এই পথ যেন না শেষ হয়…

দুই হাজারেরও কিছু বেশি দিন ক্যাডেট কলেজে কাটাইয়া আসিবার পরও আমার কেবলই মনে হইতে লাগিলো -ইস, আরেকবার ফিরিয়া গিয়া আরো দুই হাজার দিন থাকিয়া আসিতে পারিলে বেশ হইতো। কিন্তু এই জীবনে তাহা আর হইবার নয়। আমার বুক ফাটিয়া কেবলই কান্দন আসিতে লাগিলো। হায় আমি একি হেরিলাম।

তার পর বহু বৎসর কাটিয়া গিয়াছে। চা বাগান আর পাহাড় ঘেরা সেই ছাপ্পান্ন একর স্থানে থাকিতে আমার দুই কর্ণের উপরে যেইখানে কেশরাজির আভাস মাত্র ছিলোনা, সেইখানে ঘনকৃষ্ণ কেশরাজির ফাকে দুই একখানি ধবল কেশও উকি দিয়াছে। আমার যেই বাল্যসখার সহিত আমি পাঠ্যাদি বাদ দিয়া শিক্ষককূলকে বিরক্ত করিবার নিত্য নতুন উপায় খুজিতাম, সেই প্রানসখা এক চঞ্চলাকে বিবাহ করিয়া এক বালকের পিতা হইয়াছে। যেই কন্যাকে বিবাহ করিবার জন্য শৈশবে হাতের মুঠোয় প্রান নিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলাম সে অন্যের ঘরনী হইয়া পুনঃ পুনঃ সন্তানাদি’র জন্ম দিয়া গৃহ ভরিয়া তুলিয়াছে, কিন্তু সেই দুই হাজার দিন ফিরিয়া না পাইবার আফসোস আমার তখনো যায় নাই। দিশেহারা হইয়া আমি তখনো আমার সেই দুই হাজার দিন খুজিয়া বেড়াইতেছিলাম।

খুজিতে খুজিতে অন্তর্জাল জগতে একদিন এক নতুন স্থানের সন্ধান পাইলাম। সিসিবি নামের সেই স্থানে কতিপয় বালক আমার সেই দুই হাজার দিন কেমন করিয়া যেন ফিরাইয়া নিয়া আসিয়াছে। আর আমারই আরেক বাল্যসখা পরমানন্দে সেই দিনগুলি কেমন উপোভোগ করিতেছে। অতি আনন্দে আমিও তাহাদের সাথে যোগ দিবার ইচ্ছা পোষন করিলাম। তাহারা পরমানন্দে সম্মতি দিলো। দেখিতে না দেখিতেই আমি তাহাদের একজন হইয়া গেলাম। আমার সেই দুই হাজার দিন , যার লাগিয়া বুক ফাটিয়া কেবলই কান্দন আসিতো, আমি ফিরিয়া পাইলাম।
——————————————————————————————-

এরপর অনেক পথ চলেছে সিসিবি। একটু একটু করে বেশ বড় একটা ক্যাডেট কমিউনিটি হয়ে উঠেছে। আমরা সবাই মিলে একটু চেষ্টা করলেই এটা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্যাডেট কমিউনিটি হবে। তাই সেই জায়গায় যাওয়ার আগে আমাদের নিজেদের একটু গুছিয়ে নেয়া দরকার।

এটা নিশ্চয়ই আমার সাথে সবাই একমত যেহেতু আমরা সবাই ক্যাডেট আমার মজা করার ধরন বা বিষয়ও সবার চেয়ে একটু আলাদা।আমি বলছি না আমরা বিশেষ কিছু। কিন্তু যে গল্পে আমরা সবাই একসাথে হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়ি অন্যেরা মাঝে মাঝে সেটা শুনলে আমাদের পাগল ছাড়া অন্য কিছু ভাববে না। আমাদের গল্পগুলি তাই আর সবার চেয়ে আলাদা। আবার বেশ কিছু ব্যাপার আছে যেটা শুধু ক্যাডেট কলেজে মানায়। অন্য কোথাও এই গল্প গুলি বলা যায় না। তারেকের লেখাটা থেকে একটু কোট করি…
সবচে বড় কথা- আমাদের ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লেখাগুলো। আমরা নিজেরা এই সিস্টেমের ভেতরে কাটিয়ে এসেছি লম্বা সময়। এর ভেতরের দুর্বলতা বা শক্তি আমাদের খুব ভালো জানা। কিন্তু এই ব্লগের সব পাঠকদের একই রকম জানাশোনা- এরকম ভাবাটা ভুল হবে। এমন অনেক সেন্সেটিভ বিষয় রয়েছে- যেটা আমরা আমাদের নিজেদের আড্ডায় আলাপ করলে দোষ নেই- কিন্তু হুট করে যদি সেটা বাইরে চলে আসে- ঠিকমতন রিলেট করতে না পারার ফলে অনেকেই হয়তো ক্যাডেট কলেজ নিয়ে ভুল ধারণা পাবেন। এতদিন ধরে ভাল রেজাল্ট আর সফলতা দিয়ে যে সুনাম কামিয়েছে কলেজগুলো- সেগুলোর প্রতি আমাদের আরেকটু যত্নবান হওয়াটা দরকার বলে মনে করি।

সিসিবি যেহেতু দিন দিন বাড়ছে এখন সময় এসেছে কিছু বিষয় আগে থেকেই আমরা ঠিক করে নেই। যাতে কেউ এখানে এসে আমাদের সম্পর্কে ভুল ধারনা নিয়ে ফিরে না যায়। সবাই যাতে বলে -ওরা সত্যিই আলাদা।

১.
আমাদের গল্পে বেশির ভাগ সময়ই আমাদের স্যাররা চলে আসেন। ক্যাডেট কলেজের গল্পে স্যাররা আসবেনই। কিন্তু আমরা যখন সেই গল্পটা সবার কাছে বলবো তখন আমাদের কতটুকু সচেতন হতে হবে আমরা একটু সবাই জেনে রাখি।
২. কিছু বিষয় আছে স্পর্শকাতর। যেমন সিনিয়র-জুনিয়র, কলেজ-কলেজ এই সব। এই গুলি নিয়ে আমরা কিভাবে দেখি সবাই।
৩. বলার অপেক্ষা রাখে না আমাদের গল্পের একটা আমোদজনক বিষয় যৌনতা। এ সম্পর্কিত কিছু গল্প, আমরা যেহেতু ক্যাডেট, এখানে আসতেই পারে। সেগুলি আমরা কিভাবে উপস্থাপন করবো? বা আদৌ করবো কিনা?
৪. ভালো একটা কমিউনিটি করতে গেলে, লেখার মান ধরে রাখতে গেলে সম্পাদনার প্রয়োজন আছে কিনা? থাকলে আমরা ছোট একটা সম্পাদনা পরিষদ করতে পারি কিনা?
৫. পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভাল ক্যাডেট কমিউনিটি করতে গেলে প্রচার ও প্রসারের জন্যে এই মুহুর্তে আমাদের কার কি চিন্তা ভাবনা আছে।

আমার মনে হয় আমরা যদি সবাই এইখানে আলোচনা করি, যে যার মতামত দেই, খুব সহজেই আমরা আমাদের স্বপ্নের কাছাকাছি পৌছাতে পারবো। চলুন তাহলে…

৯,৮৭২ বার দেখা হয়েছে

১০০ টি মন্তব্য : “এই পথ যেন না শেষ হয়…”

  1. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    একদম খাঁটি কথা ভাই... :boss:
    আর "do's n dont's" এখনই করাটা অতীব জরুরী, তা না হলে মেম্বার যখন হাজার্‌স ছাড়িয়ে যাবে তখন তা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন- দুটোই কঠিন হয়ে পড়বে...


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
  2. রায়হান আবীর (৯৯-০৫)

    ১.
    ২.
    ৩. আসতেই পারে। সেটা সিসিবিতে ছাপাও হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই লেখককে এমনভাবে লিখতে হবে যেন সেটা অরুচিকর না হয়ে যায়। অনেকদিন আগে চটি বিষয়ক একটা ব্লগ শফি ভাই ডিলিট করে দিয়েছিলেন। কিন্তু মরতুজা ভাইয়ের পোস্ট ঠিক মতোই আসছে। কারণটা অবশ্যি ভাইয়ার ভাষার ব্যবহার। উনার মতো যদি কেউ গুছিয়ে লিখতে পারেন তাহলে স্বাগতম। এই ধরণের ব্লগ দেবার আগে অবশ্যই পাঠক হিসেবে নিজের লেখাটি পড়ে দেখুন। যদি বিন্দু মাত্র সন্দেহ থেকে থাকে তাহলে দিবেন না।

    ৪...

