যখন কোন মানুষের জীবনের ইচ্ছাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চারের নায়ক হবার, তখন সে মানুষকে কি আর কেউ আটকাতে পারে? নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের বুদ্ধি তার মাথায় নাড়া দিয়ে উঠতো। আর বুদ্ধিগুলোও ছিল অনেক আজব, অনেক রোমাঞ্চকর। বলা চলে, “যা আগে কেউ কোনো দিন ভাবেনি”। সে যা করতো আর যেভাবে করতো, তা অবশ্য ম্যাকগাইভারি বুদ্ধিই বলা চলে। অনেকটা সিনেমাতে যে ভাবে দেখা যায়, ঠিক সে রকম। আর তার সময় পরিমাপের ধরনটাও ছিল অসাধারণ।
বিস্তারিত»মেয়েটা আর আমি…
এক বন্ধুর বিয়েতে পরিচয়_
প্রথম দেখাতেই হলো সংশয়।
জানি না, কেন তার ঐ নীলশাড়ি
আমার মনটা নিলো, অচিরেই কাড়ি।
আমি শান্তমনা ছেলে_
বন্ধুপাগল মনটি আমার
রাতদিন থাকে তালেতালে।
আর, কী যেন সে খোঁজে
আপন মনেতেই গান বাজে।
দিনদুপুরে নায়ক বেশে
বাইরে যায় কাজে।
বিস্তারিত»ভুলের ফল
ফুলটা তুলে ভুল করেছি
লাগছে নাতো ভাল
মানিয়ে ছিল যখন সেটি
গাছের ডালে ছিল।
ডালে ছিল তীক্ষ্ণ কাঁটা
খোঁচা খেয়েছি তাতে
ফুল তুলতে গিয়ে আমার
রক্ত ঝরে হাতে।
বাড়ি ফিরে লাগাই মলম
ব্যথায় টন্-টন্
ফুলটা রাখি বোতল জলে
মৌমাছি ভন্-ভন্।
বিস্তারিত»নব্বর্ষের বোধোদয়
তারিখঃ ১৪ই এপ্রিল, ২০১০।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী কর্তৃক অভিনীত।
শিল্পীদের নাম ও ভূমিকার পরিচয়ঃ
সাঈদুর রহমান সাদাত
ফারিয়া রহমান মুনিরা
মাজেদ সোহেল
কাশেম তপু
নাদিয়া বৈশাখী
রচনায়ঃ মোঃ সাদাত কামাল
নির্দেশনায়ঃ সোহেল ভাই ও দিপুল ভাই।
বিস্তারিত»
নারী নির্যাতন ও নারীবাদঃ আমার এলোমেলো ভাবনা
কয়েক সপ্তাহ আগে এক কনফারেন্সে একটা পেপার উপস্থাপন করার সুযোগ হয়েছিল। বিষয় ছিল Failure of the Legal System: Issues of Domestic Violence in Bangladesh- সহজ বাংলায়, পারিবারিক নির্যাতন এবং বাংলাদেশের আইনী ব্যর্থতা । বিষয়টি একবিংশ শতাব্দীর বহুল আলোচিত একটি বিষয় এবং আমাদের সবারই খুব পরিচিত। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মাটিতে বড় হয়েছে অথচ পারিবারিক পরিমন্ডলে নারী নির্যাতনের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুসকিল। তবে,বিষয়টি যতটাই পরিচিত হোক,
বিস্তারিত»কল্পনারা এবং আমার প্রেমিকারা
কি নিয়ে লিখব, কি নিয়ে লেখা যায়, এই সেই আজেবাজে চিন্তায় দিন পেরিয়ে যায়। রাত্রি ভোর হয়। আবার দিন আসে। দিন যায়। কিন্তু লেখা আর হয় না। অলস সময় আলস্যেই পার হয়ে যায়। তাই এই ছন্নছাড়া লেখার খাতা। যা মনে আসে, যাচ্ছেতাই, সব লিখে ফেলা। মনের অবিন্যস্ত চিন্তাগুলোকে শব্দের আকারে লেখার খাতায় তুলে আনা। যোগসূত্র-হীন সব বিচ্ছিন্ন চিন্তা-রাশি। মনের আনাচে-কানাচে ঘুপটি মেরে থাকা কল্পনারা যদিবা এই সুযোগে বাস্তবের দেখা পায়।
বিস্তারিত»কেন বিধি
কেন বিধি কেন বানালেনা মোরে,
হিমালয় চুড়া পাহাড়ের করে?
দিনের বেলায় বরফ সাগরে
রাতের বেলায় ছবি!
বুকে নিয়ে তবে শত শত ব্যথা,
অবলা থাকত না বলা যা কথা,
বলতাম না’ক কথা সব যথা,
হয়ে কোন এক কবি।
কেন বিধি মোরে নদী করলে না?
নিজ আঁখিজলে ভিজে আনমনা,
বিস্তারিত»মনে করো আমি
মনে করো আমি পাথর সমান, বুকেতে বিঁধে না কিছু,
ঝরনার পানি বয়ে যায় শুধু, ফেলে মোরে একা পিছু,
ঝরনারে আমি বলিনি কখনো, “একটু দাঁড়াও বন্ধু”,
কারণ তার যে মহৎ লক্ষ্য, গড়তে হবে যে সিন্ধু।
মনে করো আমি শত বছরের অশোক কিম্বা বট,
শতবছরেতে মাথায় হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত জট,
বলিনি তবুও পথের পাশ-কে,
বিস্তারিত»একটি ভালবাসার গল্প
১.
