ডলফিন, নীলতিমি ও একটি থিসিস পেপার

(১)

ভেজা বারান্দায় দৌড়ানো সহজ কথা নয়। সেটাই করতে হচ্ছে শুভকে। এমনিতেই পাঁচ মিনিট দেরী হয়ে গেছে।থিসিস পেপারটা শুভ স্যার কে দেখাতে পারবে তো? এমনিতেই রশিদ স্যার যে রাগী! এসব ভাবতে ভাবতে একটু অন্যমনস্ক হয়েছিল শুভ। হঠাৎ পা পিছলে গেল।

কিছুটা স্পীডেই দৌড়াচ্ছিল শুভ।তাই পড়ে গিয়ে ভাল ব্যথা পেল সে।কাপড়চোপড় আগেই ভিজে গিয়েছিল। এখন আরো খারাপ হল কাপড়ের অবস্থা। যাই হোক শুভ একটু ঠিক হয়ে নিক।এই সুযোগে আপনাদের সাথে ওকে পরিচয় করিয়ে দেই।

বিস্তারিত»

ঢাকা খ্রীস্টান কবরস্থান, ওয়ারী – ছবিব্লগ

ছবি নিয়ে বেশ কিছুদিন কিছু পোস্ট করা হয় নাই, কিছু পেলামও না আশেপাশে যে দিব। তাই ইতিহাসের মত বোরিং একটা সাবজেক্ট নিয়ে টান দিলাম এবার।

এই পোস্টের স্থান হল নারিন্দার খ্রিস্টান কবরস্থান। নারিন্দা জায়গাটা হল ওয়ারীতে, ওই বলধা গার্ডেন থেকে ভেতরের রাস্তায় একটু সোজা এগোলেই হাতের বাম দিকে পড়বে এই কবরস্থান। তবে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ, গেটে গিয়ে শুধু ছবি তুলেই চলে যাব অনুরোধ করার পরও বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে লেগেছে।

বিস্তারিত»

হে শান্তিরক্ষী ……… নিজের পরিবারের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য হলেও ফিরে এসো

বাংলাদেশে সারা বিশ্বের মধ্যে যে কয়টা বিষয় নিয়ে গর্ব করতে পারে , তার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিরক্ষী হিসেবে পুরো পৃথিবীর কাছে অর্জিত সুনাম। সঠিক তারিখ না বলতে পারলেও এইটুকু বলতে পারছি ৯০ এর দশকের গোঁড়ার দিকে বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা প্রেরন শুরু করে। অবিশ্বাস্য হলেও  সত্য , দেশের মানুষের কাছ থেকে অধিকাংশ সময় প্রাপ্য সন্মান না পেলেও কেন জানি এই সংঘাতময় দেশের মানুষগুলো সব সময় ই এই সেনাদের খুব বেশিই আপন করে নিয়েছে।

বিস্তারিত»

মুক্তগদ্য: মোহাচ্ছন্ন গ্রহনের কালে

গ্রহনের কালে দাড়িয়ে আমরা মোহগ্রস্ত হই। আলোকের খোঁজ করে বেড়ানো আমাদের চোখ ক্লান্ত হয় আলোকহীন ঘুটঘুটে অন্ধকারে। সেই সময়ে হায়েনার গর্জন অথবা শূকরের ঘোৎ ঘোৎ শব্দে আমাদের কান বিদীর্ণ হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও আলোক সন্ধানী আমাদের চোখে শূকর গুলো ধরা পড়ে। তাদের ঘোৎ ঘোৎ তীব্রতর হয়। অথচ কী আজব! সেই ঘোৎ ঘোতানির মাঝেও অন্ধরা মায়া খুঁজে পায়। অন্ধজনেরা সত্যের খোঁজ করে শূকরের সাথে। তাদের নর্দমাস্নাত নোংরা শরীরের সাথে গা লাগিয়ে অন্ধরা আলিঙ্গন করে।

বিস্তারিত»

হোয়ের হেভ অল দা ফ্লাওয়ারস্ গন ?

মেয়েটির নাম ধরা যাক লিজা। আমার দেখা রমণীদের মধ্যে একজন অনন্য অসাধারন ব্যত্তিত্ব।বয়স ত্রিশের কোঠায়, ছিপছিপে একহারা গঠন।জিন্স- টি শার্টে আরো অল্প বয়সি মনে হয়। জন্ম, বেড়ে উঠা দুটোই প্রাশ্চাত্যে হলেও বাঙালি বাবা মার কল্যানে পুরোপুরি বাঙালি। আমাকে ওর বাবার দিকের একমাত্র জীবিত আত্মীয়, -কাজিন হিসাবে ওর সমাজে, সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতে গর্ব বোধ করে।

