এইচ.এস.সি.
আমাদের এইচ.এস.সি. পরীক্ষার সময় এডজুট্যান্টের শুরু হইল বিরাট তৎপরতা। চারিদিকে কড়া নজরদারি, ক্লাস টুয়েলেভের পোলাপান কই যায়, কি করে। আমাদের সিনিয়ার ব্যাচের কয়েকজন এইচ.এস.সি.-র সময় কলেজ পালাইছিলেন। চোর পালানোর পরে বুদ্ধি বাড়ে কিনা, এডজুট্যান্ট স্যারেরও বাড়ছিল। ফলাফল হইল গিয়া, আমাদের বিড়ির সাপ্লাই গেল বন্ধ হয়া। বই ছাড়া পরীক্ষা দিতে পারুম, বিড়ি ছাড়া অসম্ভব। প্রিপারেশন নিমু ক্যামতে! আল্লাহ চান নাই আমাদের পরীক্ষা খারাপ হোক, তাই কাকতালীয়ভাবেই আমাদের পরীক্ষার ভেন্যু পরিবর্তন হইল। ক্যাডেটরা নাকি কলেজের ভেতর পরীক্ষা দিয়া বিরাট ভাল করে, সুতরাং এইরকম দুর্নীতি ঠেকাইতে হইলে পাঠাও এদের বাইরের কলেজে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। আমাদের কলেজের আশেপাশে আর কোন কলেজ নাই। তাই সমাধান হিসাবে কলেজের বাউন্ডারি ওয়ালের সাথে লাগোয়া রাজাবাড়ি স্কুলে আমাদের পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হইল। পরীক্ষা শুরুর আগের দিন গিয়া দেইখা আসলাম সীট। হাসি আমাদের এক কান থাইকা আরেক কানে ছড়ায়া গেল। কলেজের ৪০০ জন বসতে পারে এইরকম একটা অডিটোরিয়ামে ৪০ জন পোলারে একটা টেবিল আর চেয়ার দিয়া সমঘনত্বে বসায়া দিলে আর যাই হোক দেখাদেখিটা খালি চোখে করা যায় না, হাইপাওয়ার দূরবীনের প্রোয়োজন হয়। আর আমাদের নতুন পরীক্ষার ভেন্যুতে টেবিল চেয়ার বলতে গেলে পাশাপাশি। আমরা বুঝলাম বোর্ড আসলে সবার জন্য সমান ব্যবস্থা কইরা দিছে। ক্যাডেট কলেজের পোলাপান একজন উত্তর মেরু আরেকজন দক্ষিণমেরুতে পরীক্ষা দিব আর বাইরের পোলাপাইন দিব পাশাপাশি বইসা, তাই কি হয় নাকি? তাদের কি একটা বিচার নাই?
যাউকগা সেই কথা। কথা শুরু করছিলাম বিড়ি আর পরীক্ষা নিয়া। বিড়ির আকালে আমরা তুলা কাগজে পেঁচায়া টানা শুরু করলাম। বেশি জোরে টান দিলে আবার আমাদের মেক বিলিভ বিড়ির সামনের মালসা দপ কইরা জ্বইলা ওঠে, সাবধানে টানতে হয়। কিন্তু দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মিটে? তাই ঠিক করলাম, পরীক্ষার দিতে যখন বাইর হমু, পাশের রাজাবাড়ি বাজার থাইকা নিজেই কিনা আনমু। সেইদিন ছিল গণিত দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা। যখন হলের দিকে রওনা দিব, তখন ক্যালকুলেটর, জ্যামিতি বক্সের পাশাপাশি নিলাম একশ টাকা। দুই প্যাকেট গোল্ড লিফের ব্যবস্থা আজকে করতেই হইব। পরীক্ষা