মায়ের খুব কাছাকাছি
ওবায়েদুল্লাহমাটির উপর শুয়ে কান পেতে আছি,
সোদা গন্ধ নাকে পিঠে শিতল পরশ
মায়ের খুব কাছাকাছি।
মা মাগো তুই কেমন আছিস ?তুই শুয়ে ঘরে আমি যে দাড়িয়ে বাইরে
চলে গেলি মাগো সত্যি আমাকে ছেড়ে,
দেখবো না তোকে কোন দিন বাড়ি ফিরে
এও কি হয় মা বল, বাড়ি যাবো কি করে?ঝাড়ের বাশ সব নুয়ে নিশ্চুপ কদম হিজল
হলুদের খেত আঙিনিা জুড়ে স্তব্ধ বিহব্বল,
নিমের গাছটা নেই শুকনো কুয়োর পাড়
আধা শতাব্দী সহচর বন্ধ মাটির দুই ঘর ।দেহে প্রাণ নেই নেই তোর ঘরে জানালা দুয়ার
এক বট ছায়াতল কেটেছে পিতৃহীন ত্রিশ বছর,
মাটির ‘পর চিৎ হয়ে শুয়ে খুজি তারার আকাশ
কোনটা বল মা তুই, জলে দৃষ্টিহীন বন্ধ নিশ্বাস।মাটির কোলে বসে চোখ মেলে আছি,
মৃদুমন্দ মলয় আদরে কোমল পরশ
মায়ের খুব কাছাকাছি।
মা মাগো তুই কেমন আছিস ?ঢাকা। ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ।
৯ টি মন্তব্য : “মায়ের খুব কাছাকাছি”
মন্তব্য করুন
মা কে নিয়ে লেখা অনেক চমৎকার কবিতাগুলোর মধ্যে আমার পড়া একটি কবিতা এটি।
প্রথম কবিতা পড়া এবং মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ। আমি কবি কি না জানি না , মনের তাগিদে লিখি। কারো ভালো লাগলে নিজের ও ভালো লাগে। ভালো থেকো।
মাকে নিয়ে লেখা আপনার কবিতাটা সুন্দর হয়েছে। আপনার লেখার হাত আছে। আমি মাঝে মাঝে লেখার চেষ্টা করি কিন্তু পারি না। কবিতা সম্পর্কে আমার জ্ঞান খুবি কম। সেই স্বল্প জ্ঞান নিয়েই লেখার চেষ্টা করি, কি করবো! না লিখলে মাথার ভেতর পোকা কামড়ায়।
আমার লেখা পড়ে দেখতে পাড়েন
পরিত্যক্ত
অনেক সুন্দর কবিতা।
, অন্যরা পড়ে যদি আনন্দ পায় সেটা তো বাড়তি। দ্বিধাহীন লিখে যাও।যে লিখে সে কল্পনা করে আর কল্পনা সেতো সর্বদাই কবিতা।
পড়বো।
মাকে নিয়ে যা লিখবে তাই কবিতা। যে লেখে সেতো তার জন্য লেখে , অন্যরা পড়ে যদি আনন্দ পায় সেটা তো বাড়তি। দ্বিধাহীন লিখে যাও।যে লিখে সে কল্পনা করে আর কল্পনা সেতো সর্বদাই কবিতা।
পড়বো।
সুন্দর কবিতা ওবায়দুল্লাহ ভাই
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
অনেকদিন পরে এলাম। মাঝখানে কোভিড অসুখ বিসুখ, অনেক কষ্ট নিয়ে সুখে আছি। মন্তব্্যের উত্তর দেয়নি অপরাধ বোধ করছি, ভাই ক্ষমা করো। সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ রইলো।
মাকে নিয়ে লেখা এ কবিতাটা স্পর্শ করে গেল। কবিতায় ব্যক্ত আবেগ পাঠকের মনকেও ভারাক্রান্ত করে তোলে।