‘৯৭-এ যখন ঢুকি তখন কুমিল্লার এডজুটেন্ট ছিলেন মেজর মঈনুদ্দীন মাহমুদ। তাঁরই শাসনামলে আমরা নোভিসেস প্যারেড করি, অতঃপর ক্যাডেট হই। সে সময় অথরিটি বলতে কতো কী বুঝায় কিছুই জানতাম না। সেসব নিয়ে মাথা ঘামানোরও দরকার পড়েনি। যতদূর মনে হতো, এডজুটেন্ট খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন। মার্জিত, শুদ্ধভাষী।
এরপর পেলাম নতুন এডজুটেন্ট, প্রিন্সিপাল।১ দু’জনেই জাঁদরেল। ততোদিনে আমরাও বুঝে গেছি অথরিটির ভূমিকা কী। নাম শুনেছি রেড বুকের, অনেকের আবার ডাক পড়তে শুরু করেছে এডমিন থেকে।
এবারের এডজুটেন্টের নাম মেজর ফরিদ। ঝিনেদার এক্স-ক্যাডেট। সেইরকম ভাবসাব। মাটিতে যেন পা পড়েনা। আশেপাশে কখনো তাঁর উপস্থিতি টের পেতেই যেন তটস্থ হয়ে উঠতাম আমরা। ভয়ে আত্মা শুকিয়ে যেত।
ক্যাডেটদের প্রতি তাঁর ছিল সীমাহীন রুক্ষ আচরন। যেকোন ড্রিলের আগেই সকাল-দুপুর প্র্যাকটিস করা লাগতো। সাধারণত সকালের তৃপ্তিকর ঘুমটা ফেলে আমাদের সামনে আসতেন না তিনি, দুপুরে আসতেন। একটা অতিশয় ছোট হাফপ্যান্ট পরে আসতেন, উপরে সাদা টি-শার্ট থাকতো। স্যালুটিং ব্যাজে ছোট্ট শামিয়ানার নিচে বসতেন, পায়ের উপর পা তুলে।
এদিকে আমরা ঘামতে ঘামতে গোসল করছি, টপটপ বেয়ে পড়া ঘামগুলো অসহ্য বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে, মাথার উপর গনগনে সূর্য কারো সাথে পাল্লা দিয়ে যেন প্রখরতর হচ্ছে। এরি মাঝে কেউ কেউ ফ্রন্টরোল, সাইডরোলেরও শিকার হচ্ছে। কী অভাবনীয় দৃশ্য সেটা। বাইরের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা স্থানীয় লোকগুলো হা করে দেখছে সেসব। ঠিক সেই মুহূর্তে চমত্কার কিছু ইংলিশ ডায়লগ নিয়ে আবির্ভাব হতো তাঁর।
ইংরেজি শেখার উপকরণ হিসেবে ক্যাডেট কলেজের অনেক ভূমিকা ছিল, মানতেই হবে। আমরা এক্ষেত্রে বেশি পেয়েছি ফরিদ স্যারের থেকে। পা মারার ছন্দ তৈরির জন্যে ব্যবহৃত synchronize শব্দটা তাঁর মুখেই প্রথম শিখেছিলাম আমি। একবার গেইমস টাইমে কয়েকজন পেটমোটা ক্যাডেটকে ফল আউট করানো হলো, ওদেরকে সামনে ডেকে নিয়ে ওনি গর্জে উঠলেন, “you fucken bulky guys..”, হাউসে ফিরে গিয়ে bulk অর্থ দেখলাম ডিকশনারীতে।
আরেকদিন, প্রিন্সিপালস প্যারেড। অন্ধকার না কাটতেই আমরা গ্রাউন্ডে গিয়ে হাজির। চকচকে জুতা পালিশ, ঝকঝকে ইউনিফর্ম। প্রিন্সিপাল আসার আধ ঘন্টা আগেই এডজুটেন্ট এলেন, চেক করতে। শীতের সকাল, কুয়াশা কাটেনি তখনো। বেচারা তৃপ্তিভরে দোষ ধরতে পারলেন না, সামনে গিয়ে বিরক্তিসহ বলতে থাকলেন, “…But for the foggy weather, I could not…” এরকম অনেক নতুন শব্দ তাঁর মুখে শুনে শিখেছি।
একবার কলেজ থেকে সবাইকে হাফপ্যান্ট দেয়া হলো। সবাইকে বলা হলো নতুনটাই পরে আসতে হবে, এডজুটেন্ট আসবেন চেক করতে। আমরা নবনির্মিত টাইট টাইট প্যান্টগুলো পরে গেলাম, দেখেতো বেচারা রেগে ফায়ার, সেখানেই দাঁড়ানো দর্জিকে ঝাড়ি দিয়ে বললেন, “এগুলা কি বানিয়েছ? সবগুলোর বলস দেখা যাচ্ছে!”