শুরুর আধাঘন্টা আগেই গিয়া উপস্থিত হইলাম হলে। তারপর ডাইনে বায়ে তাকায়া এক দৌড়ে গিয়া হাজির হইলাম বাজারে। দুই প্যাকেট গোল্ড লিফ কিনা টাকা ফেরৎ না নিয়াই চইলা আসলাম হলে। পকেটে বিড়ির প্যাকেট, পরীক্ষার সময় চেক করলে নিশ্চিত ধরা খামু। অতএব ইম্প্রোভাইজ করলাম। হলের জানালার পাশেই বাইরে ঝরা পাতার গাদায় লুকায়া রাখলাম বিড়ি। পরীক্ষা শেষে মোজার ভেতরে কইরা সেই বিড়ি পাচার হইল হাউসে। এরপরের পরীক্ষাগুলা দিলাম মনের সুখে, বিড়ি খাই আর পড়ি। তারপর পরীক্ষা দেই।
পরীক্ষা মোটামুটি ভালোই হইছিল। মার্কসিট পাওয়ার পরে বুঝলাম পরীক্ষার মধ্যে বিড়ি কিনতে যাওয়া একদম উচিৎ হয় নাই। ধর্মের ঢাক আপনা আপনি বাইজা গেছে, আল্লাহ তার গায়েবি বিচার করছেন। গণিত দ্বিতীয় পত্রে পাইছি ৭৫ -এ ৫১, যদিও প্রথম পত্রে পাইছি ৭২। শালা বিড়ির কারণে আমার বোর্ডে দাঁড়ানো হইল না। সেই দুঃখে বহুদিন পর্যন্ত বিড়ি ছাড়তে পারি নাই।
এস.এস.সি.
এস.এস.সি. পরীক্ষা আমরা দিছিলাম কলেজেই। ঘটনা যেদিন ঘটছিল, সেইদিন সবাই বিশাল মনোযোগে পরীক্ষা দেই। ঘাড় গুঁইজা সবাই লিখে যাইতাছে। হঠাৎ ম্যাজিস্ট্রেট বা ওইধরনের হোমরা চোমরা কেউ ইন্সপেকশানে আসল। তার দেখার বড়ই ইচ্ছা ক্যাডেটরা নকল করে কিনা। নকল ধরতে হইলে যে চিল্লাচিল্লি করতে হয় তা ওইদিন প্রথম দেখলাম। হলে ঢুইকাই তিনি হাঁকডাক শুরু করলেন, চিল্লাচিল্লিতে পরীক্ষা রাইখা আমরা সবাই তার তামশা দেখন শুরু করলাম। তিনি চিল্লাইতে চিল্লাইতে গিয়া হাজির হইলেন আল-রাজী-এর ডেস্কের সামনে।
“এই ছেলে, দাঁড়াও! দাঁড়াও!! দেখি তো তোমার কাছে নকল আছে কিনা।”
আল-রাজীর টেবিল সার্চ করলেন এবং কিছু পাইলেন না। তারপর, বলা নাই কওয়া নাই আতকা আল-রাজীর প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকায়া দিলেন। দেখতে চান, ছেলেটা নকল পকেটে লুকায়া রাখছে কিনা। আল-রাজীও কম যায় না, সে বিরাট রিফ্লেক্স দেখায়া খপ কইরা ধইরা ফেলল তার হাত। ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের চউক্ষে তখন ভিসুভিয়াসের আঁচ, এত বড় সাহস! তার হাত ধইরা ফেলে এই পুঁচকি পোলা!! রাগ সামলায়া তিনি আল-রাজীরে ভদ্রতা শিখাইতে যাইবেন, এইসময় আমাদের রাজী লাল হইয়া গিয়া আস্তে কইরা বলল, “স্যার, পকেট ছিঁড়া।”
😐
হাসব না কাঁদব ঠিক বুঝতেসি না
@সামিয়া
আফামণি হাসেন, আমার পোস্ট পইড়া যদি কেউ কান্দে, আমি কোন দুইন্নাত গিয়া মরি?