    সম্পাদনা ব্যাপারটি সম্পর্কে সবার একটা পরিষ্কার আইডিয়া থাকা দরকার। প্রথম প্রথম সদস্য হবার পর আপনার ব্লগগুলো মডারেশন প্যানেল ঘুরে আসছে তার কারণ আপনার ফরম্যাটিং এ ভুল হতে পারে। মডারেশনের মাধ্যমে সেই গুলো ঠিক করে দেওয়া হয়।

    কিন্তু সম্পাদক মন্ডলীর দায়িত্বটা হবে আলাদা। কোন আপত্তিকর পোস্ট তারা সম্পাদনা করে ছাপাবার চেষ্টা করবেন। যদি একান্তই সম্ভব না হয় তাহলে সেইগুলো মুছে ফেলা হবে।

    কোন নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই আলোচনা উঠে আসে নাই। যেহেতু ব্লগের বয়স কম, আমরা চাইলে অনেকদুর এগিয়ে যেতে পারি তাই আমাদের কি করা উচিত আর কি করা উচিত না সেটা আলাদা করে ফেলতে হবে। সেটা ভবিষ্যতের জন্যই।

    আশাকরি সিসিবিকে আপনারা আগের মতো ভালোবাসা দিয়ে আকঁড়ে ধরে থাকবেন।

    কামরুল ভাইকে ধন্যবাদ তার পোস্টের জন্য। :salute:

    জবাব দিন
    • আমার আগেই রায়হান বলে দিয়েছে, তাও আবার বলি। আমাদের এই আলোচনা অবশ্যই নির্দিস্ট কোন পোস্টকে কেন্দ্র করে না। সব সময় আমরা কি ধরনের লেখা লিখবো সেটা নিয়ে।

      আমরা শুধু লিখতে হবে বলে না লিখে, লিখলে ভালো হবে এই জন্যে যদি লিখি। আমার মনে হয় তাহলেই ব্লগে লেখার মান অনেক বেড়ে যাবে।

      কিন্তু রায়হান পাব্লিসিটির ব্যাপারে তোমার মতামত কই?

      জবাব দিন
  3. সায়েদ (১৯৯২-১৯৯৮)

    "ছোট একটা সম্পাদনা পরিষদ" - ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ হতে পারে বলে আমি মনে করি। ব্লগের পুরনো সদস্য যারা তারা হয়তো এর চরিত্র এবং ধারাবাহিক উত্তরণটা জানেন। কিন্তু একজন নতুন সদস্যের জন্য তা হৃদয়াঙ্গম করা কঠিন। খুব কম সদস্যই আছেন যারা সব ব্লগ মন্তব্য সহকারে অল্প সময়ের ভিতর পড়ে ফেলেন বলে মনে করি। নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে জানি এখানে মন্তব্য এবং ব্লগ প্রকাশ করা বা করতে চাওয়া অনেকটা নেশার মতোন। আর বিষয় যখন ক্যাডেট কলেজ/ ক্যাডেট জীবন তখন মন কোন বাধ মানতে নাও চাইতে পারে। উপরন্তু শিক্ষক, স্টাফ, সিনিয়র - জুনিয়র, কলেজ - কলেজ নিয়ে বিভিন্ন জনের কাছে মাপকাঠি বা সীমারেখা বিভিন্ন রকম। সেক্ষেত্রে একটি সম্পাদনা পরিষদই হতে পারে সহজ, কার্যকরী এবং স্থায়ী সমাধান।


    Life is Mad.

    জবাব দিন
  4. তৌফিক

    কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বোধহয় এই ব্লগের উদ্দেশ্য কি এটা ঠিক করে নেয়ার প্রয়োজন আছে। এই ব্লগ যে শুধুই স্নৃতিচারণমূলক না এতে বোধহয় সবাই একমত হবেন। তাহলে প্রশ্ন আসছে যে, স্নৃতিচারণ ছাড়া আর কি বিষয়ে লেখা যাবে? যেহেতু এই ব্লগে অনেক সেনা কর্মকর্তা আছেন, তাদের পেশাগত বাধ্যবাধকতার জন্য বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যি ব্লগিং করা যাবে না। অশ্লীল এবং উস্কানিমূলক লেখা ও মন্তব্য করা যাবে না। আমি নিজে এই ব্লগের নিয়মিত লেখক ও মন্তব্যকারীর ব্লগে তাকে উত্যক্ত করে মন্তব্য দেখেছি। আমার ভুল হতে পারে, দেখে মনে হয়েছে, আরেকজন এক্সক্যাডেট অথবা প্রেজেন্ট ক্যাডেট তাকে জিঘাংসাবশত হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই মন্তব্যগুলো করেছে। এইসব ব্যাপার এড়াতে পুলিশিং দরকার।

    সম্পাদনা পরিষদের সদস্যরা সারা জীবনের জন্য সম্পাদক না হলেই ভাল। দুইটি কারণ, লেখার মতো সম্পাদনাতেও বৈচিত্র্য দরকার আর সম্পাদনা পরিষদের সদস্যদের উপর যেন বেশি চাপ না পড়ে। নিয়মিত লেখকদের মাঝখান থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদক করা যেতে পারে।

    আমার বলার আছে এইটুকুই। ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
  5. ম্যানিলা (২০০০-২০০৬)

    আমি ঠিক জানিনা, MGCCর কতজন এখানে আছেন। যাই হোক। চরিত্র এবং যোগ্যতা খুব ই sensetive ২টা ব্যাপার। আমাদের চরিত্র এবং যোগ্যতা নিয়ে কথা উঠতেই পারে। সে ধরনের কিছু ঘটেছে বলেই হয়তো উঠেছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এভাবে সবার সামনে প্রশ্ন তোলাটা অমূলক। এমন হতে থাকলে হয়তো সামনে আমরা আর কোন গার্লস ক্যাডেটকে এখানে পাবোনা।
    this is just my own opinion. ভুল কিছু বলে থাকলে ক্ষ্মমা করবেন। ধন্যবাদ।

    জবাব দিন
    • জিহাদ (৯৯-০৫)
      এমন হতে থাকলে হয়তো সামনে আমরা আর কোন গার্লস ক্যাডেটকে এখানে পাবোনা।

      ম্যানিলা, স্যরি, আমি বুঝতে পারিনি কোন পোস্ট কিংবা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হঠাৎ তোমার এমন মনে হল।আমি অবশ্য সব কিছু দেরীতে বুঝার কৃতিত্ব ক্লাস সেভেন থেকেই গলায় ঝুলায়া বেড়াইতেসি। সে যাই হোক, আমরা চাই এই ব্লগে সব কলেজেরই শান্তিপুর্ণ সহাবস্থান থাকুক। কোন কলেজের কারো ব্লগ পড়ে অন্য কেউ কষ্ট পাক বা কোন ধরণের মনোমালিন্য সৃষ্টি হোক সেটা আমরা কোন ভাবেই চাইনা। তোমার যদি কোন পোস্ট বা মন্তব্যের ব্যাপারে অবজেকশন থাকে নির্দ্বিধায় জানাতে পারো। এখানে বলতে না চাইলে xihad76এট ইয়াহু.কম এ মেইল করে জানাও।

      কোন কিছু ভাল না লাগলে দেখেশুনে চুপ করে থাকলে ভবিষ্যতে মনোমালিন্য বাড়ার সম্ভাবনা আরো বেশি হবে। তারচে ব্যাপারগুলো এখনই মিটিয়ে ফেলা ভাল। আশা করি বুঝতে পেরেছো কি বলতে চাচ্ছি।

      ধন্যবাদ।


      সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

      জবাব দিন
      • আমি প্রথমেই বলেছি, আমি যা লিখলাম, তা পুরটাই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এবং এটা নিয়ে আমি বেশি কিছু আর বলতে চাইনা। কোন পোস্ট নিয়ে অব্জেকশন এর প্রশ্ন আসেনা। আপনি যেমন বলেছেন,এই ব্লগে কেউ কষ্ট পাক বা মনোমালিন্য হোক, সেটা আমরা কেউই চাইনা। সেটা যেন অখখুন্য থাকে সেটাই প্রত্যাশা 🙂

        জবাব দিন
      • ম্যানিলা (২০০০-২০০৬)

