X-Files-5

চমনের বাবা ।নিজের আসল নাম বলতে নারাজ। কালো, ছোট খাট মানুষটি।আদি বাড়ী নাকি কামরূপ-কামাক্ষ্যা।

বেশ অপরিষ্কার, মলিন একটা ফতুয়া গায়ে, হাঁটু অব্দি চেক লুঙ্গী উঁচু করে পরা। একদম সাদারন একজন মানুষ। বন্ধু খসরূর আগ্রহে ওকে আবার তলব করা হল।

বিনীত ভঙ্গিতে জড়সড় হয়ে বসে আছেন।

আমাদের ইনভেস্টিগেটিভ ইন্টারভিউ শুরু হল। বেচারা সংকোচে ম্রিয়মান।একশত ভাগ বাঙালি বলে মনে হলোনা কথায়।

বিস্তারিত»

চিলড্রেন অব হ্যাভেন

<<সাদেক>>

বাসাটায় ঢোকার মুখে আমার পিচ্চি ছাত্রীর মায়ের ফোন এল। এক্ষেত্রে কখনও ফোন ধরি না, কেটে দেই। উনি বোঝেন যে হ্যা, আমি চলে এসেছি। কিন্তু কেন যে ধরেছিলাম, তবে ধরেছিলাম বলে ভালই হয়েছিল। “হ্যা আপা, আমি……” উনি আমার কথা কেড়ে বলেন, “হ্যা সাদেক, তোমাকে তো একটা কথা বলা দরকার ছিল…” কেমন জানি লাগল, “জ্বি আপা, বলেন…।।” উনি একটু থেমে থেকে তারপর বলতে লাগলেন,

বিস্তারিত»

স্বয়ম্বর সভা ও কয়েকটি প্রেমের একটি গল্প

হাতের ক্যাপটা ডলে ডলে সমান করতে করতে চতুর্থবারের মতো ঘোষণা করে পারিসা,” আমার ভাল লাগছেনা।“ পাশে বসা তামান্না ওকে ফিসফিস করে বলে,” সারাক্ষন ভালো লাগে ভালো লাগেনা বলতে থাকলে ভালো লাগবেটা কি করে শুনি? আমার তো মজাই লাগছে।“ পারিসা হতাশ হয়ে কাধ ঝাঁকায় একবার, আড়চোখে চারপাশটা আরেকবার দেখে নেয়। অডিটোরিয়ামটা ভালোই লাগে ওর কাছে, এখনো মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়নি বলে চারপাশে একটা মৃদু গুঞ্জন। ICCLMM  এ আসার অভিজ্ঞতাটা পারিসার জন্য নতুন,

বিস্তারিত»

X-Files-4

 

“নাপিতের ভিটা” নিয়ে গ্রামে অনেক মুখরোচক গল্প প্রচলিত আছে।সবথেকে অথেনটিক গল্প বাবার তৃতীয় ভাই, ‘ চেয়ারম্যান চাচা’, বর্তমানে আমাদের ঢাকা জেলার দোহার পৌরসভার ‘মেয়র রহিম চাচার’ কাছ থেকে শুনা।

ঘোর বর্ষার রাত। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। হিসেব-নিকেশ, মানুষের বিচার-সালিস শেষে বাড়ি ফিরতে রাত দশটা এগারটা প্রতিদিনই হয়। আসামান্য শারীরিক শক্তি, দুর্দম্য সাহস আর ন্যয় পরায়ণতা ‘রহিম চেয়ারম্যান’

বিস্তারিত»

X-Files-৩

ভদ্রলোকের নাম নাথ বাবু।সম্পূর্ণ নাম কি ছিল আজ আর মনে নেই।১৯৮৭~৮৮’র দিকে চট্টগ্রামে কৃষি ব্যাংক এর ডি জি এম ছিলেন। তুখোড় অংকবিশারদ। সেই সুবাদে অনুরোধে আমাদের ভাগিনা ‘রনি’ কে অংকে সাহায্য করার জন্যে শেলি আপা’র বাসায় যাতায়াত ছিল।

এই পর্বে এসে সংশ্লিষ্ট সকলের সঠিক নাম-পরিচয় উল্লেখ করবো মনস্থ করেছি, না হয় আবার কেউ আমাকে “কল্প কাহিনীকার” ভেবে বসতে পারেন।সঠিক নাম-পরিচয়ের সুবিধা হোলো, হয়তো কারো পরিচিত গণ্ডির মধ্যেই পরে গেলে,

বিস্তারিত»