জটিল হইছে!!!এক্কেবারে :gulli: :gulli: :gulli:
দোস্ত অসংখ্য ধন্যবাদ। তোর এই লেখা পড়ে আমারও পরীক্ষার কথা মনে পড়ে গেল। আমার ও ব্লগ লেখা লাগব।
:)) :)) :)) :)) :)) =)) =)) =)) =)) :clap: :clap: :clap: :boss: :boss:
লেখাটা এক্কেবারে (জটিল)-টু দি পাওয়ার টেত্থ হইসে…
“স্যার, পকেট ছিঁড়া।” :)) 😀
জট্টিলস হইছে.........
এই আল রাজী ভাই ডাবল বেজ ড্রামার আল রাজী ভাই না?আমি উনার বিশাল ফ্যান-ক্যাডেট লাইফে উনার মত ফাটাফাটি ড্রাম কাউরে বাজাইতে দেখিনাই।২০০১ আইসিসিএলএমএম মনে করায় দিলেন মামা... 🙁
বান্দর ক্যাডেট 😀 😀 !
আহা রে :)) :)) !!
ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের চেহারাটা কেমন হইছিল দেখতে বড় সাধ হইতেছে =)) =)) ।
খুব ভালো হইছে :clap: :clap: ।
Life is Mad.
তৌফিক,
ফাটাফাটি লেখা।
আমাদের কলেজে মোফাজ্জল স্যার প্রিন্সিপাল থাকার সময়ে (আমরা জয়েন করার অনেক আগের ঘটনা, লোকমুখে শোনা)এরকম একবার দাবী উঠেছিল যে আমাদের কলেজের রেজাল্ট ভালো হয় কারণ আমরা নিজেরা নিজেরা পরীক্ষা দেই বলে। আমাদের ক্যাডেটদের বাইরে নিয়ে পরীক্ষা দেয়ানো হোক। তখন মোফাজ্জল স্যার বললেন, "আলহামদুলিল্লাহ। আমার ক্যাডেটরা অবশ্যই যাবে, তবে বাইরের ছাত্রদের আমার কলেজে এসে আমার ক্যাডেটদের মতো পরীক্ষা দিতে হবে।" পরে নাকি বাইরের সেই লোকজন কখনো আর এমন দাবী করেনি।
"কলেজের ৪০০ জন বসতে পারে এইরকম একটা অডিটোরিয়ামে ৪০ জন পোলারে একটা টেবিল আর চেয়ার দিয়া সমঘনত্বে বসায়া দিলে আর যাই হোক দেখাদেখিটা খালি চোখে করা যায় না"
এই জিনিসটা বুঝলে লোকজন আর ক্যাডেট কলেজের পরীক্ষার সেন্টার নিয়া কথা কইতোনা। বাইরেতো পারলে একজনের কোলে উঠে আরেকজন পরীক্ষা দেয় জায়গার অপ্রতুলতার কারণে। ঐ অবস্থায় কেউ না চাইলেও পাশের মিনিমাম 5/7 জনেরটা দেইখা ফালানি যায়!
যথারীতি জটিল লেখা তৌফিক, বিড়ি কাম পকেট কাহিনিটা সেইরকম 😉
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
আমাদের এইচ এস সি পরীক্ষাও বাইরে হইছিল...