        আমি প্রথমেই বলেছি আমি যা লিখলাম, তা পুরটাই আমার ব্যক্তিগত মতামত। এবং এটা নিয়ে আমি বেশি কিছু আর বলতে চাইনা। কোন পোস্ট নিয়ে অব্জেকশন এর প্রশ্ন আসেনা। আপনি যেমন বলেছেন,এই ব্লগে কেউ কষ্ট পাক বা মনোমালিন্য হোক, সেটা আমরা কেউই চাইনা। সেটা যেন অখখুন্য থাকে সেটাই প্রত্যাশা 🙂

        জবাব দিন
        • আহ্সান (৮৮-৯৪)

          কোন কিছু ভাল না লাগলে দেখেশুনে চুপ করে থাকলে ভবিষ্যতে মনোমালিন্য বাড়ার সম্ভাবনা আরো বেশি হবে। তারচে ব্যাপারগুলো এখনই মিটিয়ে ফেলা ভাল।

          ম্যানিলা,
          আপু, আমিও জিহাদের সাথে একমত। তোমরা আমাদের থেকে আলাদা কেউ নও। সবাই আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমরা সবাই এখানে শান্তিতে সহাবস্থানে বিশ্বাসী। একই পরিবারের সদস্য হিসেবে কোন কিছু খারাপ লাগলে সরাসরি বললেই ভালো হবে বলে আমিও মনে করি।

          আশা করি এখন থেকে আমরা কেউই কাউকে কষ্ট দেবনা কিংবা একে অন্যের মনোমালিন্যের কারণ হবোনা।

          জবাব দিন
  6. ম্যানিলা (২০০০-২০০৬)

    আপনি আমারে ভুল বুঝসেন ভাইয়া। আমি আপনার কমেন্ট এর reply দিনাইতো 🙂
    আমি just আমার opinion বলসি যে sensitive ব্যাপার নিয়ে প্রশ্ন তোলাটা ঠিক নয়। কিছু ব্লগ এবং কমেন্ট পড়ে আমার ব্যক্তিগতভাবে সে কথা মনে হয়েছে। may be i thought the wrong. if it is then,i'm sorry to all. thanks.

    জবাব দিন
  7. আহ্সান (৮৮-৯৪)

    জিহাদ,
    তোমার মন্তব্যের রেশ ধরেই বলছি...

    আমরা সবাই এখানে আমাদের স্বর্ণালী অতীতের ছোঁয়া ফিরে পেতে আসি। ফেলে আসা কিছু সুখ মূহুর্তের অনুভূতিগুলো আমাদের হাপিয়ে ওঠা কর্মময় জীবনে প্রশান্তির শীতল ছোয়ার পরশ বুলিয়ে যাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। কিছু হাসি, কিছু কান্না, কিছু সু্‌খ, কিছু দুঃখ, কিছু ভালো লাগা কিংবা কিছু ভালো না লাগার সেই ব্যক্ত কিংবা অব্যক্ত কথা গুলোকে স্মৃতির ধুলো সরিয়ে সবার সামনে আবার উম্মোচিত করব। কলেজের বন্ধুরা এবং বড় কিংবা ছোট ভাই বোনেরা সেই স্মৃতি গুলো রোমন্থন করবেন আর মনে মনে বলবেন, "এটা তো আমারো জীবনের গল্প।" বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন, ভাই-বোন, জীবনসঙ্গী-জীবনসঙ্গীনী কিংবা স্যার-ম্যাডাম...সবারই পদচারনা ঘটতে পারে এখানে। এমনকি যে পিতা/মাতা অধীর আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করছেন তার সন্তানকে ক্যাডেট কলেজে পাঠানোর জন্য সেও হয়তো অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের জন্য আসতে পারে সাইটটিতে। আর ক্যাডেট কলেজ বিমুখদের কথা না হয় বাদ ই দিলাম।

    আমার এই লম্বা আবেগতাড়িত ভূমিকার উদ্দেশ্য হলো, আমাদের নিজেদের মনের মাঝের বিবেক নামক স্বত্তাটিকে জাগিয়ে তোলা। আমরা সবাই ক্যাডেট...আমাদের মানসিকতা পুরোপুরি না হলেও প্রায় একই। তাই সবাইকে অনুরোধ করবো লেখা লিখবার সময় কিংবা পোস্ট করবার আগে একবার শুধু মনে রাখলেই চলবে যে এই লেখাটি আমার বাবা, মা, ভাই, বোন এদেরও পড়ার যোগ্য কিনা। শুধু এই একটি ব্যাপার খেয়াল রাখলেই সমস্যা প্রাথমিকভাবেই অর্ধেকে নেমে আসবে।

    এখানে আরেকটি ব্যাপার হবে যদি এই ধারা চলতে থাকে। সাইটটি অনেকটা রোবোটিক হয়ে যাবে। কারণ অনেক মজার ঘটনা (যেগুলো কৈশোর এবং যুবক বয়সের সন্ধিঃক্ষণে বেশী হয়ে থাকে) তখন সাইটে আসবেনা। আর আমাদের সবার রুচি কিংবা আগ্রহও এক না। তাই সব ধরনের পাঠক ধরে রাখতে একটি আদর্শ সাইট হিসেবে আমাদেরও সবার আগ্রহের দিকে নজর দেবার প্রয়োজন থেকে যায়। সেই হিসেবে আমি মাসরুফের গতকালের লেখা কমেন্টকে জোড়ালো সমর্থন করি। একটি আলাদা কর্ণার থাকতে পারে যেখানে কেবলমাত্র ক্যাডেট ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারবেন। আর লেখক তার লেখাটি্র ভাব অনুধাবন করে সেই কর্ণারে পোষ্ট করবেন।

    এখন আরেকটি সমস্যার উদয় হতে পারে। আমি আমার লেখাটিকে অনাপত্তিকর মনে করে উল্লিখিত কর্ণারে পোস্ট করলাম না কিন্তু সেটা অন্যের কাছে আপত্তিকর মনে হতে পারে। কারণ একেকজনের একসেপ্টেন্স একেক রকম। তাই সেইক্ষেত্রে সম্পাদনা পরিষদের প্রয়োজন হবে। পরিষদ যদি মনে করেন যে লেখাটি ওপেন ফোরামে প্রকাশের যোগ্য নয় তাহলে লেখাটিকে নির্দৃষ্ট কর্ণারে পাবলিশ করবেন।

    আমাদের উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আমাদের লেখা পড়ে আমাদের বাবা মা'রা এই ভেবে যেন মনে কষ্ট না পান যে তার ছেলে কিংবা মেয়েকে এই শিক্ষা দিতে ক্যাডেট কলেজে পাঠিয়েছিলেন? পিতৃ-মাতৃতুল্য স্যার এবং ম্যাডাম'রা যেন কষ্ট পেয়ে না বলেন, "এইকি আমদের কষ্টের প্রতিদান?" আর সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা যত ক্যাডেট ভাই বোন আছি, কেউ কাউকে যেন লেখার ভাবপ্রকাশের মাধ্যমে কষ্ট না দেই।

    উপরের মতামতগুলো একান্তই আমার ব্যক্তিগত। কাউকে উদ্দেশ্য করে বা ঈঙ্গিত করে লেখা নয়। যদি আমার এই লেখাটুকু কাউকে মনঃকষ্ট দেয় তবে তা অনিচ্ছাকৃত।

    জবাব দিন
  8. @তৌফিক

    যেহেতু এই ব্লগে অনেক সেনা কর্মকর্তা আছেন, তাদের পেশাগত বাধ্যবাধকতার জন্য বিতর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যি ব্লগিং করা যাবে না।

    এই ব্যাপারটা আরেকটু খোলাসা করা দরকার। আমার নিজের কাছেই খুব পরিষ্কার নয়।

    সম্পাদনা পরিষদের সদস্যরা সারা জীবনের জন্য সম্পাদক না হলেই ভাল। দুইটি কারণ, লেখার মতো সম্পাদনাতেও বৈচিত্র্য দরকার আর সম্পাদনা পরিষদের সদস্যদের উপর যেন বেশি চাপ না পড়ে। নিয়মিত লেখকদের মাঝখান থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সম্পাদক করা যেতে পারে।

    সহমত।

    @ম্যানিলা

    আমাদের চরিত্র এবং যোগ্যতা নিয়ে কথা উঠতেই পারে। সে ধরনের কিছু ঘটেছে বলেই হয়তো উঠেছে। কিন্তু সেটা নিয়ে এভাবে সবার সামনে প্রশ্ন তোলাটা অমূলক।

