~~ নাগর – এক ও দুই ~~

[ আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রেম উপাখ্যানটির মূল শিরোনাম “নাগর”। ধরা যাক ওটা হলো গিয়ে গ্রন্থের নাম। তার ভেতর ছোটো ছোটো কবিতাগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে উপস্থাপিত। ]

ক বি তা এ ক

~ জিগাই ~
(নাগরকে উদ্দেশ্য করে গ্রামবাসীর উচ্চারিত প্রশ্ন)

কেউয়া যায়?
কেডায় !

ভাতের জলের লাহান টগবগায় চান্দি
এই রহম আগুইনা রইদ ভাইঙা;

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২২

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাসউদ হাসান
সপ্তম শ্রেণীতে যাঁরা পড়াতে আসতেন, তাঁদেরকে বিষয় বিশেষজ্ঞ না হলেও চলতো। মনে আছে প্রথম দিন কিংবা প্রথম দিকের কোন একদিনে ভূগোলের শিক্ষক জনাব মাসউদ হাসান স্যার এসেছিলেন আমাদের পৌরনীতি পড়াতে। যেহেতু ইংরেজী মিডিয়াম, পৌরনীতিকে বলা হতো সিভিক্স। Civics, Geography এবং History, এই তিনটি বিষয়ের একত্রিত নাম ছিল সোশ্যাল স্টাডীজ। মাসুদ হাসান স্যার ক্লাসে এসে প্রথমে সংক্ষেপে তাঁর পরিচয় তুলে ধরলেন,

বিস্তারিত»

বাচ্চা বাবার মোটিভেশন

FB_IMG_1439935448705

“স্যার, হেরোইন কোকেনের মতোন হার্ডকোর ড্রাগ বাদ দিয়ে আপনি ফেন্সিডিল আর ইয়াবার মতোন সফটকোর ড্রাগ নিয়ে কথা বললেন কেন?” প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী প্রেজেন্টেশনের পর চা পানের সুযোগে ফাতেমী স্যারকে মনের ভিতর উঁকিঝুঁকি মারতে থাকা প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

জবাবে স্যার যা বললেন তার মূল বক্তব্য এরকম: “দেখ, সহজলভ্যতা আর সামগ্রিক প্রভাবের কথা যদি বল তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা অন্যান্য যে কোন ড্রাগের চাইতে বেশি শক্তিশালী ও ভয়াবহ”।

বিস্তারিত»

“ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চেকার” নামক একটা অ্যাপ বিষয়ে কিছু উপকারী প্যাচাল

VAT শব্দটা প্রথম জানতে পাই ক্লাস সিক্সে সাধারণ জ্ঞান বইয়ের এব্রিভিয়েশন সেকশনে। ভ্যালু এডেড ট্যাক্স। কাঠখোট্টা টাইপের জিনিস। তো কথা হলো সিসিবিতে এখন এই ভ্যাট নিয়ে হুট করে লেখার কি দরকার পড়লো? কারন আছে.. ভ্যাট এমনিতেই বেশ হট টপিক ছিল গতমাসে। স্পেশালি শিক্ষাখাতে ভ্যাট যোগ করা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়ে গেল। তবে এই পোস্ট এর ফোকাসটা একটু অন্য জায়গায়। সাম্প্রতিক সময়ে আরো কিছু ব্যাপার আমাদের গোচরে আসছে।

বিস্তারিত»

শব্দহীণ পাথরের শব্দ

আমি পথের পদাবলী ধরে
তোমার কাছে পৌঁছুঁবো,
সে পথও তুমি খোলা রাখোনি ।
হৃদয়ের নিভৃতে ক্ষীণ আশা জাগে
এই বুঝি তোমার সান্নিধ্য পাব,
কিন্তু সে পথের দরজা তুমি খোলনি ।

আমার এই দেহটা যেদিন
অসাঢ় নিথর হয়ে পরে থাকবে
সেদিন তুমি শুধু স্মৃতি হাতড়াবে ।

আজ বরং এই বেচেঁ থাকা মানুষটির দিকে তাকাও
শব্দহীন পাথরের শব্দ শুনতে চেষ্টা করো,
দেখবে পাথর জীবন পাবে, ভালোবাসবে ।

মনে মনে বলি,

বিস্তারিত»

মুক্তি

দু’হাত মেলে দেখছ কি করতল?
দু’হাতে মেখে দিয়েছি ফুলরেণু
নেল্ পালিশ তোলার ছলে
কি তুলে ফেল তুমি?
রক্তের দাগ?