বরাবর, অধ্যক্ষ, পাবনা ক্যাডেট কলেজ, পাবনা। (এপিসোড-২)

আগের পর্বের লেজ…

দুই।) ছুটি শেষে কলেজে ফিরলাম। দেখলাম কলেজে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। পাবনা ক্যাডেট কলেজের ইতিহাসে প্রথম আর্মির প্রিন্সিপাল আসছে, কি না জানি হয়। কলেজের বারবার চুল কেটে মাথার সাদা চামড়া বের করে দিল, স্টাফ সামনে দাড়াইয়া থেকে সবার চুল কাটাইতেছে, ব্যাগ একবার স্টাফ চেক করল একবার মকবুল স্যার(ভুগোল ডিপার্টমেন্ট) নিজে। নতুন প্রিন্সিপালের নাম লেঃকর্নেল রেজাউল করিম। মধ্য বয়স্ক স্মার্ট একজন মানুষ।

বিস্তারিত»

বিক্ষিপ্ত সৃতিতে কলেজের শেষ রাত

২৩ শে জুন,২০০২। এই সেই দিন যেদিন ৯৬-০২ ব্যাচের জন্য ছিল ক্যাডেট হিসেবে কলেজে কাটানো শেষ রাত। পরের দিন ২৪ শে জুন ২০০২, আমাদের কলেজের ৪৫ জন বন্ধুকে একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যেতে হবে। আর কোন দিন হয়তো এই ৪৫ জন আর একসাথে হতে পারবনা, আর কোন দিন এই কলেজের চত্বরে আনাগোনা করবে না এই বন্ধুগুলো। এমনিতেই সেইদিন গুলো অনেক মিস করি। কিন্তু আজকে এই দুরপরবাসে কেন যেন আরও বেশি মনে পরছে সবার কথা।

বিস্তারিত»

X-Files-২(অতীন্দ্রিয় না ষষ্ঠইন্দ্রিয়?)

বাড়ীর মসজিদের ঘাটে বসে  ছিপ দিয়ে মাছ ধরছি।অদ্ভুত দর্শন একটা লোক দাড়িয়ে মাছ ধরা দেখছিল, ছোট খাট টাকি-পুঁটি পেলে খ্যক খ্যক করে হাসছিল।কেমন যেন অস্বস্থিকর মানুষটা। যেন ঋণাত্মক  একটা অনুভূতি ছড়াচ্ছে ওর চারি পার্শে।কোন কারন ছাড়াই  বিরক্তি উৎপাদন করে চলছে লোকটা।

পড়ন্ত বিকেল। বাবা আসর নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বেরুলেন।

বড় মিয়াঁ, পেন্নাম হই! বাবাকে দেখে কপালে হাত ঠেকালো লোকটা।

বিস্তারিত»

বেঁচে আছি

বৃষ্টিতে  ঝুম ঝুম
মেঘেরা   নির্ঘুম
হৃদয়ে উথাল-পাথাল
চিন্তায়   পরকাল…।।

সবই   খেলা
যাচ্ছে  বেলা
স্মৃতিতে ধুলো বালি
ভিতরটায় চোরা বালি…।।

ঘুম ঘুম ঘোর
স্বপ্নে বিভোর
বেদনায় সব্যসাচী
চিমটে কেটে দেখেছি
এখনও বেঁচে আছি…… ।।

বিস্তারিত»

ঘুম,ক্লাস ও একজন ক্যাডেট ২

ঘটনা ২
নারগিস মাডামের ইংরেজি ক্লাস, ঝিমাইতে ঝিমাইতে ঘুমায়ে গেছিলাম।নিয়ম ছিল ক্লাসের সময় পারমিশন নিয়ে ১ জন বাইরে যেতে পারবে।ঘুম থেকে উঠে মনে হল বাইরে যাওয়া দরকার।আমি জানতাম না ১ জন বাইরে ছিল।পারমিশন চাইলাম ঃ may I go out ,madam? মাডাম কট মট করে উত্তর দিল is there anybody out? কিন্তু আমি শুনলাম is there any doubt? মনে মনে কইলাম মাডাম এতক্ষন যা পড়াইছে সেই সম্পর্কে আমার কোন doubt আছে কিনা সেটাই মনে হয় জানতে চাইছে ।

বিস্তারিত»

X-Files(অতীন্দ্রিয় না ষষ্ঠইন্দ্রিয়?-১)