    এরকম কিছু ঘটেছে বলে আমার মনে পড়ে না। দুই একটা মন্তব্য দেখেছি। কিন্তু আমার কাছে সেইগুলি নিছক মজা করার জন্য বলা মনে হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে তুমি কোথাও ভুল বুঝেছো। কিম্বা যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যাই হউক, চলো সেটা ফান ধরে নিয়েই এগিয়ে যাই।

    @আহসান ভাই

    লেখা লিখবার সময় কিংবা পোস্ট করবার আগে একবার শুধু মনে রাখলেই চলবে যে এই লেখাটি আমার বাবা, মা, ভাই, বোন এদেরও পড়ার যোগ্য কিনা। শুধু এই একটি ব্যাপার খেয়াল রাখলেই সমস্যা প্রাথমিকভাবেই অর্ধেকে নেমে আসবে।

    আমি একটু অন্যভাবে বলতে চাই। অনেক বিষয় আছে সেগুলি সরাসরি হয়তো বাবা মা ভাই বোন এদের সাথে শেয়ার করা যায় না। কিন্তু লিখলে খুব চমতকার লেখা যায় এবং পড়েও সবাই খুব মজা পায়। আমার মনে হয় লেখার মানটা এইখানে বড় ভুমিকা রাখে। আসল কথা হলো আসলে আমি কিভাবে লিখলাম সেটা। ভাল লেখার গুনে যেকোন বিষয় সবার কাছে গ্রহনযোগ্য হতে পারে।

    একটি আলাদা কর্ণার থাকতে পারে যেখানে কেবলমাত্র ক্যাডেট ছাড়া অন্য কেউ ঢুকতে পারবেন। আর লেখক তার লেখাটি্র ভাব অনুধাবন করে সেই কর্ণারে পোষ্ট করবেন।

    তবে আমার নিজের মনে হয় যেটা সিসিবির লেখা সেটা সবার লেখা হউয়া উচিত। এই ব্লগটাইতো ক্যাডেটদের জন্যে। সেখানে আলাদা করে 'শুধু ক্যাডেটদের জন্য' নির্দিস্ট কর্নার করার কতটুকু দরকার আমি জানিনা।

    সবার মতামতের অপেক্ষায়।
    ভালো থাকবেন।

    জবাব দিন
    • ম্যানিলা (২০০০-২০০৬)

      "এরকম কিছু ঘটেছে বলে আমার মনে পড়ে না। দুই একটা মন্তব্য দেখেছি। কিন্তু আমার কাছে সেইগুলি নিছক মজা করার জন্য বলা মনে হয়েছে। আমার মনে হচ্ছে তুমি কোথাও ভুল বুঝেছো। কিম্বা যিনি মন্তব্য করেছেন তিনি বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যাই হউক, চলো সেটা ফান ধরে নিয়েই এগিয়ে যাই"। (কোট করতে পারিনা 🙁 )
      কামরুল ভাই কে অসংখ্য ধন্যবাদ তিনি ব্যাপারটা বুঝেছেন এবং আমাকে ভুল্ টা ধরিয়ে দিয়েছেন বলে। আসলে ব্যাপারটা যা বুঝান হয়েছে আমি হয়ত ভুল ভাবে বুঝে নিয়েছি, যেটা অন্যদের কাছে তেমন লাগেনি। এ কারনে কেউ কষ্ট পেলে প্লিজ মনে রাখবেন্না 🙂

      জবাব দিন
    • তৌফিক

      কামরুল ভাই, চিনির কোট দিয়া একটা কথা বলতে চাইছিলাম। সেইটা হইল রাজনীতি আর অন্যান্য বিতর্কিত বিষয় নিয়া কথা বলার জায়গা এইটা না, সেই ব্যাপারে জনমত সংগ্রহের জন্য। এটাকে পলিসি করে নেয়া যায় কিনা ভাববার অবকাশ আছে।

      জবাব দিন
      • এটি প্রধাণত একটি স্মৃতিচারণমূলক ব্লগ যেখানে ক্যাডেট কলেজে ফেলে আসা স্মৃতিগুলোর বর্ণিল প্রতিফলন ঘটবে। তবে সদস্যগণ চাইলে যে কোন বিষয়ের উপরেই ব্লগ লিখতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

        আবার আরেকটি কথা এসেছে নিচে মুহাম্মদের মন্তব্যে-

        এটা অবশ্যই কেবল স্মৃতিচারণ ব্লগ না। এতে যেকোন কিছু লেখা যেতে পারে বলে মনে করি। যেমন: দিনলিপি, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, স্মৃতিচারণ, রিভিউ, জীবনী, শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিজ্ঞান, দর্শন, সমাজ, প্রযুক্তি ইত্যাদি। লেখার সাথে যে ক্যাডেট কলেজের সম্পর্ক থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। ক্যাডেটরা লিখছেন এটাই বড় কথা। শুধু স্মৃতিচারণ লিখতে থাকলে অনেকের কাছেই একঘেয়ে লাগতে পারে।

        আমার মনে হয় আমরা দুইটা মিলে একটা জায়গায় গিয়ে দাড়াই। এমনিতেই ক্যাডেটদের নিয়ে রিউমার আছে -তারা সব সময় তাদের নিয়েই ব্যস্ত থাকে। তারা এলিট শ্রেনী। এই ভুলটা ভাঙ্গানোর জন্য অন্য ধরনের লেখার অবশ্যই দরকার আছে। তবে অবশ্যই গঠনমুলক এবং কাদা ছোড়া-ছোড়ি হবে এমন বিষয় বাদ দিয়ে।

        বাকিরা কি বলে?

        জবাব দিন
        • জিহাদ (৯৯-০৫)

          সেটাই। আমরা যখন শুরু করসিলাম তখন এইটা শুধু স্মৃতিচারণমুলক ব্লগই ছিল। কাজেই রেডবুক সেকশনে সেভাবেই লেখা আছে।

          আর মুহাম্মদ যেটা বলসে সেটা পরিবর্তিত সময়ের প্রেক্ষাপটে। আমার মনে হয়ে আমরা কমবেশি সবাই ই একমত এটাকে শুধু স্মৃতিচারণমুলক এ আবদ্ধ না রেখে এর পরিসরটা বড় করার ব্যাপারে। এখন এই পরিসরে কি কি থাকবে সেটা নিয়েই আমাদের কথা বলা উচিত। সেই পরিসরে কি কি থাকবে বা থাকতে পারে মুহাম্মদ সেই কথাই বলসে। তবে আমি রাজনীতি সহ অন্যান্য বিতর্কিত বিষয়ে এখানে আলোচনা না করার ব্যাপারে পক্ষপাতী।


          সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

          জবাব দিন
  9. অর্চি (৯৯-০৫)

    আসলে এমজিসিসি সম্পর্কে নানাধরনের rumours সব কলেজেই প্রচলিত আছে। সেটার রেশ ধরেই হয়ত কিছু কিছু কমেন্টের সূত্রপাত।

    যাই হোক,কি হয়েছে কেন হয়েছে সেটা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে সামনে কি হবে তা নিয়ে ভাবা উচিত। আর ধর্ম,জেন্ডার সবকিছু নির্বিশেষে আমরা ক্যাডেট। তাই বিসিসিরা কেমন আর এমজিসিসিরা কেমন তা নিয়ে কথা না বাড়িয়ে আমাদের এই ব্লগকে "পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং ভাল ক্যাডেট কমিউনিটি" বানানোর প্রক্রিয়া আজ থেকে শুরু হয়ে যাক... :ahem:

    জবাব দিন
  10. জুনায়েদ কবীর (৯৫-০১)

    সিসিবি সাইটটাতে ক্লিক করলে সরাসরি পোস্টগুলো দেখা যায়, আমার মতে- সাইটের একটা হোম পেজ থাকা দরকার যেখানে ছোট্ট একটা ডিস্ক্লেইমার থাকবে যে এখানকার লেখক ও পাঠক মূলত ক্যাডেটরা, তাই অন্যরা পড়ার সময় সেটা যেন একটু মাথায় রাখে...অন্যান্য কিছু টুকটাক তথ্য দিয়ে সুন্দর করে সাজান পেজটাতে পোস্টের লিংক থাকবে...আরও কি কি জানি বলতে চাচ্ছিলাম...মনে পড়ছে না...ইফতার করতে যাই... 😀


    ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ

    জবাব দিন
    • জিহাদ (৯৯-০৫)

