মনে করো আমি পাথর সমান, বুকেতে বিঁধে না কিছু,
ঝরনার পানি বয়ে যায় শুধু, ফেলে মোরে একা পিছু,
ঝরনারে আমি বলিনি কখনো, “একটু দাঁড়াও বন্ধু”,
কারণ তার যে মহৎ লক্ষ্য, গড়তে হবে যে সিন্ধু।
মনে করো আমি শত বছরের অশোক কিম্বা বট,
শতবছরেতে মাথায় হয়েছে অনাকাঙ্ক্ষিত জট,
বলিনি তবুও পথের পাশ-কে, “কত জমা মোর রক্ত”,
কারণ তারও মহৎ লক্ষ্য, কালে কালে করে যুক্ত।
মনে করো আমি সুনীল সাগর, শীর্ণ নদীর শেষে,
আরো কতশত জীর্ণ নদীরা আমাতে এসে যে মেশে,
বলিনি কখনো বুকে নিয়ে সয়ে তাদের বেদনা, “ভাই,
আর দিও না’ক”, আমারও আছে যে শত শত ব্যথা, হায়।
মনে করো আমি সিন্ধুতীরের ছোট ছোট বালু কণা,
সাগরের তীরে থেকেও যে মোর হয়নি’ক এটা জানা-
“কত জল আছে?” তবুও বলিনি, “কাছে টানো মোরে আরো”
কারণ তারও মহৎ কর্ম, বাঁধা মানে না’ক কারো।
মনে করো আমি ঘণ্টার কাঁটা, ক্ষণে ক্ষণে উঠি নড়ে,
সময়ের ধারা চলে যেতে থাকে আমার পাখায় চড়ে,
ধ্রুবক কখনো পারিনি হতে যে বলিনি, “দাঁড়াবে শোনো,
পারো না অতীতে নিয়ে যেতে মোরে, কালাতীত কালে কোনো?”
মনে করো আমি আমি নই আজ, হয়েছি আরেকজন,
একই মানুষে দ্বিতীয় সত্ত্বা হয়েছে উদ্ভাবন,
সময় গড়ায়, আমি বদলাই, বদলায় সবকিছু,
বদলায় না যে যারে বদলাতে হারিয়েছি কতকিছু।
সবই মানতে হয় যে আমাকে, আমি তো মানুষ নই,
মানুষ হলে তো সইতাম সব, কি করে এসব সই?
বুঝেছি যে আমি, হয় আমি জড়, নয়তো মহামানব!
শ্বাস-প্রশ্বাস দেখে বুঝেছি যে জড় না আমি, আজব।
🙂 :clap:
:shy: ধন্যবাদ
চমৎকার। :clap:
:shy: ধন্যবাদ ;;)
:clap: :boss:
"মরনের বীথিকায় জীবনের উচ্ছ্বাস,
জীবনের যাতনায় মৃত্যুর মাধুরী"
:shy:
অনেক ভালো লাগলো............
:shy: thank you, bro