১
আমি ব্লগ লিখি। এবং বইও লিখি। ব্লগে ব্লগর ব্লগর করি আর বইয়ে ফিকশন লিখি। সেই ফিকশন পড়ে আমার স্বল্প পরিচিতরা মনে করেন আমি আসলে আমার জীবনকাহিনী লিখছি। পরিচিতরা কিছু বলেন না। কারণ তারা আমার বই পড়েন না। পড়লেও এখন চুপচাপ থাকেন। একজন-দুজন ছাড়া। এর পেছনে একটা কারণ আছে। আমার প্রথম উপন্যাসে এক-দুবার হয়তো প্রকৌশলীদের ঘুষ খাওয়ার কথা উল্লেখ করেছিলাম। আমার পরিবার একটি প্রকৌশলী-অধ্যুসিত পরিবার। সেই ব্যাপারটি অনেকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে মনে করল। এতে আমি খুব বিপদে পড়ে যাই। রাজনীতিবিদদের নিয়ে কোন কটু কথা লেখা যাবে না, প্রকৌশলী তথা পেশাজীবিদের নিয়ে ভালো ভালো কথা লিখতে হবে – তাহলে আমার লেখার স্বাধীনতা থাকল কই? এরকম শর্তসাপেক্ষে লিখতে গেলে তো তা শুধু লেবুর শরবতে পরিণতে হবে। এই নিয়ে বরের সাথে আলোচনা করতে বসলাম। ভরসা আছে যে সে আমাকে একটি ভাল পরামর্শ দিতে পারবে। তার অন্যতম কারণ সে আমার লেখা একটি অক্ষরও এখন র্পযন্ত পড়েনি। উপরের (বৌএর) নির্দেশ আছে। কারণ সেই নির্দেশদাতা মনে করেন যে এতে নতুন করে কোন দাম্পত্যকলহের ক্ষেত্র তৈরি হবে না। তা সব শুনে বর উপদেশ দিল যে লেখার মধ্যে সবসময় একটা দুখী-দুখী, বিষন্নভাব বজায় রাখতে। আমি বললাম কেন? সে বলল যে সেই সিরাজুদ্দৌলা থেকে এখন র্পযন্ত আমরা সবসময় পরাজিত হিরোদের পছন্দ করে এসেছি। আমিও চিন্তা করে দেখলাম কথাটা শতকরা একশত ভাগ সঠিক। প্রতিটি ক্ষেত্রেই। আমরা সেইসব লেখক আর বুদ্ধিজীবিদের পছন্দ করি যাঁরা পরাজিত হিরোদের মহিমান্বিত করে লেখেন। আমাদের মনে করাতে বাধ্য করান যে সেইসব পরাজিত হিরোরা জিতে গেলেই কেল্লা ফতে হয়ে যেতে পারতো। আমার চিন্তাভাবনা খুব সোজা-সাপ্টা। যে যোদ্ধা আজকের যুদ্ধেই জয়ী হতে পারলেন না, সে কী করে কালকের যুদ্ধে জয়ী হবেন? বর তা শুনে হায় হায় করে উঠে। বলে, ‘এসব লিখলে দুদিন পর কেউ তোমার লেখা পড়বে না, তখন আমার কাছে কান্নাকাটি করতে আসবে।’ ‘আমি কোনদিন তোমার কাছে কান্নাকাটি করতে এসেছি?’, বলেই একটা ছোটখাট দাম্পত্য কলহ শুরু করলাম। এবং সেই কলহে জিতবার জন্য আমি মনে করতে শুরু করলাম বিয়ের প্রথম বছর থেকে আজ র্পযন্ত কোন কোন দিন সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে। কলহে জিতলে গেলে কিছু বিষন্ন সময়ের স্মৃতি মনে করা দরকার।
সুতরাং বিষন্নতা সবসময়ই খারাপ নয়। তাই বলে কোন পরাজিত হিরোকে মহিমান্বিত করাও আমার আদর্শ নয়। এ বিষয়ে অনেকে লিখবার আছেন তাঁরা তা লিখবে। আমি স্বপ্নের কথা লিখব, আনন্দের কথা লিখব। আমি নিজে সুখের সন্ধান করি, আমি আমার সেই ভ্রমণের কথা লিখব। আমার যদি লেখা ছাড়তেই হয় তবে তার কারণ হবে ভিন্ন। এই যেমন শুরু করলাম প্রচ্ছদের কথা লিখব বলে, অথচ প্রথম প্যারার অনুচ্ছেদ শেষে দেখলাম দাম্পত্যকলহের কথা লিখেছি।
