আজকে এ এক দুঃসাহস দেখাতে সাধ হল। ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ এর প্রস্তাবনা পাঠ করবার। আবেগসর্বস্বতা দিয়ে শীল্পোত্তীর্ণ পাঠ করা সম্ভব নয় — পাঠকে শিল্পে পরিণত করার স্পর্ধা কখনো কখনো হয় কিন্তু ওই পর্যন্তই। অনেক যত্ন আর অনুশীলন দিয়ে একটি পাঠকে নির্মাণ করবো সে-পরিমাণ সাধনা তো করিনি। তবু – গেল কুড়ি পঁচিশ বছরে যতবার যতকণ্ঠে শুনেছি তারই যেন অক্ষম পুনরাবৃত্তি এ পাঠ। মনে পড়ছে চট্টগ্রামের ‘বোধন আবৃত্তি সংস্থা’-র অনুষ্ঠানগুলোর কথা। শ্রোতাবৃন্দ, আপনারা আমার এ স্পর্ধাকে মার্জনা করবেন এটুকু আশা করতেই পারি।
নূরলদীনের সারাজীবন (প্রস্তাবনা)
সৈয়দ শামসুল হক
নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আর
নিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে ঊনসত্তর হাজার।
ধবলদুধের মতো জ্যোৎস্না তার ঢালিতেছে চাঁদ – পূর্ণিমার।
নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার
তখন হঠাৎ কেন দেখা দেয় নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস
দিয়ে এত বড় চাঁদ?
অতি অকস্মাৎ
স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ? কিসের প্রপাত?
গোল হয়ে আসুন সকলে,
ঘন হয়ে আসুন সকলে,
আমার মিনতি,আজ স্থির হয়ে বসুন সকলে।
অতীত হঠাৎ হাতে হানা দেয় মানুষের বন্ধ দরোজায়।
এই তীব্র স্বচ্ছ পূর্ণিমায়
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়।
কালঘুম যখন বাংলায়
তার দীর্ঘ দেহ নিয়ে আবার নূরলদীন দেখা দেয় মরা আঙিনায়।
নূরলদীনের বাড়ি রংপুরে যে ছিল,
রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল
১১৮৯ সনে।
আবার বাংলার বুঝি পড়ে যায় মনে,
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন শকুন নেমে আসে সোনার বাংলায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালেরই আলখাল্লায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার স্বপ্ন লুট হয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
আসুন, আসুন তবে, আজ এই প্রশস্ত প্রান্তরে;
যখন স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে,
তখন কে থাকে ঘুমে? কে থাকে ভেতরে?
কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?
সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে ব্রহ্মপুত্রে মেশে।
নূরলদীনেরও কথা যেন সারা দেশে
পাহাড়ী ঢলের মতো নেমে এসে সমস্ত ভাসায়,
অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার এ আশায়
যে, আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়,
আবার নূলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায়
দিবে ডাক,’জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’
:boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss: :boss:
বাপ রে বাপ। এত মাথা দেখে তো আমার রাবণের কথা মনে হচ্ছে। রাবণের থেকেও বেশি
নিজের মাথাটা ছাড়া বাকী সবার মাথাগুলো দিলাম তোমাকে, নূপুর! 😛
সেল ফোনে বাংলা লিখতে আমার খুব কষ্ট হয়গো, তাই ইমোটিকন দিয়ে তড়িঘড়ি করে রাবণ কে দিয়েই কাজ সারতে হয়েছিল। এখন ল্যাপ টপে অভ্রতে লিখছি!
(সম্পাদিত)
😀
:)) :))
ভাল লেগেছে।
আমরা যারা জানি কথাগুলি, তাদের জন্য স্পীড ঠিকই আছে।
কিন্তু না জানাদের জন্য আরো একটু স্লো যাওয়া প্রয়োজন।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
ধন্যবাদ পারভেজ ভাই। স্পীডটা কারো জন্যেই ঠিক নেই আসলে।
আরো ধীরে পড়তে হবে। যেটা আমার জন্যে বিশাল একটা সমস্যা। 🙁
আমার তো মনে হলো স্পীড ঠিকই আছে, নূপুর! তার ওপর আবার স্ক্রিপ্টও দেয়া আছে। আফটার অল, এটাতো নির্ঝরের স্বপ্ন ভঙ্গ নয়গো!