সেন্টারে গিয়া পোলাপাইনের কি আফসোস...আহারে এস এস সি'ও যদি বাইরে হত... :bash:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
আল-রাজী ভাইয়ের কাহিনী পইড়া আমি ফিট। খপ কইরা ধইরা ফেলনের কথা পইড়া ভাবতাসিলাম, কারণ কি হইবার পারে। আমার মনে হয় পৃথিবীর কেউ পকেট ছিঁড়া টাইপ কিছু কল্পনাই করতে পারবো না।
তুখোড় হইছে তৌফিক ভাই। অবশ্য তুখোড়ামির ক্রেডিট অর্ধেক আপনের আর অর্ধেক আপনের জীবনে ঘটা সেই ঘটনাগুলার।
আমাদের পরিক্ষা ভিতরেই হইছিল, তয় বাইরে থাইকা গার্ড আসছিল পাচজন, ভিতরের পাচ আর বাইরের পাচ, সব মিল্লা দশ।
ঘটনা ঘটলো আর্টসের দিন, হাসান (মুজা হাসান) একা আর্টসের, ও একা পরিক্ষার্থী, দশ জন পাহারাদার, রমরমা অবস্থা।
হাসান ৫ নাকি ৬ হইছিল বোর্ডে, মনে নাই।
হক (হিমু হক) নারিকেলের পাতা শুকায় কাগজ দিয়া প্যাচায় টানত, আর গাজার গাছ পাওয়া গেছিল কলেজের ভিতর ক্যানালের পারে, জটিল জিনিস, যদিও এডু ধইরা ফেলছিল কয়েকদিনের মইধ্যে।
তুমি তো বিরাট প্রতিভা, এতদিন এইজিনিস চাপায় রাখলা ক্যাম্নে?
“স্যার, পকেট ছিঁড়া।”
:salute:
ভেবেছিলাম কমেন্টের জবাব দেয়ার অপসনটা চালু হলে সব কমেন্টের জবাব দেব। পোলাপানের পরীক্ষা, বেচারারা মনে হয় না কয়েকদিনের মধ্যে এদিকে নজর দিতে পারবে।
@কামরুলতপু, ছন্নছাড়া, শাহেদ, রবিন ভাই, ফরিদ ভাই, জুনায়েদ ভাই
ধন্যবাদ টু দি পাওয়ার টেন্থ। 😀
@ মাসরুফ
এই আল-রাজী ড্রামার আল-রাজী। পোলাটা ড্রামস খুব ভালো বাজাইত, ওই বয়সে ডবল বেজ বাজানো চাট্টিখানি কথা না। দুঃখটা হইল ও ড্রামস্টিক ছাইড়া টুপি জোব্বা ধইরা তাবলিগ হয়া গেছে। পোলাটা নাম করতে পারত ড্রামস বাজায়া, আমার অন্তত তাই ধারণা। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
@সায়েদ ভাই
ম্যাজিস্ট্রেটের চেহারাখান যা হইছিল তা ভাষায় বর্ণণা আমার দ্বারা কুলাবে না। "অবর্ণনীয়" তার চেহারার জন্য ভালো বিশেষণ হইতে পারে। :-B
@আহসান ভাই
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার সাথে একমত। ক্যাডেট কলেজে বাইরের থেকে কোন অংশে কম কড়া পরীক্ষা হয় না, বরং বেশিই কড়াকড়ি থাকে। B-)
@ফৌজিয়ান ভাই
ধন্যবাদ। আপনার পরীক্ষা নিয়া কাহিনী থাকলে লেইখা ফালান। ;;)
@মুহাম্মদ
তুখড়ামির পুরা ক্রেডিট আমারে না দিলে খেলুম না। :duel:
@ফয়েজ ভাই
ধন্যবাদ। দোয়া রাইখেন। :shy:
@জুবায়ের
:salute:
ওই বয়েসে, তাও ক্যাডেট কলেজের মত সীমিত পরিসরে যেইখানে মাসে এক দুইদিনের বেশি ড্রাম বাজানো যাইতনা আইসিসি না আসলে।তাবলীগ হওয়া উনার ব্যক্তিগত ব্যাপার আমি কোন মন্তব্য করুম না, কিন্তু আমরা যারা উনার ফ্যান ছিলাম তারা নিজেদেরকে বঞ্চিত মনে করি এখনো।ওয়াট আ ওয়েস্ট অফ ট্যালেন্ট-এই কথাটাই বার বার মনে হইতেসে।এখনো চোখে বাজে উনার ডাবল বেজ ড্রান আর একটার পর একটা স্টিক হাত থেকে ছুটে যাওয়ার সাথে সাথে আরেকটা নেওয়া-পকেটে দুইটা কলম সব সময় রেখে আফটারনুন প্রেপের আগে ঘুমানোর সময়েও প্র্যাকটিস,এম জি সি সির ড্রামার ঝুমা আপার সাথে উনার প্রফেশনাল রাইভালরি----জানি এইগুলা কেউ আর মনে রাখেনা,কিন্তু আমার মত কিছু আবাল টাইপ পোলাপানের তুচ্ছাতিতুচ্ছ মনের খাতায় এইগুলা সোনার কালিতে লিখা। আফসোস, আল রাজী ভাই কোনদিন এইটা জানতেও পারলেন না।
হুমমমম
আমরা নটরডেমে কুইজ দিতাম, ঘাড় ঘুরাইলে লাইব্রেরিয়ান কাল্লু মামা আইসা হুমকি-ধামকি [এই হালা কেন জানি গার্ড দিতে আসতো, আর সূর্যের চেয়ে বালি গরম টাইপ এর হাকডাকই ছিল সবচে বেশি ...]
