আমাদের ব্যাচের ছোট খাট সাইজের ইমরানের নাম ছিল “ধরা”। কারন ও কিছু করলেই ৯০ ভাগ সময় ধরা খেত, এমনকি কোন ভাল উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু করলেও বেচারার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হত। আমরা তখন নতুন ইলেভেনে…তখন আমাদের মাঝে উপস্থিত হলেন সদ্য বি.এম.এ ফেরত একজন স্টাফ (কোন কোন কলেজের ওস্তাদজী )। যা হোক সে সেই সাইজের স্টাফ। তার দশাশই সাইজের কারনে আমরা তাকে আদর(!)করে ডাকতাম “পটল” বলে। যারা ডিফেন্সে তারা ভাল বুঝতে পারবেন, সে আমাদের উপর বি.এম.এ রুল প্রয়োগ শুরু করে দিল, আবার ঘটনাক্রমে সে আমাদের হাউস স্টাফ হলো।
তো একদিন শুক্রবারের কাহিনী….আমরা ৩/৪জন আমার রুমের সামনের করিডরে দাড়িয়ে গল্প করছিলাম…..তাদের মধ্যে ইমরানও ছিল। হাউসের পাশের ক্যান্টিনের রাস্তায় দাড়িয়ে ছিল স্টাফ। সাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিল টি ব্রেকের বাশি দেবার জন্য। যাহোক হঠাৎ ইমরানের কি মনে হলো সে চিৎকার দিয়ে বলে উঠলো “পটল” এবং ধুপ করে নিচে বসে পড়ল, সাথে অন্য গুলো। আর স্টাফ তার এই আদুরে নাম শুনে তড়িৎ গতিতে শব্দের উৎপত্তি স্থলের দিকে তাকাল…আর দেখতে পেল বড়সড় সাইজের একটা ক্যাডেট তারদিকে হা করে থাকিয়ে আছে……স্টাফ বাশি দিয়ে -“আরিফ” হাউস থেকে বের হ………………বলে হুংকার ছাড়লো……….আমিও সুবোধ বালকের মত হাউস থেকে বের হবার আগে ইমরানের দিকে একবার তাকালাম ওর চোখমুখে তখন অপরাধবোধের পরিবর্তে “ধরা”না খাওয়ার আনন্দে ঝলমল করছিল।
বুঝলাম না? বড়সড় সাইজের কি ছিল?
Cadet....
লেখা রিভিউর জন্য জমা দেয়ার আগে একটু নিজেরই পড়ে নেয়া ভালোনা?
ভাই, আমি নিজে পড়েছিলাম, হয়ত আপনি বুঝতে পারেননি,যাহোক এর দায় পুরা আমার...আনাড়ি লিখনি |আরকি...এডিট করে দিলাম...
আমাদের ব্যাচের একজনের নাম ছিল এমনকিছু যা শুধু মানবজাতির একটি বিশেষ গ্রুপেরই থাকে।