এই গভীর জলের মাছ লোকটি ক্যাডেটদের নিজস্ব একতার বন্ধনে নামিয়েছিলেন ধ্বস। কোনো ফল্টে ফেঁসে যাওয়া ক্যাডেটদের দুর্বলতাকে পুঁজি করে টিকটিকির কাজ করিয়েছেন, ক্যাডেটদের বিখ্যাত কিছু প্ল্যানও এভাবে ভেস্তে গিয়েছিল তাঁর পাতা ফাঁদের দরুণ। অতিরিক্ত শারীরিক- মানসিক চাপে পড়ে ভারসাম্যহীনও হয়ে গেছিলো গুটিকতক।২
ইলেভেনে যাবার পর বিদায় নিলেন ফরিদ স্যার, এবার এলেন সিলেটের এক্স-ক্যাডেট মেজর গাফফার। চমত্কার রুচিবান পুরুষ। নিজেই প্রেরণা দিলেন ফেলো ফিলিংসের। আমাদের মাঝের সুপ্ত প্রতিভাগুলো খুঁজে খুঁজে বের করলেন তিনি। কলেজ অডিটোরিয়ামে ডেকে নিয়ে আমাদের ক্যুইজ নিলেন, প্রিফেক্ট বাছাইয়ের জন্য, আমাদের মতামত যাচাই। ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ।বেরিয়ে আসার আগে ISSB প্রিপারেশন কোচিং দিয়েছেন আমাদের, শিখিয়েছেন জীবনের প্রতিটি স্তরে কিভাবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে।
তাঁর অন্যতম বিখ্যাত ডায়লগ ছিল,”Be positive.” আজ যখন দেশ ও বিশ্বের সমাজ, সভ্যতা, রাজনীতি, অর্থনীতি নিয়ে ভাবি, ডায়লগটা বড়ো বেশি বাস্তব মনে হয়। চিন্তায় ও মননে নেগেটিভিটি পরিহার করলে অবশ্যি একটি নির্ভেজাল সমাজ গড়া সম্ভব, যেখানে সকলে উদারমনা হবে, অপরের ফিলিংসকে প্রাধান্য দেবে নিজেরটার উপর।
একদিন জুম্মা নামাজের আগে আকস্মিক হামলা করলেন গাফফার স্যার। সিনিয়র ক্যাডেটদের মাঝে সাধারণত পাঞ্জাবীর নিচে গেঞ্জি না পরার একটা প্রবণতা থাকে, তিনি খুঁজে বের করলেন এমন একটা গ্রুপকে। পরদিন ডাকলেন অফিসে। স্বভাবতই সবাই বেশ পরিপাটি হয়ে হাজির হয়ে গেল। এবার তাঁর স্বভাবসুলভ ইংরেজি লেকচার আরম্ভ হলো, “আমি এডজুটেন্ট বলে তোমরা সময়মতো এবং সুন্দর ড্রেসআপ করে এখানে এসেছ। অথচ সারা দুনিয়ার স্রষ্টার সামনে দাঁড়াতে গেলে তোমাদের ভালো ড্রেসআপ করা লাগেনা, টাইমলি যাওয়া লাগেনা!!” তিনি যেন আমাদের চিন্তার জগতে দোলা দিয়ে যেতেন, প্রতিনিয়ত। তাঁর একটা ভালো কথা ছিলো “mandible strength” ব্যবহার নিয়ে। “ফাঁকা কলসী বাজে বেশী”। চাপার জোর দিয়ে মানুষকে বশীভূত করার যোগ্যতাকে ঘৃণা করতেন তিনি। তাঁর মূল দায়িত্বের পাশাপাশি এসব নসীহত করে দিয়েছেন তিনি আমাদের।
সুন্দর গানের গলাও ছিল দু’জনেরই। গোমতী হাউসের অনুষ্ঠানে ফরিদ স্যার গেয়েছিলেন “শাল পিয়ালের বনে সে এসেছিল”, আর ICCLMM 2002 কুমিল্লায় গাফফার স্যারের কন্ঠে বেজেছিল “বাসন্তী রঙ শাড়ি পরে…মেলায় যাইরে”।
মেজর গাফফার টিচারদের খুব রেসপেক্ট করতেন। সেবার “জাতীয় শিক্ষক দিবস” উপলক্ষে অডিটোরিয়ামে ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন হলো, তিনি বক্তব্য রাখলেন, শেষটায় ডায়েস থেকেই স্যালুট করলেন শিক্ষকদের।