এইচেসসি দিতে গেলাম বিজ্ঞান কলেজ, গিয়া তো পুরা টাশকি ... এক বেঞ্চে তিনজন কইরা বসায়, পরীক্ষা শুরু হইলে ম্যাডামরা "বাচ্চারা তুমরা আস্তে আস্তে কথা বল" বলে বাইরে খাড়ায়ে আড্ডা দেয় ... এইরকম ফাঁকা মাঠে গোল দিতে নিজেরই লজ্জা লজ্জা লাগে ...
দুইটা পরীক্ষা দিয়াই অবশ্য লজ্জা কাটায়া ফেলছিলাম 😀
@কিংকু
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আসিস মাঝেমধ্যে এই অধমের ব্লগে। তোর নতুন বল্গ নাই ক্যান?
হুমম। এই পোলাটা কিন্তু কোনখান থাইকা ড্রামস শিখে নাই, স্বশিক্ষিত পুরা। ওর শিক্ষার উপকরণ ছিল দুইটা কলম, একটা জ্যামিতি বাক্স আর কিছু বই আর প্রেপের অফুরন্ত সময়। ভাবতে অবাক লাগে কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছাড়াই ও এতো ভালো পারত ড্রামস বাজানো। মনে হয়, কিছু মানুষ কিছু ব্যাপার মায়ের পেট থাইকা নিয়া আসে।
তৌফিক ভাই,আচ্ছা উনারে কোনভাবে বলা যায়না যাতে উনি এই প্রতিভাটারে জলাঞ্জলি না দেন?তৌফিক ভাই আমি সিরিয়াসলি আর অনেক ইমোশন নিয়া কথাটা বলতেসি।২০০১ এ উনার ড্রাম পার্ফরম্যান্স ইহ জীবনে ভুলুম না।আমারে পার্সোনালি মেইল করতে পারেন বস...
@মাসরুফ
Everybody makes their own choices in life. What can we do about it?
ড্রামস ছাড়া আল রাজী ভাই,গীটার ছাড়া সাত্রিয়ানি আর বক্সিং ছাড়া মুহম্মদ আলী আমার কাছে একই জিনিস-আইসিসিএলএমএমের সেই মুগ্ধতা এই জীবনে যাবে বইলা মনে হয়না...কত গল্প করতাম যে একদিন মানুষজন টিকেট কাইটা জামিল ভাই,ফরহাদ ভাই(সিসিসি) এর গান,রাজী ভাইয়ের ড্রামস আর আহমেদ ভাই(রংপুর) এর লীড গিটার শুনতে যাবে...
হায়, আমার মত বিড়ালের ভাগ্যে কি আর শিকে ছিঁড়ে...
তৌফিক ভাই, সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসংগ আনার জন্য মাপ চাইছি বস।আল রাজী ভাইয়ের নাম দেখে ইমোশনাল হয়ে পড়ছিলাম...
@ তৌফিক ভাই-সরি। I never had any authority to speak the things I just spoke.He made his own choice...who am I to question it?