      ক্যাডেট কলেজ ব্লগ নামটা নিজেই কি প্রকাশ করেনা এই ব্লগটা কিসের এবং কি সম্পর্কিত ব্লগ? কারো যদি এতেও সংশয় থাকে তাহলে তা দুর করার জন্য আমাদের কথা এবং রেডবুক সেকশনতো আছেই। যে কেউ এ দুটো পৃষ্ঠা ভ্রমণ করলেই এই ব্লগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবেন।

      এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে সেইসব ব্যক্তিগণের বুদ্ধিমত্তা নিনীষ স্কেলে একেবারে তলানিতে আসিয়া ঠেকিবে বলেই ঠাহর হয়। তাহাদের জন্য সমবেদনা ছাড়া আপাতত আর কিছু জানাতে পারছিনা। 🙂


      সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

      জবাব দিন
      • তৌফিক
        # এটি প্রধাণত একটি স্মৃতিচারণমূলক ব্লগ যেখানে ক্যাডেট কলেজে ফেলে আসা স্মৃতিগুলোর বর্ণিল প্রতিফলন ঘটবে। তবে সদস্যগণ চাইলে যে কোন বিষয়ের উপরেই ব্লগ লিখতে পারবেন। এ ব্যাপারে কোন বাধ্যবাধকতা নেই।

        যে কোন বিষয়ে এই কথাগুলো জেনারেল। আমি নিজে ভয়ে ভয়ে আমার অস্নৃতিচারণ লেখাগুলো পোস্ট করেছি। এ ব্লগের মড ও ডেভেলপারদের প্রতি শ্রদ্ধা থেকেই আমি চাইনি এমন কিছু পোস্ট করতে যা তাদের কষ্ট করে বানানো ব্লগে হয়তো বেমানান লাগবে। অন্যান্য ব্লগ সাইটে হাবিবুল বাশারকে ফাঁসি দেয়া উচিৎ কিনা, হ্যাকার শাহি মির্জাকে পুরস্কৃত বা তিরস্কৃত করা যায় কিনা এ ব্যাপারে বহু পোস্ট হয়। তারপর এ তারে গালি দেয়, ও তারে গালি দেয়। রাজনীতির কথা তো বাদই দিলাম। এই রকম ঝগড়ার স্থান যেন ব্লগটা না হয় সে জন্য সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া ভালো হবে যে, রাজনীতি অথবা বিতর্কিত বিষয় নিয়ে ব্লগিং করা যাবে না। বিতর্ক হতে পারে, সেটা যেন গঠনমূলক হয় এবং ক্যাডেট কলেজ সম্পর্কীয় হয়। সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন মডরাই করতে পারবেন।

        যে কেউ এ দুটো পৃষ্ঠা ভ্রমণ করলেই এই ব্লগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করবেন।

        দুঃখের ব্যাপার হইল আমি পারি নাই।

        ধন্যবাদ সবাইকে।

        জবাব দিন
        • জিহাদ (৯৯-০৫)

          আমার কমেন্টটা করা জুনায়েদ ভাইয়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে। উনি বলেছেন হোম পেজে সরাসরি ব্লগ না দিয়ে একটা ডিসক্লেইমার পেজ দেয়া যায় কীনা যেখানে উল্লেখ থাকবে এই ব্লগের লেখক ও পাঠক কারা এবং এদের উদ্দেশ্য কি। রেডবুক সেকশনে গেলে আপনি দেখবেন সেখানে লেখক হতে হলে হেডিং এর আন্ডারে স্পষ্ট করে লিখে দেয়া আছে কারা লেখক হতে পারবেন এবং কারা পারবেন না।এই ব্লগের পাঠক শুধু কি ক্যাডেটরাই নাকি অন্য কেউও হতে পারবেন- এ ব্যাপারে। এই কথাগুলো কি প্রকারান্তরে জুনায়েদ ভাই যে কথাগুলো ডিসক্লেইমার হিসেবে দেয়ার কথা বলছেন সেটাই প্রকাশ করছেনা ?

          এ ব্লগের লেখক, পাঠক কারা সে প্রশ্নের জবাব না হয় পাওয়া গেল। বাকি থাকলো এ ব্লগের উদ্দেশ্য কি।

          দুঃখের ব্যাপার হইল আমি পারি নাই।

          এটি মুলত স্মৃতিচারণ ব্লগ।এখনো পর্যন্ত।আমাদের কথা সেকশন পড়ার পর সে কথা না বোঝার কোন কারণ আমি দেখছিনা। ক্যাডেট কলেজের স্মৃতিচারণ করার কথা মাথায় রেখেই এর শুরু। এবং এখনো পর্যন্ত যেহেতু আমরা আমাদের ব্লগের নীতিমালার ব্যাপারেই নিজেরা আলোচনা করছি কাজেই ধরে নিচ্ছি আমরা আমাদের আগের নীতিমালাতেই এখনো অবস্থান করছি।

          কিন্তু সদস্য পরিসর বাড়ার সাথে সাথেই শুধু স্মৃতিচারণের ভেতর সীমাবদ্ধ না থেকে এর পদচারণা বিস্তৃত করার ব্যাপারে কমবেশি আমরা সবাই ভাবছি।

          যে কোন বিষয়ে এই কথাগুলো জেনারেল।

          এই জন্যই এখনকার এত কিছু আলোচনা যে জেনারেল বিষয়গুলাকে কোন কোন স্পেসিফিকেশনে ফেলা যায়।আমাদের ব্লগের বিষয় বস্তু কি হবে না হবে; এর সীমা পরিসীমা ঠিক করার ব্যাপারে।যখন আমরা সব কিছুর ব্যাপারে একটা সীদ্ধান্তে আসতে পারবো সে অনুযায়ী আমাদের কথা এবং রেডবুক সেকশনটাও আপডেট করা হবে। এবং যে কেউ সে দুটো পৃষ্ঠা ভ্রমণ করলেই আমাদের ব্লগের উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাবেন।

          সবকথার শেষ কথা, আমি কমেন্টে যেটা বোঝাতে চাইছিলাম সেটা হল আমি আলাদা ভাবে ব্লগের বদলে হোমপেজে ডিসক্লেইমার টাইপ কিছু দেবার প্রয়োজন দেখছিনা। আমাদের ব্লগের লেখক, পাঠক কারা হবেন এবং ব্লগের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য কি সেটার জন্য রেডবুক ও আমাদের কথা পৃষ্ঠা দুটিই যথেষ্ট। এখন যেমন পৃষ্ঠা দুটো স্মৃতিচারণমুলক ব্লগের কথা প্রকাশ করছে, একইভাবে ভবিষ্যতে সবার সমঝোতায় যে বিষয়বস্তু ও নীতিমালা ঠিক হবে সেই কথা প্রকাশ করবে।

          এইবার বুঝাইতে পারলাম কীনা জানিনা। কিন্তু আমি বুঝানোর চেষ্টা করসি এটুকু বলতে পারি।

          ধন্যবাদ।


          সাতেও নাই, পাঁচেও নাই

          জবাব দিন
  11. মুহাম্মদ (৯৯-০৫)

    প্রথমে কামরুল ভাইয়ের প্রস্তাবগুলার উত্তর দেই।
    ১। আমি সতর্কতার একটা স্ট্যান্ডার্ড মানি। যাকে নিয়ে লেখা হচ্ছে তার ব্যক্তিগত বা সামাজিক জীবনে এই লেখার কারণে কোন সমস্যা হবে কি-না? যেমন, ঐ স্যারের সন্তান বা পরিবার বা প্রতিবেশের কেউ তা জানলে স্যারকে অস্বস্তিতে পড়তে হবে কি-না। এই মানে উতরাতে না পারলে আমি ছদ্মনাম ব্যবহার করার পক্ষে।
    ২। কলেজ-কলেজ, সিরিয়র-জুনিয়র, ক্লাসমেট-ক্লাসমেট ক্ল্যাশের কথা আসতে পারে। আমি মনে করি সেগুলো মার্জিত ভাষায় লেখা হলে অসুবিধা নেই। সবার মনে রাখা দরকার এটা সে সময়ের কাহিনী। এটাকে সার্বজনীন ভেবে নিজের কলেজ বা ব্যাচের উপর অপবাদ হিসেবে নেয়া যাবে না।
    ৩। সেক্স বিষয়ক কথাবার্তা সাহিত্যিক মহলে যেভাবে আসে সেভাবেই আসবে। এইটা একটা বড় বিষয়, বাদ দেয়ার কুন উপায় নাই। সেক্স নাই তো মানুষও নাই। তবে অবশ্যই মার্জিত ভাষায়।
    ৪। কোন ব্লগে সম্পাদনা পরিষদ বলে কিছু নেই। নতুন ব্লগারদের লেখা মডারেট করার জন্য তো মডারেটররা আছেনই। সম্পাদনা পরিষদ লাগতে পারে ই-বই বা কোন বই বের করতে গেলে।
    ৫। প্রচার-প্রসারের জন্য তো কাজ করতেই হবে। এতোদিনে যে প্রচার হয়েছে তাতে আমরা খুব আশাবাদী। ভবিষ্যৎ অতি উজ্জ্বল। প্রচারণা এতোদিন যেভাবে হয়েছে সেভাবে চালালেই চলবে বলে মনে করি।

