একটি গান লিখার প্রচেষ্টা…

লিখতে বসেছিলাম একখানা পদ্য। লিখার পর মনে হলো, এটা কি পদ্য হলো নাকি গান?
সঙ্গিতে দখল-সম্পন্ন ভাই ও বোনেরা, দেখুন তো এটা গানের শর্ত পুরন করে কিনা?

ইচ্ছে ছিল,
একদিন তোমার সাথে সাগর দেখতে যাবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন সৈকতে বসে সাগরের ঢেউ গুনবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ভেজা নোনাবালুতে পা ঢুবিয়ে হাটবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ঢেউ-এর চুড়ায় জ্যোৎস্নার ভাঙ্গন দেখবার।

বিস্তারিত»

রড স্টুয়ার্টের “If Loving You Is Wrong I Don’t Want to Be Right” শোনার পর

এক: পুরুষ খন্ড

তেমন প্রেমময় হোক বা না হোক,
কেটে তো যাচ্ছিল বেশ
আটপৌড়ে এই সাংসারিক জীবন।
তুমি এসে তাতে আন্দোলন তুলে দিলে,
ভাল লাগায় ভরিয়ে দিলে,
আমি নতুন করে জীবনের অর্থ খুজে পেলাম –
ছা’পোষা এই জীবনে।
প্রাণের এই আহবান
আমি দু হাতে ঠেলি কি করে,
আমিও তো মানুষ? রক্ত-মাংশের মানুষ।
আর সেই মানুষেরই তো
জাগে সাধ আল্লাদ,

বিস্তারিত»

বছর জুড়ে প্রেম আমার

(১)
জল না ঝরে গ্রীষ্ম চলুক
বছর জুড়ে তোর চোখে
দুঃখ গুলো হোক আমারি
থাক তবু তুই খুব সুখে।।

(২)
সুখ হোক তোর বর্ষাকালের
রোজ অবিরাম বৃষ্টি
আমার উপর পড়ুক যত
দুখের কটু দৃষ্টি।।

বিস্তারিত»

শেষবার মন ভাঙ্গার পর

শেষবার মন ভাঙ্গার পর
কি একটা হয়েছে যেন আমার,
তোমার ছবির দিকে আজকাল
তাকাতে পারি না আর একেবারেই –
যদিওবা চোখ পড়ে অগোচরে,
সেইচোখ আটকে যায়
ছবির তোমাতে
ঠোটে-গালে-গলায়-মুখে
যেখানে যেখানে তোমাকে ছুয়েছে
আমার দুর্দমনীয় ভালোলাগা-ভালবাসা।

তোমার ছবির দিকে আজকাল
তাকাতে পারি না আর একেবারেই –
নাহ্‌! এটা কোন ঈর্ষা নয়
কিংবা নয় কোন ক্ষোভ
এ কেবলি জানা যে -,

বিস্তারিত»

হতভাগা জন্মভূমি মা আমার!

(পিলখানা হত্যাকান্ডে নিহত ৫৭ সক্ষম সৈনিক অফিসার ও তাদের নির্যাতিতা পরিবারদের স্মরণে সেই সময়ই লেখা)

যুদ্ধ দেখিনি আমি,

স্বাধীনতার সংগ্রামও দেখিনি।

অকুতোভয় মুক্তিসেনা-স্বজনের বীরত্ব-গাঁথা শুনেছি,

খুনী-ধর্ষক, রক্তপিপাসু পাকসেনা

আর তাদের এদেশীয় জল্লাদ-দোসরদের

উন্মত্ত-যজ্ঞকাহিনী-কাব্যে রচিত বধ্যভূমির কথা শুনেছি কেবল,

ঘৃণা আর প্রতিহিংসার জালবুনেছি এতকাল।

 

হে আমার ক্ষতবিক্ষত বাংলাদেশ,

বিস্তারিত»

প্রেমের পদ্য

গালের টোলে কাব্যদীঘি
চোখের কোলে মুক্‌তো
ঠোঁটের কোণে হাসির রকম
বোঝা বড় শক্ত।

কপট ক্রোধে গভীরতর
গণ্ডদেশের লাল
জানান দেয় ভালোবাসায়
জিভ ছোঁয়ালেই ঝাল।।

———————————————————-
অন্তত বছর কুড়ি তো হবেই। ছন্দ মিলিয়ে মোটামুটি দীর্ঘ একটা কিছু লিখেছিলাম।
তার থেকে এ ক’টা লাইনই মনে আছে। সিসিবিতে প্রেমের পদ্যের জোয়ারে
আমিও খানিক ভেসে গেলাম না হয়।

বিস্তারিত»

দেহ-কাব্যের পাঠ

দেহ-কাব্য-১

এক এক সময় ঝড়ের মতো আঙ্গুল চলে টাচস্ক্রীনে, কী বোর্ডে-
ঠিক যেমন ঝড়ের মতো আঙ্গুল ঘোরে ওষ্ঠ ছোটে , তোমার দেহে,
বর্ণ গুলো শব্দ গড়ে, শব্দ গুলোয় ভাব
স্পর্শ গুলো আদর গড়ে, আদরে উত্তাপ।

আবার যখন ভাবছি কিছু,
টকাস করে জেগে ওঠে স্ক্রীন-সেভারের মুখ
ঠিক যেমনই খুজছি পিছু,
টকাস করে খুলে আসে ব্রেসিয়ারের এর হুক-

এরপরে কি যায় আর যে সে পদ্য লেখা?