কিন্তু ওই যে বললাম, উনার একজন ভক্ত হিসেবে আমার অপ্রাপ্তিটা রয়ে যায়...
কোনভাবে বেয়াদবী করে থাকলে মাপ করে দিবেন বস...
@মাসরুফ
ইংরেজিতে তোমার কমেন্টের জবাব দিছিলাম আমার ব্রাউজারে কমেন্টের প্রিভিউ উল্টাপাল্টা দেখায় , বানান ভুল হয় তাই। আরে মিয়া মাপ চাইবা ক্যান? আল-রাজী শুনলে খুশিই হবে। কে না চায় ভক্ত? তাবলিগের পোলাপাইনও চায়। তোমার এই মুগ্ধতা আমার মন ছুঁয়ে গেল, স্যতি।
🙁 আমি আরো ভাবছিলাম আমারে ঝাড়ি দিতে লাল বান্দরগো ভাষা ব্যাভার করছেন-অনেক ডরায় গেছিলাম মামা!
অফ টপিক- এন এস ইউ তে ক্যাডেট কলেজের পাবলিক একজাম সম্পর্কে শোনা কিছু দাবীঃ
১।আমরা ৩ এর জায়গায় ৪ ঘন্টা পরীক্ষা দেই।
২।আমাদের খাতা আমাদের শিক্ষকরাই দেখেন, পরীক্ষার হলে উনারা উপস্থিত থাকেন আমাদেরকে সাহায্য করতে(বই খাতা সহ)
৩।কলেজের ভেতরে পরীক্ষা হয় বলে আমাদের পড়াশোনা না করলেও চলে।
৪। আমাদেরকে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ডিজিএফআই এর সহায়তায় আগে থেকে সরবরাহ করা হয়।
৫।নিজেরা দেখাদেখি করে পরীক্ষা দেওয়াই আমাদের সাফল্যের একমাত্র কারণ।
...আরো কি কি জানি বাদ পড়ে গেল।
" আমাদেরকে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন ডিজিএফআই এর সহায়তায় আগে থেকে সরবরাহ করা হয়।"
=)) =)) =)) =)) =)) =))
এই কথা যার মাথা থেকে বাইর হইসে...সে তো মহান, ইন্টেলেকচুয়াল...তাকে আপনারা আন্ডারএস্টিমেট করেন না খবরদার x-(
বৎস, লজ্জা পরীক্ষার্থির ভূষণ নয়। অতএব, পরীক্ষার হলে লজ্জা পরিহার করিয়া চলিবে, তবেই জীবনে উন্নতি লাভ করিবেক, নতুবা নয়।
@মরতুজা ভাই
:boss: :boss: :boss:
ভাল িলখেছন ভাই
আহ কতদিন পর লাল এ্যাপুলেট দেখলাম......রেড রেড আপ আপ!
বহুদিন পরে আজকে এইখানে ঢুকলাম......।কলিজাটা ঠান্ডা হইয়া গেল...চরম লেখা হইছে ভাইয়া...।
মাস্ রুফ ভাই কি আমার কথা বললেন???? 😀
@ নাজমুল-হ রে, আমারো লাল হাইসেই বসবাস ছিল একদিন...তয় ঢাকায় সমুস্যা হইলো গিয়া-আমাগো পাড়ায় সব দারোয়ানের এপুলেট লাল তাই ছুটিতে আইলে "ঠোলা","দারোয়ান" ইত্যাদি শুনা লাগত...আর সেই ডাক আমার "ক্যাডেট" পরিচয়ে বেশ আঘাত দিত...হেহেহেহেহে
@মঞ্জুর- পচামু??
"রাগ সামলায়া তিনি আল-রাজীরে ভদ্রতা শিখাইতে যাইবেন, এইসময় আমাদের রাজী লাল হইয়া গিয়া আস্তে কইরা বলল, “স্যার, পকেট ছিঁড়া।”
:)) :))
@নাজমুল, মঞ্জুর, হাসনাইন
ধন্যবাদ ভাইয়েরা। 🙂