কেমন হতো যদি এমন হতো ????

কিছু কিছু দেখা না হলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু কথা না বললেই বুঝি ভাল হতো ………………
কিছু কিছু স্পর্শও না ছুঁলেই বুঝি বেশি ভাল হত…………

সেসব এর অভাব কি তবে এতটা মরমে মরমে মারতো ????

কিছু কিছু দিন না আসলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু ঘটনা না ঘটলেই বুঝি ভাল হতো ……………
কিছু কিছু অ্যাডভেঞ্চার না করলেই বুঝি বেশি ভাল হতো ……

বিস্তারিত»

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

টু হুম ইট মে কনসার্ন – চল্লিশের আত্মকথন

এটা কেবলমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য একটা জনসচেতনতামূলক লেখা। নিজদায়িত্বে পড়তে হবে এবং লেখার কোন অংশের জন্য লেখককে কোনভাবেই দায়ী করা যাবে না। লেখাটা কিছুটা পুরুষ মানষ থেকে লেখা; নিজের জেণ্ডার এবং বয়সের উপলব্ধির রিফ্লেকশনস মাত্র। এখানে লেখককে জেণ্ডারবিদ্বেষী না ভাবাই স্বস্তিকর, কারন এটা এই লেখাটার একটা বড় দূর্বলতা, আর নিজের দূর্বলতা কেই বা আলোচনায় আনতে চায়?

বিস্তারিত»

হংসধ্বনি — পণ্ডিত রনু মজুমদার

পায়ে পায়ে উঠে আসে জল;
যদিও মৌন সমতল
ছিল আদিতে।
কিসের ঈষৎ স্পর্শে অত:পর
বৃত্তাকার বিক্ষেপ —
বিকেন্দ্র বিচ্ছুরণ!

আলতো চুম্বন ছুয়ে গেলে পাড়
সে কোন পাহাড় হয়ে
নেমে আসে সুর,
ধেয়ে আসে প্রশান্ত গড়ানে
বাঁশরীর হাত ধরে

পায় পায় জল উঠে আসে —
স্পর্ধায় লাফিয়ে লাফিয়ে
পাকিয়ে ওঠে
হাওয়ার প্রবল আহবানে,

বিস্তারিত»

পাহাড়ের দিনলিপি-২

DSC_0529
Good Morning Sunday…সকাল থেকে আকাশ মেঘলা…এই মধ্য কার্তিকে, এই হেমন্তে বৃষ্টি হওয়ার কথা না…কাল দুপুর পর্যন্ত আঝোর বৃষ্টি হয়েছে…ঠিক ভাবে বললে মন্ত্রী আসার আগ পর্যন্ত…অথবা মন্ত্রী বৃষ্টি থামতেই এসেছেন…রেইনকোট পড়ে বৃষ্টিতে হাটতে হাটতে ভেবেছি এই কার্তিকের বৃষ্টি নিয়ে কেউ কবিতা লিখেছেন কিনা…ভেবে পাইনি…রাতে ঘরে ফিরে নেটে ঘেটেছি…পেয়েছিলামও…এখন মনে নেই…তাই অফিসে বসেই খোঁজ করছি…পাচ্ছি না…অস্থির লাগছে…
কাল রাতে কোন কোন পেজ গুলো ব্রাউজ করেছি?

বিস্তারিত»

অভিশাপ….

শক্তিমান লেখক হুমায়ুন আজাদের ওপর নির্মম আক্রমণের পরপরই লেখা এই কবিতাটি। আমার হাতে তখন  “আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম”? ‘আজকের কাগজ’ পত্রিকার সাহিত্য পাতায় প্রকাশিত হয়েছিলো এই কবিতাটি, তখনও তিনি মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন। সেই হত্যাকান্ডের মডেলেই সাম্প্রতিক আর সব চাপাতি হত্যাকান্ডগুলি বাংলাদেশে এখনো জারি হয়ে আছে। কাপুরুষোচিত এই কর্মকান্ডগুলির বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে শক্ত অবস্থান নেয়ার সময় এখনিই।

অভিশাপ

হুমায়ুন আজাদ, আমি আপনার দিকে আর তাকাতে পারিনা;

বিস্তারিত»

সুন্দরবনে বন্য প্রাণির আনাগোনা বন্ধ করা হোক!

পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকায় বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত এই অপরূপ বনভূমি বাংলাদেশের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সমুদ্র উপকূলবর্তী নোনা পরিবেশের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভবন হিসেবে সুন্দরবন বিশ্বের সর্ববৃহৎ অখণ্ড বনভূমি। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার রয়েছে বাংলাদেশে। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি.।

বিস্তারিত»

~~ নাগর – এক ও দুই ~~

[ আঞ্চলিক ভাষায় এই প্রেম উপাখ্যানটির মূল শিরোনাম “নাগর”। ধরা যাক ওটা হলো গিয়ে গ্রন্থের নাম। তার ভেতর ছোটো ছোটো কবিতাগুলো প্রতিটি ভিন্ন ভিন্ন শিরোনামে উপস্থাপিত। ]

ক বি তা এ ক

~ জিগাই ~
(নাগরকে উদ্দেশ্য করে গ্রামবাসীর উচ্চারিত প্রশ্ন)

কেউয়া যায়?
কেডায় !

ভাতের জলের লাহান টগবগায় চান্দি
এই রহম আগুইনা রইদ ভাইঙা;

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২২

আমার শিক্ষকেরাঃ
জনাব মাসউদ হাসান
সপ্তম শ্রেণীতে যাঁরা পড়াতে আসতেন, তাঁদেরকে বিষয় বিশেষজ্ঞ না হলেও চলতো। মনে আছে প্রথম দিন কিংবা প্রথম দিকের কোন একদিনে ভূগোলের শিক্ষক জনাব মাসউদ হাসান স্যার এসেছিলেন আমাদের পৌরনীতি পড়াতে। যেহেতু ইংরেজী মিডিয়াম, পৌরনীতিকে বলা হতো সিভিক্স। Civics, Geography এবং History, এই তিনটি বিষয়ের একত্রিত নাম ছিল সোশ্যাল স্টাডীজ। মাসুদ হাসান স্যার ক্লাসে এসে প্রথমে সংক্ষেপে তাঁর পরিচয় তুলে ধরলেন,

বিস্তারিত»

বাচ্চা বাবার মোটিভেশন

FB_IMG_1439935448705

“স্যার, হেরোইন কোকেনের মতোন হার্ডকোর ড্রাগ বাদ দিয়ে আপনি ফেন্সিডিল আর ইয়াবার মতোন সফটকোর ড্রাগ নিয়ে কথা বললেন কেন?” প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী প্রেজেন্টেশনের পর চা পানের সুযোগে ফাতেমী স্যারকে মনের ভিতর উঁকিঝুঁকি মারতে থাকা প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করেই ফেললাম।

জবাবে স্যার যা বললেন তার মূল বক্তব্য এরকম: “দেখ, সহজলভ্যতা আর সামগ্রিক প্রভাবের কথা যদি বল তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ফেন্সিডিল বা ইয়াবা অন্যান্য যে কোন ড্রাগের চাইতে বেশি শক্তিশালী ও ভয়াবহ”।

বিস্তারিত»

“ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন চেকার” নামক একটা অ্যাপ বিষয়ে কিছু উপকারী প্যাচাল

VAT শব্দটা প্রথম জানতে পাই ক্লাস সিক্সে সাধারণ জ্ঞান বইয়ের এব্রিভিয়েশন সেকশনে। ভ্যালু এডেড ট্যাক্স। কাঠখোট্টা টাইপের জিনিস। তো কথা হলো সিসিবিতে এখন এই ভ্যাট নিয়ে হুট করে লেখার কি দরকার পড়লো? কারন আছে.. ভ্যাট এমনিতেই বেশ হট টপিক ছিল গতমাসে। স্পেশালি শিক্ষাখাতে ভ্যাট যোগ করা নিয়ে অনেক আন্দোলন হয়ে গেল। তবে এই পোস্ট এর ফোকাসটা একটু অন্য জায়গায়। সাম্প্রতিক সময়ে আরো কিছু ব্যাপার আমাদের গোচরে আসছে।

বিস্তারিত»

শব্দহীণ পাথরের শব্দ

আমি পথের পদাবলী ধরে
তোমার কাছে পৌঁছুঁবো,
সে পথও তুমি খোলা রাখোনি ।
হৃদয়ের নিভৃতে ক্ষীণ আশা জাগে
এই বুঝি তোমার সান্নিধ্য পাব,
কিন্তু সে পথের দরজা তুমি খোলনি ।