এই জীবনে আমার আর টু দ্য পয়েন্ট থাকা হলো না।
২
কম্পিউটারে স্কুলের বাচ্চাদের কী কী শেখানো যায় সেটি খুঁজতে গিয়ে আমি মালটিমিডিয়ার বিভিন্ন টুলের (সফ্টওয়্যার এপ্লিকেশন) সাথে পরিচয় হই। এসব নিয়ে খেলতে গিয়ে আমার সত্যজিৎ রায় হবার ইচ্ছা জাগে। অনেকে হয়তো মনে মনে ভাবছে শখ কতো। আমি আগেই বলেছি আমি স্বপ্নবাজ মানুষ। তাই আমার শখেরও কোন কূল নাই কিনার নাই। সত্যজিতের মতো হতে চাওয়া মানে বইয়ের প্রচ্ছদ করবার ইচ্ছা। রুম্মানকে অনেকে চিনবে হয়তো। সে সিসিবিতে কয়েকবার নিজের আঁকা ছবি পোস্ট করেছিল। আমি ওর ছবির ভক্ত। ফেসবুকে রুম্মানের এ্যালব্যামে একটা ফটোগ্রাফ দেখে আমি স্তভিত হয়ে পড়ি। ছবিটা রুম্মানের স্ত্রী লিমার। কোণাকোণিভাবে দূর থেকে তোলা। লিমা মাথা উঁচু করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। যেদিকে তাকিয়ে আছে সেখান থেকে অনেক গাছপালার ভীড়ে একটু একটু র্সূযের রশ্মি ঠিকরে পরছে। ছবিটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আমি রুম্মানকে বললাম এই ছবিটা আমার বইয়ের প্রচ্ছদে ব্যবহার করব। রুম্মান ভদ্রছেলে। হয়তো ওর স্ত্রীর সাথে কথা বলেই সম্মতি দিল। ছবিটার উপর আমি কিছুটা ফটোশপের জ্ঞান ঝালাই করলাম। এবারে আমার উপন্যাসের নাম ‘ঘরট্ট’। এর মানে হলো যাঁতাকল – পেষণযন্ত্র। এটি আগের উপন্যাস বিতংসের পরের পর্ব। বিতংসের প্রেক্ষাপট শেষ হয়েছিল ১৯৮১ সালে। ঘরট্টের সময়কাল ১৯৮১ থেকে ১৯৮৮ সাল র্পযন্ত। মূল চরিত্র দেয়া তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। পুরো সময়টাই একটা যাঁতাকলের মতো ছিল। কেউ আমাদের পিষছে তো পিষছেই – ঘটঘট করে একই তালে ঘুরছি তো ঘুরছিই। তারপরও এককোণ থেকে ঠিকড়ে পরা র্সূয রশ্মি আমাদের স্বপ্নস্নাত করে। আমরা মনের আনন্দে দুঃসময়কে বরণ করে সুসময়ের আশায় দিন গুণতে থাকি। আর দেয়ার গল্প মানেই তো বেঁচে থাকার গল্প, আশার গল্প, স্বপ্নের গল্প। তো রুম্মানের স্ত্রী লিমার ফটোগ্রাফটার উপর ভিত্তি করে একটা প্রচ্ছদ করলাম। পেছনের ব্যাকগ্রাউণ্ডটা বদলে দিলাম। ঘরট্ট বোঝানোর জন্য একটা ঘোরালো-প্যাচালো, দেখলেই মাথা ঘুরঘুর করে এমন একটা আবহ তৈরি করার চেষ্টা করলাম। তারপর সেটা অনেককে দেখালাম। রুম্মান এক কথায় বলল, ঠিক আছে। এর বেশি কিছু নয়। বুঝতে পারলাম না যে আসলেই এটা ওদের পছন্দ হয়েছে কিনা। আবার কেউ কেউ বলল মাথা ঘুর ঘুর করছে। প্রকাশক বলল, তাঁর তেমন পছন্দ হয়নি – কিছুটা আশির দশক টাইপ হয়ে গেছে। একজন বলল সে এ্য্বষ্ট্রাক্ট প্রচ্ছদ পছন্দ করে। যেমন বিতংসের প্রচ্ছদ তার খুব ভালো লেগেছিল। অতঃপর আমি সামিয়ার সরণাপন্ন হলাম। কারণ আমার বেস্ট প্রচ্ছদ চাই। প্রচ্ছদের ব্যাপারে আমি খুব খুঁতখুঁতে।
