’৮৭ থেকে ‘৯৩। অনেক আগের কথা তাই না। এখন আমরা তো সবাই ৩৫ ছুই ছুই। অনেক কিছুই ঝাপসা লাগে।
৮৭ তে যখন কলেজে ঢূকি তখন ‘ইন্টার কলেজ’ কোনো প্রোগ্রাম হতো না। কলেজ গুলো ছিল অনেকটাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত। অন্য কলেজ গুলো সম্পর্কে জানতাম নতুন বদলি হয়ে আসা স্যারদের কাছে, আর, ছুটিতে, একই শহর কিন্তূ অন্য কলেজের বন্ধুদের কাছে। BTV তে একটা কমন প্ল্যাটফর্ম ছিল, বির্তক প্রতিযোগিতার, ওখানে মাঝে মাঝে দুই ক্যাডেট কলেজের বির্তক প্রতিযোগিতা হতো। যমুনা নদীকে বেজ ধরে কলেজ গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। ক্লাস টুয়েলভ এর ছেলেরা একটা লম্বা ‘স্টাডি ট্যু’রে বের হত। আমরা যেতাম সুন্দরবন, মাঝে একরাত কাটাতাম ঝিনাইদহ-এ। ওরা আমাদের একটা ডিনার খাওয়াত। এই ছিল ইন্টার কলেজ রিলেশন।
আমাদের নিজস্ব গন্ডীর যোগাযোগ । কলেজের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে এক লাফে অনেক বড় একটা জায়গা। চিন্তার ধরনটাও একটু একটু করে বদলে যায়। কি করব থেকে, বিয়ে কবে করবি হয়ে এখন ছেলে মেয়েরা কোথায় পড়বে এই চিন্তা। আড্ডার টপিক বদলায়। কেউ সামরিক, কেউ সরকারি, কেউ বে-সরকারি কেউবা পরবাসি। কেউ ভীষন আস্তিক হয়ে পড়ে, কেউবা ভীষন রকম নাস্তিক। আহমেদিয়া (কাদীয়ানি) গ্রুপে চলে যায় একজন। আড্ডার সুর পালটায় না। ওটা আবার কি?
Old is Gold।
কলেজের একটা প্রিয় জিনিস ছিল কুয়াশার দৌড়। মাঝরাতে মাঝে মাঝে দেখতাম, যখন খুব শীত পড়ত। বন্ধুদের দেখাতাম, ওরা হাসত, মারত। আহা এত মজার পিটুনি আমি কতদিন খাইনি। হাসানের মোজার গন্ধে টিকতে না পেরে বাগানে ফেলে দিয়েছিলাম বলে কি রাগ হাসানের আমার উপর। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কবিতা হাসান লিখবে বলেছিল, আমাকে নিয়ে, লেখেনি, আমি জানি ও লিখতে পারবেও না। চাপা।
’৯৩ পেলাম প্রথম এবং একমাত্র Inter College Sports meet. ভলিবল টিমের সংগে গেলাম ঝিনাইদহ। গ্রপ পর্ব পেরিয়ে মির্জাপুর। একটা করে ম্যাচ জিতি আর আডজুটেন্টের এর ভুরি ধরে সেকি নাচ। তু তু তু তুতু তারা, বোলো না দিল হামারা…………।
আহা…।
আহারে কি আকাশ।
কি তাহার দীর্ঘশ্বাস।
দারুন স্মৃতিকথা। ভীষন নস্টালজিক। পড়ে একছুটে যেন ফেলে আসা শৈশবে চলে গেলাম।
ফয়েজ ভাই,আরো লেখা চাই এবং নিয়মিত।
তোমরাই তো জমিয়ে রেখেছো এইসব।
চেস্টা করব।
অদ্ভুত ভাইজান । যতটা সময় নিয়ে পরলাম তারচেয়ে বেশিসময় যেন অন্যকোথাও ছিলাম । কেন যেন মনে হছ্ছিল , আরে এই ঘট্নাতো আমার সাথেও ঘটছে... 🙂 🙂 🙂
ভাইয়া থেকে ভাইজান। 😕
এইটা কি তেল না প্রমশান, বুইজে পাইললম না। B-)
সত্যিই ভাইয়া, অনেক কিছু মনে করায়ে দিলেন।
আরও অনেক স্মৃতিকথার অপেক্ষায়.......
