একুশে ফেব্রুয়ারি

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নানাভাবে উৎযাপন করা হয় এ বিশেষ দিনটি। তাদেরই কিছু অনুচিত্র নিয়ে আজকের এই আয়োজন।

ক্লাস ৮ থেকেই হাউজের জাতীয় মুরগী হিসেবে যোগদান করলাম (পড়ুন করানো হল) ওয়াল ম্যাগাজিন পার্টিতে। যদিও কোন আর্টিস্টিক প্রতিভা ছিল না, খুচরা কাজকর্মে সাহায্য করতাম আর কি। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে হাউসে ট্রেডিশনাল মুড়ি পার্টি হত। শেষ মুহূর্তের ফিনিশিং টাচ দেয়ার কাজ চলত এদিন। সকল কাজ কোনমতে শেষ করে পাঞ্জাবিটা গায়ে জড়িয়েই দৌর দিতাম মস্কে “বিশেষ নামাজ”এ শামিল হয়ে নিজেকে সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে।

বিস্তারিত»

কৃষ্টি বনাম জাতীয়তা

কৃষ্টি বনাম জাতীয়তা

ও আমার বাংলাদেশ
কলিজা পরানের পরান।
তোমার আমার দুজনারই
বয়স (হলো) পঞ্চাশের বেশি।
হলো না পাওয়া সবই
(ছিল) আমাদের চাওয়া যত যা।
এখনো সময় তবু
ফুরিয়ে যায়নিতো কভু।
পিছু ফিরে তাকাবার
নাই কিন্তু কোনো অবসর।
জ্বালাও পোড়াও আমি-তুমি
অনেকটাতো হলো ভাই।
“জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো”
এবার একটু কমতি চাই।

বিস্তারিত»

চাওয়া না-পাওয়া

চাওয়া না-পাওয়া
কন্ঠ/সুর/সংগীত:আইয়ুব বাচ্চু
কথা: বাপ্পী খান
অ্যালবাম: চাওয়া না-পাওয়া (মিক্সড)

বেশি কিছু চাওয়া মানে
কোন কিছু না পাওয়া।
কোন কিছু পাওয়া মানে
হয়তো বা না চাওয়া।
মানুষ কাঁদতে পারে সবকিছু হারিয়ে।
আবারো শিখতে জানে বেঁচে থাকা মন্ত্রতে।
হৃদয়ের জটিলতা আয়োজন বোঝেনা।
কঠিন শাসন করে চাওয়া আর না-পাওয়া।

অতীতের ব্যর্থতা কপালেই ছিল না।

বিস্তারিত»

হেমন্তের কথা

আজ পহেলা অগ্রহায়ণ। আজ থেকে শুরু হলো হেমন্ত ঋতুর দ্বিতীয় মাস। আমার জন্ম-মাস। শৈশবে-কৈশোরে পর পর কয়েকটি শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষায় বাংলা রচনা লিখার জন্য “তোমার প্রিয় ঋতু” একটি অবধারিত বিষয় ছিল। আমি সাধারণতঃ বাংলা বা ইংরেজী রচনা, কোনটাই মুখস্থ লিখতাম না। কারণ মুখস্থ লিখেছি বুঝতে পারলে শিক্ষক মহোদয় সে রচনায় কম নম্বর দিতেন। নিজে চেষ্টা করে লিখলে, যে রকমই লিখি না কেন, মুখস্থ লেখার চেয়ে ভালো নম্বর পেতাম।

বিস্তারিত»

মেনকা কেমন আছে?

    মেনকা কেমন আছে?
    মো ও খা ও

    রাতে জোছনাারা ঢুকে পরে আমার ঘরে
    জানালার ফাঁক চুয়ে নিসংকোচে,
    লুটোপুটি খায় মসৃন শুভ্রতায়
    আছডে পড়ে মেঝে বালিশ বিছানায়
    নির্মল শব্দহীন কোমল মায়ায়,
    আদর আলোয় সোহাগ মেখে
    প্রশ্ন শুধায় তোমার মেনকা কেমন আছে?