    এবার অন্যদের কিছু মন্তব্য সম্পর্কে নিজের মতামত দিচ্ছি:
    - "শুধু ক্যাডেটদের জন্য" এমন ভাগ থাকার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। এই ব্লগটাই ক্যাডেটদের জন্য। কিন্তু নন-ক্যাডেটরা অবশ্যই ব্লগ লিখতে এবং মন্তব্য করতে পারবেন। ব্লগের সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতেই নন-ক্যাডেট কাউকে আমরা সদস্য করে নিতে পারি।
    - এটা অবশ্যই কেবল স্মৃতিচারণ ব্লগ না। এতে যেকোন কিছু লেখা যেতে পারে বলে মনে করি। যেমন: দিনলিপি, গল্প, উপন্যাস, কবিতা, স্মৃতিচারণ, রিভিউ, জীবনী, শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিজ্ঞান, দর্শন, সমাজ, প্রযুক্তি ইত্যাদি। লেখার সাথে যে ক্যাডেট কলেজের সম্পর্ক থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। ক্যাডেটরা লিখছেন এটাই বড় কথা। শুধু স্মৃতিচারণ লিখতে থাকলে অনেকের কাছেই একঘেয়ে লাগতে পারে।

    জবাব দিন
  12. সাব্বির (৯৫-০১)

    আমি তো মতামত দিতে ভয় পাচ্ছি।
    সবার লেখা পড়ে আমি বিভিন্ন মন্তব্য করি মজা করার জন্য।
    আমার কথা নিয়া আবার কেউ মাইন্ড খাইল কিনা কে জানে।
    ভাই/বোনেরা আমার কারণে কেউ কষ্ট পাইয়া থাকলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।

    জবাব দিন
  13. শাহরিয়ার (২০০৪-২০১০)
    আমরা সবাই যেহেতু ক্যাডেট, একজন অন্যজনকে খেপানো তাই আমাদের দূষ্টামির একটা অংশ হয়ে যায়।

    একমত!
    ক্যাডেট কলেজের খুবই মজার একটা বিষয় টিজ করাটা।সেটা নেগেটিভলি...না,বরং মজা করার জন্য।আমি আমার বর্তমান ক্যাডেট লাইফেই দেখছি চরম টিজিং হয় আর সেটা পুরোপুরি দুষ্টামি করে।কাউকে কষ্ট দেবার কথা কক্ষনো মাথায় আসে না।
    এক্স-ভাইয়ারা যখন ব্লগে আসে তখন কিন্তু ক্যাডেট লাইফের একটা অংশ ফিরে পেতে চায়।সে কন্ডিশনে একজন আরেকজনকে খেপিয়ে(ক্যাডেটদের যেটা বৈশিষ্টের পর্যায়ে পড়ে)যে আনন্দটা পায়,সেটা থেকে বঞ্চিত করাটা বোধহয় উচিত না।অবশ্য আমারও ভুল হতে পারে,এক্স-ক্যাডেট হয়ে গেলে হয়তো ম্যাচুরিটি চলে আসে,এসবকে তাদের অভিজ্ঞলব্ধ জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে হয়ত ফালতু মনে হয়।
    কিন্তু আমার ধারণা দুষ্টামি ব্যাপারটা ছাড়া হয়তো ব্লগের আনন্দটা পরিপূর্ণ হবেনা।
    হ্যা,ব্যাক্তিগত আক্রমনের আমিও পক্ষপাতি নই,সেটাকে যতটা সম্ভব সহনশীল মাত্রায় রাখা উচিত।কেননা,এক্স-ক্যাডেটরা প্রত্যেকে প্রতিষ্ঠিত এবং তাদের সম্মানের একটা ব্যাপার আছে।সেই সাথে বলব এসবকে নিছক জোক্স বলে মনে করাটাই বেটার।
    ফেসবুকে প্রায়ই পরিচিত এক্স-ক্যাডেটদের সাথে চ্যাট করি,ফটো কমেন্ট করি।কোনটাই কিন্তু আঘাত করার উদ্দেশ্যে নয়।ভাইয়ারা সবাই আমাদেরকে তুই করে ডাকে,তাতে কিন্ত আমরা আনন্দিতই হই।
    সবশেষে বলব,ব্লগটা যেহেতু ক্যডেটদের জন্য,তাতে ক্যাডেট আবহটাই ধরে রাখা উচিত,সম্ভবত সেটাতেই ক্যাডেটরা উপভোগ করবে!


    People sleep peaceably in their beds at night only because rough men stand ready to do violence on their behalf.

    জবাব দিন
  14. কাইয়ূম (১৯৯২-১৯৯৮)

    আমি শুধু মডারেশন নিয়ে আমার বক্তব্যটা দেই,

    ১ আলাদাভাবে শুধু ক্যাডেটরাই ঢুকতে পারবে এমন কোনো সেকশন রাখাটার মনে হয় দরকার নেই। কেনোনা এমনিতেই এটা শুধু ক্যাডেট কলেজ টার্গেটেড ব্লগ দেখে নন ক্যাডেট অনেকেই হয়তো অস্বস্তি বোধ করতে পারে, তার উপর আবার যদি এরকম রেস্ট্রিক্টেড কোনো সেকশন দেখে তাহলে হয়তো আরো মিইয়ে যেতে পারে কারো কারো আগ্রহ। আমরা নিশ্চয়ই চাইনা যে ক্যাডেটরা ছাড়া আমাদের এই সুখ-দুখের মিশ্রিত আবেগের গল্পগুলো অন্য কেউ না পড়ুক!
    ২ লেখার মান ধরে রাখার জন্য সম্পাদনার দরকার আছে কি না? এইটা একটা জটিল প্রশ্ন। কেননা সম্পাদনার লেভেলটা কতদূর হবে, সেটা কি লেখার ভাষা সম্পাদনা নাকি বিষয় সম্পাদনা, এসব ব্যাপারে একমত হওয়াটা বেশ জরুরি। যতটুকু আমরা দেখছি এখানে বেশিরভাগই আমরা নতুন লেখক [মানে নেট এ ব্লগিং সি সি বি থেকেই হয়তো শুরু বোঝাচ্ছি] তাই এই মডারেশন এর কোপানলে কেউ যদি ভুল বুঝে অভিমানী হয়ে না লেখে তাহলে আমরাই চমৎকার সব ক্যাডেটীয় লেখাগুলো থেকে বঞ্চিত হবো।
    ৩ কমেন্ট কখনোই মডারেশন করা উচিত নয়। হোক সেটা টাইপো বা অন্যকিছু। লেখক চাইলে যেহেতু সেটা মুছে দিতে পারে তাই মডারেটর বা এ্যাডমিন কারো কমেন্ট মডারেশন এ না যাওয়াই উচিত।

    [পুরোপুরি ব্যক্তিগত মতামত]
    ইফতারি খেয়ে আবার কন্টিনিউ করবো 🙂


    সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!