এই পরিচয় দানের পেছনের ইতিহাসটা বেশ মজার।

বিস্তারিত»

শিরোনামহীন লেখা

লেখালেখি জিনিসটা সবাইকে দিয়ে হয় না। আমার ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি প্রযোজ্য। তবুও আজ লিখতে বসলাম।

 

ফেসবুক এ গতকাল বসেই প্রথমেই একটা খবর চোখে পড়ল ,                     “প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত , ফ্লাইং কর্মকর্তা নিহত”।

খবরটা পড়েই মনের মধ্যে কেমন জানো একটা ব্যাথা অনুভব করলাম। এভাবে আর কত গুলো জীবন ঝরে যাবে? আর কতগুলো মৃত্যুর পর জেগে উঠবে সবাই এবং খুজে বের করবে সব  অজানা রহস্য গুলো……

বিস্তারিত»

ক্যাডেট কলেজ ও বৃষ্টি

আজকে নিয়ে দু’দিন হয়ে গেল আকাশ মেঘে ঢাকা আর বৃষ্টির। এই কালো হয়ে থাকা আকাশ দেখে কলেজের কথা মনে হচ্ছে বেশ। আজকে কলেজে থাকলে হয়তো শেডের নিচে শুধু fall in হয়ে পার পেয়ে যাওয়া যেত। তারপর breakfast-র আগ পর্যন্ত আবার চাদরমুড়ি দিয়ে ঘুম। কিন্তু বিকালে আবার ম্যারাথন প্রেপটা থাকতো বটে। ডর্মের লাস্ট প্লেসটা কেউ বুকিং দিয়ে ফেলছিস্‌ নাকি boys?? 😛 উফফফ্‌…দুপুরে লাঞ্চে আজকে নিশ্চই খিচুড়ি আর গরুর মাংস (ইলিশ মাছ কখনোই আমার খুব একটা পছন্দ ছিল না)!

বিস্তারিত»

শুধু দেশাত্মবোধ নিয়ে আমরা আর কতদূর এগোবো?

“সময়”। আমদের বাংলাদেশীদের জন্যে ব্যাপারটা এমন বড় কোন ফ্যাক্টর নয়। এটা সকলেরই জানা। আর্মি, উর্দি ওয়ালারা অবশ্য এটা নিয়ে বেশ বাড়াবাড়ি করে , কিন্তু আমরা যারা civilian অথবা claiming to be civilian,  তারা মোটেও এটা নিয়ে এতটা বাড়াবাড়ি পছন্দ করিনা।

সময়টাকে আমরা আইনেস্টাইনের মত ধ্রুব না ধরে মোটামুটি একটা দিকনির্দেশনা হিসাবে দেখি।উধাহরন দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।

যেমন, বিয়ের দাওয়াত রাত্রি ৮ টায় লিখা থাকলে ধরে নিতে হব,

বিস্তারিত»

আরশী নগরের পড়শী

আমি নিয়মিত ভারতীয় ক্যাডবেরি খাই, আর আমার ঐ যে, ওকেও কিনে দেই। আমি ভারতীয় টাইটানের ফাস্টট্র্যাকের ঘড়িও পড়ি, সুন্দরী মেয়েরা যাতে আমার দিকে ছুটে ছুটে আসে সে আশায় আমি ভারতীয় বডি স্প্রেও ব্যবহার করি। কিন্তু আমার সমস্যা অন্যখানে।

আমাদের বাড়ির পাশের আরশী নগরের পড়শী রাষ্ট্র অখাদ্য স্বাদহীন চাল, ডাল, পিয়াজ, রশুন, সুস্বাদু ফেন্সিডিল আর বর্ডারের বিএসেফ এর গুলি ছাড়াও আরো কিছু সংকৃতি পাঠাচ্ছে।

বিস্তারিত»

স্মৃতির পাতায় বিটিভি : প্রসঙ্গ বিদেশি সিরিয়াল

সময়টা আশির দশকের শেষ দিকে অথবা নব্বই দশকের শুরুতে। সেই সময়টা মনের পাতায় এলেই শান্ত সৌম্যভাব কাজ করে। তখন শহরের ধূলোবালি হয়তো কম ছিলো এখনকার চেয়ে। নাগরিক যান্ত্রিকতায় ছেয়ে যাওয়া এই শহরের বুকে হয়তো একটু বেশি প্রাণের স্পন্দন ছিলো। সেই সময়ের শিশুদের শৈশবে হয়তো শান্ত নীরবতার স্থান এখনকার চেয়ে একটু বেশি। দুপুর শেষ করে বিকেলের ছুটোছুটি কিংবা নিরর্থক ক্রীড়ার আয়োজনও ছিলো তখন বেশি। আর বিকেল শেষে সন্ধ্যার আগে অথবা দুপুর শেষে বিকালের আগে টেলিভিশনের পর্দায় কার্টুনের আনাগোনাও তখনকার সময়ের এই আমার জীবনের একটা অংশ হয়ে গিয়েছিলো।

বিস্তারিত»

তেলেপোকারা ফিরে আসে!

