মোর প্রিয়া হবে এসো রানী

“আসলে এ অবস্থায় আমাদের কিছুই করার থাকেনা। রোগী মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ স্মৃতি ধরে রাখে সেই অংশ গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ডাক্তারি ভাষায় যার নাম Alzheimer. আপনি বরং এক কাজ করুন রোগীকে বাসায় নিয়ে যান। শুধু শুধু এত গুলো টাকা নষ্ট করবেন ক্যানো?” ডাক্তারের কথা গুলো অবিশ্বাস্য মনে হল। এর মানে আমার অবনী পাগল হয়ে গেছে। এ কিছুতেই সম্ভব না। আমি ডাক্তারকে শান্ত গলায় বললাম,

বিস্তারিত»

ঘুমোবার আগে মরে যাওয়া প্রেমে সোডিয়াম আলো

00

ঘুমোবার আগে মরে যাওয়া প্রেমে সোডিয়াম আলো
চোখ পোড়ালো,চোখ পোড়ালো!
আততায়ী ঘোড়া সওয়ারী হয়ে মেঘেদের ঝাঁক
কষ্ট পাক,কষ্ট পাক!
আমাদের প্রেমে নিবেদিত রোদ
ছেঁড়া চটব্যাগ গাঢ় প্রতিশোধ
সুখতলা ক্ষয়া জুতো,রেণু ঘাম
জেনো রাঙা মেঘ আমিও ছিলাম।
লেখার টেবিল,ভাঙা বুকশেলফ ছাইদানী মুখ
জেনে রাখুক,জেনে রাখুক!
কত শীত রাত একা জেগে থাকা এই দুই চোখ
অন্ধ হোক,অন্ধ হোক!

বিস্তারিত»

“সরি বলার মতো কোন কাজ করিনাই”

ক্লাস সেভেন এ সবাই মনেহয় কিছুটা অস্বাভাবিক থাকে! কেউ কথাবার্তায়, কেউ চলাফেরায়, কেউ ব্যবহারে, কেউ বা সবকিছুতেই! আমাদের ব্যাচ এর কথা তো বলাই বাহুল্য! কিসব যে ভয়ংকর ঘটনা ঘটতো, বলার মতো না! আমি নিজেই ভেবে অবাক হই, আমি সেভেনে রীতিমতো একটা গুন্ডা ছিলাম! সবাইকে মারামারির উপরে রাখতাম! একবার কাকে যেন একটা স্টিলের স্কেল ছুঁড়ে মেরেছিলাম, আরেকবার আঠার বোতলের মুখ খুলে কারো চুলে টার্গেট করে মেরেছিলাম!!!

বিস্তারিত»

আমার দ্বিচক্রযান

কিছু কিছু শব্দের প্রতি কেন যেন আমার এক অযৌক্তিক ভালবাসা তথা পক্ষপাত। তন্মধ্যে অন্যতম ‘দ্বিচক্রযান’। প্রথম এই শব্দটা কোন এক ঈদের নাটকের, জাহিদ হাসান এবং বন্যা মির্জা অভিনীত, শিরোনাম থেকে মাথায় ঢুকে যায়। কেন যেন তখন থেকেই এই শব্দটির প্রতি ভালোলাগা সৃষ্টি হল। সবাই যেখানে সাইকেল বলেই সহজভাবে কার্য সমাধানের পথ খোঁজে, আমি সেখানে এরকম এক কিম্ভূত কিমাকার শব্দের প্রেমে পড়ে যাই। না, শুধু শব্দের প্রেমেই না বস্তুটার প্রতিও আমার তীব্র আকর্ষণ।

বিস্তারিত»

স্যারদের আদর-ভালবাসা-১

কলেজে কাটানো দিনগুলিতে অনেক স্যারদের আদর-ভালবাসা বুঝতে পারিনি, যেটা বুঝতে পেরেছি কলেজ থেকে বের হবার দিন বা এরও অনেক পরে। সেইসব কিছু সৃতি তুলে ধরার চেষ্টা।

আমাদের ব্যাচের বি সেকশনের ফর্ম মাষ্টার ছিলেন আমাদের অনেক শ্রদ্ধেয় ও বন্ধু-সুলভ মিজান স্যার। বন্ধু-সুলভ কেন? কারণ আমাদের অনেকের গার্ল ফ্রেন্ড এর কাছে লিখা প্রেমপত্র ও বিভিন্ন অকেশান এর সময় কার্ডও আমরা স্যারকে দিয়ে কিনিয়ে পোস্ট করিয়েছি।