আমার কাছে গতি ঠিক মনে হয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমার কাছে গতি ঠিক মনে হয়েছে।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
পারভেজ ভাই,
প্রথম রেকর্ডেড ভার্সনটা এত দ্রুত নয় -- এখানে আপলোড করার পর না হলেও ১৫% বেশি স্পিডে চলছে বলে মনে হচ্ছিল কাল রাতেও। এখন আবার দেখি ঠিকই লাগছে। অদ্ভুত ব্যাপার।
তাছাড়াও রয়ে সয়ে পাঠের ব্যাপারটা তো চর্র্চার ব্যাপার -- তা আর হয়ে উঠছে কই।
🙂 🙂 🙂 🙂
আমি শুনে যাচ্ছি তো যাচ্ছিই, নূপুর! কী শুনালে তুমি এই রাতে??
শুনতে শুনতে হঠাৎ মনে হলো, আমি ফক্স থিয়েটারে বসে আছি। আলো নিভে যেতেই পর্দায় আমার পরিচিত একটি মুখচ্ছবি স্থির হয়ে আছে। ওপরে মেকী তারার আকাশে অনন্ত নক্ষত্র রাশি। তুমি পড়ছো, গোল হয়ে আসুন সকলে, ঘন হয়ে আসুন সকলে!
অসাধারণ, নূপুর!
আপা গো,
তুমি মোটামুটি প্রশংসার বন্যায় ভাসাইয়া নিয়া যাইতেসো। আমি ফুলতে ফুলতে বিস্ফোরণের দ্বারপ্রান্তে।
খুব সুন্দর হয়েছে এ পাঠপ্রচেষ্টা। ভালো লেগেছে। গতিটা আরেকটু ধীর হলে হয়তো আরেকটু ভালো হতো, তবে এখনো তেমন অসুবিধা হচ্ছেনা।
অশেষ ধন্যবাদ খায়রুল ভাই! যা রেকর্ড করেছিলাম, তার গতি এমনিতেই একটু বেশি ছিল -- এখানে আপলোড করার পর দেখি কি বিচিত্র কারণে আরেকটু দ্রুত চলছে। আপনাদের উৎসাহ/প্রশ্রয়ে সাহস দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
গায়ের লোম দাঁড়ায় গেল ...... একটা চমৎকার দিনের শুরু হোল।
নুপুর তুমি পারছো ... :clap: :clap: :clap:
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বার বার
অরূপ দাদা, এবার তোমার পালা! 🙂 🙂 তোমার পাঠ শুনতে চাই। করে ফেলো ঝটপট, প্লিজ। আমি কিন্তু সত্যি অপেক্ষা করছি তের নদীর ওপারে।
নূপুরের আগেরটা পাঠ প্রচেষ্টা শুনেছোতো? শুনে দেখো কী চমৎকার পারফরমেন্স ওর! তোমাদের মত গুণীজনদের কারণে সিসিবি আজ এতো প্রাণ পেয়েছে!
থ্যাঙ্কু দাদা!