‘অবোধ্য জগত’টার প্রতি আমার অদম্য আগ্রহের শুরু সেই শৈশব থেকে।  গ্রাম তখন আক্ষরিক অর্থেই গণ্ডগ্রাম ছিল। একটা ছোট্ট ঘটনা আমার সদ্য কৈশোর মনে প্রচণ্ড নাড়া দিয়ে যায় ।শুরু হয় এক অজানা জগত সম্মন্ধে অন্বেষা।

মুক্তি যুদ্ধ শেষে হয়েছে মাত্র।সকলেরই মনে স্বাধীন একটা ফুরফুরে হাওয়া। গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে ছুটে বেড়াচ্ছি নিছক শৈশবের চপলতায়।খবর এলো মা’র এক দূর সম্পর্কের বোন কে জীনে ধরেছে। আগেও এক-দু বার ধরেছিল।খবরটা পেয়েই ছুটলাম  তামশা দেখার জন্যে।

বিস্তারিত»

অন্ধপ্রেমিক

আমি এক অন্ধপ্রেমিক,
সারারাত সারাদিন, গেয়ে যাই প্রেমিকার গান
সূর্য-চাঁদ, পাহাড়-নদী,
তরুলতা প্রজাপতি
আলেয়া বা অমানিশা
কখনো আবার বিদিশার দিশা
আরো কত কত-শত উপমার সম্ভার
খুঁজে বেড়াই, তাতেই হারাই,
তাতেই আমার বসবাস।
প্রেমিকা মোর হাসে মিটিমিটি,
তাতেই আমি খাই লুটোপুটি।
আর ওদিকে দুর্বৃত্তের
পড়ে কামাতুর দৃষ্টি,
ছক কষে ধরতে ভাঙ্গতে,
এই আমারি টুটি।

বিস্তারিত»

ফেরারী ৪

পর্ব ১

পর্ব ২

পর্ব ৩

তাকসিম স্কয়ার,ইস্তানবুল,তুরস্ক।ইস্তানবুল তুরস্কের একমাত্র শহর যেটি এশিয়া ইউরোপ দুই মহাদেশেরই অংশ।তাকসিম স্কয়ার পড়েছে ইউরোপ অংশে।

আজিমি বেলকশ।জাতিতে তুর্কী।কিন্তু মা ছিলেন বাংলাদেশী।বয়স যখন ১৫ তখন বাবা মার সাথে বিচ্ছেদ হয়ে যায়,মা চলে গেলেন নিজ দেশে মেয়েকে নিয়ে যেতে দিলো না ওর বাবা।পরের বছর আরেকটা বিয়ে করলেন।সৎ মায়ের ঘরে থাকাটা হয়ে উঠলো অসহ্য।সৎ মায়ের অভিযোগে বাবাও মারধর করতেন প্রায়ই।

বিস্তারিত»

দেয়ালের প্রতিদিন-২

টিকটিকিটা
আড়চোখে
একবার আমাদের,
একবার পরীর মতো
ডানা ছড়ানো
মথটিকে দেখছিলো

তখন তোমার কাপের কিনারায়
ঘষটে গেছে লিপস্টিক।
ঈর্ষায় পিরিচ ও আমি
যুগপৎ ঝনঝন
কেঁপে উঠেছি, আর
ভেবে চলেছি
এলোমেলো অনামী
প্রসংগ তুলে
কাঁটাগুলোকে
আরেকটু ঠেলেঠুলে
দেয়ালঘড়িতে
কি করে
পাঁচটা বাজানো যায়

এদিকে
সন্তর্পণে জিভ ছুঁড়ে দেবার
ক্ষণ চলে গিয়ে
কাপ জুড়ে
লিপস্টিকের
লাল বিদ্রূপে
টিকটিকির
বিকেল পুড়ে যায়….

বিস্তারিত»

ক্যাডেট জীবনে ঘটনার ঘনঘটা

ঘটনা : ১

আমার ক্যাডেট কলেজের ১ম দিনটা নিয়ে বলতে গেলে হয়তো রবীন্দ্রনাথের সাহায্য নিয়ে বলতে হবে…… শেষ হইয়াও হইবে না শেষ১টা ব্লগ লিখে ফেললাম অথচ এখনও সব কাহিনী শেষ হয়নি। আরও ১টা ঘটনা মনে পড়ে গেলো। ঘটনাটা ঘটেছিল আমাদের ক্যাডেট লাইফের ১ম ডিনারের পর, যখন আমরা হাউজে আসলাম। হাউজে এসে জানলাম ক্যাডেটদের নাকি রাতে ঘুমানোর সময় শয়ন পোশাক পরিধান করতে হয়।

বিস্তারিত»