দিনটি ছিল শনিবার, ১১ জুন ২০২২। ড্যান্ডিনং স্টেশনে নেমে আমরা অন্য লাইনের একটি ট্রেন ধরার জন্য প্ল্যাটফর্ম বদল করতে যাচ্ছিলাম। স্টেশনটি সে সময়ে মোটামুটি জনশূন্য ছিল বলা যায়। কিছুদূর এগোতেই দেখি, প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে কে যেন শুয়ে আছে। তার পাশে একজন হাটু গেঁড়ে বসে তার মাথায়, গালে পরম মমতায় হাত বুলাচ্ছে। দু’জন ইউনিফর্মধারী স্টেশন সিকিউরিটি স্টাফ উদ্বিগ্ন চেহারায় শায়িত ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে আছে এবং মৃদু পায়চারি করছে।
বিস্তারিত»বাতাসের কাছে পরাজিত ইচ্ছা
বাতাসের কাছে পরাজিত ইচ্ছা_____
কি দারুণ বইছে হাওয়া এই নিশি প্রান্তরে,
এক্ষুনি নামলো বৃষ্টি বাতাসের তোড় জোড়ে।
সাথে নিয়ে যাবার জন্য বাতাসকে বললাম,
দেশান্তরী মেঘের কাছে অক্ষমতা শুনলাম।
আমরা মানুষ যে যার মত মানচিত্রে বন্দী,
বাইরে যেতে চাইলে লাগে শত অনুমতি।
বাতাস বলে তারাই ভাল স্বেচ্ছাতে ঘুড়ে-বেরায়,
কাষ্টমস আর পাসপোর্টের প্রয়োজন নাহি হয়।
ইচ্ছে নামের দৈত্যটাকে
ইচ্ছা নামের দৈত্যটাকে ……!!!!!!!!
ইচ্ছে হলেই পেতে হবে এই কথাটা কে বলেছে?
শ্রাবন মাসেই বৃষ্টি হবে এটাই বলো কে মেনেছে?
হৃদয় যদি পাখী হতো আমি তবে হতাম-টা কি?
মগজ যদি এতই ব্যস্ত কিসের এত জানাজানি?
তাই ইচ্ছা নামের দৈত্যটাকে সামলে রেখে চলো,
নতুবা কিন্তু সাজানো বাগান হতে পারে এলোমেলো।।
ইচ্ছে হলেই করতে হবে এমন কাজ কয়টা আছে?
বিস্তারিত»গ্রহান্তরী ভালবাসা
গ্রহান্তরী ভালবাসা
—————
শিল্পী: রেশাদ
কথাঃ বাপ্পী খান
সুর-সংগীতঃ মাহফুজ আনাম জেমস
অ্যালবামঃ গ্রহান্তরী ভালবাসা (১৯৯১-৯২)
লেভেল: সারগাম
————————————
কোন এক রাতে
আমার স্বপ্নের উঠোনে
হঠাৎ আগমনে এক নভোচারীনি,
গ্রহান্তরী ভালবাসা।
অহঃরহঃ মেলামেশা
বৃষ্টির মত মাঝেমাঝে
জীবনের কাছে কিছু পাওয়া।
গ্রহান্তরী ভালবাসা।
কোমল আলিংগনে জড়িয়ে আমাকে
উড়িয়ে নিয়ে গেল এক স্বপ্নের দেশে।।
শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৭
আমি সচরাচর আমার এক্সিস্টিং কোন ছাত্র/ছাত্রীর কাছ থেকে কোন প্রকারের গিফট/টোকেন রিসিভ করি না। তবে কালেক্টিভলি ছাত্র/ছাত্রীরা যদি ডিপার্টমেন্টের সব শিক্ষকের জন্য (বিশেষ করে তাদের বিদায় অনুষ্ঠানে) স্মৃতিস্মারক হিসেবে কোন কিছু দেয়, তখন তো সেটা নিতেই হয়। অবশ্য এর বাইরেও কখনো কখনো নিতে হয়েছে; যেমন, কেউ হয়তো বিদেশ সফর থেকে ফিরেছে, এবং ডিপার্টমেন্টের সকল শিক্ষকের জন্য কিছু টোকেন নিয়ে এসেছে; আমার কাছে তখন মনে হয়েছে সেটা ফিরিয়ে দেয়া অসামাজিক এবং অসম্মানজনক।
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে – ৪
আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩
এ পর্বে আমি যে দুটো ‘ক্ষণিকের দেখা’ স্মৃতি রোমন্থন করবো, তার প্রথমটি একটি দৃশ্যের, আর পরেরটি একটি (মানুষের) মুখের। অবশ্য প্রথমটি শুধুমাত্র একটি দৃশ্যের হলেও, তার পেছনে ছিল একটি অদেখা, কল্পিত মুখও।
সে বহুদিন আগের কথা। আমার বয়স তখন পঁচিশ-ত্রিশের মাঝামাঝি, আমি সেনাবাহিনীর একজন তরুণ অফিসার। ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে সেনাবাহিনীর বাৎসরিক শীতকালীন যৌথ প্রশিক্ষণ অনুশীলন হয়ে থাকে।
বিস্তারিত»নতুন নায়ক
নতুন নায়ক
নতুন প্রশ্নের জবাব কি নতুন হতে হবে?