নূরের টা শোনা না থাকলে আপনাকে ১০০ দিতাম।
বাট আপনারটা সেকেন্ড বেষ্ট।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
ইউ কে টাইম ভোর ৪ টা ৫২. কাজ থেকে আসলাম।
পাশে বউ শুয়ে, হেডফোন লাগাইয়া শুনলাম।
মিষ্টি খাওয়ান এখন। (সম্পাদিত)
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
রাজীব,
তোমার মন্তব্যে ধন্য। মিষ্টি কিভাবে খাওয়াই। মিষ্টির ইমো নাই তো
কলেজের কালচারাল একটিভিটিজ এর কল্যাণে এইটা বহুবার শোনা আবৃত্তির একটা। সিসিবির তৌফিক (৯৬-০২) ভাইও এটা করসিলো মনে হয় যতদূর মনে পড়তেসে। আগে যেগুলো শুনসি সেগুলোর তুলনায় এটা একটু স্পীডি ভার্সন। তারপরও শুনতে ভালো লেগেছে। শেষের দিকে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা একটু জোরালো হয়ে গেছিলো মনে হচ্ছে, কথাগুলো সেজন্য একটু অস্পষ্ট শুনলাম মনে হলো। এটুকু বাদ দিলে, দারুণ হয়েছে সবকিছু। নিয়মিত আবৃত্তি/গান/হোয়াটেভার পোস্টানো জারি থাকুক 😀
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
জিহাদ,
স্পিডটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে বৈ কি।
আমি জানি লোকে গানবাজনা করে -- অনেক অনেক ভালো করে। বেশ আগে আমাদেরই কারো কারো লেখা কিছু গান পেয়েছিলাম আমরা। এখন কেউ গান দ্যায়না।
অতি সংক্রামক এই পাঠ-প্রচেষ্টাটা।
সংক্রামিত না হয়ে উপায় ছিল না। তাই আমিও আক্রান্ত হলাম এতে। 🙂
আর মন্দ লাগছে না তা হয়ে।
সাবিনা, আমি শুরু করলাম তোমাকেও আক্রান্ত দেখতে চাই। শুনতে চাচ্ছি তোমার কাছ থেকেও কিন্তু!!
এইখানে শোনা যাবে...... (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
Hip hip hurray, Parvez Bhaiya! You have done a great job. :clap: :clap:
🙂 🙂 🙂
তোমারটা???
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
চাইলে এভাবেও এমবেড করে দিতে পারেন, পারভেজ ভাই।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
আমিও অপশনটা খুজছিলাম।
দেখি, পাই কিনা...
এইটা হলে তো দারুন হয়...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
শেয়ার -> এমবেড -> দ্বিতীয় অপশনটা সিলেক্ট করবেন। তারপর iframe code টা কপি পেস্ট করবেন। মন্তব্যে না করে যদি পোস্টে এড করতে চান তাহলে ওয়ার্ডপ্রেস কোডটাও সিলেক্ট করতে পারেন।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
পেয়েছি। প্র্যাকটিসিং।
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মনে তো হয়, হয়েছে কিন্তু বেশী বড়।
তোমারটাই বেশী স্মার্ট......
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এই ভার্সনটা ইউজ না করে সেকেন্ড অপশনটা সিলেক্ট করলে ভালো হয়। স্লীমার ভার্সনটা।
সাতেও নাই, পাঁচেও নাই
বুঝতে পেরেছি।
নেক্সট টাইম ঐটা করবো।
থ্যাংকস।
গ্রাট লার্নিং.........
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
কাল ভোররাতে ঘুম ভেঙ্গে গিয়ে আপনার এ পাঠপ্রচেষ্টা চোখে পড়লেও শুনছি এখন। এ যেন স্বপ্নের মতন যোগাযোগ -- এ আড্ডাই আসলে মনে মনে চাইছিলাম/ চাই আমি সিসিবি থেকে। শুধু 'ভালো হয়েছে/ভালো লাগলো' নয়। সকলে মিলে একটা কবিতাকে বুঝে, শুনে কিংবা পড়ে নেবার মতন আড্ডা যে এখানে দিতে পারছি এটা একটা দারুণ দুর্লভ ব্যাপার। আপনার পাঠপ্রচেষ্টার জন্যে অভিবাদন!
পাঠের ব্যাপারে যদি বলতে বলেন তাহলে বলবো -- একটু বেশি থেমে থেমে পড়ছিলেন মনে হল। ছবিতে আপনার কন্যাটিকেও দেখা গেল। নিশ্চয়ই এ আবেগ অর মধ্যেও সঞ্চারিত হচ্ছে!
