প্রলাপ – শ্যুবার্ত এর সিম্ফনি ৭ শুনে

সংলাপ গুনে দেখিনি তো!
মনমতো
কিছু দৃশ্য, কিছু কথা
নাজুক নীরবতা নিয়ে
নিশ্চয়
একদিন প্রচ্ছদ হবে তুমি;
অনাগত সন্তানের মত
আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থের প্রুফ হবে
পা-ছোঁড়া অস্থিরতা

স্কেচপেন তোমাকে এঁকে
পাবেনা কূল,
উল্টো চক্ষুশূল
হয়ে আসে
সূর্যোদয় কিংবা বৃষ্টির মতন
স্বার্থপর, মনোরম মুহূর্তেরা

এরপর চটির ওই একফালি
ছিঁড়ে যাওয়া ঢেকে দিয়ে
বিব্রত শাড়িটি
মরমে মরে গেছে —

বিস্তারিত»

তিন দিনের জন্যে হলেও যদি দেখতে পেতাম

(১৯৩৩ সালে স্বনামধন্য পত্রিকা আটলান্টিক মান্থলিতে ‘Three Days to See’ শিরোনামে মহীয়সী হেলেন কেলার-এর লেখা একটি মর্মস্পর্শী নিবন্ধ প্রকাশিত হয়। লেখাটি আজো আলোড়িত করে অনুভূতিশীল যে-কোনো পাঠককে।)
১.
একদিন যে মারা যাব এটা সবাই জানি। কিন্তু, আমরা ধরেই নিই সেই দিনটি আসতে এখনো অনেক দেরি। যৌবনে মৃত্যুকে তাই এক অসম্ভব ব্যাপার বলে মনে হয়। জীবনের ব্যাপারে আমরা যেমন ঝিমোতে থাকি, ইন্দ্রিয়গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রেও তেমনিভাবে ঝিমোই।

বিস্তারিত»

হ্রস্ব দ্বিপ্রহর, দীর্ঘ বিক্ষিপ্ততা

কার্তিকের এই হ্রস্ব দ্বিপ্রহরে আমি অস্থির থাকি।
মনে হয়, গাছপালা ফুল পাখি প্রকৃতির সবকিছু
যেন বিষন্নমনে তপস্যায় বসা, গোধূলির খোঁজে।
খুঁজতে খুঁজতেই বিকেলটা হারিয়ে যায় অবেলায়।

দুপুরের পরেই সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। টেবিলে বিক্ষিপ্ত
পড়ে থাকে কাগজ কলম, যাবতীয় বিল আর পত্রাদি।
অগোছালো মনের মতই ইতস্ততঃ ছড়ানো ছিটানো।
ত্রস্ত মনে যা গোছানোর কথা ভেবে অস্থির হয়ে উঠি।

আলস্য ঘিরে ধরে।

বিস্তারিত»

জীবনের জার্নাল – ২৫

কিংবদন্তী শিক্ষক JRS (দ্বিতীয় পর্ব)
12080911_10206498642160036_1449238350_n
JRS taking a break from walking around Hyde Park
12067766_10206498641600022_1126490871_n
JRS at Prof Saleh’s (my batch mate) apartment.
12092728_10206498639479969_743500688_n
JRS at Albert Memorial

“কিংবদন্তী শিক্ষক JRS” এর উপর আমার আগের লেখাটা পড়ে অনেকেই অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন। কেউ টেলিফোনে, কেউ ই মেইলে, কেউ ফেইসবুকে জানতে চেয়েছেন তাঁর সাথে আমার ব্যক্তিগত যোগাযোগ হয়েছে কিনা,

বিস্তারিত»

~ বিচ্ছেদের অরণ্যলোক ~

শহরের সব পার্ক, উদ্যান,
সুদূর অতীত গন্ধ মাখা
প্রাচীন বৃক্ষ কিংবা জলাশয়,
মৌ মৌ আড্ডার ক্যাফে,
থিয়েটার, নাট্যশালা, আর্ট গ্যালারী,
ছায়ামাখা ফুলার রোড,
ভার্সিটির কড়িডোর, ক্যান্টিন,
সর্বত্রই স্মৃতির ব্যপক সন্ত্রাসী বাড়াবাড়ি।

নাট্যমঞ্চের আধো আলো চেয়ারে,
চীনে রেঁস্তোরার টেবিল কাভারে,
বা ধরো যতনে ভাঁজ করা ন্যাপকিনে
স্পর্শের আভা, এমন কি সেই চেনা
সুরভির রেশ,

বিস্তারিত»

অসভ্য সামরিক ছাউনি !