গাফফার স্যার ক্যাডেটদের সাথে এসে বাস্কেটবল খেলতেন, ফুলপ্যান্ট পরে, পিটিতে আমাদের সাথে দৌড়াতেনও।
সবশেষে এতটুকু বলতে পারি, তাঁদের অবদানেই আজ এ স্বার্থক জীবন আমাদের। “এতো শঠতা, এতো যে ব্যাথা, তবু কেন তা মধুতে মাখা।” কথাটা সত্য মনে হয়েছিল তখন, যখন ফরিদ স্যারের ফেয়ারওয়েল ডিনারে তিনি বলছিলেন,৩ “Each of the sweats you drop will pay”, অথবা যেদিন আমাদের ফেয়ারওয়েলে গাফফার স্যারকে দেখেছিলাম বিমলিন- ব্যথিত, অথবা যেদিন পুনরায় কলেজে গিয়ে প্লেগ্রাউন্ডে লেখা দেখতে পেয়েছিলাম, “Today’s pain is tomorrow’s pride.” এইতো জীবন, কষ্টের মাঝে সুখের বীজবপন।
(১। প্রথমের প্রিন্সিপালকে পেয়েছিলাম অল্প কদিন। অধ্যক্ষ মাসউদ হাসান। এরপর আসেন নেভীর কমান্ডার এম এ জব্বার। সর্বশেষে পাই উইং কমান্ডার এ এম আমজাদ হোসেনকে।
২। নাম মনে থাকলেও প্রকাশ করা গেলনা।
৩। ডায়লগটা তাঁর না, অন্য কারো কোটেশন।)
আলম, ‘৯৭-‘০৩
good one Alam...Maj. Mainuddin r o kiso famous dialog silo..jemon kao k ak paye darai thakte dekhlei chitkar diye uthto "pregnant duck" bole...Maj. Farid r kotha r ki bolbo....oi beta amar life ritimoto hell kore sarsilo......8 ta last warning r 5 mega r max e tar bodoulote e....;-))
লাষ্ট ওয়ার্নিং...তাও আবার আটটা!!!!ক্যামনে কি???
@alom vvaiya, gaffar sir sylhet er ex-cadet...
amra 7 days e jaber somoy amder adjutant chilen ccc er majr ajom,r ccc te amader colleger gaffar vai.to amra comillate ak rat chilam...rat 11ter dile amader bus houser samne thamlo r ccc er onekei amader sathe dekha korte aschilo..aita dekhe amader adjutant ajom sir amder dilo mair..aita dkehe aber gaffer sir o ccc r polapain der mair...(dui joneri college feelings jege uthsilo mone hoy)
......হ রে, ডলা খাইয়া সাইজ হইছিলাম। 🙁
konok vai,
apnar no ta den...
আলম লেখার হাত তো দেখি চমৎকার।
ভালো লাগলো পড়ে।
মেজর গাফফারের কথা শুনে মনে হলো তোমরা খুব ভাগ্যবান। এরকম ভাগ্য সব ইনটেকের হয় না। আমাদের হয় নি।
@raihan
amar cell number-01552313220
Maj, Gaffar was really a great adjutant...I really felt lucky to be in class 12 during his time,,,,,,,
......আপনাদের পর পর আমরাও লাকী। 🙂
One example of how fond we were of Maj. Gaffar...one cadet in our class was very much "colored" in the eyes of Maj. Gaffar.....but that cadet...even knowing that, used to love and respect Maj. Gaffar the most (thats what he told me)
Thanx 2 Ahmed bhai & Tarek bhai.