    জবাব দিন
  15. আপনাদের এই পোস্ট পড়ে আমি খুবই হতাশ হয়েছি। আপনারা যেভাবে সবকিছু রাখঢাক করে লেখালেখির কথা ভাবছেন তাতে আপনাদের এই ব্লগের নামটা পরিবর্তন করা উচিত। 'ক্যাডেট কলেজ ব্লগ' অথচ সেই ক্যাডেট কলেজ নিয়ে কি কি লিখতে পারবেন তাতেই আপনারা স্থির না।

    স্বাভাবিকভাবেই ক্যাডেট কলেজ ব্লগের প্রায় ৯০% লেখা ক্যাডেট কলেজ সংক্রান্ত হবে এটাই বাস্তবতা। এসব লেখায় টিচাররা, ক্যাডেটকলেজগুলোর মধ্যকার প্রতিযোগিতা, মেয়েদের কলেজ নিয়ে গুজবগুলো সবই আসতে হবে। কোনো কোনো আর্মি পারসন এই ব্লগে আছে বলে আপনারা লেখার কলমকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দিতে চান শুনে ব্লগে আসার উৎসাহ কমে যাচ্ছে।

    আপনারা ভালোই বুঝতে পারছেন যে এরকম রাখঢাক করে লিখলে ক্যাডেট কলেজ জীবনের বাস্তবতাটুকু (যা আপনারা পার করে এসেছেন) পুরোপুরি তুলে ধরতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে এককাজ করতে পারেন। আর্মি পারসনদের এবং মেয়েদের ভিন্ন নিকে (যাদের অসুবিধা আছে) লিখতে বলুন।

    এ কথাটা মাথায় রাখুন যে একদম মনের কথাটা লিখতে না পারলে তাহলে আর ব্লগ লেখা কেন?

    ভেরিফিল্মিবয়
    badyabajna@gmail.com

    জবাব দিন
    • ভেরিফিল্মিবয়
      হতাশ হওয়ার আমি কিছু তো দেখছি না। এখন পর্যন্ত কেউ বলেনি রাখঢাক করে লিখতে হবে। খোলামনে লেখার কথাই বলছে সবাই। কিন্তু বিতর্ক হতে পারে, কেউ কষ্ট পেতে পারে বা কারো কারো জন্য স্পর্শকাতর হতে পারে এই সব বিষয়ে একটূ সচেতনতা রেখে। অন্তত উপরের আলোচনা পড়ে আমার তাই মনে হয়েছে।

      আর যেহেতু এখনো আলোচনা হচ্ছে কিছুই কিন্তু ফাইনাল করা হয়নি। নানারকমের মতামত উঠে আসছে। আলোচনাটা করাই হচ্ছে একারনে যাতে সবার মতামত নিয়ে একটা সুন্দর ব্লগ তৈরি করা যায়।

      কারো জন্যই লেখার কলমকে খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেয়ার কথা কিন্তু বলা হয়নি। এখানে যখন আমরা আসি তখন আমরা কেউই আর আর্মি অফিসার,ডাক্তার বা ফিল্ম মেকার না। আমরা ছেলে বা মেয়ে এটাও আলাদা করিনা। এখানে আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা সবাই ক্যাডেট। এজন্যেই এটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।

      আশা করি আমাদেরকে বুঝতে পারবেন।
      ধন্যবাদ।

      জবাব দিন
    • অর্চি (৯৯-০৫)
      আর্মি পারসনদের এবং মেয়েদের ভিন্ন নিকে (যাদের অসুবিধা আছে) লিখতে বলুন।

      নিজের পরিচয় গোপন রেখে "মনের কথা" লিখার কোন মানে হয়না! যতদূর জানি, এই ব্লগের উদ্দেশ্য ক্যাডেট কলেজের স্মৃ্তি নিয়ে লিখা। কোন ক্যাডেট যদি একজন আর্মি পারসন অথবা মেয়ে হয়, তাদের ভিন্ন নিকে লিখতে হবে কেন? তাদেরকে দেখে যদি অন্য কারো অসুবিধা হয়, সেই ভিন্ন নিকে লিখুক।

      জবাব দিন
      • তারেক (৯৪ - ০০)

        অর্চির সাথে একমত। ভেরিফিল্মিবয়ের কথাগুলো আমার কাছে মোটেও উৎসাহব্যান্জক কিছু মনে হয়নি, বরং কেমন উস্কানিমূলক মনে হয়েছে। গুড় লাগিয়ে দুর থেকে মজা দেখার মত করে এইসব আলটপকা মন্তব্যের কোন মানে হয় না। হয়তো আমি একটু বেশিই সন্দেহপ্রবণ হচ্ছি- কিন্তু সেটা ভুলও মনে হচ্ছে না।


        www.tareqnurulhasan.com

        জবাব দিন
  16. মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)
    এখানে যখন আমরা আসি তখন আমরা কেউই আর আর্মি অফিসার,ডাক্তার বা ফিল্ম মেকার না। আমরা ছেলে বা মেয়ে এটাও আলাদা করিনা। এখানে আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা সবাই ক্যাডেট। এজন্যেই এটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ।

    শতভাগ সহমত।

    জবাব দিন
  17. সাইফ (৯৪-০০)

    ভেরিফিল্মি ভাই,আমরা এইখানে স্নায়ুযুদ্ধ করতে আসি নাই,ব্যক্তিগত পরিচয়ের ঊর্দ্ধে থেকে আমরা সবাই ক্যাডেট হিসেবেই এই ব্লগে ঢুকি............এইখানে গার্লস ক্যাডেট রা নিক নেইম দিয়ে লিখবে,আপনার এইধরণের ভাবনার কারণ কি আমরা জানি না,gender discrimination,racism,ego conflict এই বৃত্তের বাইরে থেকে আমরা সবাই ক্যাডেট............।।এই একুশ শতকে ক্যাডেট কলেজ ব্লগের মত একটা ব্যতিক্রমি ব্লগে মেয়েদেরকে আলাদা নিক এ লেখার কথা বলে অহেতুক বিতর্কের জন্ম দেয়ার কোন মানে হয় না..................আমরা সবাই এইখানে আসি............মিলনে মালিন্য নাশো............এই মতাদর্শ নিয়ে............আরেক্টু খোলা দৃষ্টি দিয়ে দেখুন......ফিল্মের চোখে.........বৈচিত্র্য মাখিয়ে...আপনার নিকের সার্থকতা খুজে পাব আমরা.........আসুন আমরা সবাই মিলে এই ব্লগকে ভেরিফিল্মির চেয়ে আরও ফিল্মি ও সুন্দর করে তুলি............।ভুল বুঝে যদি কষ্ট পেয়ে থাকেন আমার কথায়............আমি আগে থেকেই হাত জোর করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি............।।ক্যাডেট এর চোখ দিয়ে দেখে ক্ষমা করে দিবেন..................। 🙁

    জবাব দিন
  18. নাহিদ (১৯৯৬-২০০২)

    দেখতেছিলাম। ম্যালা বড় ভাই আছেন। অভিজ্ঞ। তাই সাহস হচ্ছিল না।

    সবাইকে বলছি,

    আমি যেহেতু এডমিনিস্ট্রেটরদের কেউ না, তাই আমি জানিনা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ এর এডমিনরা এই ব্লগটা তৈরী করেছেন মূলত ক্যাডেটদের জন্যই কিনা। আমার মনে হয় মূলত ক্যাডেটদের নিয়েই এই ব্লগটা। আর সেই ক্ষেত্রে এখানে অন্য কেউ যে লিখতে পারবেন না, তাতো আর না, কিন্তু ব্লগের মূল চরিত্র "ক্যাডেট", এইটা না ভোলাটাই হয়তো ভালো হবে।

    আমি আই.আর.সি. বা ব্লগ রিলেটেড ব্যাপারগুলোতে অনেক আগে থেকেই জড়িত। আই.আর.সি. এডমিন, কো- এডমিন, নেটওয়ার্ক এডমিন হিসেবে ছিলাম একাধিক সাইটে। অনেক জায়গাতেই যেটা দেখেছি তা হলো, ইন্টার্নাল পলিটিক্সের কারনে বা ধরে না রাখতে পেরে বা সময় না দিতে পেরে বা ডেডিকেশনের অভাবে অনেক সম্ভাবনাময় সাইট বন্ধ হয়ে গেছে (ক্যাডেট কলেজ নিয়েও তো আরো ব্লগ বা সাইট হয়েছে, বাট টিকেছে কয়টা?)।

    তাই আমার সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, আসুন আমরা খুব স্বাভাবিক দৃষ্টি দিয়ে সব কিছু বলি প্লাস দেখি। এই ইন্টারনেটের যুগে ব্লগিং এর আনন্দ নিতে শুধু যে নেটে আসি তা না, নিজের অলস সময় এর খোরাক ও জোগায় এটি। তাই এখানে এই ব্লগে কি আমরা আমাদের পৃথিবীটা আমাদের মত করে দেখতে পারি না?