১। “পার্বত্য চটগ্রামে প্রবেশ করার সময় সামরিক ছাউনির অভ্যর্থনার দৃশ্যের মত কদর্যতম চেহারা একটি রাষ্ট্রের হতে পারে না।”
২। “আপনি একটি শহরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন আর তখনি প্রবেশ্মুখে আপনাকে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে সামরিক বাহিনীর ছাউনি। এটা কোন সভ্য দেশে চলতে পারে না।
৩। “প্রতিনিয়ত সামরিক ছাউনির সঙ্গে এখানকার মানুষের সাক্ষাৎ হবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়। এটা কাম্য হতে পারে না।”

সম্প্রতি বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ডঃ মিজানুর রহমান রাঙামাটি জেলা পরিষদের হলরুমে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি ব্যবস্থাপনা ও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিত’

বিস্তারিত»

নাচঘরে দেখা হবে

flamenco-dancer-dance-series-ii-78376
‘নাচঘরে দেখা হবে’ এই বলে
জনৈক সন্ন্যাস হারিয়ে গেলো বিলীন সাগরে
নীল পাহাড়ের আড়ালে ক্রমশ লুকালো আর
নর্তকী বসে রইলো পাথরের মেঝেতে, প্রিয় সাজঘরে।

অবিরত এইসব কবিতাকল্প, সংকেতময় এক্রসটিকে
নিজেতে মুগ্ধ হই, তুমিও প্রশ্নবোধক টানো আমারই দিকে।

বিস্তারিত»

~ অনিবার্য রেষারেষি ~

আবারো আসছে শীত
শুকনো পাতার গায়ে ভর করে
গাছেদের জমানো দুঃখগুলো
একে একে পড়বে ঝরে।

এরপর বসন্ত এলে, নতুন সুখের গান
রঙ্গিন পাতার চাদর মুড়ে
ছোটাবে বর্ণিল কথার বান।
গাছের শরীর জুড়ে জমবে আসর
জীবন হাসবে রঙে।
আবারো সাজাবে বৃক্ষ
তার প্রাণের ঐকতান
বাঘা অর্কেষ্ট্রার কুশলী ঢঙে।

আর এই আমি !

বিস্তারিত»

ফেসবুক বন্ধ করা ও খুলে দেবার পরে …

[ফেবু বন্ধ করার পরে] –

শুনিয়া আঁতেল  সবে করে ধিক্‌-ধিক্‌,
কোথাকার গণ্ডমূর্খ পাষণ্ড নাস্তিক!
ফেবু নাকি হতে পারে অশান্তির আকর
একথা কেমন করে করিব স্বীকার!
জগৎ-বিখ্যাত মোরা ‘জ্ঞান-অন্ত’ জাতি –
জবান বাঁধিয়া  দিবে! দুপুরে ডাকাতি!

[ফেবু পুনর্বার খুলে দেবার পরে] –

সভাস্থ সবাই ভাসে আনন্দাশ্রুনীরে,

বিস্তারিত»

ভালবাসার দেড়যুগ!

কাল রাতে তোমাকে স্বপ্নে দেখবো বলে
সারামাস অপেক্ষার প্রহর গুনেছি।

আজ ২৬শে মে,
বহু প্রতিক্ষিত সেই দিন!
অতিক্রান্ত হলো আমাদের বিয়ের ১৮টি বছর!

চারচক্রযানে চেপে নিঃসঙ্গ আমি বেড়িয়ে পড়েছি,
আজ কোনো দিক নির্দেশনার প্রয়োজন নেই আমার।
চলমান বর্তমানকে সযত্নে পাশ কাটিয়ে,
স্মৃতি-বিস্মৃতির প্রশস্ত মহাপথ ধরে
দ্রুত এগিয়ে যাই আমি সামনের দিকে;
তারপর, সহসাই এক আলোড়িত ঘুর্ণিমোড় নিয়ে
অতীত স্মৃতির মহাকালকে সামনে রেখে
পেছন ফিরে রওনা হই আমি।

বিস্তারিত»