৩
সামিয়া হানিমুন করে বেড়াচ্ছিল। সদ্যই দেশে এসেছে। প্রথমে সামিয়াকে পাণ্ডুলিপি পাঠালাম। কারণ ওর মতামত আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তার বিতংস’পাঠ আর সমালোচনার ভিত্তিতে আমি কিছুটা পরিবর্তন করেছিলাম। এ ব্যাপারে আমিনও আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল। আমিনের কথায় পরে আসছি। আপাতত প্রচ্ছদ নিয়ে কথা বলি। সমালোচনার ক্ষেত্রে এরা বেশ সৎ। যাইহোক সামিয়ার মতামতটা আর পেলাম না। আমিও আর সাহস করে ওকে জিজ্ঞেস করি না। সরাসরি প্রচ্ছদ করতে অনুরোধ করলাম। সামিয়া সেটা করে দিল। তখন জানলাম সে বইটা পড়েছে। যথারীতি সামিয়ার প্রচ্ছদ দেখে আমি খুব খুশী। মনটা ভালো করে দেয় এমন সব রঙ্গের বাহার। সেও বলল দেয়ার চরিত্রের সাথে রংগুলোর মিল আছে। এই কথাটাতে আমি খুব খুশী হয়ে যাই। কারণ আমি দেয়াকে এমন একটা ইমেজই দিতে চেয়েছিলাম – সময় যতই খারাপ থাকুক না কেন, দেয়া মানেই আনন্দ, উৎফুল্লতা, আশার আলো (তবে আশরাফুল নয়)। এবারের প্রচ্ছদ দেখে প্রকাশক বললেন, এইটা একটু প্রবন্ধের বইয়ের মতো লাগছে। আমি ভাবলাম প্রকাশকের কাছে নিশ্চয় খুব ভালো উৎস আছে। নইলে উনার কিছুই পছন্দ হয় না কেন? সে আশাতে এবার আমি পুরোপুরি উনার উপর ভরসা করলাম। উনি আর আমাকে প্রচ্ছদ দেখতে দেন না। বই একদম প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর ফেসবুকে ট্যাগ করে দিলেন।
৪
সেই প্রচ্ছদ দেখে আমার খাওয়া-দাওয়া বেড়ে গেল আর রাতের ঘুম বন্ধ হয়ে গেল। এইসব হচ্ছে আমার হতাশ সময়ের লক্ষণ। বর দেখে জিজ্ঞেস করে, কি হয়েছে?
নিজের লেখা নিয়ে বরের সাথে আর কোন কথা বলব না বলব না করেও ফেসবুক খুলে বরকে বইয়ের প্রচ্ছদ দেখতে দিলাম। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেমন হয়েছে?’
বর খুব উৎফুল্ল স্বরে বলল, ‘ও, তাহলে তুমি এবার সাউথ আমেরিকা নিয়ে লিখেছো? মনে হচ্ছে একটা লোক ট্র্যাপে পড়ে গেছে। সে কি ড্রাগ ডিলার?’
তারপর আবার একটা ছোটখাট দাম্পত্য কলহ শুরু করলাম। এবং সেই কলহে জিতবার জন্য আমি মনে করতে শুরু করলাম বিয়ের প্রথম বছর থেকে আজ র্পযন্ত কোন কোন দিন সে আমাকে কষ্ট দিয়েছে। যুদ্ধে জিতবার জন্য যেমন প্রেরণার দরকার হয়, ঠিক তেমনি কলহে জিতবার জন্যও কিছু বিস্বাদময় স্মৃতির প্রয়োজন হয়।
এখানেই শেষ নয়। প্রকাশককে ফোন করে বললাম, ‘আমার উপন্যাস একজন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। আপনি প্রচ্ছদের মধ্যে একটা উড়ন্ত লোক বসিয়েছেন কেন?’
