এক.
সময় ক্লাস সেভেন 2য় টার্ম । সোহরাওয়ার্দী হাউসের দোতলার তের নম্বর রুমে নাদান আমরা সবাই থাকি । আমাদের পাশের রুমেই অল্টারনেট সিনিয়রদের রুম । নেমপ্লেট দিয়ে দেয়ালে বারি দিলেই ছুটে যেতে হয় ফাই ফরমাস খাটার জন্য । বন্ধু মাহমুদ হোসেন, আর সবার মত কলেজে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে । ঘটনার শুরু একদিন রাতে আফটার লাইটস আউট সে রুমে এসে দেখে বন্ধু জান্নাতুল ওর বেডে ঘুমিয়ে আছে । সারাদিনের নানান চাপের পর মাহমুদ হোসেনের আর সহ্য হলোনা । এক ধাক্কা দিয়ে জান্নাতুলকে বেড থেকে ফেলে দিয়ে নিজে শুয়ে ঘুমিয়ে পরল । রাত শেষ সকালে বার নম্বর রুমের রুমলিডার হাসান ভাই আবিষ্কার করলেন মাহমুদ হোসেন জান্নাতুলের বেডে ঘুমাচ্ছে আর জান্নাতুল বেডের পাশে ফ্লোরে । ঘটনার তদন্তে বের হল রাতে অন্ধকারে বেচারা বুঝতে পারেনাই সে ভুলে বার নম্বর রুমে এসে পরেছে । তাই উপরোক্ত ঘটনা । এদিকে জান্নাতুলের আবার ভীষণ জ্বীনের ভয় । সে মনে করল জ্বীন মহাশয় তাকে ফেলে দিয়েছে । ফলে যত দোআ দুরূদ জানতো সব পরে ফ্লোরেই রাত পার করে দিয়েছে ।
ঘটনা এখানেই শেষ হওয়ার কথা । কিন্তু বিধি বাম । মাহমুদ হোসেনের পরের শিকার অল্টারনেট সিনিয়র চৌদ্দ নম্বর রুমের জাকির ভাই । এবারো আফটার লাইটস আউট বারটার দিকে বাথরুম ব্রেকের পর সে তার বেডে জাকির ভাইকে দেখে মহা বিরক্ত । কি করে?? ঘুম পাচ্ছে । নিজের বেড দখল করার জন্য বেড ঝাকিয়ে জাকির ভাইকে জাগানোর চেষ্টা করতে লাগলো । জাকির ভাই বেচারা মাঝরাতে ঘুম ভেঙে মাহমুদ হোসেনকে দেখে প্রাথমিক বিস্ময়ের ধাক্কা সামলে জিজ্ঞেস করলেন
– কি হইসে মাহমুদ হোসেন ?
– আপনি আমার বেডে ঘুমায় আসেন কেন ?
– 😮 মাহমুদ হোসেন চারিদিকে তাকায়ে দেখ এইটা তোমার রুম না । যাও ঘুমাতে যাও ।
চারিদিকে তাকিয়ে মাহমুদ হোসেন নিজের ভুল বুঝতে পেরে রুমে ফিরে গেল আর জাকির ভাইও নিজের বেডে বাকি রাত ঘুমাতে পারলেন ।
এরপর আর কেউ ভিকটিম হয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি।
৩০ টি মন্তব্য : “ছোট ছোট ঘটনা – এক”
মন্তব্য করুন
=)) =))
:)) :))
মাহমুদ হোসেন এর লাইগা পরে পাংগা টাংগা খায়নাই?
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
হা হা হা! জাকির ভাইরে যে ধাক্কাইয়া ফেলে দেয় নাই, ওইটাতো ওনার সাত কপালের ভাগ্য!
www.tareqnurulhasan.com
:khekz: :khekz: :khekz:
হাসতে হাসতে পিরা যাচ্ছি
আপনারে আমি খুঁজিয়া বেড়াই
পিরা গেলাম। =)) =)) অই মাহমুদ এখন জার্মানীতে না?
😀 😀 😀
:khekz: :gulti: ...আমিও পিরা গেসি, আচ্ছা মাহমুদ ভাইকে মাহমুদ হোসেন ...পুরা নামে ডাকা হত কেন?