দু’চোখে তাকিয়ে তোমার,
তোমার চোখে দিয়েছি
অপার নীলিমা; স্বপ্নলোক,
কি করে পালাবে তুমি?
অসীমে কেউ পালাতে কি
পেরেছে কখনও?

উষ্ণ চুম্বনে তোমার ফুসফুসে
ভরে দিয়েছি ভালবাসার ঘ্রাণ
তোমার রক্তে ছুটছে আজ তারা
হয়ে দুরন্ত অক্সিজেন।

বিস্তারিত»

গল্পটা আর যে রকম হতে পারতো…(২)

ডাকাতের মতো চাঁদ উঠেছে বাইরে।
ডাকাতের মতো চাঁদ।
কবি বসে আছে বাইরে,লেকের পাড়ে। শীত করছে খুব। কুয়াশা নেই,পরিষ্কার আকাশ। শিশির ঝরছে।

“এইসব জলদুঃখ,এইসব প্রার্থনা
সব ধূয়ে যাবে শিশিরের স্নেহে…

এই লাইনগুলো ফুল স্পীডে ঘুরছে মাথার ভেতর। এর বেশী আগানো যাচ্ছে না। অন্য কবিতা ঢুকে পড়ছে। কবি লাইটার হাতে নেয়, এই কবি সিগারেট খায় না। উইড খায়। উইড মানে গাঁজা।

বিস্তারিত»

কেটলি আছে, চা কই?

কাজের কারণে দেশের নানা জেলায় যেতে হয়। কখনও রেলগাড়িতে, কখনও বাসে, কখনও বিমানে। দু-তিন দিন করে থাকাও হয়। হোটেলে থেকে কাজ করা বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। হোটেলগুলোর স্থাপত্যকলা চমৎকার, থাকার রুমগুলো ঝকঝকে, আসবাবপত্র অপূর্ব, গোসলখানা আরামদায়ক! সুইমিং পুল আছে, শরীরচর্চার জন্য জিম আছে। কোথাও-কোথাও আবার বারও আছে। মনে হয় পারলে হোটেলেই থেকে যাই। ঢাকায় ফেরার দরকার নেই।
তবে প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আপ্যায়নের অভাব। আর এতেই ভাটা পড়ে আমার উৎসাহে।

বিস্তারিত»

দৈবায়ত্তং কুলে জন্ম, মদায়ত্তং হি পৌরুষম্

১.
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি বিরক্তমুখে তার অফিসে বসে আছেন। কিছুক্ষণ আগে একটি চিঠি এসেছে তাঁর হাতে। শ্রীনিবাস রামানুজন নামে এক ভারতীয় তাঁর মতামত জানতে চেয়ে ১২০ টি গাণিতিক উপপাদ্য পাঠিয়েছে। যার সবগুলোই নাকি সে ‘আবিষ্কার’করেছে! হার্ডি প্রায়ই এরকম উদ্ভট চিঠি পেয়ে থাকেন। এটাও সেরকমই হবে হয়তো। চরম বিতৃষ্ণার সাথে তিনি চিঠিটাতে একনজর চোখ বুলালেন।

বেশিরভাগ উপপাদ্যেরই মাথামুন্ডু স্পষ্ট নয়।

বিস্তারিত»

স্নানপর্ব – ৮

ফোঁপালো না?
আধভেজা তোয়ালেটা?

ফোঁস করে ফুলেছে
অভিমান,
বিরহের নরোম তান
গুনগুনিয়ে এগুতে’
ঝপ করে
পড়েছে র‍্য্যাকে –
মরুময়
ধবল ব্যারাকে

জুলুজুলু চোখে
সে-অজগর
অত:পর
শুষে নিতে চায়
তোমার স্নানাবশেষ –
তুলতুলে হরিণছানার মতন
বিন্দু বিন্দু জল

