পুতুল নাচের ইতিকথা -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়-বিষাদ ভরা উপন্যাসটি

মানিকের অন্যান্য লেখার তুলনায় ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ পড়তে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল আমার।পড়ার জন্য তাগাদা দিয়েছিলেন কাজী স্যার।স্যার প্রায়ই এই বইটির কথা ক্লাসে বলতেন,আর আমার আগে রফিক বইটি পড়ে ফেলেছিল তাই আমিও পড়তে লাগলাম।
বইয়ের শুরুটা অভিনব ও চমৎকার-

‘খালের ধারে প্রকাণ্ড বটগাছের গুঁড়িতে ঠেস দিয়া হারু ঘোষ দাঁড়াইয়া ছিল। আকাশের দেবতা সেইখানে তাহার দিকে চাহিয়া কটাক্ষ করিলেন। …স্থানটিতে ওজনের ঝাঁজালো সামুদ্রিক গন্ধ ক্রমে মিলাইয়া আসিল।

বিস্তারিত»

ব্যক্তিগত রেসিপি-৮

প্রায় সিগারেটের সমান হয়ে এসে ছাইয়ের লম্বাটে কায়াটা আর পারলোনা, টুপ করে খসে পড়লো মেঝেয়।আরেকটা ধরাবো কি ধরাবোনা ভাবতে ভাবতে মার্লবোরোর প্যাকেটটা নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকি, অস্থিরতাটুকু আড়াল করবো বলে।
জানলা দিয়ে বারোতলা থেকে আকাশ দেখছে পৃ, দেখেই চলেছে।অনেকক্ষণ কোন শব্দবিনিময় নেই, কেবল মনে মনে নিরুচ্চারে পরষ্পর কথা কয়ে চলেছি দুজনে।ও জানলায়, আমি এইখানে ছাইদানের পাশে উবু হয়ে।
সিগারেটের একচোখা আগুনটাকে পিষে ফেলতে ফেলতে আমি ওকে জিজ্ঞেস করি,

বিস্তারিত»

মিঠু-মন্টির ছড়ার বাকী অন্তরা

ক–এ কলা খ–এ খাই
এতো বেশী খেতে নাই।
গ–এ গরু ঘ–এ ঘাস
কত ঘাস খেতে চাস।
‘ঙ’ বলে, “কোলা ব্যাঙ,
সারাদিন ঘ্যাঙ ঘ্যাঙ!”
ক – খ – গ – ঘ – ঙ॥

চ–এ চাচা ছ–এ ছাই
দাঁত মাজো। ছাই চাই?
জ–এ জাম ঝ–এ ঝড়
ঝড় এলো জাম পড়।
‘ঞ’–বলে, “মিঞা ভাই,
বিয়ে খাব।

বিস্তারিত»

বড় হয়ে তুমি কি হতে চাও ??

১৫  নভেম্বর  ২০০৯

ঢাকা থেকে যাওয়ার আগে ফেসবুক এ একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম

‘ যেদিন কোচিং এর জন্য প্রথম ঢাকাই আসলাম সেদিন এর লক্ষ্য আর আজ যখন চলে যাচছি তখন কার প্রাপ্তি !! হয়ত ফার্মগেটের এই সাত রাস্তার মোড়ের মতই আমাদের জীবনের একটা টার্ন তৈরি হচ্ছে’

ক্লাস ১ থেকে শুরু করে ক্লাস ১২ পর্যন্ত যে কইবার Aim in Life বা জীবনের লক্ষ্য রচনা লিখেছি সব গুলোর বিষয়ই আমি ডাক্তার হব ।

বিস্তারিত»

খাগড়াছড়ি, ভালোবাসার টানে কাছে আনে – ১

হ্যান্ডস ডাউন হতে চাচ্ছিলাম না। কপট রাগের আরো এক ঝাপ্টা গায়ে লাগতেই আর উপায়ন্ত দেখলাম না। অব্যবহিত পূর্বের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হিসাবে ফেরদৌস ভাইয়ের (ফৌজদারহাট, ৯০-৯৬) হাতে বার-বি-কিউ স্টিক দিয়ে উত্তম মধ্যম খাবার আরেকটি সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়ে হ্যান্ডস ডাউন হলাম। অন্ধকার ছাদের এক কোনায় দাঁড়িয়ে বসে থাকা সিনিয়ারদের নিঃশব্দ ভিলেন টাইপের হাসিটা ছিলো অনুভবের ব্যাপার মাত্র। সাইফুল্লাহ ভাইয়ের (রংপুর, ৯০-৯৬) হাতের ক্যামেরার ফ্ল্যাশ ঝলসে উঠলো বেশ কয়েকবার।

বিস্তারিত»

আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে

আজকে তোর ঘন ঘন নিঃশ্বাসে মনে পড়ে
রোদবেলার দিনগুলো।
মাঝদুপুর মেঘসাগর একলা চিল একলা চিল
দুই পাখায় ডুবসাতার,একলা চিল কোথায় যায়
মনে পড়ে রাতের পর রাত জেগে অপেক্ষা
ইয়াহুতে অনর্থক বসে থাকা
ফেসবুকে সুখ খোঁজা,নিদ্রাহীন মুখ খোঁজা-আপন মুখ
মনে পড়ে রূপকথার কঠিন শ্লোক
রাজকুমার,পঙ্খীরাজ,গোলপুকুর,কৌটাতে
কঠিন প্রাণ দৈত্যদের খুন করার মিথগুলো
পারদ হয়,আয়না হয় তাই আবার তাই আবার
একটিবার ফোন পাবার গোপন লোভ মনে মনে
ছিপ ফেলে তোর নদীয়
তবুও তুই চুপ থাকিস,কী ভীষণ অবহেলায়
চুপ থাকিস
তাইতো ভোর তোর গুমর দেখতে এসে ভুল করে
ভুল করে লাল সিদুঁর ছড়িয়ে দেয় কপালময়
সংসারী লোকটাকেও পথ দেখায় বিষন্ন সন্ন্যাসী
তোর উরুয় শ্বাস রাখার ইচ্ছেতে হরিণটা দৌড়ে যায়
দৌড়ে যায় এক নিমেষ,মুহুর্তেই চাঁদ উধাও।

বিস্তারিত»

X-Files-6

ওদের ভাষায় বলে “কুণ্ডলী”। একটা গোল করে মাটিতে আঁকা দাগ। চক্রাকার। সেজন্যে কেউ কেউ চক্রও বলে।

অনেক কাল পরে আবার যেই চক্রের কথা শুনেছিলাম, এটা সেই চক্র বা কুণ্ডলী।

আমরা শিশু কিশোর সহ গ্রামের অনেক মানুষ জড় হয়েছি। খাঁ বাড়ীর বৌকে ভুতে ধরেছে, ছাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওঝা এসেছে।

কাচারি ঘড়ের সামনের বিশাল উঠানের মাটিতে কুণ্ডলী দেয়া হচ্ছে।

ভিতর বাড়ী থেকে কাচারির দরজা খুলে বউকে আনা হল।

বিস্তারিত»

আবু জর আল গিফারীঃ ডাকাত থেকে সাহাবী

মক্কা যে গিরিপথের মাধ্যমে বাকী পৃথিবীর সাথে যুক্ত ছিল সেটা ছিল ওয়াদান ভ্যালী এবং সেখানেই ছিল গিফার গোত্রের বাস। অত্যন্ত দুর্ধর্ষ এই জাতি মক্কা এবং সিরিয়ার মধ্যে যে সকল বানিজ্য বহর চলাচল করত তাদের জিম্মি করে চাঁদবাজী করত । বানিজ্য কাফেলা তাদের দাবী পূরণে ব্যর্থ হলে তারা মালামাল আর ধনসম্পদ লুন্ঠন করত । জুনদুব ইবন্ জুনাদা নামে এই গোত্রের ভয়ংকর এবং ক্ষিপ্র একজন নেতা ছিল,

বিস্তারিত»

” শ্রাবণ মেঘের আড়ালে “

ব্লগে এটা আমার প্রথম লেখা। এটা ক্যাডেট কলেজ নিয়ে লিখিনি । আমার একটা স্বপ্ন নিয়ে লিখেছি । আশা করি এর পরের লেখাগুলো ভালো লাগবে । ;;; ;;;

” শ্রাবণ মেঘের আড়ালে “

বৃষ্টিতে ভিজতে আমার খুব ভালো লাগে। বৃষ্টি ঝরলেই মনে হত যদি একজন সঙ্গী পেতাম, একসাথে বৃষ্টিতে ভেজার জন্য ! তার হাত ধরে হারিয়ে যেতাম প্রিয় বরষার মাঝে। বরষার প্রতিটি সকালে যাকে আমি কদম ফুল দিয়ে শুভসকাল জানাতে পারব।

বিস্তারিত»

পরিবর্তন

চারপাশে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে । একটা সময় ছিল যখন বৃষ্টি খুব ভালো লাগত। এখন আর অতটা লাগে না , ঘোর বৃষ্টিতেও মাঝে মাঝে টেরই পাইনা যে বৃষ্টি হচ্ছে।

বিস্তারিত»

খেলা দেখা : আনন্দ, বিড়ম্বনা, অতঃপর একজন ভুক্তভোগীয় বয়ান

আমার দাদা একজন তুমুল ক্রীড়াপ্রেমী ছিলেন, এমন তথ্য কোন কালে কোন ঘটনায় খোঁজ পাওয়া যায় না কিন্তু তার ছেলেদের নামের সাথে মিল রেখে কাকতালীয় ভাবে ক্রীড়াবিদ বেরিয়ে এসেছে ক্রমাগতই। আমার বাবার কথাই ধরা যাক। আশরাফুলের গুরু নামে খ্যাত ওয়াহিদুল গণির সাথে তার নাম অনেকখানিই মিলে যায়। পৃথিবীতে আগমনের দিকে ওয়াহিদুল গণির চাইতে হয়তো আমার বাবাই এগিয়ে থাকবেন, তবে ক্রীড়াসংশ্লিষ্টতার দিক থেকে তাদের ব্যবধান আকরাম খান আর খিলিপানের চাইতে কোন অংশেই কম হবে না।

