অদেখা স্বপ্নজগতে ঘুরবার স্বপ্ন দেখেছিলাম আমি। স্বপ্ন নতুন করে দেখা শিখিয়েছিলি তুই। জীবন নিয়ে সন্দিহান আমি কার্ড খেলাকেই সঙ্গী করে চালিয়ে নিচ্ছিলাম জীবন। তারপর একদিন হঠাৎ তোর ফোন। নারী প্রজাতির সাথে কথা বলায় পারদর্শিতার অভাব আমাকে সেদিন তোতলা বানিয়ে দিয়েছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য। এরপরের কাহিনী যেন স্বপ্নের মতো। দেখলাম তোকে সিঁড়ি দিয়ে নামছিস। ইন্দ্রপুরীর পরীর রাজ্য থেকে যেন একটা পরী দিকভ্রান্ত হয়ে এসে পড়ল আমার রাজ্যে।
বিস্তারিত»আমি,ফেসবুক ও আমার ফেক আইডি
তখন ২০০৮ সাল। ইন্টার পরীক্ষা শেষ হইল কয়েকদিন আগে। সুকান্তের সেই বিখ্যাত ১৮ বছরে পদার্পণ করার পর থেকেই যত আজাইরা চিন্তা ভাবনা ঘুরে মনের মধ্যে।আর পড়ালেখা শিকেয় তুলে সব আজাইরা কাজ কাম বাস্তবায়ন করার ইন্ধন যোগাতে সেই সময় এগিয়ে এল ফেসবুক। কোন এক কুদিনে খুলে ফেললাম একটা ফেসবুক একাউন্ট। আগে ইয়াহু মেসেঞ্জারে টুকটাক চ্যাটিং করতাম। “হাই, হ্যালো? এ এস এল প্লিজ?মেল? ওকে, থ্যাঙ্ক ইউ,বাই” টাইপ।
বিস্তারিত»ছোটগল্প : ডায়েরির ছেঁড়া কোন নিশ্চুপ পাতায়
এক
শেষ বিকেলের রোদের তীর্যক রেখা অফিসের জানালা দিয়ে প্রবেশ করে আমার পাশের টেবিলে কর্মরত বীথির নগ্ন বাহুরর উপর পড়লে আমি সচকিত হই। রোদের এই আগমন হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল না, কিংবা বলা যায় এমন ঘটনা যে আগে ঘটে নি তাও হয়তো নয় তবে এই আলোকের হঠাৎ ঝলকানিতে আমার মাথা ব্যথার উদয় ঘটল আবার নতুন করে। ব্যথার অনুভূতিটা অদ্ভুত। এক ধরণের নেশাভাব কাজ করে এই ব্যথার মাঝেই।
যখন আমি ক্যাডেট ছিলাম (পর্ব ২)
ওই দেখা যায় ক্যাডেট কলেজঃ
খাওয়ার টেবিলে আজ সবাই খুব চুপচাপ; মাঝেমাঝে চামচের টুংটাং শব্দ হচ্ছে নীরবতা ভেঙ্গে। এমনকি আমার বাচাল ছোট ভাইটাও কথা না বলে খেয়ে যাচ্ছে নিরবে। আজকে আমার পছন্দের খাবারগুলো রান্না করেছে মামনি। রান্না হয়েছেও চমৎকার। অথচ দেখে মনে হচ্ছেনা খাওয়ায় রুচি আছে কারো। নববর্ষের দিন আজ, কিন্তু কেউ বাইরে বের হইনি আজকে, কারণ কালকে আমার ক্যাডেট কলেজে যাওয়ার দিন।
বিস্তারিত»“মা”
দিনটা ছিল শুক্রবার ।
সারা দিন টানা ক্লাশ ছিল। দুপুরে খাবার ও সময় মিলেনি। পেটে ইঁদুরের দৌড়োনি।হোস্টেলে এসে ভাত রেধে খাবো ভেবেই ভাল লাগছে।পিটার হিলি ওয়েগ-১৩, স্টুডেন্টস হোস্টেল, ১০০৮ নম্বর রুম। ‘এক’ নিচের তলা নির্দেশক।ইন্টারনেশনাল উইং। পার্টিকোতে থরে থরে সাজানো লেটার বক্স থেকে নিজের টাতে হাত দিয়ে একটা কার্ড পেলাম। একটা ‘প্যেকেট’ ডেলিভারি নোটিস।বাংলাদেশ থেকে এসছে। বিকাল পাঁচটার মধ্যে ‘ হোপ্ট পোস্ট আম্ট ‘