হ্যাঁ একটু বেশী থেমে থেমেই পড়েছি।
আমি আসলে তিন ভাবেই পড়ি। তারপরে ঠিক করি, কোনটা রাখবো।
আমার ধারনা, এই কবিতাটাতে মিক্সড স্ট্র্যাটেজি ভাল যাবে।
প্রথম দিক, মানেঃ
"রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল
১১৮৯ সনে।" - পর্যন্ত ধীরে পড়া উচিৎ। এরপরে ফাস্ট যাওয়া উচিৎ।
কি মনে হয়?
তোমার কথাগুলো খুব ভাল লাগলো
(সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
এক কথায় অসাধারণ। তবে আমার জন্য কয়েকবারের প্রচেষ্টা। আরেকটু ধীর হলে ভাল লাগতো আরো।
অশেষ ধন্যবাদ জাহিদ!
চেষ্টা করছি গতি আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আনার।
অসাধারন নূপুরদা :hatsoff: :hatsoff: :hatsoff:
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
🙂 🙂
অনেক অনেক ধন্যবাদ আকাশ!
জাগো বাহে, কোনঠে সবায়?
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂 🙂
তুই তো জাগিয়ে দিলি বাহে!
খবর কি বাহে?
চরম, মারাত্মক। :gulli2:
কলেজে বেশ কয়েকবার শোনা হয়েছিল, কিন্তু আজকে নূপুরদা পুরোই অন্যরকম করে শোনালেন।
সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও একদম পারফেক্ট লেগেছে। :boss: :boss: :clap:
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
মহা উৎসাহ পেয়ে গেলাম কিন্তু!
এবারে জনগণকে আরো অত্যাচার করার প্ররোচনা পেয়ে গেলাম। হাহাহাহা
আসলে -- অন্ততপক্ষে শখানেক বার প্র্যাকটিস করলে তবে বলা যাবে কিছু হয়েছে --- তা সে সময় কই। লজ্জার ব্যাপার হচ্ছে স্ক্রিপ্টও মুখস্থ নেই।
দেখে দেখে পড়ে কি হয়?
আমরা ছোটবেলায় সিনিয়রের কাছে অত্যাচারিত হতাম, নূপুর! এখন কেবল আলাভোলা জুনিয়রের কাছে হচ্ছি এই যা! এমন মধুর অত্যাচারিত হতে আপত্তি নেই মোটে জেনো! পরবর্তী পাঠপ্রচেস্টার অপেক্ষায় রইলাম।
প্রথমেই ধন্যবাদ, ভাইয়া, চমৎকার একটা উদ্যোগের জন্য, একটু আধটু অনুপ্রাণিত আমিও হয়েছি 🙂
দ্বিতীয়ত, "কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?" আর ’জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’, বিশেষত, এই দুটো জায়গা দুর্ধর্ষ হয়েছে !! :boss:
আর, তৃতীয়ত, ১৪ নাম্বার লাইনটায় একটা শব্দ বাদ পড়ে গেছে সম্ভবত 😛
For most of history, Anonymous was a woman. [Woolf, Virginia]
অশেষ ধন্যবাদ তানজিনা!
দুর্ধর্ষ হবার জন্যে অনেক বেশি অনুশীলন হওয়া চাই। সিসিবি বলেই নির্দ্বিধায় শেয়ার করতে পারলাম।
তুমি কি 'কালঘুম যখন বাংলায়' লাইনটার কথা বলছো?
আমি তো বইয়ে এমনি দেখলাম।
এইমাত্র বিভিন্ন ভার্সন শুনে দেখলাম। ঠিকই আছে ওটা -- কোন শব্দ বাদ পড়েনি।
"নূরলদীনের কথা পড়ে যায়" এর জায়গায় মনে হয় হবে, "নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়"।
তানজিনা বোধহয় এটুকুই বলতে চেয়েছে।
অথচ আমার চোখেও পড়েনি খায়রুল ভাই। 🙂
অনেক ধন্যবাদ!
