ডায়রি
১৫ডিসেম্বার ২০১২
সবাই বলে –আমি না’কি ঠিক আমার বাবার মত।সেই নাক,সেই চোখ,সেই চেহারা।আমি আবার এত কিছু বুঝি না।জমজ ভাইবোনদের ভেতরই আমি মিল পাই না,আর তো বাপ-ছেলে!কিন্তু বাবার সাথে আমার মিল আছে।স্বভাবের মিল,অভ্যাসের মিল; তাও আবার যে-সে অভ্যাস ন্য।ডায়রি লেখার অভ্যাসের মিল।বাবা প্রচুর ডায়রি লিখতেন যেই অভ্যাস পৈতৃক সূত্রে আমার পাওয়া।বাবা সেগুলো রেখেও গেছেন আমার জন্য,কিন্তু সেগুলো পড়া বারন আমার।বাবা না’কি ফুফুকে বলে গিয়েছিলেন ২০ বছর হবার আগে যেন কোনভাবেই সেইগুলো আমাকে পড়তে দেওয়া না হয়।না আমার বাবা কোথাও ঘুরতে যান নি,আমাদের ছেড়ে পালিয়েও যাননি।উনি আর নেই।ঢাকা ভার্সিটির টিচার ছিলেন,
গাজর কিংবা গান
গাজর
পরীক্ষা উপলক্ষে রাত জেগে পড়লে ঘুম পাক আর নাই পাক, ক্ষুধা লাগবেই। এই ফেনোমেনোনের ব্যতিক্রম এখন পর্যন্ত কাউকে দেখিনি। আমার বাবাও তার ছেলের প্রচণ্ড রাতের গভীর ক্ষুধার কথা জানেন। তাই সম্প্রতি ছোটমামা মারফত কিছু টাকা পাঠিয়েছেন। বলেছেন, ফল ফ্রুট কিনে নিও। বাধ্য সন্তানের মতো আজ বিকেলে গেলাম বাজারে। কিনে আনলাম ১ কেজি গাজর। কেন?
১) আমি কাঁচা গাজর ধুয়ে কচকচ করে চিবিয়ে খাই।
বিস্তারিত»আমার বাবার গল্প
আমি যখন গ্রামের বাড়ি পৌঁছলাম তখন হাইস্কুলের মাঠে জানাযার নামাজ শুরু হচ্ছে। আমার দাদীর জানাযা। তাড়াতাড়ি অজু করে সবার পেছনের কাতারে দাঁড়ালাম। মাইকের সামনে বড় চাচা কাঁদতে কাঁদতে কথা বলছেন। বাকি চাচারা প্রথম কাতারে পাশাপাশি দাঁড়ানো। শুধু আমার বাবা পরের কাতারের এক প্রান্তে একা দাঁড়িয়ে। আমার ভেতরটা চুরমার হয়ে গেল। ছুটে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম। আমার বাবা থরথর করে কাঁপছিলেন। টকটকে লাল চোখ। তিনি ফুঁপিয়ে কাঁদলেন কিছুটা।
বিস্তারিত»আমার অ্যাথলেট জীবন
আমি কখনই নিবেদিতপ্রাণ অ্যাথলেট ছিলাম না, ছিলাম না কোন দুর্দান্ত দৌড়বিদ, লম্ফবিদ, নিক্ষেপকারীও। তাই লেখাটার নাম “আমার অ্যাথলেট জীবন” না হয়ে “আমার দর্শক জীবন” হলেই বোধহয় নামকরণের সার্থকতা প্রকাশ পেত।
অতীতের কোন এক ক্লান্ত বিকেলে প্রিফেক্ট/জে.পি.-র চাপে পড়ে একদল ক্লাস সেভেনের দিক-বিদিগ্জ্ঞানশুণ্য দৌড়ে (যেটাকে ইংরেজীতে HITS বলে) প্রথম সারিতে না থাকতে পারার দরুন আমি কোনদিন স্প্রিন্টার হতে পারলাম না!