বিস্তারিত»বিড়ম্বনা…

চরম ভাবে ছিলাম আমি
আইফোন নিয়ে,
কত কাজই করা যায়
এ ফোন দিয়ে।
হঠাৎ কি এক কারনে
যাচ্ছে না কোন কল।
মেজাজ খারাপ করে আমি
পাড়ছি সমান গাল।
এরি মাঝে এক সৈনিক
আমার কাছে এসে,
“স্যার নকিয়া বেশী ভাল”
বলল মুচকি হেসে।
কথা শুনে টাশকী খেয়ে
বললাম আমি তাই,
আমি যখন ক্যাডেট ছিলাম
লক্ষ্য যখন ক্যাডেট হওয়া :
রাগে গজগজ করতে করতে মোড়টা পেরোলাম ।-“এতো সকালে মানুষ ওঠে ঘুম থেকে ? ওঠে কাক । আমি কি কাক ? কেন কোচিংটা এই কাকডাকা ভোরেই হতে হবে ?” প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে ভীষণ কষ্ট হয় আমার । কোনমতে নামায পড়ে পোশাকটা বদলে আসতে গিয়ে অবধারিতভাবে দেরী হয় প্রতিদিন । তাই প্রথম ক্লাসে দাঁড়িয়ে থাকাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ।
বিস্তারিত»ক্যাডেট লাইফ ও একটি মায়ের চিঠি
আম্মুর সাথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি। দুই টাকার হলুদ একটি খাম ভেতরে দুই জনমের আবেগ। আম্মুর লেখা প্রতিটি চিঠি অসংখ্য বার পড়তাম।
মাঝেমাঝে চোখ ঝাপসা হয়ে এলে কোন মতে বালিশে চাপা দিতাম অবাধ্য অশ্রুরাশিকে। প্রতি সপ্তাহে একটি চিঠি আসতো। মায়ের কাগজ বন্দী আবেগ আর উপদেশ গুলো ক্যাডেট কলেজের সেই প্রতিকুল পরিবেশে টিকে থাকার প্রেরনা যুগিয়েছে। আধুনিক সভ্যতার মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো ক্যাডেট কলেজে জায়গা করে নিতে পারেনি আর্মি হেড কোয়াটারের স্বেচ্ছাচারিতায়।
সুখ ও শান্তি
কেমন চাও জীবনটা?
দুমুঠো ভাত আর একটু কাপড়
আরেকটু মাথা গুঁজার স্থান,
ভালোবাসা আর সম্মান।
ঠুনকো, ভনিতাময় বা মিথ্যা নয়।
এতটুকুই দেবো,
কী???? নিতে রাজি?
সাথে পাবে শান্তি, একদম ফ্রি।
অথবা প্রাসাদ, গাড়ি, নারী
আর খাবার রকমারি,
পোশাক বাহারি ঢঙের,
মনকাড়া রঙের, নতুন প্রতিক্ষন।
কুর্নিশে কুর্নিশে ক্লান্ত সবে,
মহামতির তরে জান যতক্ষন রবে।
একটি ফলস বার্থডের ইতিহাস
তখন আমরা ক্লাস এইটে পড়ি।বাইরে থেকে দেখতে সবাইকে নিরীহ মনে হলেও আসলে একেকটা ছিলো ভয়াবহ বিচ্ছু। তৌফিক যেমন প্রতিদিন তার প্লেটের সবজি পাশের সিটের সিদ্দিক ভাইয়ের প্লেটে রেখে নিতান্ত ভালো মানুষের মত দাড়িয়ে থাকতো,কিশোর তেমনি ভাইয়াদের টিজ করে ধরা খেয়ে এমন ভাব করে চোখ বড় বড় করে তাকাতো, “আমি?!!!! এ কিভাবে সম্ভব?!!”