ভাইয়া, আমি স্ক্রিপ্টে একটা শব্দ বাদ পড়ার কথা বলেছি... 🙁
For most of history, Anonymous was a woman. [Woolf, Virginia]
সরি তানজিনা,
গুনে গুনে ১৪ লাইন পর্যন্ত আসা যে কি ঝক্কি! খায়রুল ভাই যেমন বলেছেন তেমনি করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে না দেখালে হয়?
আমি তো টোটালি কানা-ই। এতবার দেখলাম তবু চোখে পড়লনা।
এবারে শুধরে নিচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।
সেই কবে একবার মঞ্চে দেখেছিলাম, এখনো কানে বাজে। আলি যাকের, নূর...অনেক দিন থেকে ভাবছি এটি কেনো আর মঞ্চে করা হচ্ছে না! কে জানে হয়তো আবৃত্তি ও অভিনয় এক সাথে করার লোক নেই।
কিন্ত, নূপুর ও পারভেজের কাজ দেখে আবারো আশা জাগলো। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে মনে করি, পারফর্মিং আর্ট গুলোর মধ্যে আবৃত্তি সবচে কঠিন। তাই আশে পাশে ভালো কন্ঠের কাউকে পেলে আমি আবদার করতাম আবৃত্তি শোনাবার জন্য।
পারভেজের আবৃত্তি কলেজে শুনেছি, নুপুরেরটা প্রথম শুনলাম। এক কথায় অপূর্ব! :hatsoff:
মাহবুব থ্যাংক ইউ। এখানে আরেকটা সাম্প্রতিক আবৃত্তি দিলাম। যদিও খুব সুবিধার হয় নাই...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
পারভেজ ভাই,
খুব ভাল লাগলো। এত বড় কবিতা মনে রাখেন কি করে?
"এত বড় কবিতা মনে রাখেন কি করে?"
এইটা একটা চমৎকার প্রশ্ন। সবকাজ ফেলে উত্তর না দিয়ে পারা যাচ্ছে না।
মনে রাখতে পারার কৃতিত্ব মূলতঃ কবিরই
এমন সব অংক থাকে, সেগুলোই মনে রাখতে সাহায্য করে।
তিনবার "তুমি আসবে বলে হে স্বাধিনতা" আছে তাঁর
- একটা বৈধব্য নিয়ে
- একটা শহর নিয়ে (সেট)
- একটা শহরের জিনিষ নিয়ে (সাবসেট)
তিনবার "তুমি আসবে বলে (হে স্বাধিনতা নাই)" আছে তাঁর
- একটি গ্রাম নিয়ে (সেট)
- একটি ভিটা নিয়ে (সাবসেট)
- শেষটা একটু ভিন্ন, কষ্ট করে মনে রাখা লেগেছে
তিনবার "স্বাধীনতা তোমার জন্য..."
- প্রথমটা বৃদ্ধ নিয়ে (ওল্ডেস্ট)
- দ্বিতীয়টা বিধবা নিয়ে (ওল্ডার)
- তৃতীয়টা কিশোরী নিয়ে (ইয়াংগার)
তোমার জন্য তে এসে
- শুরুতে "সগির আলি" আর "শাহবাজপুর" নিয়ে (দুইটাই এস "S" সাউন্ড)
- শেষ হছে "কৃষক" মানে কে "K" সাউন্ডে
- নেক্সট লাইন "কেষ্টদাস" ঐ কে "K" সাউন্ডে শুরু
- নেক্সট লাইনে "মতলুব মিয়া" "মেঘনা নদি" এম "M" সাউন্ড
- শেষ হয়েছে ঝড় আর "R" সাউন্ড দিয়ে
- আর নেক্সট লাইনটা শুরু "রুস্তম শেখ" মানে আর "R" সাউন্ড দিয়ে।
কি, অংকগুলা কি কিছু কিছু বুঝাতে পারলাম?
খুব কঠিন না, তাই না?