    কি মাতাল মদিরা মেখে
    উচ্ছন্ন করেছিলো বাগান ঘাস ফুল,
    ভগবান চমকে উঠেছিল
    যুবতীর উদ্ধত ভালোবাসায়,

বিস্তারিত»

আমার বুকে তোমার বসত

আমি ডাকলেই তুমি সাড়া দাও, কখনো দ্রুত,
কখনো কিছুটা বিলম্বে হলেও, পরে বুঝতে পারি,
সে সময়টাই ছিল উপযুক্ত। এমন ভাবে সাড়া দাও,
যেন চোখের আড়ালেই ছিলে, শুধু ডাকের অপেক্ষায়।
সাড়া পাই তবে কায়া দেখি না, কারণ তুমি কায়াহীন।
আমি তো এতদিনে বিলক্ষণ বুঝে গেছি,
অদৃশ্য কার কাছে চাইতে হয়, তার কায়া না দেখেও!

তোমাকে ছিলাম ভুলে বহুদিন,

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৬

লেখালেখিতে সাহিত্যচর্চা বনাম বানিজ্যিক চিন্তাভাবনা

সোশাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে আমার ক্যাডেট কলেজের বেশ কয়েক বছরের এক বড় ভাইয়ের (সিনিয়র ক্যাডেট) “লেখালেখি” এবং “ছাপানো লেখা/বই বিক্রি করা” নিয়ে একটা রম্য ক্রিটিসিজম পড়েছিলাম। সেই সিনিয়রের লেখার বিষয়বস্তুটা আমার কাছে বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হওয়াতে সেখানে মন্তব্য করতে গিয়ে দেখি সেটাও বেশ খানিকটা বড় আকার নিয়ে ফেলেছে। অবশ্য এমনটা এবারেই প্রথম নয়; কারো লেখার বিষয় বা উপস্থাপন কোনভাবে ভাবনাগুলোকে স্টিমুলেট করে ফেললে তাতে মন্তব্য এবং পাল্টা-মন্তব্য বেশ ইন্টারেস্টিংভাবেই চলতে থাকে;

বিস্তারিত»

ক্ষণিকের দেখা এ মায়াময় ভুবনে-১

গত ২৫ মার্চ ২০২০ তারিখে অস্ট্রেলিয়া-নিউযীল্যান্ড সফর শেষ করে ঢাকা ফিরে এসে দীর্ঘদিন খুবই কঠোরভাবে ‘স্বেচ্ছাবন্দী’ (Self Quarantined) হয়ে ঘরের মাঝে নিজেকে আটকে রেখেছিলাম। যা কিছু ঘোরাঘুরি পায়চারি, ঐ ঘরের মধ্যেই। তিনমাস এভাবেই ছিলাম। তারপর ধীরে ধীরে একটু একটু করে এ নিয়মে শৈথিল্য আসে। এখন মাসে একবার করে ডাক্তারের পরামর্শ/ঔষধ সংগ্রহের জন্য সিএমএইচ এ যাই, ব্যাংকের কাজগুলোও জমিয়ে রাখি একই দিনে করার জন্য। কয়েকমাস পর পর পেনশনও তুলি ঐ একই দিনে,

বিস্তারিত»

শিক্ষকের ডায়রিঃ পর্ব-৫

ইংরেজি শেখার এবং শেখানোর ব্যার্থতা

আজ সকালে অন্য ক্যাডেট কলেজের এক বড় ভাইয়ের (সিনিয়র ক্যাডেট) একটা লেখায় পড়লাম, চাকরির ইন্টারভিউয়ের লিখিত পরীক্ষায় ২০ জন স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারি চাকরিপ্ররার্থীকে ১০০ শব্দের মধ্যে ইংরেজিতে নিজের সম্পর্কে প্যারাগ্রাফ লিখতে দেয়া হলে, তাদের কেউই ৩৩% নম্বর অর্জন করতে পারেনি। সেই লেখায় মন্তব্যের ঘরে আমার দেড় যুগেরও বেশি সময়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু কথা লিখেছিলাম। এই লেখায় সেই কথাগুলোকেই কিছুটা সাজিয়ে লেখার চেষ্টা করছি।

বিস্তারিত»

আমার ডায়রিটাতে (বৃদ্ধাশ্রম)

A Tribute to the Rock Icon
(আইয়ুব বাচ্চুর চতুর্থ মৃত্যু দিবসে শ্রদ্ধা)
A Joint Venture of
Bappy Khan & Bijoy Mamun
——————————-
আমার ডায়রিটাতে (বৃদ্ধাশ্রম)
মূল ভাবনা: প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চু
কথা: বাপ্পী খান
কন্ঠ, সুর ও সঙ্গীত: বিজয় মামুন
লেবেল: গানচিল
——————————–
যে মায়ের গর্ভে জন্ম আমার,
তাকে বলো দূরে আমি রাখি কি করে?