বিস্তারিত»অন্তরালে ১
১) পরদিন সকালে অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা শুরু হবে। সকালের প্যারেড শেষে কলেজের প্রত্যেকটি ক্যাডেট খুব ব্যস্ত। যারা অ্যাথলেট তারা নিজের ইভেন্ট নিয়ে ব্যস্ত। ক্লাস টুয়েলভ হাউস চ্যাম্পিয়নশিপের জটিল সমীকরণের সহজতম সমাধান ও তার বিকল্প খোঁজা নিয়ে ব্যস্ত। ইলেভেন আসন্ন জুনিয়র প্রিফেক্টশিপ আর নিজের সম্ভাবনা নিয়ে নানান বাস্তব-অবাস্তব কল্পনায় ব্যস্ত। হাউস টেন্টের আড়ালে কিংবা পোল-ভল্টের প্রকাণ্ড ফোমে শুয়ে বসে টেস্ট পেপার হাতে ‘অবজেক্টিভ সলভ’ করায় ব্যস্ত এস এস সি ক্যান্ডিডেটরা।
বিস্তারিত»অন্যরকম ডায়েরী
কলেজে থাকতে ডায়েরী লেখার অভ্যাস অনেকেরই থাকে, আমারও ছিল। তবে কখনোই নিয়মিত হতে পারিনি। একবার-দুবার নয়, চার-চারবার ডায়েরী লেখা শুরু করি। প্রথমটা ক্লাস সেভেনে। দ্বিতীয়টা মনে নেই, তৃতীয়টা ক্লাস নাইন-এর শেষ থেকে এস.এস.সি. পর্যন্ত। শেষবার ক্লাস টুয়েলভে।
প্রথমটায় ছিল ক্লাস সেভেন-এর এক বাচ্চা ক্যাডেট-এর সুখ(!)-দুঃখের কথা। এমনকি কোন সিনিয়রের কাছে কি পানিশমেন্ট খেয়েছি, পরিমাণসহ লেখা! তৃতীয়টা কিছুটা পরিপক্ক। তবে তৃতীয়টায় আর গতানুগতিক থাকতে ভালো লাগলো না,
বিস্তারিত»টুকরো টুকরো কাব্য
//
জীবনের পথে কতকিছু ঘটে, মানুষেরা বোঝে ভুল,
ছোট ফুসকুড়ি, তবু যেন তা-ই মনে হয় নাকফুল।
বিশ্বাস ভাঙে, বিশ্বাস গড়ে, ভাঙে না যে সখ্যতা,
জীবনের পথে চলতে চলতে হতে পারে মূর্খতা।
অপরাধ করে অপরাধী যদি পোড়ে শোকানল তাপে,
ক্ষমা হয়ে যায়, যদি বা একটু বিচারক চোখ কাঁপে।
//
//
জানি একদিন যেতে হবে চলে পৃথিবীর মায়া ছেড়ে,
বিস্তারিত»ইস্তানবুলের ডায়েরি
সময়কে যদি বহমান এক নদীর সাথে তুলনা করি তাহলে জীবনের ওই দুঃখগুলোকে বলতে হবে বহমান ওই নদীতে ভেসে থাকা ছোট ছোট কচুরিপানা। প্রবাসী জীবনের কেটে যাওয়া ৪ টি বছরে পরিকল্পনার ছকে এসেছে নানা রকমের পরিবর্তন আর জীবন পেয়েছে বাস্তবতাকে মুখোমুখি করে দেখার সুযোগ। পরিচিতি লাভ করেছে সেই সব সংগ্রামী মানুষের যারা হয়তবা ছোট ছোট স্বপ্ন বুকে বেঁধে পাড়ি দিয়েছিল মাতৃভূমিকে ছেড়ে হাজার হাজার মাইলের পথ…দেখেছিল রঙিন এক স্বপ্ন আর যাদের বুকের আশায় ছিল মাতৃভূমিতে ফেলে আসা আত্মীয় স্বজন ও মা বাবা…উন্নয়নশীল দেশের কিছু খেটে খাওয়া মানুষজনের সেই স্বপ্নগুলোকে আমি হয়তবা আমার ডায়রিতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আবদ্ধ করতে পারব না কিন্তু হয়তবা আমি পরিচয় করিয়ে দিতে পারব তাদের আশা নিয়ে বেঁচে থাকার সেই সংগ্রামকে…
বিস্তারিত»কান্না ভেজা রক্ত