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
সত্যি সত্যি এখানে কবিতা নিয়েই একটা আড্ডা বসে যাবে আমার কল্পনারো অতীত ছিল।
পারভেজ ভাই, এই যে কবিতাটাকে একটু টুকরো টুকরো করে দেখালেন/পড়ালেন আমাদের -- এতে যে কি ভালো লাগছে বলে বোঝাতে পারবো না।
কবিতার অবয়বকে বোঝাও, কবিতার ভাষা এবং বক্তব্যকে ছাপিয়ে, যে কতটা কাঙ্ক্ষিত -- যারা কবিতা পড়তে বা বুঝতে চান তাদের জন্যে- আবারো উপলব্ধি করতে পারলাম।
অনেক আগে কলেজে এক রাতের অনুষ্ঠানে মি. মাহবুবুল আলম আবৃত্তি করেছিলেন লাশকাটা ঘরের সেই কবিতাটি- শুনতে শুনতে গায়ে কাঁটা দিয়েছিলো। অডিটরিয়ামের সবাই মন্ত্র মুগ্ধ বিহবল। মনে পড়লে আজো সেই পরাবাস্তব বিহব্লতা ফিরে আসে।
দ্যাটস আ হিউজ কমপ্লিমেন্ট।
মাহবুবুল আলম স্যারের "বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে / চমৎকার ধরা যাক দু'একটা ইদুর এবার" এখনো একইভাবে কানে বাজে।
ঐটা মনে করানোর মত বড় কমপ্লিমেন্ট খুব বেশি একটা পাই নাই...
🙂 🙂 🙂 (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
মাহবুব ভাই,
আপনার সদয় মন্তব্যের জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আরো কয়েকটা শুনতে ইচ্ছে করছে- বিশেষ করে জীবনান্দ থেকে। আমরা সবাই অপেক্ষায় থাকছি...
ও রে বাবা। জীবনানন্দ!
তবু দেখবো একবার চেষ্টা করে মাহবুব ভাই।
🙂 🙂
বেশী কিছু বলতে চাই না। প্লে বাটন ক্লিক করার আগেই আপনার কন্ঠে কেমন লাগবে চিন্তা করেই একটা ভাল লাগা উপভোগ করেছি। ভাইয়ার দিয়ে দেয়া বেশ দামী হেডফোন কানে লাগিয়ে প্লে বাটন ক্লিক করে বসে ছিলাম। আহা অপূর্ব। :boss: :boss: :boss:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
মোকা,
এক কাপ মোকা-ই দিলাম তোমারে যাও। 🙂 🙂
বনানী ১১ তে Moka Cafe Bistro নামে একটা দোকান দেখলাম সেদিন। খুব ইচ্ছা করছিল ঢুকে বলি, আমার নাম ব্যবহার করায় মামলা করুম। :grr:
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
:)) :)) :))
কয়েকদিন আগেই আক্ষেপ করছিলাম, পুরুষালি ভরাট উদাত্ত গমগমে গলায় আবৃত্তি আর শোনা যায় না।
প্রথম লাইনেই আবৃত্তিকারের মুন্সিয়ানা ধরা পড়ে অনেকটাই, যা সিদ্ধান্ত নিতে দেয় বাকিটা শুনব কি শুনব না , সেখানে আপনি শতভাগ সফল.
আর শেষ অর্ধেকে, আপনি একদম বাজিমাত করে দিয়েছেন।
তাই যখন দামামা ধ্বনির সাথে ধীরে ধীরে স্বর উচ্চগ্রামে ওঠে , আমরা প্রান্তিকজনের গোল হয়ে বসি, রক্তের ভেতর ডেকে ওঠে কোন পূর্বপুরুষের আহ্বান - আপনার কন্ঠে !