বিস্তারিত»

বনজোভির “ইটস্‌ মাই লাইফ” – শোনার পর

কারো অন্তিম যাত্রায় যতবার গোরস্তানে গিয়েছি
সব কাজ ফেলে রেখে
কেবলই শবভোজী পোকাগুলোর সাথে গল্প করতে,
আড্ডা জমাতে ইচ্ছা হয়েছে প্রবল।

ওদের কাছে যে অনেক প্রশ্ন আমার –

ওদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছা হয়েছে বার বার:
এই টাটকা লাশটির চর্ম-মাংশ-অস্থি-মজ্জার
ঠিক কোন কোন অংশ
কতটা প্রিয়, তাদের কার?

ওদেরও হয়তো পরিভাষা আছে,
মানব শবের
রান-থান-সীনা-নলী-গিলা-কলিজা
বর্ননার।

বিস্তারিত»

নোনাজল

এই পুষ্পনগরীতে

একদিন বিচরণ ছিলো আমাদেরও।

সন্ধ্যার মেঘমালায়

বুকে মাথা রেখে

কান্নায় ভাসাতাম

কত রাত!

 

রাতজাগা দুটি পাখি

অনায়াসেই নির্ঘুম অপেক্ষায়

গুনতো ক্লান্তিহীন প্রহর।

 

ভোরের অন্ধকার মাড়িয়ে

একরাশ আলো নিয়ে সাথে

ফিরতাম রোজ  তার কাছে –

পথ চেয়ে থাকা

নিষ্পলক চোখের নোনাস্রোত তার

যখন যেতো শুকিয়ে!

বিস্তারিত»

ফরিয়াদ

আধা বর্বর থুড়ি আধা পরিবাহী
তড়িচ্চুম্বকীয় আবু গারিবের ফরিয়াদ
কানে তোলো কিচিরমিচির
এত কষ্ট দিও না নিউরন রেটিনাকে
ক্যাথোড গামা কাপড় খুলে
এলইডি পরালেই চলবে না
অবরোধ তুলে নিতে হবে
ঘাস ফুল মৌমাছি থেকে
নির্বাসন থেকে ফিরিয়ে আন
ফড়িং আর সব প্রজাপতি।

বিস্তারিত»

অণু কবিতাঃ এক

এক

এক চুমুতে আগুন জ্বলে

দুই চুমুতে ধূপ

তিন চুমুতে রক্তে দ্রোহ

চার চুমুতে চুপ।।

দুই

ইলেকট্রিক কম্বল কত উষ্ণতা দেবে বলো

প্রেয়সী যখন দূরতম দ্বীপে একা??

তিন

চুমুর চকাসে নিস্তব্ধতা ভাঙে, ভোরের কুয়াশায়!

চার

পূর্বে কাজল চোখে জল,

পশ্চিমে নির্ঘুম রাত।।

বিস্তারিত»

রাধাকথন- ১১

চিঠির মতো দুস্তর কিছু না,
বর্তে যাই
মামুলি কিছু এসএমএস পেলে’-
চুমোয় ভরা ক’টা মিসকল
কি ক্ষতি দুচারটা লাইক
ফেস কিংবা বুকে

কী অসুখে
তোর হাত ছুঁলাম কালা!
হোস্টেলের বিছানায়
কবরী হয়ে গাইছি
‘সে যে কেন এলো না’

বিস্তারিত»

তারুন্য

বার্থডে আসে বার্থডে যায় বয়স বাড়ে দেহের।

মনের বয়স কি বাড়ে?

মনের বয়স বাড়তে যেমন বার্থডে লাগে না। তেমনি আবার শত বার্থডেতেও কারো কারো মনের বয়স বাড়ে না।

বার্থডে যতই আসুক না কেন, মনের বয়স থেমে থাক একজায়গাতেই।

কলেজে থাকতে আমাদের অনেকেরই লিখালিখির গুরু ছিলেন এন্ডু অলক কুমার দেওয়ারী ভাই। তার উৎসাহে, প্ররোচনায়, আদেশে, প্রশ্রয়ে কবিতা লিখায় হাতে খড়ি তখন।

বিস্তারিত»

প্রেমের প্রথম পাঠ

যতই বলো ডাকবে না
যতই বলো থাকবে না
যতই বলো আসবে না
কাছে,

আড়কাঠিটা নামিয়ে নিয়ে
পর্দাগুলো সরিয়া দিয়ে
যদি আমি যাই বেরিয়ে
পাছে?

চোখ রেখেছো দরজায়
চোখ রেখেছো আলনায়
মন কি তোমার বিছানায়
আছে?

সংশয় ঘুচিয়ে দিয়ে
সংকোচ মুছিয়ে নিয়ে
এইতো এলে এগিয়ে
কাছে।

বিস্তারিত»

ভালবাসার সুরভী

তুমি আমার সবুজ চায়ে সোনালী মধু
শীতের ভোরে পথের মোড়ে ভাঁপা পিঠা, তিলের নাড়ু 
তুমি আমার হারিয়ে যাওয়া চুলের ফিতা
নাকছাবি আর আলতা চুড়ি, নখের পালিশ 
তুমি আমার মেঘের দুপুর, সবুজ পিরান, কাজলদানি 
পথ হারিয়ে আবার পাওয়া অচিনপুরে
তুমি আমার দুরন্ত চিল, এক লহমায় কোন সুদূর
তুমি আমার শুন্য ঘরে একলা থাকা ঝিম দুপুর
তুমি আমার ঘুঘুর ডাকে মন উদাসী,

বিস্তারিত»