শুভ্র কাশফুল ছড়ানো, কোমল ঘাসের চাদরে জড়ানো
কোন এক শরতের বিকেলে-
যখন আকাশে উড়ছিল এক পাল সাদা বক আর
দক্ষিনা বাতাস গাইছিল মিলনের গান
তেমনি এক সাদা মেঘে নীল আকাশ ছেয়ে যাওয়া ক্ষনে
তোমায় দেখেছিলাম।
শীতের কোন এক সকালে;
যখন চারদিক ছিল কুয়াশাচ্ছন্ন-
যখন চারদিক খেলা করছিল হিমশীতল বাতাস
আর দিগন্তে উকি দিচ্ছিল সূর্য-
তেমনি এক আবছা ক্ষনে
তোমার রূপে মুগ্ধ হয়েছিলাম।
মৌমাছির ব্যস্ততা যখন জানিয়ে দিচ্ছিল বসন্তের আগমন
যখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছিল রং বেরঙের ফুল,আর-
পাতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কোকিলের কুহু ডাক
যখন প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছিল তার পুনরাগমন
তেমনি এক রঙিন পর্দায়
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম।
গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপে যখন –
প্রকৃতি উত্তপ্ত;
যখন কালবৈশাখীর পাগলামিতে
এ পৃথিবী উন্মাদ।
তেমনি এক অসময়ে-
তোমার পথ চেয়ে বসেছিলাম।
যখন এক টুকরো কাল মেঘ,দিগন্তে –
সারা আকাশ দিয়েছিল ছেয়ে;
যখন বৃষ্টি ভেজা বাতাস-
প্রকৃতি সাজাচ্ছিল নতুন করে;
তেমনি এক আলো আধারির খেলায়-
তোমায় নিয়ে প্রেমের কাব্য লিখেছিলাম।
সেই শরতেই আবার দেখা,
যখন নেই সেই শুভ্র কাশফুল-
নেই সেই এক পাল সাদা বক;
আছে শুধু একগুচ্ছ স্মৃতি।
সেই স্মৃতির ডানায় ভেসে আজ বলতে চাই-
” তোমায় ভালবেসেছিলাম।”
কবিতার শেষটুকু কাশফুলের মতই শুভ্র, সুন্দর আমেজ রেখে গেলো!
ভাল লেগেছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
:thumbup: :thumbup: :thumbup:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
রূপে মুগ্ধ হবারই বয়স বৈ কি।
ভালো লেগেছে