একটা  গুরুত্ব পূর্ণ  সরকারী অফিসে বসে আছি। সাড়ে বারটায় এপয়েনমেনট ছিল, এখন  দুপুর ২.৩০ । হয়ত দুপুরের খাবারের পর ডাক পরবে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অভ্যর্থনা কক্ষে বসে আফিস-অধিপতিদের নাম এবং সময়কালের ক্রম তালিকা পড়তে পড়তে এক জায়গায় এসে বার বার হোঁচট খাচ্ছিলাম ,”মতিউর রহমান নিজামি”, মাননীয় শিল্প মন্ত্রী।

সত্যি সেল্যুকাস কি বিচিত্র এদেশ !

তরুন নবাব সিরাজ বা খুদিরাম যেমন বলে গিয়েছিলেন,

বিস্তারিত»

জীবনের ওপারে আকাশগঙ্গা…..

মৃত্যু- যখন আসার কথা তখনই আসবে। সময়মতোই এসে হাজির হবে-
উদার কপাটে-
থামানো যাবে না তাকে কোনমতে।

ক্ষয়রোগ বাসা বেঁধেছে- চলে যেতে কীটস এর পথে। শরীরটা শেষ ঝাকুনি দিয়ে
থেমে যাবে অবশেষে- চির দুখী বিদায়ে।
ভাবতেই পারি না কোনভাবে- নাহ! মানতেই পারি না যে!

এই আলোর মতো জীবনটা, এই চৈত্রের হলকা হলকা হাওয়ার মতো জীবনটা
আমার- নাই হয়ে যাবে একেবারে!

বিস্তারিত»

অস্থিরতা

ভালোবাসা-
অস্থির ভাবনার কী স্বস্তিময় এক ঠিকানা!
অনুভূতি, অনুরণন,অনোনুমেয় প্রকম্পন,
অবাধ্য আচরন- কতই না অসাধারন ক্ষন
ক্ষনস্থায়ী, আটপ্রৌড়ে, আর দশটা দিনের মত নয়।
তামাশা দর্শনের উদ্দেশ্যহীন দিনের শেষে,
অমূল্য হৃদয় বিকোনোয় লোকসানের ভয় আর
মোহকে ছিন্ন করা স্থির সেই দৃষ্টি,
কেমনে ভুলিব আমি,
আকাংক্ষাহীন, নিশ্চুপ বাক্যপূর্ণ, গভীর সাগর।
কতই না নিরাপদ, বিশ্বস্ত, অটল পর্বত।
তবু অস্বস্তি মনে,

বিস্তারিত»

আমি কেন ব্লগে লেখালেখি কমালাম?

[প্রাককথনঃ ‘সদালাপ’ নামে একটা ব্লগের উদ্দেশ্যে মূলত এই প্রবন্ধটা লেখা। তবে বিনে পয়সায় উপদেশ বিতরণের মজ্জাগত খাসলতের ওপরে কোনোক্রমেই উঠতে সক্ষম না হওয়ায় শেষমেশ সিসিবিতেও লেখাটা পাঠালাম। লেখাটা সিসিবির অধিকাংশ লেখার বা আলাপচারিতার ধারার সাথে খুব একটা সংগতিপূর্ণ না হলেও লেখার সার্বিক মেসেজটা হয়ত কারো কারো কিঞ্চিত উপকারে লাগতেও পারে, বিশেষ করে সিসিবির যেসব সদস্যরা ধর্ম নিয়ে অন্যান্য ব্লগে লেখালেখি করেন, তাদের।

আরেকটা কথা।

বিস্তারিত»

প্রতিবিম্ব

এই তো সেদিন রাতে,
চারপাশের কোলাহল যখন আরেকটি ভোরের প্রতীক্ষায়
রাতজাগা তারা রা আলো জ্বেলে ক্লান্ত
ঠিক তখন মুখোমুখি হয়েছিলাম একটি ছায়ার।

প্রথমে ভেবেছি স্বপ্ন বুঝি,
আশৈশব কল্পনার কোন এক অস্পৃশ্য চরিত্র
বুঝি নেমে এসেছে স্বর্গ থেকে মর্ত্যে ।

ভেবেছিলাম হাত বাড়ালেই হয়ত বা  অধরা,
ভালো করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখি-
ছায়া টা দাঁড়িয়ে আছে ঠায়
ভুতুড়ে গল্পের মত……

বিস্তারিত»