অনেক আগে থেকেই আমি খেলাধুলার প্রতি একটু বেশি মনযোগী। পত্রিকা হাতে নিয়ে প্রথমেই খুলি খেলার পাতা, টিভি তে প্রথমে দেখি খেলার চ্যানেল, ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, স্পানিশ লীগ সব খেলা দেখি। ফ্যান্টাসী প্রিমিয়ার লীগে টীম করি। কলেজে সব খেলাই খেলেছি। ফুটবল আর আথলেটিক্স মিটে গেছি।
এই খেলা প্রীতি আরো বেড়ে গেলো ৯৭ এ। বাংলাদেশ এর আইসিসি জয়ের পর। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ করে ক্রিকেট এর সব আমাদের মুখস্ত। বাংলাদেশের জয়ে মিছিল করি। ব্যর্থতায় আশা বাধি পরের বারের জন্য।
ইদানিং বাংলাদেশের ক্রিকেটের খবর আসলেই চ্যানেল বদলাই। অসহ্য লাগে। না, আমি বলি না বাংলাদেশ কেনো ওয়ার্ল্ড কাপ জিতে না। অসহ্য লাগে আশরাফুল আর তার একি কথা প্রতি সিরিজে শুনতে। “আমরা যদি ৩ বিভাগে ভালো করি তাহলে ম্যাচ জিতবো”। আরে এটা তো ১ টা বাচ্চাও জানে যে, ৩ বিভাগে ভাল করলে জেকোনো দল জিতবে।
সবচেয়ে বিখ্যাত উক্তি আশরাফুলের যেটা জীবনেও ভুলবনা। গতবার যখন সাউথ আফ্রিকা আসল।২য় টেষ্ট।২য় দিন শেষে আফ্রিকার দরকার ২৬ রান। হাতে আছে ৬ উইকেট আর ৩ দিন। অই দিন শেষে সাংবাদিকরা আশরাফুল এর কাছে জানতে চাইলো কি আশা করেন? সে উত্তর দিলো “ম্যাচ এখনও শেষ হয় নাই। আমাদের এখনও চান্স আছে। যদি কালকে সকালে ২/৩ উইকেট ফেলে দেই আর শাহাদাতের হ্যাটৃক হয়ে যায় তাহলে তো আমরা জিতে যাবো”। আসলে ও কি বিচিত্র এই দেশ।সেলুকাস।
৭ টি মন্তব্য : “বাংলাদেশের ক্রিকেট এবং ১ জন আশরাফুল…”
মন্তব্য করুন
আশরাফুলের দোষ দিয়া লাভ নাই। দোষ বোর্ডের হর্তাকর্তাদের। নানা রকম পরীক্ষার গিনিপিগ করা হয় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের, তো তারাও সেইরকমই রেজাল্ট দেয়!
www.tareqnurulhasan.com
নারে দোষ দেই না, খালি ওর কথা বন্ধ থাকা দরকার।
কি রবিন, আজকে খুশি তো। 🙂
না ভাই, ওর উপর আমার রাগ না। আমার মেজাজ খারাপ হয় ওর কথা গুলার জন্য
আজকে খুব ভালো খেলছে বাংলাদেশ...।অনেকদিন পরে দেখে খুব ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ টীমের উপরে এখন আর রাগ করতে পারিনা। ছেলেগুলোকে এত কাছ থেকে দেখেছি...প্রতিটি ছেলেই আলাদা আলাদাভাবে এত ভালো যে বলে প্রকাশ করতে পারবোনা। আশরাফুলের উপর আমারো অনেক রাগ ছিলো। কন্তু দলপতি হিসেবে পুরো টীমের উপর এত দুর্দান্ত কমান্ড এন্ড কন্ট্রোল এবং অত্যন্ত ভদ্র ও মার্জিত ব্যবহার ওর সম্পর্কে আমাদের সবার ধারণাই পালটে দিয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে টীমের জন্য ঠিক এরকমই একজন ক্যাপ্টেন প্রয়োজন।
অতি স্বল্প সময়ে আমার কাছে মনে হয়েছে বাংলাদেশ টীমের জন্য মটিভেশনটা খুব বেশি জরুরী। টীমে একজন মনস্তাত্ত্বিক নির্দেশকের খুব বেশী প্রয়োজন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে...।
বস্, ওরা মনে হয় সামনে আপনাগো দেইখা + নতুন ধরনের ট্রেনিং পায়া সুবোধ হয়া গেছিলো 😀
একজন মনস্তাত্ত্বিক নির্দেশকের আসলেই দরকার আমাগো টিমটার লাইগা।
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!