    আমি তো এই ব্লগে ঢুকি এই ব্লগটাকে আরেকটা ক্যাডেট কলেজ মনে করে। প্রতিটা লেখা পড়ার আগে আমার যে হার্টবিট হয় সেই হার্টবিট অনেকটা হঠাৎ কোথাও ক্যাডেট কলেজের নিউজ শুনলে যেমন হয় তেমন।

    এখানে সবাই আসুক। সবাই পড়ুক। সবাই লেখুক।
    কিন্তু এই ব্লগ যেন আমাদের ক্যাডেট কলেজ ই থাকে।
    একটা ব্লগ তৈরী করা সহজ কিন্তু টিকে থেকে সামনের দিকে এগুনোটা ততটাই কঠিন। ইউজার থাকাটাই একটা ব্লগের মূল শর্ত। ইউজাররাই ব্লগের প্রাণ।

    এই ব্লগে ইউজার হিসেবে আসি কারন এটা ক্যাডেটদের ব্লগ তাই।
    আমার মনে হয় এখানে যত ব্লগার আছেন সবাই অন্য কোন না কোন ব্লগে লেখেন তবু এই ব্লগে আসেন কারন এটা আমাদের ব্লগ তাই।

    তাই আমার মনে হয় আপাতত ব্লগ যেমন আছে তেমন ই থাক। আরো ৫/৬ বছর পর এডমিনরা যদি মনে করেন এটা একটা জেনারেল ব্লগ হবে সেই ক্ষেত্রে ক্যাডেটদের জন্য আলাদা অপশন এর ব্যবস্থা করতে পারেন বাট এখনই না।

    এবার একটা কাজের সাজেশন দেই, সাইট আর গেটআপ এ উন্নতি হওয়া দরকার। কি করা যেতে পারে এ জন্য? আমার মনে হয় সবাই সাইট এর ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করতে রাজি আছেন। এখন দরকার শুধু উদ্যোগ। এডমিনরা আওয়াজ দেন ।

    জবাব দিন
    • সামিয়া (৯৯-০৫)
      ক্যাডেট কলেজ নিয়েও তো আরো ব্লগ বা সাইট হয়েছে

      সত্যি?? আমাদের যোগাযোগ করা উচিৎ তাহলে অবশ্যই।

      ইন্টার্নাল পলিটিক্সের কারনে বা ধরে না রাখতে পেরে বা সময় না দিতে পেরে বা ডেডিকেশনের অভাবে অনেক সম্ভাবনাময় সাইট বন্ধ হয়ে গেছে

      এই ব্লগে উপদেশ দেয়ার যোগ্যতা আমার নেই, তাই কয়েকটা অনুরোধ করি।
      ১। ঈশ্বরে বিশ্বাস, জামাত রাজাকার, দেশের প্রতি কর্তব্য ইত্যাদি নিয়ে বহুল পরিমাণ কাদা অন্যান্য খানে ছিটাছিটি হয়ে গেছে।
      আমরা কি এটুকু করতে পারি না, যে নিজের বিশ্বাস নিয়ে নিজেই নাহয় থাকি, অন্যের সাথে দা কোপাকুপিটা বাদ দেই?
      আমরা আমাদের মত ঝগড়া করব, কিন্তু মিলিমিশটাও আমরাই আমাদের মত করব, আমাদের কর্তব্য আমরাই বুঝে নেব, তৃতীয় সাধুর আমাদের কোন দরকার নেই।

      জবাব দিন
      • মাসরুফ (১৯৯৭-২০০৩)

        ঈশ্বরে বিশ্বাস, জামাত রাজাকার, দেশের প্রতি কর্তব্য ইত্যাদি নিয়ে বহুল পরিমাণ কাদা অন্যান্য খানে ছিটাছিটি হয়ে গেছে।
        আমরা কি এটুকু করতে পারি না, যে নিজের বিশ্বাস নিয়ে নিজেই নাহয় থাকি, অন্যের সাথে দা কোপাকুপিটা বাদ দেই?

        শতভাগ সহমত।তবে ক্যাডেট কলেজ ব্লগে দেশদ্রোহীদের কোন স্থান থাকা উচিৎ নয় বলেই আমি মনে করি,কারণ দেশপ্রেম হচ্ছে ক্যাডেটদের রক্তের সাথে মিশিয়ে দেয়া হয় এরকম একটা মৌলিক জিনিস।তাই জামাতি/ রাজাকার-পন্থী কোন ব্লগার বাইরে থেকে এসে যত মিষ্টি মিষ্টি কথাই বলুক সেটা অন্ততঃ ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্যে খুব একটা সুখকর হবেনা। হ্যাঁ,যতক্ষন পর্যন্ত সামিয়ার বলা বিষয়গুলো সে এখানে উত্থাপন করছেনা ততক্ষন পর্যন্ত হয়ত তার সাথে কোন রেষারেষি নেই,কিন্তু এ ধরণের কোন ব্যক্তি এ ব্লগে উপস্থিত এটা ভাবতেও আমি অস্বস্তি বোধ করি।আর এখানে ধর্ম নিয়ে বিতর্ক কোন অবস্থাতেই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয় কেননা এটা ক্যাডেট কলেজ ব্লগ,এখানে ক্যাডেট জীবনের সুখ দুঃখের প্রতি প্রাধান্য দেয়া হবে সেটাই আমার কাম্য।আচার হিসেবে কবিতা,গল্প প্রভৃতি আসতে পারে কিন্তু নাস্তিক-আস্তিক,রাজাকার-মুক্তিযোদ্ধা বিতর্ক এখানে না আসাই আমি সমর্থন করি।আর সেই সাথে(এটা হয়তো কন্ট্রাডিক্টরি হয়ে যায়) ব্যক্তিগতভাবে বিরোধিতা করি দেশদ্রোহী মনোভাব সম্পন্ন বাইরের কারো উপস্থিতিও।

        আমি আমার নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করছি,দ্বিমত অবশ্যি আসতে পারে।আশা করি মডারেট্র ব্যাপারটি ভেবে দেখবেন।

        জবাব দিন
        • তারেক (৯৪ - ০০)

          মাশরুফকে ধন্যবাদ আমার কথাগুলা বলে দেয়ার জন্যে।
          সামিয়ার মন্তব্যটা মন দিয়ে পড়লাম। এটা সম্ভবত কামরুলের লাস্ট পোস্টে করা আমার মন্তব্যের ফল হিসেবে এসেছে। তাই আরও কিছু যোগ করি।
          আমি নিজেও কাদা ছোঁড়াছুড়িতে আগ্রহী না। সবাই যার যার বিশ্বাস নিয়ে থাকবে, এটা আমিও সমর্থন করি। কিন্তু অনলাইনে বা ব্লগ দুনিয়ায় রীতিমতন সিল মারা একজন ক্রিমিনাল এসে হুট করে আমাদের ব্লগে গুরুজী মার্কা মন্তব্য করবে, এটা দেখে টেম্পার ঠিক রাখতে পারি নাই।
          সবার বিশ্বাসে শ্রদ্ধা রাখার কথা বলি, তার মানে এই না যে রাস্তার ক্রিমিনালদের ঘরে এনে বসতে দিবো।
          এখানে আমরা লিখবো-পড়বো, এই ব্লগের উদ্দেশ্য মনে করি এটাই। ধর্ম/ রাজনীতি নিয়ে আমি কখনই কথা বলতে ইন্টারেস্টেড ছিলাম না, এখনো নাই। কিন্তু তারপরেও এই ব্লগে কারা লিখতে পারবে আর কারা পারবে না, এই নিয়ে স্পষ্ট একটা দিকনির্দেশনা জানা থাকা দরকার।
          কাদের সাথে আমার ওঠা-বসা এটা আমি ভালভাবে জানতে চাই। একসাথে মিলেমিশে থাকার কথা বলে হিপোক্রেসী করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তার চেয়ে পগার পার হবো, সেটাই ভালো।
          মডু বা এডমিনদের কাছে স্পষ্ট কোন উত্তর চাইছি।


          www.tareqnurulhasan.com

          জবাব দিন
  19. রেজওয়ান (৯৯-০৫)
    এবার একটা কাজের সাজেশন দেই, সাইট আর গেটআপ এ উন্নতি হওয়া দরকার। কি করা যেতে পারে এ জন্য? আমার মনে হয় সবাই সাইট এর ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করতে রাজি আছেন। এখন দরকার শুধু উদ্যোগ। এডমিনরা আওয়াজ দেন ।

    একমত :boss:

    জবাব দিন

মন্তব্য করুন

দয়া করে বাংলায় মন্তব্য করুন। ইংরেজীতে প্রদানকৃত মন্তব্য প্রকাশ অথবা প্রদর্শনের নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া হচ্ছেনা।