বিস্তারিত»

আমি আমগাছ বলছি

 

আমি কেমন জানি একটু অন্যরকম, অন্যদের মতো না। আবেগ একটু বেশি মনে হয়। হ্যাঁ, আমি একটি আমগাছ। বয়সের ভারে ন্যুজ হয়ে পড়া কালের সাক্ষীও বলতে পারেন। অজস্র স্মৃতি আছে আমার কিন্তু ঐ প্রেমিক যুগলের স্মৃতি যেন একটু বেশি ভাবায় আমাকে। শহরতলির এক প্রত্যন্ত এলাকার বিনোদন পার্কে স্থায়ী নিবাস আমার। প্রতিদিন কতো জুটি এসে কতো মান অভিমান আর ভালোবাসার নাটক মঞ্চস্থ করেছে আমার ছায়াতলে।

বিস্তারিত»

প্যারাসুটের বিকল্প হিসেবে ছাতা ব্যবহার করা যায়

একটু চোখ বন্ধ করুন । ঘুরে আসুন কলেজ হসপিটাল থেকে । 😀

…………………………………………………………………………………

ঘুরা নিশ্চয়ই হয়ে গেছে । এই বার আমার লেখা পড়ুন । 😀

কলেজ হসপিটালে অ্যাডমিট থাকার অভিজ্ঞতা কম বেশি হয়তবা সবারি আছে ।এটাও হয়ত মনে আছে কলেজে সর্বরোগের একমাত্র ঔষধ ছিল প্যারাসিটামল যা ক্যাডেট কলেজের মেডিকাল অফিসার দিতেন ।তবে আমাদের ক্যাডেট কলেজের ব্লগের মেডিক্যাল অফিসার অনেক ভাল ।তিনি প্যারাসিটামলের সাথে মাঝে মাঝে আমাদের সিভিট ও উপহার দেন ।

বিস্তারিত»

স্বাভাবিক মৃত্যু!!


অফিসে পৌঁছে সিটে বসতে না বসতেই মোবাইলটা বেজে উঠল। মা ফোন করেছেন।
-হ্যালো, বাবা, পৌঁছে গেছিস?
-হ্যাঁ, মা। এই তো মাত্র এসে পৌঁছলাম। ট্রাফিকের কারনে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল…তবে অফিসের সময়ের আগেই চলে আসতে পেরেছি…
-আলহামদুলিল্লাহ্‌! আজ তো অনেক গরম পড়েছে…একটা স্যালাইন খেয়ে নিস। তোর কাছে আছে? না থাকলে কাউকে দিয়ে…
-আচ্ছা মা, ঠিক আছে। এখন রাখি, পরে কথা হবে…

বিস্তারিত»

আমার নতুন পরিচয়ঃ আমি ক্যাডেট

অনেক দিন ধরে ভাবছি কিছু  একটা লিখব…… কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেল…। শেষ কবে বসেসিলাম লিখার জন্য মনে করতে পারছি না । কিছু একটা লিখার চেষ্টা করছি ভুল ত্রুটি হলে নবীন  হিসেবে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশাকরি ।

অনেক ইনটেকের বর্ষপূর্তি দেখে কলেজ এর প্রথম দিন গুলোর কথা মনে পড়ছে। এবং আরও বেশি মনে পড়ছে ভর্তির ইতিহাসের কথা।

কলেজ এর প্রথম কথা মনে  হলেই মনে পরে যায় আইয়ুব বাচ্চুর সেই গান “হাসতে দেখ গাইতে দেখ,

বিস্তারিত»

ক্যান্টিনে ডাকাতি

পেটেতে ডাকিছে মেঘ, ক্ষুধায় যে মরি,

খালি পেটে বসে আছি, নাহি ফুটাকড়ি। ~x(

যতটা কুপন ছিল,   সবই আজি শেষ হলো

কুপনের খোসা হাতে রইনু পড়ি-

খালি পেটে বসে আছি,নাহি ফুটাকড়ি। :no:

 

ডাইনিং এ রুটি দিলো, মুখে নাহি রুচে,

সব্বার মুখে মুখে গালাগালি ছুটে। 😡

প্রেপ শেষে রুমে এসে, 

বিস্তারিত»

