জনৈক ভাই,নাম বললে মাইন্ড খাইতে পারেনঃ
এই ভাইয়ের নাকি একটা বালতি ছিলো,রোজ গেমসের পরে লুঙ্গি পরে,হাতে বালতি নিয়ে পুরো হাউজ রাউন্ড দিতেন,আর জুনিয়ররা নাকি মসজিদের দান-বাক্সের মত সেইখানে কুপন ফেলত।এই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ হয়নি,কিন্তু কালে কালে উনার খ্যাতি ডালপালা গজাতে গজাতে ছড়িয়ে পড়েছে সবগুলো ব্যাচের মধ্যে।
পরের কাহিনীও একজন সিনিয়র ভাইকে নিয়ে,কাহিনীর সত্যতা মোটামুটি ভেরিফাইডঃ
পিসিসি’র একটা ঐতিহ্য আছে,এখানে কোন ব্যাচ দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যারা টেবিল লীডার হতে যাচ্ছে,তারা স্বচ্ছ ও নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক হাউজ প্রিফেক্টের তত্ত্বাবধানে নিলামের মাধ্যমে তার টেবিলে কোন কোন জুনিয়র বসবে,তা ঠিক করে নেয়।জমাকৃত সকল অর্থ দিয়ে পরবর্তীতে ব্যাচের পক্ষ থেকে হাউজকে উপহার কিনে দেওয়া হয়।সুন্দর ট্রেডিশান।তো আমাদের কাহিনীর নায়ক ভাইয়া,দ্বাদশ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পরে পিতার কাছে টাকা চাহিয়া পত্র লিখলেন,”বাবা,ক্লাস টুয়েল্ভকে টেবিল কিনতে হয়,তাই বেশি করে টাকা পাঠায়ে দিয়ো।”উনার পিতা অতশত বুঝিতেন না,উনি পত্রের উত্তর পাঠালেন,
“বাবা,৫০০০/- পাঠাইলাম,ভালো দেখে টেবিল কিনিও।পারলে সেগুন কাঠের কিনিও”
(চলবে)
:boss: :boss: :boss: বাবা
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
আমাদের সেনাবাহিনী তে ক্ষুদ্রাস্ত্র পরিষ্কার করতে বাঁশের কঞ্চি বিশেষ ব্যবহার করা হয় যাকে আমরা বলি, "চ্যাম্বার স্টিক। "
এক বিএমএ ক্যাডেট তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরতে যাবার টাকা ম্যানেজের জন্য পিতাশ্রীকে বললো, "আব্বা, চ্যাম্বারস্টিক কিনতে হইবে। মূল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা। "
=)) =))
চলো বহুদুর.........
একি কয়?! তাই বইলা ১৫ হাজার টাকা?! :no:
ব্র্যাকে পড়ার সময় আমার ব্যাচমেট ছিল ফাবিহা। টাকা মাইরা দেয়ার জন্য রেজাল্ট ভাল করতো। কারণ তাতে ওয়েইভার পাওয়া যায়। সেই টাকাটা মাইরা দিত! 😐
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
ভালোই তো মোকাব্বির ভাই,গঠনমূলক চৌর্যবৃত্তি 😉
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
পোলাপান তারে বলতো একটা ছাত্রীর ভাল করার অনুপ্রেরণা টাকা মারা, এইটা না দেখলে বিশ্বাস করতাম না! :))
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
আমি এইচএসসির পরে ইউসিসিতে ভর্তি হইছিলাম,কারণ ওরা ক্যাডেটদের ৫০% ডিস্কাউন্ট দিত,কিন্তু রিসিটে পুরোটাই লিখতো।এক ধাক্কায় ৪৭০০/-টাকা ইনকাম 😉
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
চেম্বার স্টিক, উইপন ক্লিনিং হ্যাঙ্কি ইত্যাদির জন্য টাকা চাইয়া পিতার নিকট পত্র লেখা ক্যাডেটকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। 😛
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
"আব্বা, চ্যাম্বারস্টিক কিনতে হইবে। মূল্য মাত্র ১৫ হাজার টাকা।
:brick: :khekz:
“বাবা,৫০০০/- পাঠাইলাম,ভালো দেখে টেবিল কিনিও।পারলে সেগুন কাঠের কিনিও”
:pira2: :khekz:
দূর্দান্ত :khekz: :khekz: :khekz:
তবে একটু মনে হয় ছোট হয়ে গিয়েছে, বেশ কয়েকটা জমিয়ে একসাথে দিলে ভাল।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে, করি বাংলায় হাহাকার
আমি সব দেখে শুনে, ক্ষেপে গিয়ে করি বাংলায় চিৎকার ৷
বেশি লিখতে টায়ার্ড লাগে ভাই,কাহিনীর তো শেষ নেই।এরপর থেকে ট্রাই করবো।
যাহা বলিব,সত্য বলিব,সত্য বৈ মিথ্যা বলিব না
সেগুন কাঠের টেবিলের আসলেই অনেক দাম :guitar:
মুক্তি হোক আলোয় আলোয়...
হর্স, বীম কেনার জন্য পিতার কাছে পত্র লেখা জিসির সংখ্যাও নেহাত কম না =)) =))
তিতুমীর হাউসে ছিলেন এমনি এক বড়ভাই। নিরীহ গোবেচারা এবং সাধাসিধা মাউষ। উনার তেমন কোন চাহিদা ছিলোনা, শুধু একটা জিনিস ছাড়া। সেটা হল, ডাইজেস্টিভ বিস্কিট। প্রায়ই সেভেন এইটের রুমে হানা দিতেন ডাইজেস্টিভের জন্য... :))
রঞ্জনা আমি আর আসবো না...
এক কলেজ প্রিফেক্ট ছিলেন। তাহারও একটাই দাবী ছিল। ডাইজেস্টিভ বিস্কিট।
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য
ডাইনিং হলের টেবিলটা পাল্টিয়ে একটা সেগুন কাঠের টেবিল নেয়া যেত।
চরম। :khekz:
মানুষ* হতে চাই। *শর্ত প্রযোজ্য