উনাদের সময়ের সবগুলা ভাইয়াদেরই পুরা নামে ডাকা হত, জাহাঙ্গীর আলম ভাই, রাজীব আহমেদ ভাই, খালিদ ইফতেখার ভাই, ফেরদৌস আহমেদ ভাই এটসেটরা..
তাইলে ত ভাই আমার জুনিয়রদের খবর ছিল... :))
হো হো হো...............
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
আমি চিন্তা করতেছি, জাকিরের জায়গায় অন্য কেউ হইলে কি হইত। :))
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
মজা পাইসি!!!
- :khekz: :khekz: :khekz:
পুরা সিরুম।। গুল্লি। :gulli2:
সবাইকে অনেক ধইন্যবাদ ।
@ফৌজিয়ান ভাই ঘটনার আকস্মিকতায় ওকে কিছু বলা হয়নাই । 😛
@ রবিন । ঠিক ধরছিস ।
@ সামিয়া পিরা গিয়া আবার বিথা পাইওনা ।
@তাইফুর ভাই জাকির ভাই খুবই ভাল মানুষ ছিলেন । নিজ গুনে মাফ করে দিসেন ।
আমাদের ক্যাডেট নাম গুলা কে সিলেক্ট করসিল কে জানে । অনেকেরি পুরা নাম ছিল ক্যাডেট নাম ।
এইটারে সিরিজ করার ইচ্ছা থাকলো । সামনে আরো কিছু আসবে । stay tuned .
সবাইকে :salute:
:)) :)) :))
আদনান ভাই, আমি কেলাস নাইনে থাকতে ব্লকের ক্লাস এইটের পাশ দিয়া কি কাজে যাওয়ার সময় দেখি এইটের এক পোলা সেভেনের এক পোলারে শান্টিং দিতাছে-"ব্লাডী শেখ হাসনাত,আরেকবার ফল্ট করলে তোমাকে কাজী মনিরুজ্জামান তালুকদার ভাইয়ের কাছে পানিশ্মেন্ট খাইতে পাঠাবো।"
অফ টপিক-আমার পুরা নাম তাহসিন মাসরুফ হোসেন মাসফি 😀
:goragori:
ওই তুই ব্লগ লিখিস না কেন?
প্রিপারেশন কেমন হচ্ছে ।
ভালভাবে পরীক্ষা দিস ।
:goragori: :clap: =)) :)) 😀 :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll: :frontroll:
মাহমুদ হোসেন চারিদিকে তাকায়ে দেখ এইটা তোমার রুম না । যাও ঘুমাতে যাও ।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ধুরও। হাসতে হাসতে শেষ। শেষে কমেন্টও ওল্টাইয়া গেছে। ঠিকমতো পইড়া লইয়ো।
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
আইচ্ছা । 🙂
মজা পাইছি 😀 😀 ।
Life is Mad.
ধইন্যবাদ O:-)
মাহমুদ হোসেন ভাইএর অভ্যাসটা আশা করি এখন আর নাই...থাকলে ওনারে কোন ফ্লাট-বাড়িতে থাকতে দেয়া যাইত না... 🙁 কলেজে বাঁইচা গেলেও পরের বাড়ির বেড রুমে এখন ঢুকলে... :gulli:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
=))
সংসারে প্রবল বৈরাগ্য!
চুড়ান্ত !!!
তবে উনাদের ব্যাচ এর নাম গুলা কষ্টকর ছিল !!
এতোদিন পর এই কথা তরে :gulli2:
:boss: :boss:
মাইনষে তো এক হাউস এর রুমপ্লান শিখতো, আমাদের গুলারে তো চিনতেনই, ৩হাউস এর টাই শিখাইসে।
নজরুল এর টা কষ্ট হইসে বহুৎ, তাদের তো রুমের নম্বর নাই।
ভাগ্যিস আলামিন ব্লগে নাই, নাইলে NH এর নামে এহেন কথা শুনে একটা ধুন্দুমার লাগায়ে দিত!!
মা হোসেন এর এই কাহিনী আমি বহুবার শুনছি , আর যতবার শুনছি ততবারই হাসতে হাসতে পিরা গেছি :))
তুমি দেখি আমার সব পুরান ব্লগে আসছো আজকে । অনেকদিন কিছু লেখা হয়না । দেখি উইকেন্ডে টাইম পাই কিনা B-)