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২১

পকেট মানি’র অবিশ্বাস্য বরকতঃ
প্রতি টার্মের শুরুতে আমাদের অভিভাবকদেরকে আমাদের পকেট মানি বাবদ কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট ৫০.০০ (পঞ্চাশ টাকা মাত্র) পাঠাতে হতো। আজকের দিনে কি এটা বিশ্বাস করা যাবে, যে তিন মাসের জন্য মাত্র পঞ্চাশ টাকা হাতখরচ? অথচ তখন এই ক্ষুদ্র এমাউন্ট থেকেও কিছুটা হলেও বাঁচানো সম্ভব হতো। কোন দুষ্টামির কারণে কিংবা কোন কিছু হারিয়ে ফেলার কারণে কারো কোন মাইনর ফাইন হলে সেটাও এখান থেকে মিটানো হতো।

বিস্তারিত»

আমি আবার সমুদ্রে যেতে চাই

আমি আবার একদিন সমুদ্রে যেতে চাই,
হোক তা রৌদ্র করোজ্জ্বল চকচকে দিন,
কিংবা কোন দুঃখিনী নারীর মুখের মত
মেঘাচ্ছন্ন মলিন, তবু সমুদ্রে যেতে চাই।

সৈকত যেমনই হোক, সমুদ্রে যেতে চাই,
বালুময় কিংবা প্রস্তরাকীর্ণ, সমস্যা নাই।
সৈকত থেকে যদি দূরের কোন বাতিঘর
আমাকে ইশারায় ডাকে, আমি প্রফুল্ল হই।

হোক সে সৈকত ভীড়াক্রান্ত বা পরিত্যক্ত,
তবু আমি আনমনে সমুদ্রে বেড়াতে চাই।

বিস্তারিত»

লজ্জা, লজ্জা, লজ্জা…

ক্ষমতার অংশীদারিত্বে বাংলাদেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীরা এখন আজ্ঞাবহ, ভারবাহী, মেরুদন্ডহীন মানুষে পরিণত হয়ে গেছেন। আমাদের চারপাশে তিন শ্রেণীর মানুষ আছেন যারা আপাত-প্রগতিশীলতার মুখোশে প্রতিক্রিয়াশীলতাকেই লালন করে চলেছেন। কেউ কেউ পরিশীলিত বাচনভঙ্গীর সুকৌশলে, কেউবা নির্লজ্জ-নগ্নতার বেশে, আবার কেউ কেউ আছেন অনেকটা “হতভম্ব-বোকার” মত এই প্র্যাকটিসটি করে চলেছেন…

“আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি
আমি আমার পূর্বপুরুষের কথা বলছি।
তাঁর করতলে পলিমাটির সৌরভ ছিল
তাঁর পিঠে রক্তজবার মত ক্ষত ছিল
কারণ তিনি ক্রীতদাস ছিলেন” *।

বিস্তারিত»

দুটো কবিতা


স্রষ্টা জিজ্ঞাসা করেছিল
“কোন শেষ ইচ্ছা?”
চিন্তায় পড়ে গেলাম,
কোনটা ছেড়ে কোনটা?
সকালের পিটি ফাঁকি নাকি
নাকি এক্সট্রা পরোটা
নাকি চার পিরিয়ড টানা ঘুমিয়ে
মিল্কব্রেকের তাল বরাটা।
যেটা দিয়ে ছুঁড়ো ছুড়ি করতাম-
এপাশ থেকে ওপাশ, এ টেবিল থেকে ও টেবিল।
নাকি আফটারনুন প্রেপের ঘুম নেব
নাকি শুক্রবারের অপশনাল
নাকি জুম্মার পরে ব্লক ক্রিকেটে
মশারীর সূক্ষ্মজাল।

বিস্তারিত»

চিন্তা খেলা করে ২

ট্রেনে যেতে যেতে

ট্রেনে যেতে যেতে অনেক কিছুই মনে পড়ে যায়। সবকিছুই ট্রেন কেন্দ্রিক। ভাবি, রবী বাবুর ‘হঠাত দেখা’ কবিতার মতো দেখা হয়ে যাবে কোন ডুরে শাড়ি পড়া নারীর সাথে। যেতে যেতে কতো যে গল্প হবে আমাদের। তারপর কোন অচেনা স্টেশনে সে নেমে গেলে মনে হবে, ফেসবুক আইডিটা সাহস করে চাইতে পারতাম।

আবার, পথের পাচালির অপু আর দুর্গাকে মনে পড়ে।

বিস্তারিত»