বিস্তারিত»

জীবনের মানে

শিরোনাম: জীবনের মানে
সুর, সংগীত এবং ভোকাল: আইয়ুব বাচ্চু
কথা: বাপ্পী খান
এ্যালবাম: এল. আর. বি ২
সাল: ১১ই জুন ১৯৯২
স্টুডিও: সারগাম
লেবেল: সারগাম
সাউন্ড প্রকৌশলী: পান্না আজম এবং দুলাল
…………………………………………………………

জীবনের মানে আমি পাইনিতো খুঁজে
আমার এই দুচোখে তাই, অভিধান খোঁজে।
আমি সারাদিন যারে কাছে পাই
জানতে চেয়েও পাইনা জবাব
ফিরে চলে যাই ।।

বিস্তারিত»

এক কাপ চা

শিরোনামঃ এক কাপ চা
ব্যান্ডঃ এল আর বি
শিল্পীঃ আইয়ুব বাচ্চু
অ্যালবামঃ এল আর বি-২
গীতিকারঃ বাপ্পী খান
সুরকারঃ আইয়ুব বাচ্চু
সঙ্গীত/কম্পোজারঃ আইয়ুব বাচ্চু
প্রকাশক কোম্পানিঃ সারগাম
প্রকাশ সালঃ ১৯৯২

শয্যায় এলোমেলো ওঠা প্রভা,
ক্লান্তির গুঞ্জনে এক কাপ চা।
বিষন্ন গাঢ় রাত ভরা নীলিমা,
অপাঙ্গ দেহ সুখে এক কাপ চা ।

উসখো খুসকো মনে ভেজা কুয়াশা,

বিস্তারিত»

ফাহিয়ানের গল্প

এ ব্লগটা একটা পাবলিক প্ল্যাটফর্ম। এখানে ব্যক্তিগত কথা না বলাই ভাল, এ আমি ভাল করেই জানি। তবুও এখানে আমার অনেক লেখাই আছে, শুধু ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ নিয়ে। আমার লেখা ভ্রমণ কাহিনীগুলোতেও প্রায় সময় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বিবৃত হয় বেশী। এটা ব্লগের হয়তো অনেকে পছন্দ করেন না, তবে এর পেছনে আমার একটা লক্ষ্য থেকে থাকে। এসব পাঁচালিতে আমি মানবতার কথা বলতে চাই, আমার চোখে দেখা প্রকৃতির সৌন্দর্যের কথা বলতে চাই,

বিস্তারিত»

অমীমাংসিত

২১শে ফেব্রুয়ারী, ২০০৬, রাত প্রায় ১.৩০। ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজের আশেপাশে দূরে কোথাও মাইকে ভাঙা কণ্ঠে শহীদ দিবসের গান অনবরত বেজেই চলেছে। মাঝেমধ্যে ঢাকা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে হর্ণ বাজিয়ে দ্রুতবেগে ছুটে যাচ্ছে বাস অথবা ট্রাক। দূর থেকে আগত এসব শব্দ যেন এক ধরণের ছন্দ তুলে এই নিস্তব্ধ, ছায়াঘেরা, নিরাপদ প্রাঙ্গণে ধীরে ধীরে মিলিয়ে যাচ্ছে। এবারের শীতটা যেন একটু বেশীই জেঁকে ধরেছে। কলেজের কয়েকজন গার্ড শেডের তলায় খোশমেজাজে আগুন পোহাচ্ছে,

বিস্তারিত»

টরেটক্কা টরোন্টো – আগমন (পর্ব-২)

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

পত্রিকাতে বিজ্ঞাপন দেখে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির এক গবেষণা প্রকল্পের ‘গবেষণা প্রকৌশলী’র পদে অ্যাপ্লাই করি। গবেষণার বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘ই-লার্নিং’ এবং লক্ষ্য হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষা পদ্ধতিতে বাস্তব সম্মতভাবে কিভাবে ই-লার্নিং-কে সম্পৃক্ত করা যায় সেই বিষয়ে অনুসন্ধান ও সুপারিশমালা প্রণয়ন। গবেষণা প্রকৌশলীর পদে আসলে একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে খোঁজা হচ্ছিল যার কাজ হবে সুপারিশমালার ‘প্রুফ অব কনসেপ্ট’ তৈরি করা –

বিস্তারিত»