আমার জীবনে ছয় কিংবা বারো,
সংখ্যাদুটোর কোনটাই–
তেমন কোন প্রভাব কখনো রাখেনি।
অথচ গত দুটো মাস ধরে ক্রমাগত
সংখ্যাদুটো একসাথে পাশাপাশি বসে
আমাকে নিত্য ডাক দিয়ে যাচ্ছে।
আমি কখনো কখনো অপেক্ষা করে থাকি
এ সময়টার জন্য। কখনো বা এমনিতেই
চোখ পড়ে যায় ঠিক এই সময়টাতেই,
ডিজিটাল ঘড়িতে। প্রত্যুষের প্রার্থনা শেষে
আমি বাইরে তাকাই। জানালার কাঁচটাকে
সরিয়ে দিয়ে ধীর লয়ে শ্বাস টেনে গ্রহণ করি
মায়াবতী গাছপালা থেকে নির্গত অক্সিজেন।
মাসজিদ থেকে মুসল্লীদের ঘরে ফেরা দেখি।
কিছুক্ষণ পর রাস্তার বাতি নিভে যায়,
পাখিদের কলকাকলি শোনা যেতে থাকে।
অরুণোদয়ের হিরন্ময় কিরণ-দ্যূতি
ছড়িয়ে পড়তে থাকে চারিদিক উদ্ভাসিত করে।
শীতল বাতাস মৃদু কাঁপন ধরিয়ে যায় শরীরে।
এভাবেই আমার দিন শুরু হয়ে যায়।
আমি ছয় থেকে বারোতে যাই,
বারো থেকে ছয়ে ফিরে আসি।
এভাবেই এক সময় বুঝতে পারি,
ছয় ও বারো দিয়েই দিনের অষ্টপ্রহর বাঁধা!
ঢাকা
১১ ফেব্রুয়ারী ২০২২