানকালে ‘গানভাঙা কর্মসূচি’-
ক্লান্ত দুপুরে খেলার পাতা নিয়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ!
শুনবে নাকি আরও? বাতি নিভিয়ে
সারারাত শোনাব আর তোমার
অগোচরে চোখ মুছব, স্পন্দিতা।
ক্লান্তিহীন কথকের মত খুলে দেব সোনার
খাঁচার বন্ধ দুয়ারগুলি,
বিষণ্ণ করবে কৈশোরের ফেলে
আসা অতীত।
তখন-
সুনসান অতীতের রাস্তায় নিশিতে পাওয়া
আমি- রাতপিয়াসী পথিক এক।
খুঁজে চলে যে নিরন্তর
প্রথম যাত্রার পল, অনুপল ।।
সেই সব দিন...কবিতা চমৎকার হয়েছে...
ভালো লিখসো কৌশিক... :clap: :clap: :clap:
এখন কি কবিতা লেখা বাদ দিসো নাকি? রিসেন্ট লেখাও দিও দুই একটা...
আলোর দিকে তাকাও, ভোগ করো এর রূপ। চক্ষু বোজো এবং আবার দ্যাখো। প্রথমেই তুমি যা দেখেছিলে তা আর নেই,এর পর তুমি যা দেখবে, তা এখনও হয়ে ওঠেনি।
@ সিদ্দিক ভাইয়া... ধন্যবাদ...।
@নাফিজ ভাইয়া.. প্রথম ব্লগ কবিতা দিয়েই শুরু করলাম। কলেজে যেভাবে লিখতাম ওইরকম আর লেখা হয় না।
শিরোনাম থেকে শেষ পর্যন্ত কবিতা ভাল লেগেছে। কিছুটা নস্টালজিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছি।
ভাল লাগা কিছু চরণঃ
খোদ শিরোনাম---
আমার নাকি রাধাচূড়া-রক্তকায়ার স্তুপ মাড়িয়ে
আর কোনদিন হাঁটা হবে না-
ভোরবেলা কংক্রিটে চিৎ হয়ে শুয়ে জলরঙা সেই আকাশ,
ছুটির সন্ধ্যায় মাঝমাঠে বুক খোলা শার্ট গায়ে
তারা গোণা………… কত টুকরো গল্প! ---
তখন-
সুনসান অতীতের রাস্তায় নিশিতে পাওয়া
আমি- রাতপিয়াসী পথিক এক।
খুঁজে চলে যে নিরন্তর
প্রথম যাত্রার পল, অনুপল ।।