পুরাতন প্রেমের ভালবাসা কি সুখের হবে?
নাকি ছলনার আচ্ছাদনে হারাবে সব।
প্রেমের কবিতা নতুন করে সাজাতে হবে।
নাকি যোগ বিয়োগের পালা হবে মেলা।
হিয়ার অট্টহাসি হাসবে নতুন ভিলেন।
অপারগতায় থিতু হবে নতুন নায়ক।
প্রেক্ষাপটে মত পাল্টাবে নতুন নায়িকা।
আমি হলফ করে কিছুই বলতে পারি না।
বিস্তারিত»জনপ্রিয়তা_স্বার্থ _হিংসা
জনপ্রিয়তা_স্বার্থ_হিংসা
————————
***
জনপ্রিয়তা হলো
মোহের মতন,
হজম না-হলে হয়
তারার পতন।
(তাই) নিজেকে অকারণে
তারা ভেবে বসো না,
কে কি বলছে
বেশি গায়ে মেখো না।
***
স্বার্থ হলো মানুষ মাপার
আসল পরিমাপ,
আঘাত-লাগলে দেখতে-পাবে
অভিনব-প্রলাপ।
এর জন্য কাছের মানুষ
দূরে সরে যায়,
হঠাৎ করে আপন লাগে
নতুন পরিচয়।
কবীর সুমনের এক অপরিচিত গান
সুমন শুনছি অনেক বছর ধরেই। তবে তিরিশ পেরোনো এই বয়সের ঘরে– সুমনকে যেন নতুন করে চিনছি, শুনছি, অনুভব করছি। সেদিন টিএসসির এক আড্ডায়, কেউ একজন গাইলেন সুমনের এক অপরিচিত গান। গানের কথাগুলো মুহূর্তেই মিলিয়ে গেল মনে। গুগল করে কোথাও লিরিক্স খুঁজে পেলাম না। পরে যিনি গানটা গাচ্ছিলেন তিনি জানালেন, কবীর কোন এই লাইভ কনসার্টে গানটি গেয়েছিলেন। ইউটিউবে গানটা পেলাম। ২০০৭ সালের এক লাইভ কনসার্টে গাওয়া।
বিস্তারিত»ক্ষণিকের দেখা, মায়াময় এ ভুবনে – ৩
এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২
২০১৮ সালের ১১ জানুয়ারী, আমরা দুই বন্ধু মিলে সস্ত্রীক ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার (সম্ভবতঃ) পদ্মা তীরবর্তী মৈনট ঘাটে বেড়াতে গিয়েছিলাম। যদিও এটাকে অনেকে ঢাকার ‘মিনি কক্সবাজার’ বলে থাকেন, আমার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে হয়নি। তবে যাওয়ার পথে থেমে থেমে এটা ওটা করে বেশ আনন্দ করেছিলাম, যেমন সরিষা ক্ষেতে নেমে সোঁদা গন্ধের মাটিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলা,
বিস্তারিত»মাতৃগৃহ
মাতৃগৃহ
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।
হরষি পুলক মাতিয়া হঠাৎ কাদিয়া উঠিল মন
পাগলপারা কস্তুরি খুঁজি মৃগয়া মরিয়া যেমন,
আপন হৃদয় গন্ধে মাতাল মরমি বিভোর সুখে
বাজিয়া উঠিল বীণা অন্তরে সুরের পরশ বুকে।
মধুর মধুর কত স্মৃতি মর্মে মাতিয়া গল্প কহে,
আনন্দ বেদনা মাখা সুখের তরনি নদীতে বহে।।