আপনার মন্তব্য পড়ি দিনের প্রথমভাগে -- কাজের ফাঁকে। তারপর থেকে মাথার ভেতরে আপনার কথাগুলোই ঘুরে ফিরে বাজছিল। যেভাবে বলেছেন, তাতে করে সপ্ত আসমানে পৌঁছে গেছি বললেও কম বলা হবে। 🙂
সিরিয়াসলি একটা কথা --- এ ধরণের মন্তব্যের পর দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। এবারে সত্যি সত্যি তৈরি হতে হবে পাঠের জন্যে।
অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
আড্ডাবাজিতে উৎসাহ পেয়ে আবারো লিখতে মন চাইলো। সাঁকো নাড়িয়েছো, এখন বোঝো ঠেলা 🙂 😉
ঐখানে যায়গা কমে গেছে, তাই নতুন কমেন্ট শুরু করলাম।
কবিতা মুখস্ত থাকার আসলে অনেক সুবিধা।
যখন তখন ঢুবে যাওয়া যায় তাতে।
নতুন করে মজাটা পাওয়ায় আবার শুরু করলাম মুখস্ত করা। চারটা হয়েছে, আরো কিছু করবো।
শামসুর রাহমানের এটা ছাড়াও, নির্মলেন্দু গুনের "তোমার পায়ের নিচে আমিও অমর হবো", জীবনানন্দ দাসের "ভেবে ভেবে ব্যাথা পাবো, আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "কেউ কথা রাখে নি।
নিলক্ষা আকাশও মুখস্ত করে ফেলতে চাচ্ছি। দেখি কি দাঁড়ায়।
আর জীবনানন্দ দাসের আরো কিছু কবিতা।
একাকি সময়গুলো একই কবিতা বারবার বলে দারুন সময় কাটানো যায়। ট্রেড মিল করার সময়টাতে এই চারটা কবিতাই ঘুরে ফিরে বার চারেক বললে দেখি আধঘন্টা কেটে গেছে প্রায়।
ট্রাফিক জ্যামেও একই ঘটিনা ঘটে। দুবার শেষ হতে না হতেই সবুজ সংকেত চলে আসে।
ট্রাই করে দেখতে পারো। 😀 😀 😀
একবার এক টিভি অনুষ্ঠানে সামিনা চৌধুরীকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, "এত গান মনে রাখেন ক্যামনে?"
উনি বললেন, "এটাই তো আমার কাজ। সারাক্ষনই তো ঢুবে থাকি এতে। সবাই দেখে খাচ্ছি, বেড়াচ্ছি, ঘুমাচ্ছি। কিন্তু ওসবের মাঝেও আমি যে মনে মনে চর্চ্চা করে যাচ্ছি, সেটা কি আর তাঁরা বোঝে?
একই কথা বলেছিলেন ব্রততি বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
দারুন না ব্যাপারগুলো? (সম্পাদিত)
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.
নূপুর । আমার সদস্যপদ সচল হবার আগে এটাই ছিলো আমার একমাত্র সিসিবি পাঠ ও শ্রবণ ।
তখন মন্তব্য পর্যন্ত আসার সুযোগ হয়নি ।
পাঠটি ভীষণ ভালো লেগেছে । ভীষণ ।
চেনা কবিতাগুলো পাঠ করতে দুঃসাহস লাগে ।
কারণ মনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পাঠটির অনুরণন সব সময় থেকে যায় । আর তাকে অতিক্রম করা না গেলে ভালো লাগার অনুভূতিকে তেমন দ্যোতনায় নাড়া দেয়া যায় না । তোমাকে কুর্ণিশ । তোমার পাঠকে কুর্ণিশ । তুমি একটি পাঠ শ্রবণের পরিপূর্ণ আনন্দ দিয়েছো । এমন আরো পাঠ শোনবার প্রত্যাশায় ।
লুৎফুল ভাই,
এত্ত এত্ত প্রশংসা পাবার যোগ্যতা আমার আসলে হয়নি। তবু আপনাদের এমন স্নেহমাখা প্রশ্রয় আমাকে উদ্বেলিত করে, আবেগপ্রবণ করে ফেলে।
আরও আরও পাঠ করবো নিশ্চয়ই, না করে কি আর থাকতে পারবো?
::salute:: ::salute::
অনেকদিন পর আবার শুনলাম।
আবারও ভাল লাগলো...
Do not argue with an idiot they drag you down to their level and beat you with experience.