এবং কয়েক যুগ পেরিয়ে গেলে খেয়াল হলো যে কবিতা লিখি না
মাথার ভেতর এই খেয়াল মাটিতে পড়ার আগেই আমি দুই ভাগ হয়ে
তর্কে নামলাম। এক ভাগ বলে ওঠে হয়তো আপ্নে কখনই
কবিতা লিখতে পারতেন না। শুনে অন্য ভাগ তেড়ে আসে,
বেশি বুঝেন ইচ্ছা হয় না তাই লিখি না নাহলে দেখিয়ে দিতাম।
আমি দুই ভাগের তর্ক শুনি, কমলার জুস খাই
জুস বেশ তেতো লাগলে ভাবি একটু চিনি মেশালে মন্দ হতো না।
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,, মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
আমার একটা দুঃখ আছে সুখের প্রলেপ দেয়া,
সেই সুখেতেই কান্না আছে যত্ন করে পাওয়া।
সুখ দুঃখের আস্তাবলে কষ্ট লাগাম টানে,
বেদনা বিলাসে শান্তি বলো পেলাম কেমন করে?
পিতৃ ভুমির দায়বদ্ধতা,,,
মাতৃ ভাষার অমর কবিতা,,,,,,,,,,,
রাত্রিটাকে খুব ভালবাসি প্রখর সূযর্্য তাপে,
অমাবস্যায় অনেক কালো চাঁদনীর অনুতাপে।
ভুল করে যত জাগতিক ভুল স্বপ্নের কান্ডারী,
আরও দুটি কবিতা
এক
যেকোন দর্শন-সুখে অনুভবি তোমার সঙ্গ
তুমিই আমার সঙ্গি, তুমি অন্তরঙ্গ।
তুমি আমার লাটাই তুমি আমার ঘুড়ি
তোমায় নিয়ে অনুক্ষন আকাশেতে উড়ি।
যেকোন বিরহ-ক্ষনে তোমায় পাশে চাই
তুমিই আমার আশ্রয়, তুমিই আমার ঠাই।
তুমি আমার ঘর তুমি আমার বাড়ি
শেষ পর্যন্ত তাই তোমার কাছেই ফিরি।
যেকোন মৈথুনেই ভেসে ওঠে তোমার মুখ
তুমিই আমার অসুখ,
দুটি কবিতা
এক: গুন
বেশ কিছুদিন থেকেই দেখছি,
তুমি আমায় এড়িয়ে যাচ্ছো।
কি হয়েছে তোমার?
অথবা কি বা দোষ আমার?
আজ যখন তোমাকে পেলাম
অনেক দিনের পর, বুঝলাম –
আমার সাথে কথা বলতে না চাওয়াটা
ঘৃণা বা বিরক্তি প্রসূত নয়।
তুমি আসলে ভয় পাচ্ছো,
নিজেকেই ভয় পাচ্ছো তুমি।
ভয় পাচ্ছো, কারন তুমি জান যে
আমাকে উপেক্ষা করতে পারবে না তুমি।
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
প্রিয়তম
চরম
গরম
নরম
পরম
শরম
নীল-ভ্রম
বিভ্রম
অনুপম
নিরূপম
সম্ভ্রম
মন-মম
সংগম
সংযম
রকম
সকম
…………প্রসংগ প্রিয়তম।।
বাপ্পী খান
বিস্তারিত»আমার প্রেমিকাগন
তাঁরা প্রত্যেকেই একদিন নিজ থেকে সরে গিয়েছেন,
আমার মনে ভালবাসার জোয়ার নামিয়ে,
দেহে প্রেমের আন্দোলন তুলে।
আমি তাঁদের কারো পথ আটকাইনি,
অথবা জিজ্ঞাসা করিনি-
কেন ছেড়ে যাচ্ছো আমায়?
শুধু নির্লিপ্ত ভাবে
তাঁদের চলে যাওয়া দেখেছি
আর মনে মনে বলেছি: ভাল থেকো।
ভাল থেকো গানের পাখি
ভাল থেকো সান্ধ্য প্রদীপ
ভাল থেকো নীল পরী।
চুমু
।।
পরশ পাথরের ছোঁয়ায়,
চোখ যেন অশ্রু
হৃদপিন্ড রক্তের নদী,
ঠোঁট যেন চুমু
তোমার ছোঁয়া অশ্রুর মুক্তো
রক্ত নদীতে,অব্যক্ত বেদনার নীল
নিঃশেষে চুমু শুষে নেয়।
যেন শিরা উপশিরায় আগ্নেয়গিরি,
উত্তপ্ত রক্তকণিকার চিৎকার
ত্বকে জ্বলে ওঠে স্ফুলিঙ্গ
মুচড়ে ওঠা হৃদয় হাহাকার করে বলে
ভালোবাসা প্রেম নয়
সহস্র ভ্রুকুটির কালনাগ হেরে গেলে
চুমু অমৃত তখন
#
সমস্ত স্বপ্নের অবসান
সখী ভালবাসা কারে কয়
ভালবাসা কি জানতে চেয়ে যে প্রশ্নবোধক চিহ্ন পাঠালে তার উত্তরে বলি,
ভালবাসা হলো হঠাৎ বৃষ্টির দুপুরে ধোঁওয়া ওঠা খিচুরি আর বেগুন ভাজার পাশে এক চামচ ঘি
গ্লোরিয়া জিনসে কফির কাপে চকিতে চুম্বন
অথবা তার আধ খাওয়া বারিটোয় আলতো কামড়,
রাস্তার ঐ পাড়ে জানালার শিকে একটি ভীরু মুখ
অথবা তার অবিন্যস্ত বাদামী চুলে একটি রূপার কাটা।
ভালবাসা মানে হলো প্রিয়ার ঘুম ঘুম ঠোঁটে জন্মের প্রতিশোধ
অথবা তের নদীর ওপাড়ে কনিয়াকবিহীন একজোড়া মুগ্ধ চোখ,
অস্তিত্বের সংকট…
মোদের দেশে মানুষ তো নেই-ই,
মোদীর দেশেও নেই,
মোদীর কলে জ্যান্ত মানুষ
হিন্দু হয়েই রই!