বিস্তারিত»

“এ আলোয় তোমায় দেখিনা”

1.
ঝুম বৃষ্টির মাঝে রিকশা পাওয়াটা কষ্টের। ঢাকা শহরের রিকশাওয়ালা গুলো এম্নিতেই জমিদার। তারপর বৃষ্টি এলে এদের ভাব আকাশ চুম্বী হয়ে যায়। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজবে ঠিকই কিন্তু কেউ বললে যাবেনা। বিরক্ত মুখে আসিফ একজনকে বলে ফেলল,মামা তাহলে জাহান্নামে যাবা? শাহবাগ থেকে কলাভবন যদি না যাও তাহলে কোথায় যাবা? আসিফের কথা রিকশাওয়ালা ভ্রুক্ষেপ করলোনা। বেচারা আগের মতই বলিউড টানতে শুরু করল। কিছুদূরে একটা ফাঁকা রিকশা দেখতেই আসিফ ডাক দিল,

বিস্তারিত»

চিঠি সমাচার

বহুদিন পর ইদানিং ব্লগে ঢুকা হচ্ছে। ব্লগে ঢুকে কিছু নবীন লেখকের লেখা পড়ে খুব মজা পাচ্ছি। মনে পড়ছে ১/২ বছর আগের কথা। তখন সারাদিন ব্লগেই পড়ে থাকতাম। এ যেন এক নিত্য updated গল্পের বই। যাই হোক তখন সকলকে দেখে মনে হয় আমিও ২/১ টা ব্লগ লিখেছিলাম। আজকে মনে হচ্ছে কিছু একটা লিখি। কিন্তু কি লিখব তাই নিয়ে ভাবছিলাম অনেক্ষন ধরে। হঠাত মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে কেন জানি না হলুদ রঙের খামের কথা মনে পড়ে গেল।

বিস্তারিত»

ঘুম

গ্রীষ্মকাল আর ঘুম ক্যাডেটদের জন্য এই সমীকরণটা মনেহয় একে অপরের সাথে সমানুপাতিক।

ঘটনা-১
ঘটনাটা কোন সময়ের তা মনে করে উঠতে পারছিনা। তবে ক্লাস ১০ এ হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আলভী (ডাকনাম) ক্লাস ১০ এর ফর্ম থেকে একটা চেয়ার নিয়ে টয়লেটে চলে গেল এবং যথারীতি আরাম করে ঘুমিয়ে গেল। আমরা ক্লাসের সবাই বেমালুম ভুলে গেলাম যে আলভী টয়লেটে ঘুমাচ্ছে। বাংলার রাবেয়া ম্যাডামের ক্লাস। হঠাৎ করে আমরা সবাই শুনি এক সুইপার চিৎকার করে বলছে টয়লেটে এক ক্যাডেট অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে।

বিস্তারিত»

বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে

বৃষ্টি আর জল কাদার বিরুদ্ধে
এই সকল জোৎস্ন্যাদল,ফুল-পাখি
এই সকল চৈত্র আর শীত কুয়াশা
রাত জেগে প্রার্থনায়
ভাঙা বেড়া,ছাদ ফুটো ঘরের সব
শিশু এবং কিশোরীদের ভেজা স্তন
নিংড়ে নেয় মাঠপোড়া রৌদ্রালোক
বই ভিজে,ঘর ভিজে-
আর ভিজে গৃহস্থালী,গরীব লোকের সংসার আর
রান্নাঘর

তাই আষাঢ়,বর্ষা আর সব রকম জল কাদার
বিরুদ্ধে
এই সকল সূর্যদিন,দূর্বাদল,গাছ-পাখির বসন্ত
শিউলি আর হেমন্তের রাজপথে শোকসভা
নদীর দুকূল উপচানো নিষ্ঠুর এ প্লাবনে,বন্যাতে
ঘর ভাসে,দোর ভাসে-
আর ভাসে ফসল আর কৃষকের সুখের ঘর
ছাপোষা কেরানী আর মাস্টারের মফস্বল
বেচারীদের দুর্দিনের মাইনেতে ভাগবসায়
বর্ধমান মূল্যস্তর,খারাপ আর অসৎ সব ব্যবসায়ী

তাই এসব খারাপ আর সব রকম অসৎ লোকের বিরুদ্ধে
আমার এই কবিতা হোক আগ্রাসন
হুমকি আর হোক শ্লোগান
মন্দ লোক ধ্বংস হোক,তাদের সব
সঙ্গীরা,সঙ্গীদের নষ্ট মন,পায় ঘৃণা!

বিস্তারিত»