রাত ভ’রে বৃষ্টি

আজ সারারাত ভ’রে
অঝোর ধারায় বরষণ হবে ধরনী শীতল করে
শ্রাবণের ধারা সেঁচে
হাসবো-খেলবো-গান গেয়ে যাবো-আমরা বেড়াবো নেচে
মেলে রাখি আঁখি দুটি
বৃষ্টিতে আজ লুটোপুটি হবে, আর হবে ছুটোছুটি
বুকে নেমে এলে মেঘ
আজ নিশ্চিত গলে ধুয়ে যাবে ঘৃণা-কাম-উদ্বেগ
মনে জাগে বড়ো আশা
আজ মুছে যাবে আত্মার দাহ— লালসার ভুল ভাষা
গান গেয়ে বিধাতার
আত্মাকে মোরা শুদ্ধতা দেব— স্নিগ্ধতা আর বার
দ্বিধা লাজ সব ভুলে
মুখ বুক আর শ্রোণি ধুয়ে নেব আমরা বসন খুলে
আদিম মাটির ঘরে
বিজলী আলোতে সংগম হবে— বজ্রের শিৎকারে
দুটি মন পেলে ভাষা
আদিম রমণে পথ খুঁজে পাবে আমাদের ভালোবাসা
প্রভাতের প্রান্তিকে
শিশির স্নিগ্ধ বনের গোলাপ – ফুটে র’বো দিকে দিকে।

(Ahmmed Bulbul Islam রচিত “Black Rains” এর ছায়া অবলম্বনে)

১,৯১১ বার দেখা হয়েছে

১৪ টি মন্তব্য : “রাত ভ’রে বৃষ্টি”

    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      অতিশ্রুত শিরোনাম বেছে নেবার এই এক হ্যাপা। অলোচনা শিরোনামে আটকে যায়, বক্ষ ভেদ করে হৃদয়ের চৌহদ্দিতে শেকড় ছড়াতে পারে না। উপন্যাসটির সাথে বক্ষ্যমাণ লেখাটির কোনই মিল নেই।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
  1. সাইদুল (৭৬-৮২)

    মূল কবিতা না পড়েও পুরো কবিতার স্বাদ পেলাম।
    শুধু বনের গোলাপ দিকে দিকে না ফূটে চারিদিকে ফুটে থাকলে ভালো শোনাত কীনা ভাবছি


    যে কথা কখনও বাজেনা হৃদয়ে গান হয়ে কোন, সে কথা ব্যর্থ , ম্লান

    জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      ভালো শোনাত, সম্পুর্ণতা পেত, কিন্তু এই যে আপনি আপনার মত করে ভাবলেন, তেমন করে ভাবাতে পারতো কি? তাই ক্ষেত্রবিশেষে অসম্পূর্ণতাও মন্দ না। 'দিকে দিকে' বলাতে সেই অসম্পূর্ণতাটুকু তৈরি হয়ছে, 'চারিদিকে' বললে সেটির আর অবকাশ থাকতো না। মন্তব্যে এই ধরণের ভিন্নমত আমার দারুণ ভালো লাগে। এতে করে একটি বিষয় নিয়ে নতুন করে ভাববার একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়, যা শুভফল বয়ে নিয়ে আসে। আপনার এই ধরণের মন্তব্য আরো আরো চাই।


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন
    • মোস্তফা (১৯৮০-১৯৮৬)

      খুব চমৎকার প্রশ্ন করেছ। প্রশ্ন পেয়েই বুঝে গেছি তুমি ছন্দের কাজ মন দিয়ে খেয়াল করেছ। পুরো কবিতাটিই মাত্রাবৃত্তে লেখা।
      মাত্রাবৃত্তে,
      ওপেন সিলেবল সবসময় পাবে ১ মাত্রা।
      ক্লোজড সিলেবল পাবে ২ মাত্রা।
      তাই তো? তবে দেখি,
      (আজ/২ সারা/২রাত/২)=৬ ভ’রে/২
      (অ/১ঝোর/২ ধারায়/৩)=৬ (বর/২ষণ/২ হবে/২)=৬ (ধরনী/৩ শী/১তল/২)=৬ করে/২
      শ্রাবণের ধারা/৬ সেঁচে/২
      হাসবো-খেলবো/৬-গান গেয়ে যাবো/৬-আমরা বেড়াবো/৬ নেচে/২
      অর্থাৎ, প্রথম চরণে ৬ মাত্রার পূর্ণপর্ব, ২ মাত্রার অতিপর্ব। পরের চরণে, ৬ মাত্রার ৩ টি পূর্ণপর্ব, ২ মাত্রার অতিপর্ব।
      তেমনি,
      (বিজ্/২লী/১ আলোতে/৩)=৬ (সং/২গম/২ হবে/২)=৬ (বজ/২রের/২ শিৎ/২)=৬ কারে/২
      জল-কাদার মমতাময়ী পরিবেশে আজন্ম বসবাস করে বাঙালির জিহ্বা পেয়েছে গীতল উচ্চারণের সাবলীলতা। ক্ষেত্রবিশেষে উচ্চারণের আভিজাত্য ত্যাগ করে তাই সে ছন্দের পতন ঠেকায়। তাই যদি তুমি 'বিজ্ লী' না পড়ে ‘বিজোলী’ হিসেবেও পড় তবে সেখানেও তোমাকে তিনটি মুক্তদল ৩ মাত্রা বুঝিয়ে দেবে।
      ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য হলো? (সম্পাদিত)


      দেখেছি সবুজ পাতা অঘ্রানের অন্ধকারে হতেছে হলুদ

      জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।