কোবায়াশি ইশার সাতটি হাইকু
এক
শীতল হাওয়া
সব শক্তি দিয়ে ডাকে
ঝিঁঝিঁপোকা
দুই
ঠাণ্ডা বাতাস
পেঁচিয়ে মোচড় দিয়ে
এখানে এলো
তিন
গরমে পর্বতমালা
আমার প্রত্যেকটি ধাপে
আরো দেখতে পাই
চার
চড়ুইপাখির ছানা
পথ ছাড়ো পথ ছাড়ো
ঘোড়া পার হচ্ছে
পাঁচ
গরুর বাছুরটি
গিয়েছে বেড়াতে
শরতের বৃষ্টি
ছয়
সেপ্টেম্বর মাস
ডোরাকাটা কিমোনো
পরেছে আকাশ
সাত
লোভ জাগানিয়া
ধীরে ধীরে তুলতুলে
তুষার পড়ছে
ইয়োশা বুসনের সাতটি হাইকু
এক
হারুসামে ইয়া
মোনোগাতারি য়ুকু
মিনো তো কাসা
বসন্তের বৃষ্টি
কথা বলতে বলতে
চলে যাচ্ছে
দুই
য়ুকু হারু ইয়া
ওমোতাকি বিওয়া নো
দাকি গোকোরো
বসন্তের গমন
চৌতারা বাদ্যযন্ত্র
ধারণের অনুভুতি
তিন
না নো হানা ইয়া
সুকি হা হিগাসি নি
হি ওয়া নিশি নি
ক্যানোলা ফুল
পুব দিকে চাঁদ
পশ্চিমে সূর্য
চার
বোতান চিরিতে
উচি কাসানারিনু
নি সান হেন
বিক্ষিপ্ত পিওনি ফুল
আর জড়ো করে রাখা
কয়েকটি পাঁপড়ি
পাঁচ
ওনো ইরে তে
কো ওডোরোকু ইয়া
ফুয়ু কোদাচি
কুড়াল মেরে
আমি অবাক গন্ধে
শীতের বৃক্ষরাজি
ছয়
ফুজি হিতোতসু
উজুমি নোকোসিতে
ওয়াকাবা কানা
ফুজিয়ামা ব্যতীত
সব কিছু ডুবে গেছে
কচি কচি পাতায়
সাত
য়ুদাচি ইয়া
কুসুবা ও সুকামু
মুরা সুজুমে
বিকালের বৃষ্টি
ঘাস ধরবে না পাতা
গ্রামের চড়ুইপাখি
♦মাতসুয়ো বাসো, কোবায়াশি ইশা এবং ইয়োশা বুসন এদো যুগের তিন জন বিখ্যাত হাইকু গুরু। মাতসুয়ো বাসোর হাইকু পরবর্তীতে পোস্ট করা হবে। সিসিবিতে ডবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করলাম। ধন্যবাদ 🙂
©মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান টিটো