আমাদের গল্পটার শুরু গ্রীষ্মের কোন এক মধ্য দুপুর থেকে। অন্য দুপুরগুলোর মত সেই দুপুরটাও অলস হতে পারত, কিন্তু সেদিন দুপুরের অলসতার সুযোগ ছিল না। কারন সেই দুপুরে দেশের বিভিন্ন জায়গার,বিভিন্ন চেহারার কিছু ছেলের ‘আমি থেকে আমরা’ হবার দিনের সূচণা হতে চলেছিল।০৭ মে,২০০২ সালের সেই রৌদ্রজ্জল দুপুরকে সাক্ষী রেখে আমরা একে একে খাকী পোশাকে নিজেকে জড়াই, আর নিজের অজান্তে ৫৪টি মন কখন যেন নিজেদের মত করেই জড়িয়ে গেছে,
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজ প্রাচীর
১) একবার দুইজন ক্যাডেট রাতের অন্ধকারে কলেজের প্রাচীর টপকে গেল সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে। হাউসে ফিরে আসার সময় তাঁরা হাউসের পেছনে এসে উঁকি মেরে দেখলো যে হাউসের সামনে হাউস বেয়ারা আর একজন স্টাফ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন। ক্যাডেট দুইজন ভাবলো যে, চোরের মন পুলিশ পুলিশ না করে স্বাভাবিকভাবে হাউসে প্রবেশ করলে তাদেরকে কেউ কিছুই বলবে না। এই ভেবে তাঁরা হাউসের পেছন থেকে বেরিয়ে এসে হাউসে ডুকতে যাচ্ছিলো।
বিস্তারিত»মিশরের পিরামিড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (১ বছর ফিজিক্সের ছাত্র ছিলাম কিনা) পড়ুয়া তিন বন্ধু ফার্মগেটে একটা মেসে থাকতাম। টয়লেটসদৃশ রুমে বন্ধু নিয়াজ, শাকিল আর আমি; তিন বন্ধুর সুখের সংসার।
মেঝের তিন কোনায় পরস্পর সংলগ্ন তিনটি বিছানা, দুইটি টেবিল ফ্যান, খানকয়েক বই (শাকিলের ১০১ ম্যাজিকশিক্ষা, পত্রিকা(?), নিয়াজের জীবনানন্দসমগ্র, আমার কিছু ওয়েষ্টার্ন), একধামা আলুপটল, চাল, এক বোতল সয়াবিন তেল, কিছু কাপড়চোপড় -এই ছিল আমাদের পার্থিব সম্পত্তি।
মাঝেমাঝে ক্লাসে যাই,
বিস্তারিত»বিপন্ন মানবতা এবং একটি সাহায্যের আবেদন
আরো একবার মানবিক বিপর্যয়ের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি আমরা,আমাদের বাংলাদেশটা। যেসব সেলাই দিদিমনিরা দিনরাত কষ্ট করে আমাদের জন্য কাপড় বুনেন,যেইসব পোষাক শ্রমিকের ঘামে ভেজা নিঃশ্বাসে ভর করে দেশ অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাদের লাশ আজকে আরেকবার তাজরীনের গন্ডি পেড়িয়ে অধরচন্দ্র স্কুলমাঠে সারি বেঁধে শুয়ে আছে। আর ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার ভিতরে আটকা পড়ে আছে আরো শতাধিক।
উদ্ধার কাজ চলছে এখনো। উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি আছে সেচ্ছাসেবক উদ্ধারকর্মীরা।
বিস্তারিত»ক্যাডেট কলেজ থেকে বলছি
পান্তা ইলিশ
পহেলা বৈশাখ। কলেজের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পান্তা-ইলিশ খাওয়ানো হচ্ছে ক্যাডেটদের। তাও কিনা ব্রেকফাস্টে ! অভূতপূর্ব সৌভাগ্যে ক্যাডেটরা যতটা হতবাক, ঠিক ততটাই কৌতূহলী তাদের স্যাররা। ঘণ্টা বাজতেই ক্যাডেটরা পেঁয়াজ মরিচ আচ্ছামত ডলে কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করলো। মুখে মুখে হাসি। হাতে হাতে ভাজা ইলিশ !