‘এটাই এখনকার আধুনিকতা —‘ ভদ্রলোক কী কী জানি বললেন। আমি আর সেসব কথা কিছু শুনলাম না। যেটা বুঝলাম সেটা হলো আশা যদি বড় থাকে তবে সেটা আরেকজন পূরণ করে দেবে এমন ভাবাটা বোকামী। আরও বোকামী নিজের বইয়ের প্রচ্ছদের সমালোচনা করা। তারপরও আমরা কিছু বোকামী করে থাকি। কারণ এটাই আসলে আমাদের মনের এই একটি বিশেষ সময়ের স্বচ্ছ এবং স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ।
পাঠক আপনাদের সাথে প্রচ্ছদগুলো শেয়ার করলাম। প্রচ্ছদের বিবর্তন বোঝাতে।
১ম 😀
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
তোমারটাই সেরা
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
মোস্তাফিজ ভাই শিল্পের মধ্যে কোন তুলনা হয় না। আপনি আর আমি কাছাকাছি সময়ের - তাই আমাদের পছন্দটা সেই আশির দশক আর নব্বই দশকের ফিগারেটিভ যুগেই রয়ে গেছে। ২০০০ সালের পর ওদের সাথে আমাদের পছন্দটা অতো মিলবে না। যেমন সামিয়াটা কন্টেমপোরারি এবং কালার কম্বিনেশন ফিলিং বেস। আমরা এই এবস্ট্রাক্ট যুগের সময়কার নই। আমি এখন আমেরিকাতে অধিকাংশ বইয়ের প্রচ্ছদে দেখি টেক্সকে প্রাধান্য দেয়। সবকিছুর ফয়াশনের মতো প্রচ্ছদেরও একটা ফ্যআশন সীজন আছে।
ধন্যবাদ।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
প্রথম দুটো প্রচ্ছদ বিশেষ করে উপন্যাসের বিষয়বস্তুর জানার পরে সামিয়ারটা দেখলাম। তারপরে চূড়ান্ত প্রচ্ছদ দেখার পরে মাথায় ইংরেজীতে একটা কথাই আসলোঃ what on earth is that?! অ্যাব্সট্র্যাক্ট আর্ট কি, আর্টই বুঝি নাঃ উপরের বিষয়বস্তু না দেখলে লেখাটা দক্ষিণ আমেরিকা নিয়ে কিনা সেটা আমিও চিন্তা করতাম।
\\\তুমি আসবে বলে, হে স্বাধীনতা
অবুঝ শিশু হামাগুড়ি দিল পিতামাতার লাশের ওপর।\\\
🙁 -আমার দুঃখের কথা হলো মানুষের ফিগারই যখন দেবে তখন কেন একটা ছেলের ফিগার দিল - গল্পটা তো মেয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা। ধন্যবাদ কমেন্টের জন্য।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
২| আমি বর্ণান্ধ
৩| উড়ন্ত মানুযষ**ন্দি ভরটেক্সের @অভিকেন্দ্রে
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
🙂
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তাপু,
উপরে কোট করা প্রথম দুটো লাইন পড়ে বেশ মজা পেলাম।
৩য় লাইনটা কেন যেন মাথার ভেতরে ঘুরপাক খেয়েই যাচ্ছে।
প্রচ্ছদ নিয়ে আমার অত বেশি মাথাব্যথা নেই। যেটাই দেখি সেটাই ভাল লাগে, এমন একটা অবস্থা আর কি!