আমার এই দেহটা যেদিন
অসাঢ় নিথর হয়ে পরে থাকবে
সেদিন তুমি শুধু স্মৃতি হাতড়াবে ।

আজ বরং এই বেচেঁ থাকা মানুষটির দিকে তাকাও
শব্দহীন পাথরের শব্দ শুনতে চেষ্টা করো,
দেখবে পাথর জীবন পাবে, ভালোবাসবে ।

মনে মনে বলি,

বিস্তারিত»

মুক্তি

দু’হাত মেলে দেখছ কি করতল?
দু’হাতে মেখে দিয়েছি ফুলরেণু
নেল্ পালিশ তোলার ছলে
কি তুলে ফেল তুমি?
রক্তের দাগ?

দু’চোখে তাকিয়ে তোমার,
তোমার চোখে দিয়েছি
অপার নীলিমা; স্বপ্নলোক,
কি করে পালাবে তুমি?
অসীমে কেউ পালাতে কি
পেরেছে কখনও?

উষ্ণ চুম্বনে তোমার ফুসফুসে
ভরে দিয়েছি ভালবাসার ঘ্রাণ
তোমার রক্তে ছুটছে আজ তারা
হয়ে দুরন্ত অক্সিজেন।

বিস্তারিত»

গল্পটা আর যে রকম হতে পারতো…(২)

ডাকাতের মতো চাঁদ উঠেছে বাইরে।
ডাকাতের মতো চাঁদ।
কবি বসে আছে বাইরে,লেকের পাড়ে। শীত করছে খুব। কুয়াশা নেই,পরিষ্কার আকাশ। শিশির ঝরছে।

“এইসব জলদুঃখ,এইসব প্রার্থনা
সব ধূয়ে যাবে শিশিরের স্নেহে…

এই লাইনগুলো ফুল স্পীডে ঘুরছে মাথার ভেতর। এর বেশী আগানো যাচ্ছে না। অন্য কবিতা ঢুকে পড়ছে। কবি লাইটার হাতে নেয়, এই কবি সিগারেট খায় না। উইড খায়। উইড মানে গাঁজা।

বিস্তারিত»

কেটলি আছে, চা কই?

কাজের কারণে দেশের নানা জেলায় যেতে হয়। কখনও রেলগাড়িতে, কখনও বাসে, কখনও বিমানে। দু-তিন দিন করে থাকাও হয়। হোটেলে থেকে কাজ করা বেশ অন্যরকম অভিজ্ঞতা। হোটেলগুলোর স্থাপত্যকলা চমৎকার, থাকার রুমগুলো ঝকঝকে, আসবাবপত্র অপূর্ব, গোসলখানা আরামদায়ক! সুইমিং পুল আছে, শরীরচর্চার জন্য জিম আছে। কোথাও-কোথাও আবার বারও আছে। মনে হয় পারলে হোটেলেই থেকে যাই। ঢাকায় ফেরার দরকার নেই।
তবে প্রায় প্রতিটি হোটেলেই আপ্যায়নের অভাব। আর এতেই ভাটা পড়ে আমার উৎসাহে।

বিস্তারিত»

দৈবায়ত্তং কুলে জন্ম, মদায়ত্তং হি পৌরুষম্

১.
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত গণিতবিদ জি এইচ হার্ডি বিরক্তমুখে তার অফিসে বসে আছেন। কিছুক্ষণ আগে একটি চিঠি এসেছে তাঁর হাতে। শ্রীনিবাস রামানুজন নামে এক ভারতীয় তাঁর মতামত জানতে চেয়ে ১২০ টি গাণিতিক উপপাদ্য পাঠিয়েছে। যার সবগুলোই নাকি সে ‘আবিষ্কার’করেছে! হার্ডি প্রায়ই এরকম উদ্ভট চিঠি পেয়ে থাকেন। এটাও সেরকমই হবে হয়তো। চরম বিতৃষ্ণার সাথে তিনি চিঠিটাতে একনজর চোখ বুলালেন।

বেশিরভাগ উপপাদ্যেরই মাথামুন্ডু স্পষ্ট নয়।

বিস্তারিত»