আনন্দের ভাগীদার হতে প্রিন্সিপাল স্যার পুরো ডাইনিং হল ঘুরে ঘুরে দেখছেন। ক্যাডেটদের সাথে কথা বলছেন।
বিস্তারিত»পুরনো জোক, না হাসলে আমি দায়ী নই
একবার এক লোক একটা উড়ন্ত হাঁস শিকার করল। গুলি খেয়ে হাঁসটি একটা ক্ষেতের উপর পড়ল।
লোকটি বেড়া টপকে ক্ষেতে ঢুকতে গেলে ক্ষেতের বৃদ্ধ মালিক তাকে আটকালেন। “আমার জমিতে ঢোকা যাবে না। আমার জমিতে কিছু পড়লে সেটা আমার।” বললেন তিনি।
লোকটি বলল, “আমি এ দেশের সবচেয়ে বড় উকিল। আমি তোমার বিরুদ্ধে মামলা করব। তারপর দেখবে হাঁস আমার নাকি তোমার।”
বিস্তারিত»no
শাহবাগ ভাবনা
ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে ভেবেছিলাম বইমেলায় যেতে পারবো না এটা এই মাসে সবচেয়ে বড়ো আফসোস হয়ে থাকবে। ৫ তারিখের পর থেকে সব উল্টেপাল্টে গেল! শাহবাগে সশরীরে থাকতে না পারা, এমনকি মাঝে মাঝে কাজের চাপে ভার্চুয়ালিও থাকতে না পারা আমার জন্য প্রবল আফসোস হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমি পেশা হিসেবে শিক্ষকতা করবো বলে ঠিক করেছি প্রায় বছর দুয়েক আগে। দেশের একটা প্রায়-অখ্যাত, থার্ড টিয়ার প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে তড়িৎ কৌশল পড়াতাম।
বিস্তারিত»পবিত্রতা
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
দেখে কে বলবে। এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে? রাজপুরীর মত ঝলমলে আলোয় ভরে আছে গোটা শহর। চারিদিকে মানুষের চিৎকার, চেঁচামেচি, আনন্দোৎসব। সবার মুখেই একটা খুশি খুশি ভাব। নাহ! সবাই এই কথাটা ঠিক না। কোথাও না কোথাও অন্তত একজন তো থাকবেই যে খুশি নয়। অখুশি বলবনা, কিন্তু হয়ত সে বিষন্ন। একা একা চারিদিকে হাটছে আর নিজের প্রতিবিম্ব খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
বিস্তারিত»আমিও একজন ব্লগার
আমিও একজন ব্লগার- এই কথাটি অত্যন্ত গর্বের সাথে নিজেকে মনে করিয়ে দিতে আজকে ব্লগ লিখছি। শাহবাগ আন্দোলনে দেশের বেশিরভাগ মানুষের সমর্থন ও অংশগ্রহন থাকলেও এর মূল উদ্যোক্তা কিন্তু আমাদের তরুন সমাজই। তরুনদের জন্য যুক্তির চেয়ে আবেগ প্রকাশ করা সহজ, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকার চেয়ে মুক্ত বা উত্তাল হওয়া সহজ, মহাত্মা গান্ধী হবার চেয়ে মাস্টারদা সূর্যসেন, সুভাস চন্দ্র বা প্রীতিলতা হওয়া অনেক সহজ।
রাজীবকে ইসলাম বিরোধী প্রমান করার মাধ্যমে জামাত-শিবির এই হত্যাকান্ডকে অন্য খাতে নিতে চাচ্ছে।
বিস্তারিত»“তেলাপোকা কেন উল্টে মরে ”
অনিন্দ্য ইমতিয়াজঃ
চিঠিটা খুলে বার বার দেখি
আরও একবার-
লেখাগুলোর উপর হাত বুলোই,
নিস্প্রান এই লেখাগুলো এত সজীব কেন?
কি মায়ায় এরা আমাকে ডাকে-
বারেবার; জানিনা।
মাঝে মাঝে প্রশ্ন করে
কখনও বা উপদেশ, আবার হঠাৎ হঠাৎ –
খুচরো কিছু ভালোবাসার আবেশ।
খাটের পাশে রাখা গিটারটা তুলে নেই
“টুং টাং” কিছু অচেনা সুর –
ভোরের আলো
আমি দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করতাম
রক্ত মাখা শরীর , ছিন্ন বসন
বোবা চোখের চাহনি,
আমার ঘুম হয়নি হাজারো রাত
রক্ত মাখা শরীর , ছিন্ন বসন
বোবা চোখের চাহনি,
আমাকে তাড়া করে ফেরে।
আমি রাস্তাই হাঁটতাম ভীত হয়ে
আমার চারপাশে পিশাচের দল পতাকা নিয়া উল্লাস করে,
আমি ঘরে বন্দি ছিলাম।
আমি চিৎকার করে বলতে পারিনা
ওরা আমার কণ্ঠ চেপে ধরে
আমি কথা বলা ভুলে গেছিলাম।
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অপূর্ণতা ( নামটি কিন্তু হতে পারত রেড কার্ড)
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ–
না! হলনা।
এবারও হলনা।
ছুটতে ছুটতে এবারও তার কাছে পৌছেছিলাম-
কিন্তু কি লাভ ?
তাকে তো পাওয়া হলনা।
তাকে দেখলাম, অনুভব করলাম
এমনকি মাড়িয়ে এলাম – তার ছায়াও
কিন্তু সে এবারও হেসে গেল বিদ্রুপের হাসি।
বিদ্রুপ ! উপহাস !
এগুলোই কি কেবল বরাদ্দ আমার জন্যে ?
হয়ত হ্যাঁ ।
ভাগ্যবিধাতা হয়ত আমায় দেখে শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলেন…
খেলাঘর
খেলাঘর
অনিন্দ্য ইমতিয়াজ
(………………………………………… this is dedicated to all cadets of 53rd batch of fcc)
আমি কোন বিতর্ক করতে আসিনি,
আসিনি কোন উপদেশ দিতে
শুধু একটি গল্প বলতে এসেছি,
শুধু একটি গল্প।
নাহ! এ কোন ইতিহাস নয়,
রূপকথা? তাও নয়,
শুধুই গল্প, শুধুই কল্পনা –
“একটা ঘর ছিল, খেলাঘর,
খেলার জন্য কিছু পুতুল, সুতো আরও কত কি!
পুতুলগুলো যেন ঠিক লজ্জাবতীর পাতা,
একে অন্যকে আড়াল করে ফেলত পরম মায়ায়
যেন কেউ ছুঁতে না পারে।