অশনী সংকেত

সামীউর, স্টার্ট ফ্রন্টরোল। আরো একবার দিনটা শুরু হলো ফ্রন্ট্ররোল দিয়ে। সকালের পিটিতে যাওয়ার ফল ইন। যথারীতি ঘুম থেকে উঠতে দেরী এবং হাউজ ফল ইনে লেট। ক্লাস নাইন পর্যন্ত প্রায় প্রতিটা দিনই আমার শুরু হয়েছে রুমের দরজার কাছ থেকে ফ্রন্টরোল দিয়ে। এভাবে গড়াতে গড়াতেই নোটিশ বোর্ডের সামনে পৌঁছে যেতাম, পা থাকলেও হেঁটে আসার সুযোগ খুব একটা হয়নি। তাই সবাই যখন শ্বেতশুভ্র পোষাকে রাজহংসের মত গলা উঁচিয়ে পিটিতে যাচ্ছে,

বিস্তারিত»

কুড়ি বছর পর

এক.
দিনটার কথা এখনো স্পষ্ট মনে পড়ে। সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে পাবনা সার্কিট হাউসে পৌছলাম। লাঞ্চ সেরে, পোশাক পাল্টে সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট এবং কালো অক্সফোর্ড সু পরে রেডি হলাম কলেজে যাবার জন্য। একুশে মে, ১৯৯২ সাল। সাথে আব্বা এবং বড় ভাই। দুপুর দুইটার দিকে কলেজে পৌছলাম। পথে ক্যালিকো কটন মিলস পড়লো, আব্বা মোটামুটি সেটার নাতিদীর্ঘ ইতিহাস বললেন। পাবনা পৌছাবার পর থেকে পাবনা জেলার ইতিহাসও বলে যাচ্ছিলেন বড় ভাইকে।

বিস্তারিত»

স্ট্যান্ডিং এট দি এজ (Standing at the Edge)

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। আমার জীবনের কতো কতো স্মৃতি জড়িয়ে রেখেছে সযত্নে। কতোবার এই সবুজের বুক চিরে ছুটেছি, কখনো এদিক, কখনো ওদিক। কোনদিন তো এমন হয়নি আমার, এই চিরচেনা পথটার জন্যে এভাবে বুকটা হুহু করে ওঠেনি!
ছয়তা বছর ধরে, বছরে সাত-আট বার আমি এই সড়ক পাড়ি দিয়েছি। যতবার এই পথে ছুটেছি আমি, প্রতিবার নতুন কিছু পেয়েছি, নতুন নতুন জিনিস দেখেছি। মনেহয় যেন এই সড়কের প্রতিটি নুড়ি আমার চেনা।

বিস্তারিত»

ঝরে না পড়া সূর্যমুখীদের কথা

কেমন যেন ঝাপসা লাগছে চারিটা দিক। সিলিং এর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। সিলিং এর ইন্টেরিয়র কালারটা যে কি ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কখনো সাদা, কখনো হলুদ, আবার কখনোবা হালকা গোলাপী লাগছে। কেমন যেন একটা ঘোর লাগা ভাব। সিলিং ফ্যানটার দিকে তাকিয়ে থাকতে ভালোই লাগছে। ছন্দিত গতিতে চরকির মত ঘুরে যাচ্ছে অনবরত। আচ্ছা এই সিলিং ফ্যান এর কয়টা পাখা? তিনটা? নাকি চারটা? ঠিক এই প্রশ্নটাই আমাকে ক্যাডেট কলেজ ভর্তি পরীক্ষায় ভাইভাতে জিজ্ঞাসা করেছিলেন একজন আর্মি অফিসার।

বিস্তারিত»

আমি একটা বাঘের বাচ্চা!

গ্রীষ্মকাল, আম কাঁঠালের দিন। নতুন ক্লাস 12!! বাকিটা মনেহয় বলা বাহুল্য!

সারা গেমস টাইম কেটে যায় আমগাছ গুলোর নীচে! গাছগুলাও basketball এর বারি খেতে খেতে fed up হয়ে গেছে! আমি মিউজিক ক্লাব এর প্রানী, মোটামুটি দিনের আলোই দেখিনা! ব্যান্ড প্র্যাকটিস Banned হয়ে যাওয়ায় আমার কিছুটা কুবেরের মতো দশা হোল “অন্ধকারে যে বাস করে মৃদু আলোতে তার চোখ ঝলসাইয়া যা আর চোখ ঝলসানো আলোতে সে হয় অন্ধ।” দীর্ঘদিন পর গ্রাউন্ডে গিয়ে ক্লাসমেটদের আম পাড়ার অভিনব দক্ষতা দেখে আমি মুগ্ধ!

বিস্তারিত»