মায়ায় ভরা কুটির জনক জননীর আদর মাখা
দাদা দাদি কাকা কাকি স্নেহ মায়ার চাদর ঢাকা,
সকাল ছয়টা বারো
আমার জীবনে ছয় কিংবা বারো,
সংখ্যাদুটোর কোনটাই–
তেমন কোন প্রভাব কখনো রাখেনি।
অথচ গত দুটো মাস ধরে ক্রমাগত
সংখ্যাদুটো একসাথে পাশাপাশি বসে
আমাকে নিত্য ডাক দিয়ে যাচ্ছে।
আমি কখনো কখনো অপেক্ষা করে থাকি
এ সময়টার জন্য। কখনো বা এমনিতেই
চোখ পড়ে যায় ঠিক এই সময়টাতেই,
ডিজিটাল ঘড়িতে। প্রত্যুষের প্রার্থনা শেষে
আমি বাইরে তাকাই।
ইশ্বরের দখলদার
জেনিন ঘিরে ফেলেছি
কোন শালাই আর বেরুতে পারবে না
একটা ইঁদুরও নয়
বন্ধ করে দিয়েছি
গুহা, পর্বত – সব
হারামখোর সন্ত্রাসীগুলোকে না খাইয়ে মারবো
এবার বুলডোজার পাঠাবো
ঐযে, ঐযে – ন্যাংটো শয়তানটা
পরনে কাপড় নেই
ধ্বসে পড়া ইট-সুরকির মধ্যে হেঁটে যাচ্ছে
সেও তো এক সন্ত্রাসী
বাঁচিয়ে রাখলে বড় সন্ত্রাসী হবে
তোকেও মারতে হবে
আমাদের সাথে লড়তে আসিস!
ক্ষণিকের দেখা, এ মায়াময় ভুবনে -২
এর আগের পর্বটি পড়তে পারবেন এখানেঃ ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১
আজকের এ পর্বে ক্ষণিকের দেখা তিনটি চরিত্রের কথা বলবো, ঘটনার দিন-তারিখ উল্লেখসহঃ
০১ জনুয়ারী ২০২১, সকাল দশটা। গত চারদিন ধরে আম্মা রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল হাসপাতালের সন্নিকটস্থ ‘ডক্টর্স ক্লিনিক’ এ চিকিৎসাধীন আছেন। অবস্থার কিছুটা উন্নতি হচ্ছে বিধায় চিকিৎসক জানিয়েছেন যে আজ কালের মধ্যে ওনাকে ছেড়ে দিবেন। আমরা চাচ্ছি যে হাসপাতাল থেকে বাড়ী নিয়ে আসার আগে তাঁকে আমাদের প্রস্তাবিত (কল করা) আরেকজন নিউরো মেডিসিন বিশেষজ্ঞ পরীক্ষা করে দেখুক।
বিস্তারিত»বিদায়, কাজীদা!
১৯ জানুয়ারি ২০২২।
সন্ধে ছ’টা।
ঢাকা।
‘ধুশ…শালা!’ শাহবাগ সিগন্যালে অপেক্ষা করতে করতে তৃতীয়বারের মত গাল দিয়ে উঠল সোহেল। প্রায় ১৫ মিনিট হয়ে গেছে গাড়ি বন্ধ করে থেমে আছে। সিগন্যাল ছাড়ার নামই নেই! অথচ, ট্রাফিক সিগন্যাল একাধিকবার লাল, হলুদ পার হয়ে সবুজ হয়েছে। হলে হবে কী? রাস্তায় দাঁড়িয়ে অনেকগুলো ট্রাফিক পুলিশ হাত তুলে, বাঁশী দিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছে। তাহলে কোটি কোটি টাকা খরচ করে অটোমেটেড সিগন্যাল বসিয়ে লাভ কী হলো?!
বিস্তারিত»