এক.
এবারো সময় ক্লাশ সেভেন, স্হান ফজলুল হক হাউস । যান বাঁচানো ফরজ তাই সংগত কারণে ঘটনার নায়কের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকলাম । ক্লাশ সেভেন থেকেই আমাদের জনৈক বন্ধু স্ক্র্যাচিং এ পারদর্শী্ ছিল । আর মাঝে মাঝে স্হান কাল পাত্র ভুলে মনের আনন্দে গীটার বাজাতো । একদিন তখনকার কলেজ গেমস প্রিফেক্টের রুমে তার ডাক পরল । খেলাধূলার কোন একটা ব্যাপারে তাকে নসিহত করা হচ্ছে । সেও মনোযোগের সাথে কথা শু্নছে আর মনের অজান্তে গীটার বাজিয়ে যাচ্ছে । কলেজ গেমস প্রিফেক্ট হায়াত ভাই অনেকক্ষন সহ্য করে বলে উঠলেন,
– ………… স্ক্র্যাচিং কর কেন ?
– হায়াত ভাই স্ক্র্যাচিং কি ?
– 😮
দুই.
এবার নিজের একটা ঘটনা শেয়ার করি । এবারের সমস ক্লাশ ইলেভেন । সবার সাথে সাথে আমারো পাংখা গজিয়েছে । যেকোনো ফল্ইন এ পুরা কলেজের পরে না গেলে পাট থাকেনা । একদিন বৃহস্পতিবার প্যারেডের সময় কলেজ প্রিফেক্ট মার্চ পাস্ট কমান্ড দেয়ার সময় আমি প্যারেড ক্যাপ পরতে পরতে প্যারেড গ্রাউন্ডের দিকে দৌরাচ্ছি । দুদিন হল নতুন এ্যাডজুটেন্ট মেজর মামুন আল মাহমুদ জয়েন করেছেন আমাদের ডিসিপ্লিনড বানানোর জন্য । উনার সবচেয়ে আনডিসিপ্লিনড স্বপ্নেও উনি আমার মতো লেট কাউকে হ্য়ত দেখেননি । কিন্তু আমি তো আমাদের বড় ভাইদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা করেছি মাত্র । তাই প্যারেড জয়েন করার আগে এ্যাডজুটেন্ট বিশাল ঝারি মেরে জিজ্ঞাসা করলেন
– Who do you think you are?
– I am a cadet sir.
– x-(
স্যারের কাছে আমাদের ব্যাচের প্রথম ই.ডি.
দুইদিনের মাথায় পয়লা ইডি, পারফরম্যান্স তো খারাপ না দেখি।
পালটে দেবার স্বপ্ন আমার এখনও গেল না
তার আগ পর্যন্ত একটা ছিল তাও ক্যানসেল হয়ে গেসিল । সে এক কাহিনী, কোন এক পর্বে দিবো । আর এইটার পর আর থামাথামি নাই 17-18 তে গিয়ে থামসি ।
জটিল উত্তর :grr: :grr: পুরা পিরা গেলাম হাসতে হাসতে =)) =))
🙂
মজা পাইলাম 😀 । সোহরাওয়ার্দী আর ফজলুল হক হইল, পরেরবার নজরুল না হইলে খবর আছে।
'কলেজ গেমস প্রিফেক্ট হায়াত ভাই' ধন্দে পিরা গেলাম। এইডা কোন হায়াত ভাই ??
পথ ভাবে 'আমি দেব', রথ ভাবে 'আমি',
মূর্তি ভাবে 'আমি দেব', হাসে অন্তর্যামী॥
ভালো ছিলো। 😀 😀
:salute:
@তাইফুর ভাই, উনি নাইমুর ভাইদের ব্যাচমেট । কলেজ গেমস প্রিফেক্ট টা মনে হয় মিসটেক হয়ে গেসে । হাউস গেমস প্রিফেক্ট হবে।
ভাই এক্কেরে ক্যাডেটের মতো উত্তর :)) :)) :))
"আমি খুব ভাল করে জানি, ব্যক্তিগত জীবনে আমার অহংকার করার মত কিছু নেই। কিন্তু আমার ভাষাটা নিয়ে তো আমি অহংকার করতেই পারি।"
:clap: :clap:
ঐ দেখা যায় তালগাছ, তালগাছটি কিন্তু আমার...হুঁ
:goragori: :goragori:
হোসেন ভাই, পুরান ঘটনা মনে করায়া দিলেন। মেজর মামুন আল মাহমুদ!
আমাদের কলেজে এই স্ক্রাচিং-এর নাম ছিলো ইয়ো ইয়ো। এইটা মোটামুটি একটা মহামারী ছিলো, বিশেষ করে তারা সবকিছুর মত গোসলেও ডজ দিত!
www.tareqnurulhasan.com
কি বলিস :goragori:
এই ব্যাটা তোর চ্যাংরা নামই তো ভাল ছিল ।
মনে হয় স্ক্রাচিং এর মেইন কারণ ছিল স্টোরের পুরান খাকি।
:khekz: :khekz: :khekz:
"মানুষে বিশ্বাস হারানো পাপ"
ষ্টোরের পুরান খাকির জন্য যে মির্জাপুরের কত পোলাপানের স্কিন ডিজিজ হইসিল তার হিসাব নেই।
আমি দরকার হইলে অনেকবার ডিনার ড্রেস পরে ব্লকের ক্লাস করেছি,তবুও ষ্টোর থেকে খাকি ইস্যু করে পরি নাই।
কিছু ক্যাডেট সেই খাকি পরে নিজেদের ১২ টা বাজিয়েছিল।সিক রিপোর্ট করে ডাক্তার স্যারকে দেখালেই স্যার গর্জে উঠতেন আর বলতেন.........'নো নো......ভেরি ব্যাড ভেরি ব্যাড!!!!!ডার্টি ক্যাডেট!!!!!!'
তিনি তো আর খাকির রহস্য জানতেন না।পরে দেখা গেল ডাক্তার স্যারের অপবাদের ভয়ে অসুখ বাধিয়েও অনেকে সিক রিপোর্ট করত না,যদি স্যার জুনিয়রদের সামনে মান ইজ্জত পাংচার করে দেন!!!!!
:)) :)) :))
আদনান......চালাইয়া যা তোর ছোট ছোট ঘটনা!
আসিতেছে ধৈর্য্য ধর O:-)