সেরকমই এক সময়ে আমি আর তন্ময় ছিলাম টেবিলমেট। তন্ময় ছিল ভয়াবহ টাইপের চালু পিস।(এখনো আছে) ।
বিস্তারিত»আমাদের “সত্য” স্যার
“তারপর কী হল শোন, সেই ক্যাডেটকে খুঁজে পাওয়া গেল টয়লেটের মধ্যে । হাতে হুমায়ূন আহমেদ এর বই। ভাঙা দরজার সামনে যখন প্রিন্সিপাল দাঁড়িয়ে আছে তখনো তার চেতন নেই। এঁকেই বলে বইয়ের পোকা। ভাঁবা যায় টানা তিন দিন একটা ক্যাডেট বই পড়ে টয়লেটে কাঁটিয়ে দিয়েছে।” সত্য স্যারের গল্প শুনে কেউ অবাক হলনা। কারন মোটামুটি সবাই জানে স্যারের কথার অধিকাংশই মিথ্যে। ক্যাডেট কলেজের ভাষায় যার নাম গুল।
বিস্তারিত»আজ চলে গেলে…আমি আটকাতে পারি নি
আজ চলে গেলে
পেছনে রয়ে গেল ১৭ টি রাত্রে নিহত বালক
জোৎস্নার ছুরি…ও স্বর্গের অভিশাপ
‘সুখ পাবে না,সুখ পাবে না তুমি।’
আহত চোখ নিহত চোখ
সব পিছে ফেলে সোজা চলে গেলে তুমি সুর্যের কাছে
খোড়া বটগাছে
হরিয়াল,টিয়া কাঠঠোকরা…একটি অচেনা লোক
বারবার ফিরে আসে।
তবু তুমি চলে গেলে
যেন শেষরাতে চাঁদ মরে গেলে
নিশাচর প্রাণীটির শেষ শিকার যদি ছুটে যায়
তবু তার গর্তে পালানো
এর মত তোমার প্রস্থান
শুকতারা জ্বলজ্বলে চোখে সাক্ষী রইলো!
ইউরো ২০১২ প্রিভিউ পর্ব ৩ – ক্রোয়েশিয়া

প্রিলিমিনারী স্কোয়াড এখনও সবাই দেয় নাই, অনেক দেশেই লীগের শেষ রাউন্ড চলছে তাই লীগ শেষ হলেই দেখা যাবে বাকি দেশগুলো একসাথে তাদের প্রিলিমিনারী স্কোয়াড বা হয়ত মুল ২৩ জনের স্কোয়াডই ঘোষনা করে দিবে। জার্মানী আর নেদারল্যান্ডস ছাড়া ইউক্রেন দিয়েছে তাদেরটা, সাথে ফ্রান্স আর গ্রীস অর্ধেক স্কোয়াড ঘোষনা করেছে মাত্র।
গ্রুপ বি থেকে জার্মানী আর নেদারল্যান্ডসের পর পর্তুগালের প্রিভিউ দিব ঠিক করেছিলাম,
বিস্তারিত»আলোকচিত্র
ছোটবেলা থেকেই ক্যামেরার প্রতি আমার বাড়তি একটা আগ্রহ ছিল। প্রথম কবে ক্যামেরা হাতে পেয়েছিলাম মনে নেই, তবে তখন থেকেই ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে ছবির জন্য পোজ দেয়ার থেকে ক্যামেরা হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করা আর অন্যের ছবি তুলে দেবার প্রতি আমার উৎসাহ বেশি ছিল। তবে সেসময় ছবির ব্যক্তি বা মান নিয়ে আমার তেমন কোন মাথাব্যথা ছিল না, সব আগ্রহ ছিল ক্যামেরাকে ঘিরেই।
ইন্টারনেটে নিয়মিত হবার পর থেকেই ছবি তোলা তথা ফটোগ্রাফি সম্পর্কে আমার ধারনাই পালটে গেল।
বিস্তারিত»বিষাদ
আজ শুধু শুন্যতার লীলাখেলা
দরজার গভীরে
বিবেককে প্রশ্ন করে কোন
উত্তর খুঁজে পাওয়া যায় না।
এ যেন এক অর্থহীন পার্থিব আগ্রাসন
নিরন্তন পিচঢালা পথে
যে আশাবাদী অক্ষরেরা সংগ্রাম করে
দাম্ভিকতার নিষ্ঠুর অনুকম্পায়
তা সবই চাপা পড়ে যায়।
আজ শুধু ক্রোধ খেলা করে
ছায়াপথের নীহারিকার বেড়াজালে।
বিস্তারিত»