আমার নাড়ি অনেক পাতলা। সব কথা না বলে থাকতে পারিনা। সি.সি.বি পড়ি আর ভাবি….আরে, আমারতো অনেক না বলা কাহিনী আছে। যা কাউকে না বলে, এতদিন কিভাবে থাকলাম? এখনতো ক্লাশমেটদের কে ঠিকমত কাছে পাওয়া যায়না, সবাই অনেক ব্যাস্ত…। তাই এখানেই বলি আর কি…
সর্ষের ফুল দেখা জিনিসটা মুলত দুইজনের কাছে দুইরকম। ১) মৌমাছির কাছে মধুর উৎস, আর ২) মানুষের কাছে মধু বের হয়ে যাবার উৎস(ভাইরা দয়া করে অন্য কিছু ভাববেন না !)।
টুশকি ৫
১. ক্লাস টুয়েলভে ওঠার পর আমাদের ক্লাসের সবার চিকি নাম্বারিং (!) শুরু হল। এক থেকে তিপ্পান্ন পর্যন্ত সবাইকে নাম্বারিং করা হলে তিপ্পান্নতম হবার গৌরব অর্জন করে মঈনুল। এটা জানার পর বাহান্ন নম্বর স্থান অর্জনকারী আহমেদের বড় বড় হাত পা ইত্যাদি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে দুঃখ দুঃখ স্বরে মঈনুলের বক্তব্য,”…আমারে তোরা তিপ্পান্ন নম্বরে দিলি!
বিস্তারিত»এক ডজন অনুকাব্য, একটা কম
১
যাবে যাবে করেও
যায়না তবু বশ করা
আমি বলি ভালবাসি
তুমি ভাব মশকরা
২
মন কেড়েছে উরমিলাই
ওর গানে তাই সুরমিলাই
কিপ ক্যাডেট কলেজ ক্যাম্পেইন
মূল রচনা – KEEP CADET COLLEGE CAMPAIGN
লেখক – মিনু খাদেম (১৩তম ব্যাচ, এফসিসি)
১. সঙ্গত কারণেই বিশ্বাস করতে বাধ্য হলাম যে, অন্য সবগুলো ক্যাডেট কলেজের প্রাক্তন ও বর্তমান ক্যাডেটদের কাউকেই বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের ইতিহাস সম্পর্ক কিছু জানানো হয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের অস্তিত্বের ইতিহাস বলার দায়িত্ব কেউই নেয়নি।
২. বাংলাদেশে ক্যাডেট কলেজের বিলোপ ও পুনরাবির্ভাবের ইতিহাস সম্বন্ধে বলতে গেলে ফিরে যেতে হবে ১৯৭২-৭৩ সালের যন্ত্রণাদায়ক দিনগুলোতে।
বিস্তারিত»আচার০০৩: ফটোব্লগ
নিউফাউন্ডল্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় তোলা। লেখালেখির মাঝে দেখা যাক আলোকচিত্র বৈচিত্র্য আনতে পারে কিনা। ভালো থাকবেন সবাই।
বিস্তারিত»হৃদয়ে তার বৃষ্টির অবিরাম শব্দ
ডিনার টেবিলে বড় ভাবী বললেন “এমদাদ ভাই তো পাশের ফ্ল্যাটে থাকে, তোমার সংগে দেখা হয়নি”?
“তাই নাকি”। একটু অবাকই হই আমি। অসুস্থ হয়ে সেই যে কলেজ ছাড়লেন, তারপর থেকে কিছুই জানি না। “এখন কি পুরা সুস্থ স্যার?”
“না, কই আর, লাঠি নিয়ে চলাফেরা করেন। দেখতে যাবা তুমি”।
“নিশ্চয়ই যাব।“ আমি বড় ভাবি কে আস্বস্ত করি আমি। “অ্যাড্রেসটা দেন।“
’৯৩ এর শেষ অথবা ’৯৪ এর শুরুর দিকের কথা।
বিস্তারিত»গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৪
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩
রাজিব
এটা বুদ্ধিমানের কাজ হল নাকি নির্বুদ্ধিতা হল ঠিক বুঝতে পারছি না।
আমি বাসা থেকে বেরোনোর আগে একটা চিঠি লিখে এসেছি।
বিকাল বেলা মার চেহারা দেখে এমন খারাপ লাগল যে মনে হল আমি নেই এবং কোথায় আছি এটা না জানতে পারলে মা হয়ত উদ্বেগে মারাই যাবেন।
অপলাপ – ২
অফটপিকঃ আজ নিজের পোষ্টগুলো একটু ঠিকঠাক করছিলাম। অনেকগুলোতেই কোন ট্যাগ নেই বিভাগ নেই হয়ে আছে। সেই করতে গিয়ে দেখলাম আমার একার পোষ্ট হচ্ছে ৪২ খানা। আমার অর্ধেক ও নেই কারো। এরপর পোষ্ট দিতে লজ্জা লাগছে। আমার মত নাদান যদি এই ব্লগের সর্বোচ্চ পোষ্টার ( যে পোষ্টায় ) হয় তাহলে কেমনে হয় । তাও লজ্জা লাগার পরও একখানা কবিতা দিলাম।
বলেছিলে,
ইচ্ছে হলে ডাকবে।
কলেজে পাওয়া প্রথম চিঠি… …