Life is Mad.
"সত্যিই ভাইয়া, অনেক কিছু মনে করায়ে দিলেন।"
কি কি মনে করায় দিলাম, লিক্কা ফেলো।
আফনেরা সুন্দরবনে ঝাইতেন? ভাউরে.... আফনেগো দেহি ম্যালা সাহস আছিল।
আম্রা তো ভুই ফাইচি
৫০ জন একলগে যাইতাম, এডু থাকত, নেভির লোকজন থাকত, কোনো টেনশন নাই।
তাও ভাল, নেভি। :boss: :boss: :boss:
আকিজ বিড়ির লোকজন যে থাকত না, সেইটাই অনেক। :)) :)) :))
কার কথা কও, বিড়ির লোকজন নাকি বিড়ি।
আইচ্ছা, ভেনছন বিরি, এইবার খুশি?
আহা…।
আহারে কি আকাশ।
কি তাহার দীর্ঘশ্বাস।
🙁
🙁
:(( ফয়েজ ভাই
আরও আরো লেখা চাই
আহা…।
আহারে কি আকাশ।
কি তাহার দীর্ঘশ্বাস।
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
পুরা গুল্লি :gulli: :gulli: :gulli:
গুলি মারিও না, ডর লাগে।
ফয়েজ ভাই
হাসান ভাইকে এখানে নিয়া আসেন। তারপর দেখি কবিতা ক্যামনে না লিখে।আর আডজুটেন্টের এর ভুরি ধরে নাচার ঘটনাটাও তাড়াতাড়ি লিখে ফেলেন। লেট করলে দেরি হইয়া যাবে। 😉
কইয়া দেখতে পারি, বাকি উপরওলায়ার ইচ্ছা।
পিচ্চি একটা পোলা ছিল এই হাসান, ক্লাস টুয়েলভও আন্ডারওয়্যার এর ভাজ নষ্ট হয় নাই।
হইব কি, ওইটা তো পরতোই না।
সেই হাসান এখন ব্যারিষ্টার হইছে, উকালতি করে, তাও দেশের বাইরে।
উরে আমার রে......।
খেক খেক খেক... :grr: :grr: :grr:
ভাগ্যিস উনি আন্ডি পড়তেন না... 😀
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:)) :)) :)) , ভাল বলছ তো, এই এঙ্গেল থেকে তো কখনও ভাবিনি।
এইটা মনে হয় টয়লেটে ফেলতে হইত।
@কামরুল হাসান, হাসান যদি সাইট এর খবর পায়, আমারে তো পিডি তক্তা করি ফেলবে।
আরে আমরা আছি না আপনেরে পিডার হাত থেইকা বাচাঁনের লাইগা। আমরা আপনার পিছন পিছন থাকুম। ডাক দেন হাসান ভাই রে...
আইচ্ছা দাড়াঁন, আমিই ডাক দেই।
হাসান ভাই ! ও হাসান ভাই !! দেখেন ফয়েজ ভাই আপনের নামে দুন্নাম করতেছে... : 😉 😉
ভাল লিখছেন ভাইয়া। আরো লিখা চাই।
একটা লেখা সাবমিট করেছি, মেইন পেজ এ আসে নাই। কি ভুল করলাম বুঝতে পারছিনা। কাকে বলব তাও বুঝতে পারছিনা। 🙁
জিহাদ, মুহাম্মদ, রায়হান আবীর...এদের যে কাউকে বললেই হবে...
তাছাড়া, সিক রিপোর্ট বিভাগে জানাতে পারেন...