দাঙ্গাবাজি আর অস্ত্রবাজি
হচ্ছে শিশুর খেলা,
গুম, খুন আর অপহরণ
বাড়ছে লাশের মেলা।
নিরাপত্তা দেবেন যারা
বিক্রি টাকার কাছে,
অশ্লীলতা-ধান্দাবাজিও
ঘুরছে তাদের পিছে।
বিস্তারিত»কাব্যধর্মি ধারাবাহিক নাটিকা – ১ম ও ২য় কিস্তি
এটা একক অভিনয়ের জন্য লিখার প্রক্রিয়াধীন একটি কাব্যধর্মি নাটিকা। একক অভিনয়, একক মূকাভিনয় (নেপথ্য বর্ননার সাথে), অথবা একক নৃত্যাভিনয় যে কোন মাধ্যমেই এটা ফুটিয়ে তোলা সম্ভব বলে এটার লেখক মনে করেন। তবে ডাইরেক্টর যেটা সবচেয়ে ভাল মনে করবেন, সেটা করার স্বাধীনতা তার থাকবে। লিখা শেষ হলে এটা প্রযোজনায় লেখকের কোন অনুমতি লাগবে না। তবে লেখককে জানানো হলে ও ফেসবুকে ছবি প্রকাশ করে লেখককে ট্যাগ করা হলে তিনি খুবই খুশী হবেন।
বিস্তারিত»টুবিতা মালা
১। (ভূমিকা)
আপন মনে, গেলাম বুনে, টু-লাইনের কবিতা
– আদর করে নাম দিয়েছি ‘টুবিতা’।।
২। (গৌরচন্দ্রিকা)
আমি বলি, আমারেও ধরিলো কি ও রোগে?
ছড়া কেটে ঘুরি কেন কবিদের সড়কে!
৩। (হুমায়ুন আহমেদ স্মরণে)
গল্প থেকে মানুষগুলো নামিয়ে দিতেন বাস্তবে,
হঠাত বলে গেলেন চলে, ‘আজ এখানেই থাক তবে’
বিস্তারিত»
মিষ্টিমুখর বউ…
ঘ্যানঘ্যানানী প্যানপ্যানানী
খ্যাচর ম্যাচর নয়,
বিনামেঘে বজ্রপাত?
আর প্রাণে না সয়।
মলিন-মুখো হও কেনো গো?
কারণ-অকারণে,
রও সদাহাস্য শান্তিমুখর,
ঢালো মিষ্টি মধু কানে।
“নানান ফুলের মালা হয়ে
স্বামীর ঘরের শোভা?”
চাই না সেতো তোমার কাছে
যার সবই ক্ষণপ্রভা!
আবার বিকেল হলেই
চপ সিঙ্গারা ভেজে বসে থাকা?
চাইনা সেটাও তোমার কাছে
করছি যেসব আধা।
আমি জেলে আসার পর
মূল কবিতাটি টার্কিশ কবি নাজিম হিকমেত রানের।কবিতার নাম:Ben içeri düştüğümden beri,অনুবাদ করা সবসময়ই কঠিন কাজ,আর তা যদি হয় নাজিম হিকমেতের কবিতা তা আরও কঠিনতর হয়ে ওঠে।এটাই আমার প্রথম অনুবাদ,সময় সুযোগ আর সাহস পেলে আরও টার্কিশ কবিতা অনুবাদের দুঃসাহস দেখাবো
আমি জেলে আসার পর সূর্যের চার পাশে দশ দশবার ঘুরে এসেছে পৃথিবী,
পৃথিবীকে জিজ্ঞেস করলে বলবে দশ বছর? এতো কিছুই নয়,অণু পরমাণুর মতই ক্ষুদ্র এক সময়।
একটি গান লিখার প্রচেষ্টা…
লিখতে বসেছিলাম একখানা পদ্য। লিখার পর মনে হলো, এটা কি পদ্য হলো নাকি গান?
সঙ্গিতে দখল-সম্পন্ন ভাই ও বোনেরা, দেখুন তো এটা গানের শর্ত পুরন করে কিনা?
ইচ্ছে ছিল,
একদিন তোমার সাথে সাগর দেখতে যাবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন সৈকতে বসে সাগরের ঢেউ গুনবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ভেজা নোনাবালুতে পা ঢুবিয়ে হাটবার।
ইচ্ছে ছিল,
একদিন ঢেউ-এর চুড়ায় জ্যোৎস্নার ভাঙ্গন দেখবার।
রড স্টুয়ার্টের “If Loving You Is Wrong I Don’t Want to Be Right” শোনার পর
এক: পুরুষ খন্ড
তেমন প্রেমময় হোক বা না হোক,
কেটে তো যাচ্ছিল বেশ
আটপৌড়ে এই সাংসারিক জীবন।
তুমি এসে তাতে আন্দোলন তুলে দিলে,
ভাল লাগায় ভরিয়ে দিলে,
আমি নতুন করে জীবনের অর্থ খুজে পেলাম –
ছা’পোষা এই জীবনে।
প্রাণের এই আহবান
আমি দু হাতে ঠেলি কি করে,
আমিও তো মানুষ? রক্ত-মাংশের মানুষ।
আর সেই মানুষেরই তো
জাগে সাধ আল্লাদ,