মাতৃগৃহ

মাতৃগৃহ
মোহাম্মদ ওবায়েদুল্লাহ খান ওয়াহেদী।

হরষি পুলক মাতিয়া হঠাৎ কাদিয়া উঠিল মন
পাগলপারা কস্তুরি খুঁজি মৃগয়া মরিয়া যেমন,
আপন হৃদয় গন্ধে মাতাল মরমি বিভোর সুখে
বাজিয়া উঠিল বীণা অন্তরে সুরের পরশ বুকে।
মধুর মধুর কত স্মৃতি মর্মে মাতিয়া গল্প কহে,
আনন্দ বেদনা মাখা সুখের তরনি নদীতে বহে।।

মায়ায় ভরা কুটির জনক জননীর আদর মাখা
দাদা দাদি কাকা কাকি স্নেহ মায়ার চাদর ঢাকা,
কুপির আলোর লেখাপড়া দাওয়ায় বসে খাওয়া
ঝরঝর বর্ষার বাদল ছটা শীতের হিমেল হাওয়া।
কুয়ো পাড় নিম তলা হেঁশেল গোয়াল গোলা ঘর,
পাড়া প্রতিবেশী সকলি আপনার কেহ নাহি পর।।

জলে ডোবা মেটেলে ফোটা শাপলা কচুরিপানা
শিং কৈ মাগুর ষোল টাকি খেলে সে ছিল জানা,
ঘরের বাহির বিশাল মাঠ পূবের আকাশে দিনমনি
সোনার আলোয় রাঙা সকাল পাখির গুঞ্জন শুনি।
খোলাটে মলন ঘুড়িছে গরু উঠোন ভরেছে ধানে,
সন্ধায় গেঁয়ো গেহ মেতে জারি সারি পালা গানে।।

বিহঙ্গ সকল ছেড়েছে নীড় গগনে মেলেছে পাখা
সোনার গৃহ শূণ্য আজ মা যে জননী ঘরে একা,
সেই গৃহ মায়া স্মৃতি আকড়ে পরাণ কাঁদিয়া মরে
পোড়ামন বুঝিতে না পারে কেন কেহ ফিরে নারে?
হয়তো সেদিন আসিবে কি যবে নিথর হইবে দেহ,
দেখিবে কি মর্মে এই স্নেহ প্রেমে গড়া শাশ্বত গেহ?

১৯/০২/২০২২
মনিপুরী পাড়া। ঢাকা।

১টি মন্তব্য “মাতৃগৃহ”

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।