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
লেখা শেষে সেটাকে peding for review হিসেবে সেভ করতে হয়।
আপনি ভুলে ড্রাফট হিসেবে সেভ করে রেখেছিলেন। সেজন্যে কারো চোখে পড়েনি।
যাই হউক,একটু দেরি হয়ে গেলো। এখন মেইন পেজে এসেছে।
ফয়েজ ভাই,
এইডা কি কইলেন 😮 !!!
আমি হাসতে হাসতে নাই :)) :)) =)) =)) ।
আপনারে :salute: ।
Life is Mad.
আগে ইন্টার কলেজ মিট হত না, জানতাম না। শুরু করেন ব্লগিং ভাইয়া।
'৮৪/'৮৫ এর দিকে হত, এরপর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কি একটা কারনে। এরপর শুরু হয় '৯৩ সালে।
বস্, দুইটা লেখাই জটিল লাগলো আপনার... :salute: :salute:
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
তোমার ধৈর্য তো মাশাল্লাহ, দুইটাই পড়ছ দেখি। আমার তো পরার পর মনে হয় দূর কিছু হয় নাই, ভকিজকি লেখা।
Anyway পড়ছ জন্য :salute:
ফয়েজ ভাই,আমার ব্যাচকে আর আমাকে কলেজ অথরিটি আজো সবচেয়ে বেয়াদব আর খারাপ ব্যাচগুলোর একটা বলে মনে করে-কারণ আমরা তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রূখে দাঁড়িয়েছিলাম কেবলমাত্র একতার বলে।সামনে পরীক্ষা তাই আপাতত লিখতে পারছিনা,সময় করে অবশ্যি লিখে ফেলব।অনেক অনেক কথা মনে করায় দিলেন ভাই!দুই পর্বই খুব আগ্রহ নিয়ে পড়লাম।দারুণ লাগল।কলেজ অথরিটির কিছু কিছু কাজ আজো ভুলতে পারি নাই যেই কাজগুলা তারা না করলেও পারত।কিছু কিছু ক্ষোভ এখনো যায় নাই।সব মনে পড়ে গেল।
এত সুন্দর লেখার জন্য অভিনন্দন।বেচারা বাহাস সাপ!
ওই বেকুব, বাহাস না বাহাস না, দাড়াস সাপ।
Anyway বাহাস নামে কোন সাপ আছে নাকি।
🙁 জানি না। এই হইল গিয়া বড় ভাইগো সমুস্যা।চান্স পাইলেই খালি পচায়।খেলুম না কইলাম।ভ্যাঁআআআআআআআআআ :((
আরে ছি ছি, কাদো কেন, আরে আমরা আছি না।
ঘাবরো মাত। সব ঠিক করে ফেলব। 😀
সামনে পইড়া গেলে বাহাস কি আর দাড়াস কি? সাপ তো সাপই।
একবার ছোবল দিলে বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না ছাড়া আর কেউ বাচাইতে পারবো না।
খুব খিয়াল কইরা...।।
কামরুল,
মনের মইদ্দে তাইলে এই বাসনা?
জ্যোৎস্না ম্যাডামের জন্য সাপের কামড় খাইতেও প্রস্তুত!!!! 🙁
বস কি যে কন না 🙂 🙂 !!!
আমি পুলিশ, কুকুর আর সাপ খুব ভয় পাই।
বস,
তুরন্তাজ হইছে...।
আপনারা থাকতে খালি বাস্কেট আর ভলিবল পাইছিলেন। আমরা আরেকটু লাকী ছিলাম। আমরা ফুটবল (রংপুরে হইছে), এ্যাথলেটিক্স এবং মিউজিক (ফৌজদারহাটে হইছে) কম্পিটিশন ও পাইছিলাম।
যাইহোক, লেখা চাই নিয়মিত...।
মিউজিক না পাওয়াটা একটা বিশাল মিস, ওইটাতে মনে হয় ময়মনসিং আসছিল তাই না?