কনক ভাইজানকে ধন্যবাদ সংশোধনের জন্য। শাহেদকেও।
bonno....amar warning r hatekhori hoi class IX e thakte...amader titas house k garden e heavy panga dissilo titas r JP...ami meghna house theke setar pics tulsilam...sei misadventure r shiktri shorup first warning letter...candidates porjonto baki time ta besh niropodrob e silo...but SSC r vacation theke campus e back korar por theke Maj. Farid r amader housemaster Anwar sir r sunojor(!) e pore jai...tai 11-12 ai 2yrs e baki 7 ta...r majhe HP hobar por e mone hoi 3 ta last warning paisilam...obosso ete temn obak hobar kiso nai...amader intake r besh koijon r e double digit warning letter silo...sei tulonai amar ta besh niriho figure...
......হায়রে, এইচ পি এর এই দশা।
আহমেদ ভাই
আপনাদের ইনটেক সম্পর্কে এই বাচ্চাদেরকে কতো বলবেন?
পারমিশন দিলে আমি একটা মহাকাব্য লিখে দিতে পারি। 💡
আপনারা ছিলেন সেইরকম........undescribable.
ওওও...হুদা ওয়ার্নিং .....এইডার তো বেইল নাই!!!সাথে লাষ্ট লাগায়া ইট্টু ইজ্জত দিসিলেন ....
alam....likhe felo tomar mohakabbo...college authority r kase to amra villain silam...dekhi tumi tomar mohakabbe amader ki role dao....
bonno....shudho first ta simple warning silo...baki 7 tai silo last warning....
আহমেদ ভাই
আপনি ৭টা last warning খেয়েও HP হলেন, আর আমরা একটাও না খেয়েও কিছুই হলাম না। কী আফসোস।
আপনার দেয়া গুরুদায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো, তবে অনেক in4mation gap হয়ে যাবে।
ধন্যবাদ।
আহমেদ ভাই আমারে মনে হয় চিনেন নাই..আমি ফুয়াদ..আপনারা মিয়া আমারে সেভেনে হেভী
ডিসটার্ব দিসিলেন...আপনার মনে না থাকলেও আমার আজীবন মনে থাকব 😆 😆
আর এইটা কোন কাজ করলেন!!!ক্যান জুনিয়রদের সিক্রেটটা শিখায়া দিলেন না???দ্যাখেন না কলেজ থেকে বের হওয়ার তিন চাইর বছর পরেও কারও কারও এখনও বুক জ্বালাপোড়া করতেছে... 😉
ফুয়াদ ঠিকই বলসে। গাইডদের উচিত জুনিয়রদের এটা শিখিয়ে দেয়া যে, কলেজের last warning কখনও লাস্ট হয়না, অতএব ভয়ের কিছুই নাই।
Fuad....tumi kon house r? meghna r hole to disturb khaoar kotha na....
7 ta last warning khayao HP?ore khaise amare!!!! ashole koite hoibo oigula last warning silona prempotro silo......authority bhalobaisha disilo....yeah maney amio 3 ta warning khaisi....akta class 8 e thakte ak junior re panganor jonno ....baki duita class 12 e......
@mashruf vai
apner class 8 er tao mone hoy loveletteri silo noile......(ami kintu kichu boli nai)
Mashroof....warning letter gula re amra love letter nam e disilam....asolei eto last warning diye oitar morjada e nosto kore disilo....amra keo e temn care kortam na...but prob silo prottek ta love letter r sathe bonus hisabe either jorimana or parents dakano thakto... jorimana tobou mana jai but parents dakano was really disgusting...
btw, tumi ki chinte parso amak? last time deshe jabar age tomar sathe facebook e kotha hoisilo....
ডামি ওয়ার্নিং লেটার*
বিষয়ঃ Love letter-4
To: হেমলেটের মা (ক্যাডেটের অভিভাবক)
তোমার ছেলে আমাদের প্রেমকে মেনে নিতে চাইছে না। বিষয়টি তোমার অবগতির জন্য পেশ করা হলো।
এটা আমার পক্ষ থেকে তার প্রতি শেষ হুঁশিয়ারি।
আমাদের প্রেম মেনে না নিলে আমরা কিন্তু পালিয়ে যাব, তখন সে তার মাকেও হারাবে।
ইতি, হেমলেটের চাচা (Principal, ..CC).
