ছবি নিয়ে বেশ কিছুদিন কিছু পোস্ট করা হয় নাই, কিছু পেলামও না আশেপাশে যে দিব। তাই ইতিহাসের মত বোরিং একটা সাবজেক্ট নিয়ে টান দিলাম এবার।
এই পোস্টের স্থান হল নারিন্দার খ্রিস্টান কবরস্থান। নারিন্দা জায়গাটা হল ওয়ারীতে, ওই বলধা গার্ডেন থেকে ভেতরের রাস্তায় একটু সোজা এগোলেই হাতের বাম দিকে পড়বে এই কবরস্থান। তবে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ, গেটে গিয়ে শুধু ছবি তুলেই চলে যাব অনুরোধ করার পরও বেশ কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে লেগেছে। পার্মিশন যদি পাওয়া যায়, তাহলে ভেতরে ঢুকেই অদ্ভুত হয়ে যাবেন, আর পার্মিশন না পেলে গেটের বাইরের হোটেলে পরোটার সাথে ডালটা ভালই বানায়।
এই সিমেটারী শুরু হয়েছে ব্রিটিশ আমলের দিকে, ইউরোপীয়ানদের হাতে। ১৭৭৪ সালের সমাধীও আছে এখানে, জোসেফ পেজেটের। এছাড়াও ঘুরতে ঘুরতে আরও অনেক পরিচিত নাম পাবেন। বর্তমানে এখানে নতুনদের কবরও করা হয়, তবে গেইট দিয়ে ঢুকে বামে আর ডানে সবগুলোই ঐতিহাসিক সমাধী। পিছনের দিকে নতুন কবর বানানো হচ্ছে দেখতে পারবেন। অদ্ভুত নিশ্চুপ এক এলাকা ভেতরে, তবে আশেপাশে থেকে মাঝে মাঝে ফুল ভলিয়ুমে হিন্দি গান বাজায়, যেটা অনেক বিরক্তিকর।
টাইপ এ, বি, সি, ডি, এ, এফ এরকম সমাধী আছে, যেটার ব্যাখ্যা উইকি লিঙ্কেই দেয়া আছে বলে আর কপি করলাম না। আমার ছবি গুলোর নিচে আরও কিছু লিঙ্ক আছে, আরো অনেক ছবি আর লেখা পড়ার জন্য। ওই লিঙ্কগুলোতে আরো সুন্দর সুন্দর ছবি আর লেখা আছে, তাই সরাসরি নিচে গেলেও হবে।
১) গেইট
২) ঢুকেই রাস্তা
৩) জোয়াকিম পোগোজ এর সমাধী। ইনিই ঢাকার প্রথম স্কুল চালু করেন, পোগোজ স্কুল নামে, শাখারীবাজারে ঢুকার মুখেই পড়ে।
৪) গ্রীক আর্কিটেকচার বলে বোধহয় এগুলোকে
৫) এপ্রিল ১৮৬৮
৬) এপ্রিল ১৮৮৯
৭) ছোট এক শিশুর সমাধী
A bud the gardener gave me
A sweet and lovely child
He gave it to our keeping,
To cherish undefiled
৮-৯) এলিজাবেথের সমাধী, মৃত্যু নভেম্বর ১৮৭৮
১০) যীশু। নাম না জানা এক সমাধীতে
১১) স্মৃতিতে
১২-১৩) আরও পুরাতন কিছু সমাধী
১৪-১৫) সবচেয়ে বড় সমাধী এটাই, ভেতরে একাধিক কবর আছে
১৬) “Here lyes the Body of … Borthwic, a captain in the … of the Hon’ble East India Company …. aged about 29 years …. August 1769”
১৭) পুরাতন প্রবেশদ্বার
আরও তথ্যের জন্য –
আর গুগল মামু তো আছেই
পরের পোস্টটা নিমতলী গেট নিয়ে করব দেখি
:clap: :clap: :clap:
এখনো বিষের পেয়ালা ঠোঁটের সামনে তুলে ধরা হয় নি, তুমি কথা বলো। (১২০) - হুমায়ুন আজাদ
হাততালি তো আমি দিব, প্রথম হইছেন 😀
এই সমাধি নিয়ে একটি মজার রটনা প্রচারিত আছে।
একটা আধি ভৌতিক কাহিনী। ১০ নম্বর ছবিতে মাতা মেরীর যে মূর্তিটা আছে, ওইটা, আথবা রাস্তার দিকে দেয়ালের ধারে ঐরকম একটা মূর্তি আছে, অনেকেই গভীর রাতে মূর্তিটিকে নড়া চরা করতে দেখেছেন বলে হলফ করে বলেছেন। গভীর রাতের অনেক পথ চারি রাতে ভয় পেয়েছে।May be psychological,কিন্তু এর পর সম্ভবত রাস্তার দিকের দেয়াল উঁচু করে দেয়া হয়।
Smile n live, help let others do!
মাতা মেরীর মুর্তি এই একটাই, রাস্তার পাশেই। তবে নড়াচড়া করতে দেখার ব্যাপারটা সাইকোলজিকাল সন্দেহ নাই, দেয়াল উচু করাটা সম্ভবত নেশাখোরদের ঠেকানোর জন্যেই
:clap: :clap: :clap: :clap:
থাঙ্কু অনেক 🙂
ইতিহাস মনেহয় সিসিবি তে একটু ভারী সাবজেক্ট হয়ে গেছে 😀