পাতা ঝরার গান

স্কুল জীবনের একটু সিনিয়র পর্যায়ে ঠিক কতদিন যে এসেমব্লির পর ক্লাস করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়েছে সেটা আমি হাতে গুনে বলে দিতে পারব। এসেম্বলি হত থার্ড পিরিয়ডের পর। রংপুরে লায়ন্স দিয়ে আমার স্কুলিং শুরু। সে সময় আমি আবার তদানীন্তন কেজি শ্রেনীর বেশ উদিয়মান তারকা ছিলাম। প্রথম ক্লাস টিচার ছিলেন মধুছন্দা ম্যাডাম।ম্যডাম বেশ যত্ন করে আমাদের হ্যান্ড রাইটিং শেখাতেন। সে সময় আমাদের স্কুলে আমরা প্যাচানো হাতের ইংরেজী লেখা শিখতাম।

বিস্তারিত»

টুকিটাকি – ১


আকাশ যত অন্ধকার, তারারা ততই স্পষ্ট। এটি একটি পারসিয়ান প্রবাদ। মন খারাপের মুহূর্তে এরকম কিছু শুনতে ইচ্ছে করে। তারপরও মনে হলো এটি ঠিক মতো বুঝতে পারছি না। এর সঠিক অর্থটা কী? যখন আমাদের মন খারাপ থাকে তখনই আমরা জ্বলে উঠি নাকি অন্ধকার সময়েই দূরের আলোরা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। হয়তো শেষেরটা। একবার আর্ট কলেজে গিয়েছিলাম একটি চিত্র প্রদশর্নী দেখতে। সেখানে একটি ভাষ্কর্যের সামনে অদ্ভুত একটি নাম দেখে তার মর্মার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

বিস্তারিত»

আমাদের স্বাধীনতার গল্প

লেখকঃ  উখ্যইনু (১৫১৩) মাওয়া (১৫১৫) হৃদিতা (১৫১৬) জান্নাত (১৫৩১) তাসনিয়া (১৫৩৯) আশিফা (১৫৪৬) নুঝাত (১৫৫৭) সাবাবা (১৫৬১)। কলেজ ম্যাগাজিনে ছাপা হওয়া লেখাটিকে এই চার বছর পর ডক ফাইলে এ রুপান্তর করেছেন জান্নাত (১৫৩১)।

(কলেজের শেষ বছর কলেজ ম্যাগাজিনের জন্য আমরা আট জন মিলে লিখেছিলাম “আমাদের স্বাধীনতার গল্প”। মূলত, স্মৃতিচারণ করতে করতেই লিখে ফেলেছিলাম এটি। গল্পের নাম স্বাধীনতার গল্প হবার পেছনের অন্যতম কারন হচ্ছে আমাদের ক্যাডেট কলেজে পদার্পণ করি পঁচিশে মার্চ।

বিস্তারিত»

দাবা ও জুয়া

Jean_Metzinger,_1915,_Soldat_jouant_aux_échecs_(Soldier_at_a_Game_of_Chess),_oil_on_canvas,_81.3_x_61_cm,_Smart_Museum_of_Art
দেখেছো তোমার পুরাণ আমাকে পোঁড়ায়
আমি ভাসি নির্নিমেষ নিঃঘ্রাণে
আমিও কুয়াশায় বশ হারানো লোকের মতো
স্থানু থাকি, নির্বান্ধব সন্ধ্যায় কাঠের ক্যাম্পে বসে
একা একা বদল করি সাদা কালো সাইড
বড়ে-মন্ত্রী , দাবার গুটি,
উভয় পক্ষে বেটে দেই ট্রাম, তাসের স্পেড
তার পর বাজি ধরি তোমার নামে
জিতে গেলে সুউচ্চ প্রাসাদ বানাবো
হেরে গেলে মেনে নেবো নিঃশর্ত নির্বাসন
দুর দ্বীপে আবাস বানাবো,

বিস্তারিত»

নির্বোধ কথামালা অথবা কিছু অনির্বচনীয় বচন……।

যে শিশু ভূমিষ্ট হল আজ রাত্রে
তার মুখে খবর পেলুমঃ
সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,
নতুন বিশ্বের দ্বারে তাই ব্যক্ত করে অধিকার
জন্মমাত্র সুতীব্র চীৎকারে।
খর্বদেহ নিঃসহায়, তবু তার মুষ্টিবদ্ধ হাত
উত্তোলিত, উদ্ভাসিত
কী এক দুর্বোধ্য প্রতিজ্ঞায়।
সে ভাষা বুঝে না কেউ,
কেউ হাসে, কেউ করে মৃদু তিরস্কার।
আমি কিন্তু মনে মনে বুঝেছি সে ভাষা
পেয়েছি নতুন চিঠি আসন্ন যুগের-
পরিচয়-পত্র পড়ি ভূমিষ্ট শিশুর

বিস্তারিত»