*চিঠির বক্তব্যের জন্য লেখক দায়ী নন। গোস্তাকী মাফ।
@তারেক ভাই
কলেজ বার্ষিকীতে আপনার একটা গল্প ছিল, বন্যা নিয়ে। এটার কোনো কপি কি পাওয়া যাবে?
তিথি আপুকে আমার সালাম। ভাল থাকবেন।
আলম,
আমি বড়ই চমৎকৃত হলাম এই গল্পটার কথা বললা দেখে! একেবারেই আশা করি নাই কেউ কখনো এই গল্পের কথা আমাকে মনে করিয়ে দিবে!
ঘটনা হচ্ছে, কলেজ বার্ষিকীর ঐ কপিটা নাই আমার কাছে, গল্পটাও হারিয়ে ফেলেছি। কিন্তু ঐ গল্পটা আমার খুবই পছন্দের। মাত্রই কদিন আগে ভাবলাম যে এই প্লট নিয়েই নতুন করে আরেকটা লেখা দাঁড় করিয়ে ফেলবো। সময় পাচ্ছি না বলে করা হচ্ছে না!
তিথি-রে তোমার সালাম পৌঁছে দিলাম।:-)
তুমি কি ফেইসবুকে আছো নাকি?
তারেক ভাই, তিথি আপুরে ক্যামনে সালাম টা পৌছায়া দিলেন?
হাতে কইরা,নাকি মুখে কইরা??
আমার কাছে ছিল, but সেটা দেশে। ভেবেছিলাম soft copy থাকতে পারে আপনার কাছে। তাই...
Actually আমি ওটার ভীষণ ভক্ত, এখনো কাহিনীটা শোনাই বন্ধুদের।
U may reach me on FB: http://www.facebook.com/profile.php?id=679365651
আলম, গ-৯০২
এডজুটেন্ট কলেজের জন্য একটা বিশাল ব্যাপার। কলেজে তিনজন এডজুটেন্ট পাইসিলাম, এবং মজার ব্যাপার হলো শ্রদ্ধা তাকেই বেশি করতাম যিনি বেশি যন্ত্রণা দিসে।
major gaffer (infantry'r silen,tai na) prothome bcc te join koresilen,tarpor ccc te chole jaan. but amader barota bajie silen,uni 2001 e join koren, tarpor ED koto prokar o ki ki shob bujhiesen. everyday about 8-10 joner ed thakto, pore emon hoesilo je ED er appointment neya lagto. jutar fita onnovabe badha keno, hat panter moddhe keno erokom onek odvut karone ED hoese. but uni khub valo gan korte parten(vupen hajarikar 'bimurta rat')
থ্যাঙ্কস দোস্ত, কমেন্টের জন্য। তোকে চিনতে পারি নাই, তবে ব্যাচমেইট দেখে খুশি হলাম।
গাফফার স্যার আমাদের সময় বেশ প্রশংসিত একজন ব্যাক্তি ছিলেন, তবে এর আগে বরিশালে ওনি কী করে এসেছেন তাতো বলতে পারবোনা। জেনে ভালো লাগলো যে, এমন কঠোর একটা মানুষও আমাদের কাছে এসে এতো ভাল হয়ে গেসিলেন!! 😕
যাহোক দোস্ত, আশাকরি এই ব্লগে রেগুলার লিখবি। তাইলে আরো কথা হবে পরে।
মেজর গাফফার স্যারের সাথে আমার দুই দফায় দেখা হয়েছিল।
প্রথমটা ২০০২ এর কুমিল্লা আইসিসিএলএম'এর সময়, মাত্র মিনিট দুয়েকের জন্য।
দ্বিতীয়টা সম্ভবত ২০০৫ এর কোন এক সময় ঢাকায়।
তখন প্রায় দেড় দুই ঘন্টা প্যাচাল হয়েছিল শুধু ক্যাডেট কলেজ নিয়ে।
কেবল কুমিল্লা থেকে এসেছেন - মন মাথা তাজা তাজা অনুভূতি ও তথ্যে ভরপুর।
ক্যাডেট কলেজ নিয়ে, ক্যাডেট নিয়ে উনার সীমাহীন মোহ, ভারোবাসা লক্ষ্য করেছিলাম
(স্যার নিজেও সিলেটের এক্স ক্যাডেট)।
Life is Mad.