তবে টাইটেলটা অনেক পছন্দ হয়েছে। শব্দটার সাথে আমি আগে পরিচিত ছিলাম বলে মনে হয় না। মনে হয় নতুন কিছু শিখলাম।
আজকে ক্লাস নিতে গেলে নতুন শেখা শব্দটা নিয়ে একটু ভাব নিলে কেমন হয়? 😀 তবে ভাব নিলেও কপিরাইট আপনারই থাকবে।
আপনার লেখালেখি চলতে থাকুক। শুভকামনা :clap:
চ্যারিটি বিগিনস এট হোম
মজা পেলাম।
লেখালেখির বিষয়টা বেশ মজার। সুযোগ দিলে মাথার উপর চড়ে বসে। তাই ভেবেছিলাম যেই ক্ষেত্রটা নিয়ে লিখতে বেশি কষ্ট হয় সেই ক্ষেত্রটাতে সময় দিব। উপন্যাস হচ্ছে এমন একটি ক্ষেত্র। একই সাথে কল্পনা, পর্যবেক্ষণ, আর প্রচুর পড়াশোনা। কারণ নতুন কিছুর সাথে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দিতে না পারলে কিসের কী?
যখন কষ্টটার কথা ভাবি তখন মনে হয় এই লেখালেখিটা না থাকলে কী আমি আরও ভাল থাকতে পারতাম নাকি লেখালেখি আমাকে আরও ভাল থাকতে সাহায্য করছে? উত্তর পাইনি।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
পোলাপান মানুষ আমি। অতশত বুঝি না। আমার প্রথম প্রচ্ছদটাই ভাল লাগছে। 😛 😀
আর আপা, আজকে বই কিনতে যাচ্ছি কিন্তু... 😛
... কে হায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালবাসে!
ওকে বিফলে মূল্য ফেরত --- 🙂
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
ঘরট্ট শব্দটার মানে জানতামনা।
প্রথম পর্বই পড়িনি তো।
আমার শেষ ফেসবুক মেসেজের জবাব না পেয়ে দুঃখ পাইসি। 🙂
জবাব দিই নাই - এত্তো খ্রাপ আমি। আসলে বোধহয় বুঝি নাই আপনে প্রশ্ন করছেন। আপনার শব্দগুলো কেমন জানি কবিতা কবিতা লাগে।
আপনি বই পড়ে রিভিউ না দিলে শান্তি পাই না। বই উপহার পাঠাতে চাইলেও বাহানা করেন।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
বাহানা উইথড্র করলে 'উপহার' পর্যায়ে ফেরত যাওয়া যাবে? 😛
যাবেঃ)
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এইটা আমার ৭৩তম পোষ্ট। আর দুইটা লিখলে পরেই ৭৫টা পোষ্ট হয়ে যাবে।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
আপা ভাল হইসে তো প্রচ্ছদটা, আপনি এত মন খারাপ করতেসেন কেন। আমারটা আসলেই প্রবন্ধ প্রবন্ধ হয়ে গেসিল। :p
তুমি কোথায়? মন খারাপের বিষয়টা লিখে ফেলার পর মনটা ভাল হয়ে গেছে। তবে এখনও প্রচ্ছদটার দিকে তাকালে সাউথ আমেরিকা আর ড্রাগ ডিলারের কথা মনে হচ্ছে। যাই হোক সব কিছুই যে ভাল লাগতে হবে তা তো নয়। তোমার ভাল লাগছে শুনে ভালো লাগল।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
এক প্রচ্ছদের পেছনে এত কাহিনী ?? 🙁
যাই হোক , আমার কাছে সামিয়া আপু র করা প্রচ্ছদ টা বেশি ভালো লেগেছে। একটু অন্যরকম। শেষের টা একটু গতানুগতিক। হুমায়ুন আহমেদের বই প্রচুর পড়েছি কৈশোরে। হিমুর বেশির ভাগ উপন্যাস এর প্রচ্ছদের সাথে শেষের প্রচ্ছদ টার একটা প্রচ্ছন্ন মিল খুঁজে পেলাম কেন জানি। পার্থক্য হলো ওই প্রচ্ছদ গুলো তে প্রচ্ছদের ওই মানুষ টাকে একটা হলুদ পাঞ্জাবি পরিয়ে দেওয়া হয়। প্রকাশক সাহেব বোধহয় কোন এক্সপেরিমেন্ট না করে সেফ জোনে হাঁটার চেষ্টা করেছেন।
তোমার বইটা কিনি নাই এখনো।কিনব।পড়ে বলি কোন প্রচ্ছদটা ঠিক।
(বিশেষ এক সমঝদার এসেছেন শহরে 😛 )
আমি চোখ মেললুম আকাশে
জ্বলে উঠলো আলো পূবে পশ্চিমে