হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।
চারিদিকে ঔৎসুক্যের অভাব ছিলনা, সবারই
জিজ্ঞাসা, কি লিখি? সহাস্যে এক কথাই বলতাম,
ঐকিক নিয়মের এক কঠিন সমাধান খুঁজছিলাম!
কথাটা সবাই বিশ্বাস করতো, কেবল তুমি ছাড়া!
এর পর জীবনে অনেক নাম এসেছে আর গেছে,
আর কারো নাম তেমন করে আঙুলে ভাসতোনা।
এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে, পকেটে হাত রেখে
সে নাম লিখার কথা, সেই বায়বীয় স্বাক্ষরের কথা।
ঢাকা
১৫ মার্চ ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সুপারমুগ্ধ এবং অপারমুগ্ধ!
এত মুগ্ধতায় যারপরনাই অনুপ্রাণিত।
কড়া, কড়া! :boss:
ক্যাডেট রশীদ ২৪তম,প ক ক
অনেক ধন্যবাদ, মামুন।
:boss: :boss: :boss: :boss:
উপুরঝুপুর রোমান্টিকতা দেখিগো!
একসেলেন্টো, কবি!
কিশোর বয়সে এমন কত কি হয়ে থাকে! তবে স্মৃতি মধুময়।
🙂 🙂 🙂 🙂
কবিতায় শৈশব, কৈশোর, বার্ধক্য বলে কিছু নেই কবি! কবিতা মানেই যৌবনের জয়গান! পে্রমেও তো তেমনি। সব প্রেমই তো প্রথম পে্রম। আর প্রেম মানেই তো তারুণ্যের কথকতা!
কৈশোরের প্রেমগুলো ঠিক প্রেম থাকেনা। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো থাকে কতকটা infatuation এর মতো। Short lived passion, that leaves behind long lasting impression.
🙂 🙂 🙂 🙂
বাহ, বেশ কোমল-মধুর স্মৃতিচারণ!
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
মানুষের জীবনে কিশোর বয়সটাই কেমন যেন স্বপ্নমাখা থাকে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হাওয়ায় বিলি কেটে কেটে তোমার নাম লিখা,
কিশোর বয়সে আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
হঠাৎ কেউ দেখে ফেললে অতিশয় লজ্জা পেতাম,
আঙুলটাকে টুপ করে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতাম।
স্যার, এই চারটি লাইন লেখার পর আর সারাজীবন কিছু না লিখলেও চলে। অসাধারণ।
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
বাব্বাহ! এর পরে আর কীই বা চাওয়ার থাকতে পারে!
অনেক ধন্যবাদ, সাইদুল।
একদম । :clap: :clap:
দুর্দান্ত ! দুর্দান্ত !
আহা ! আহা !
ভাবনা রূপক আর কথার বুনন যেনো মুক্তো দানার জ্যোতি আর
হীরক দ্যুতিতে ঠিকরে আসছে
আবেগের গভীর কোলাজে ।
আর কি বলবো। এমন প্রশংসায় আপ্লুত হয়ে গেলাম।