এস.এস.সি পরীক্ষা শেষ করে টানা চার মাস পর ক্যাডেট কলেজ থেকে বাসায় আসলাম। ছুটিতে অনেক কিছু করার পরিকল্পনা করলাম। কিন্তু বাসায় এসে আমার মাথায় হাত। আমি কলেজে থাকা অবস্থায় আমাদের বাসা চেঞ্জ হয়েছে। নতুন বাসায় এসে কিছুটা অস্বস্তিতে পরলাম। কাউকে চিনিনা। বাসায় এসে কিছুক্ষন ধাতস্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, এমন সময় কেউ একজন ডেকে উঠল-
– আন্টি……………
একটা মেয়ে দৌড়ে ঘরে এসে ঢুকল।
বিস্তারিত»আমাদের বাদশাহ নামদার হুমায়ুন আহমেদ
অকালেই চলে গেলেন হুমায়ুন আহমেদ। দেশের সব স্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হলেও সব চেয়ে নন্দিত ছিলেন মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর কাছে। ছিলেন মধ্যবিত্তের অন্যতম প্রতিনিধি। আমাদের একটি বিখ্যাত সামাজিক বচন- উত্তম নিশ্চিন্তে চলে অধমের সাথে, তিনিই মধ্যম যিনি চলেন তফাতে। মধ্যবিত্তের এই তফাতে চলা কথাটা এক ধরণের বক্রোক্তি হলেও, বাস্তব সত্য হচ্ছে মধ্যবিত্তের তফাতে চলা ছাড়া উপায় নেই। কারণ মধ্যবিত্তকে হিসাব করে চলতে হয়। সেই হিসেবে সামান্যতম ভুল হবার জো নেই,
বিস্তারিত»অচিনপুরে যাত্রা…
হুমায়ূন আহমেদ চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর কিছু কাজের জন্য তাঁকে অপছন্দ করলেও তাঁর সাহিত্যকর্মের জন্য প্রাপ্য সম্মানীয় জায়গাটি ছিল অটুট। আমার একজন প্রিয় মানুষ ছিলেন তিনি। অদ্ভুত এক ধরনের শূন্যতা বোধ করছি।
শিল্প-সাহিত্যে ভয়ংকর রকম দুর্বল আর পিছিয়ে থাকা এই আমার সাহিত্য জগতে যা কিছু বিচরণ তার প্রায় পুরোটা জুড়েই হুমায়ূন আহমেদের গল্প আর উপন্যাস – বাকিটা জাফর ইকবাল, সত্যজিৎ রায় আর আর্থার কোনান ডয়েল এর কিছু লেখা।
বিস্তারিত»অনাকাঙ্খিত পরিচয়
বাসে ভীড় চমৎকার,
তার মধ্যে আবার-
যাত্রী নেওয়ায় ব্যস্ত কন্ডাক্টর,
সিট অবশ্য পেয়েছি একটা,
আর পাশে বসা মহিলাটাকে দেখছে আমার উৎসাহী চোখটা,
চেনা চেনা লাগে,
মনে হচ্ছে দেখেছি অনেকবার আগে-
কোথাও,
মনে পড়ছে না নামটাও ।
“ওহে টিকিটটা-”, আনমনে দিলাম তা,
“ওহে”- বলে কলেজের এক বন্ধুও ডাকত সবাইকে,
বিস্তারিত»মুসলমানিত্ব
বাঙালি মুসলমানের মন যে এখনো আদিম অবস্থায়, তা বাঙালি হওয়ার জন্যও নয় এবং মুসলমান হওয়ার জন্যও নয়। সুদীর্ঘকালব্যাপী একটি ঐতিহাসিক পদ্ধতির দরুন তার মনের ওপর একটি গাঢ় মায়াজাল বিস্তৃত রয়েছে, সজ্ঞানে তার বাইরে সে আসতে পারে না। তাই এক পা যদি এগিয়ে আসে, তিন পা পিছিয়ে যেতে হয়। মানসিক ভীতিই এই সমাজকে চালিয়ে থাকে।
(বাঙালি মুসলমানের মন/আহমদ ছফা)
–
–
–
জনৈক ক্যাডেট কথা…
শোন শোন ভাইসব, শোন দিয়া মন,
জনৈক ক্যাডেট কথা শোন সর্বজন,
সকালে উঠিয়া সে যে মনে মনে কয়-
সারাদিন যেন সে গা বাঁচিয়েই রয়,
আরে – প্যারেড গ্রাউণ্ডে যখন ড্রেস চেকিং হয়,
শেভ-পালিশ নাই বলে পেছনে লুকায়,
প্যারেড ব্রেডের মত গজবের শেষে,
ফর্মক্লাসে এসে সে ঘুমায় নিমেষে ।
বিস্তারিত»
পাগলির প্রেমিক
দুটো বিড়ালের ঝগড়াঝাটির শব্দে মিথির ঘুম ভাঙে। হুট করে ঘুম ভেঙ্গে তার মনে হয়েছিল বাইরে বাড়ির সবাই হুলস্থুল কান্ড ঘটিয়ে ফেলেছে আর সে কিছুই জানে না। কিন্তু না!!! বাড়ির বিড়াল দুটো ঝগড়া করছে । অবিকল মানুষের সুর।
শুয়ে শুয়েই আড়মোড়া ভেঙ্গে জানালা দিয়ে বাইরে তাকায় মিথি।জানালার বাইরে শিউলি গাছটায় এখনো আধঝরা কিছু ফুল পাতার উপর বসে আছে। গাছের উপর তৈরি হওয়া মাকড়সার জালটা শিশির কনার ভারে নুইয়ে পড়েছে।