ক্যাডেট কলেজে join করেছিলাম ২০০১ এর ১২মে। আর বাবা-মায়ের লেখা একটা চিঠি পেয়েছিলাম সম্ভবত ১৮ মে। মাঝে মাঝে চিঠিগুলো দেখতে ভালই লাগে…
বিস্তারিত»নিশাচর আমি ও রাতের জীবন আমাদের…
ইদানিং কেমন যেনো নিশাচর হয়ে যাচ্ছি। আগে থেকেই কিছুটা ছিলাম। ভার্সিটি জীবন থেকেই রাত জাগার অভ্যাস ছিলো। কিন্তু ইদানিং এই অভ্যাসটা অনেক বেশি প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। সারা রাত জেগে থাকি। ভোর হলে ঘুমাতে যাই। যদিও অফিসের জন্য কিছুটা কষ্ট হয়। কিন্তু শুক্র, শনি বারে আমাকে পায় কে? সারারাত জেগে থাকি। ভোর হলে ঘুমাতে যাই, সারাদিন ঘুমাই, আবার রাত হলে জেগে থাকি। যেনো ড্রাকুলার মত।
বিস্তারিত»আমার জীবন আমাদের জীবন : হৃদয় ভাঙ্গার কাল
আমার জীবন, আমাদের জীবন : থমকে যাওয়া মুহূর্ত
১. ক্লাস নাইনের দ্বিতীয় সাময়িক পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার প্রায় শেষ মুহূর্তে হঠাৎই একটা শোরগোল, একটা খারাপ কিছুর গুঞ্জন টের পেলাম। পরীক্ষার ইনভিজিলেটর দুইজনের মধ্যে একজন আরেকজনকে বলে হুড়মুড় করে চলে গেলেন। কি হল জানতে না জানতেই মিনহাজ ভাই ক্লাসের দরজার সাথের তালাটা খুলে দিয়ে ফর্ম লিডারকে রিকোয়েস্ট করে গেলেন জানালা আটকে দিয়ে দরজা বন্ধ করে তবেই বের হতে।
বিস্তারিত»গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-৩
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-১
গাধা জহির, মাস্তান রাজিব-২
রাজিব
জহিরের চাচা বললেন, তোমার নাম মাস্তান রাজিব।
জি না শহিদুল আলম রাজিব।
চাচা এক নজর চেয়ে থেকে বললেন, তাই তো মাস্তান রাজিব তো কারো নাম হতে পারে না। অন্য ছাত্ররা দিয়েছে না। খুব খারাপ কথা।
আচ্ছা তোমার প্রিয় খাবার কী ?
গরুর মাংস এবং ভুনা খিচুড়ি।
একটি সাপ কাহিনী (ওয়েলকাম ব্যাক আফটার দ্য ব্রেক)
ডিনার করে নাইট প্রেপ এর জন্য একাডেমি যাচ্ছি দেখি হাউস মাষ্টার রুমের সামনে এডু দাড়ায় আছে। উহু, ফাড়া কাটে নাই।
-“ইউ ফয়েজ, কাম অন, কাম অন, আস্ক ইউর ফ্রেন্ড টু কাম”।
– “হুম”?
– “ইউর গেমস ফ্রেন্ড, হুম হ্যাভ ডিসকাসড লাষ্ট নুন”।
-“ওকে”।
আবার শুরু হল শান্টিং। এইবার অপরাধ, আমাদের ম্যাক্সিমাম কমপ্লেইন সঠিক নয়। তদন্তে এইটা প্রমানিত হয়েছে। অতএব শাস্তি অবধারিত।
একটি সাপ কাহিনী
হাইপোথিসিস নম্বর এক। শীত নিদ্রা দেবার আগে কিছু কথা লেখা দরকার, না হলে পাবলিক আমাকে ভুলে যেতে পারে।
হাইপোথিসিস নম্বর দুই। পুজার পুরা তিন দিন ছুটি, কোনো কাম নাই।
মিল্ক ব্রেক এ টের পাওয়া গেল, সেকেন্ড হাই টেবিলের ইসলাম এর সিট টা খালি। তা খালি থাকতেই পারে। প্রিফেক্ট যেহেতু নিশ্চয়ই ব্যাস্ত আছে কোথাও। আগের ক্লাসটাতেও তো প্রেজেন্ট ছিল।
মিল্ক ব্রেকের পর ব্যাবহারিক ক্লাস,
বিস্তারিত»আজ বুঝি জিতেই যাব
কেন যেন মনে হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এর আজকে খবরই আছে। ক্লাসের ফাঁকে খেলার খবর নিচ্ছিলাম অনেকটা কলেজে থাকতে আইসিসি সেমিফাইনালের মতই মনে হচ্ছিল। একে একে যখন উইকেট পড়ছে চিৎকার করতে পারছিনা। আস্তে আস্তে মুখটা হাসিমুখ হয়ে গেল। এক ভাইয়াকে ফোন করে বললাম ৭৯ রানে ৬ উইকেট। ভাইয়া পাত্তা দিলনা ও আচ্ছা। বললাম বাংলাদেশ ব্যাট করছে না বল করছে। আমি নিশ্চিত ওনার চোখ বড়বড় হয়ে গিয়েছিল। এরপর অনেকক্ষণ না দেখে এসে দেখি ২০০ হয়ে গেছে।
বিস্তারিত»