ক্যাডেট তাজনোভা হক….আমাদের ব্যাচমেট নোভা। কখনো ওকে নিয়ে কিছু লিখব ভাবিনি। কারণ ওর প্রসঙ্গে এমন কিছু কথা চলে আসবে যা বলার মত অবস্থানে (!!?) হয়তবা আমরা নেই।
নোভা দোস্ত….মাফ করে দিস। তোকে যে জাহান্নামের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল সেটা আমরা ৪৫ জন খুব ভালভাবে জানলেও ভুলেই ছিলাম সবকিছু। কারণ মনে রাখলে অনেক কিছুই যে মনে পড়ে যাবে!!
মনে পড়বে ১২/১৩ বছরের একজন কিশোরীর উপর কতটা নির্দয় ছিল তার সময়,তার চারপাশের মানুষগুলো… আর তার স্বপ্নের(!!!?) ক্যাডেট কলেজ। মনে পড়বে কতটা নির্মমতার সম্মুখীন হলে এত ছোটবয়সে নিজেকে শেষ করে দিতে বাধ্য হয় আমাদের বন্ধুটি। মনে পড়বে ওর মৃত্যুকে ধামাচাপা দেয়ার, নিজের গা বাঁচানোর জন্য সেই মানুষগুলোরই (এমনকি আজও!!) কি প্রানান্ত চেষ্টা যারাই ওর জীবনটাকে নরক করে তুলেছিল। এবং আরও অনেক কিছুই….তাই ভুলেই ছিলাম। নিজেদের cadet community এর উপর সম্মান রাখি বলেই ওর প্রতি অবিচারের সত্য ঘটনা গুলো বলিনি আজও….
কিন্তু আজ ৭ বছর পর একটা অনুরোধ করতে বাধ্য হলাম…….
**শুধুমাত্র গুটিকতক মানুষ না; ২০০৮ সালে এমজিসিসি তে যারা ছিল তাদের প্রত্যেকেই ওর ওপর অবিচার করেছে । আর নয় । ওর মৃত্যু একটা বেদনাদায়ক সত্য- পরিচিতি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করার মতো কোন ইস্যু নয় । আর ওর সাথে যা যা হয়েছে তা আমাদের ৪৫ জনের চেয়ে ভালো কেউ জানে না । যদিও তখন আমরা ওর জন্য কিছু করতে পারিনি, কিন্তু এখন আমরা আর ওর প্রতি কোন ভুল, অন্যায় হতে দিতে পারি না । সুতরাং আবারো অনুরোধ করছি, ওর আত্মাকে যথেষ্ট অসম্মান করা হয়েছে। আর নয় ।** 🙂
ব্লগে স্বাগতম।
নিজের নামটা বাঙলায় করে দাও।
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
তোমার কথাগুলো খুব খুব মনে গেঁথে গেল। বিশেষ করে, ওইসব বাক্যপুঞ্জ, দুই তারকাচিহ্নিত যাঁদের এপিঠ-ওপিঠ।
পুরনো ক্ষতে প্রলেপ বুলোনোর চাইতে বেশি প্রয়োজন তার উপশমের। সেক্ষেত্রে ক্ষতটার পরিচয় বা ক্ষতসৃষ্টিকারীদের জাত-উদ্ধারের চাইতে বেশি প্রয়োজন পুরো সিস্টেমটাকে সারিয়ে তুলবার জন্য একযোগে সহায়ক হয়ে ওঠা। ক্ষতসৃষ্টিকারীদের প্রত্যেকেই কোন না কোন পরিস্থিতির ক্রীড়ানক, এ কথা বিস্মৃত হলে ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে ব্যক্তিগত প্রতিশোধের রাস্তাটাই প্রশস্ত হয় মাত্র, সমাধান মেলে না।
দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ
আগেও লিখেছি। আবারো লিখছি। প্রতিটি ক্যাডেট কলেজে অন্ততপক্ষে একজন সাইকোলজিস্ট থাকা প্রয়োজন। শিক্ষকদের প্রত্যেকেরই চাইল্ড/টিন এজ সাইকোলজির উপর প্রশিক্ষণ থাকা প্রয়োজন।
:thumbup:
পুরাদস্তুর বাঙ্গাল
:thumbup:
আপু, তোমার লেখাতই অসমাপ্ত কেন? মনে হল খুব দুঃখবোধ থেকে জেগে উঠা কঠিন রাগ দমাতে এই লেখাটি লিখেছ। কিছু বলতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত আর বলনি। হয়তো কোন এক সময় এই নিয়ে আরও লিখবে। ভালো থেক।
“Happiness is when what you think, what you say, and what you do are in harmony.”
― Mahatma Gandhi
শান্তাপা, আমারও একই রকম মনে হল...
যাই হোক, ছোট আপু, এসব ব্যাপার যত শেয়ার করবে- ততই মন হালকা হবে...
নোভার আত্মা এবং তোমাদের মনের শান্তি কামনা করছি...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
এই ভাবে দুঃখ আর ক্ষোভের ক্ষরণ থেকে আমরা যেন প্রতিরোধ আর ঊপসমের খুঁজে পাই .
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
নাবলা কথাগুলো যেন স্নায়ু অবশ করে দিয়ে যায়!
প্রতিরোধ আর উপশমের পথ খুঁজে পাই
যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান
আমাদের ভুলগুলো যদি শেখায় পথ শোধরাতে ভবিষ্যৎ, তবেই ওটা ভুল।
নচেত সেসব কেবলি অর্বাচীন জীবনের মাশুল।
যা শুধু দিয়েই যেতে হয় ক্রমাগত।
সত্যি বলতে পৃথিবীটা বড়ই নিষ্ঠুর। কারো উপর অন্যায়-অবিচার হতে দেখলে তারা চুপচাপ দাড়িয়ে দাড়িয়ে শুধূ দেখেই যায়। তারা বড় কঠিন হৃদয়ের।