দাদীর হাত ধরে বসে আছে ওসমান। দাদীর হাতটা কেমন যেন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা। উত্তাপ নেই। ওসমানের মুখের চামড়া শুকিয়ে টান ধরেছে। গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়া চোখের পানি শুকিয়ে কেমন একটা চ্যাট-পেটে অনুভূতি। কপালের কোনার কাটা জায়গাটা থেকে রক্ত পড়া বন্ধ হয়েছে আপনা আপনি। রক্ত জমে লাল থেকে গাঢ় খয়েরী রঙ নিয়েছে। বাম পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের নখটাও উল্টে গেছে। তীব্র ব্যথাটা এখন ঝিমিয়ে এসেছে একটু একটু করে।
বিস্তারিত»তরমুজ
শৈশবেই ছিঁচকে চুরিতে হাত পাকায়নি এমন ক্যাডেটের সংখ্যা বিরল। যদিও ক্যাডেটদের কাছে এগুলো কখনোই চুরি নয় বরং নিজেদের প্রাপ্য হক আদায় করা। সেভেন/এইটে খুব বেশি সুযোগ না থাকলেও প্রতিভাবান ছেলেদের কখনোই দাবায়ে রাখা যায়না। আর ক্লাস নাইনে উঠে যাবার পর তো চুরির অঢেল সুযোগ। শুধু চোখ কান খোলা রাখলেই চলে।
আমার সমসাময়িক বেশিরভাগ ক্যাডেটের চুরির হাতেখড়ি পেয়ারা দিয়ে। সেভেনের শিশুরা কথায় কথায় হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে( একবার এক জুনিয়রকে মন ভালো না থাকার কারণে এক সপ্তাহ ভর্তি থাকতে দেখেছিলাম )।
বিস্তারিত»টম ক্রুজ
অতি সাম্প্রতিক সময়ে এই পরিচিত নামটি আমাদের কানে কিংবা নজরে এসেছে আলোচিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব অনন্ত জলিল এর সুবাদে। আরো একটু পেছনে গেলে পাওয়া যাবে ‘মিশন ইম্পসিবল ৪’ এর দুর্দান্ত অ্যাকশন। সোজা কথায় বললে আমাদের আশেপাশেরই বহু রমণী- তরুণী- বালিকার অতি আপনজন এই টম ক্রুজ।
কিন্তু আমি হলিউডের কারো কথা আজ বলছিনা। অনন্ত জলিল কে নিয়েও কিছু বলছিনা।
বিস্তারিত»হঠাৎ ঝলক (ভৌতিক গল্প)
রবিন ছেলেটাকে আমার একটুও পছন্দ হয় না। দেখলেই গায়ের মধ্যে জ্বলে ওঠে। রাগে, হিংসাই আমার মুখ দিয়ে ফেনা বের হয়। আর তখন পৃথিবীর সমস্ত গালিগুলি আমি তাকে একটার পর একটা বিড়বিড় করে দিতে থাকি। মনে হয়, যেন লাফ দিয়ে ওর গলাটা টিপে ধরি। অবশ্য ছেলেটির মধ্যে বেশ কয়েকটি ভালো গুন আছে। যেমন- ভদ্রতা, নম্রতা, সুরুচিবোধ ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার বেস্টফ্রেন্ড অর্ণবকে সে বস করে ফেলেছে। প্রত্যেক স্যারের মুখে তার প্রশংসা।
বিস্তারিত»মায়ের ছোট্ট ছেলে
কতদিন মাকে জড়িয়ে ধরি না,
কতদিন মায়ের গায়ে নাক ডুবিয়ে,
মিষ্টি মিষ্টি মা গন্ধটা নেই না,
হয় না মায়ের গায়ের ওম চুরি করা,
হয় না আর করা খুনসুটি গুলো,
আবোলতাবোল আবদার-বায়না,
হয় না খাওয়া
মায়ের হাতে মাখানো ভাত,
মনের কোনের ছোট্ট ছেলেটা যে কেঁদে মরে,
সে যে বড় হতে চায় না,
সারাজীবন সেই ছোটটি থাকতে চায়,
“আগে নাম, তারপর কাম”
কারও নাম না জানা, ভুলে যাওয়া, ভুল বলা অথবা ভুল লেখা, একটি বড় ধরনের অপরাধ। নাম না জেনে কারও সাথে কথা বলতে যাওয়াটাও, মাঝে মধ্যে বিপদজনক হতে পারে। মানুষের নাম নিয়ে আমাকে নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। আবার নাম না জানার জন্যেও পড়তে হয়েছে নানান ঝামেলায়। ক্যাডেট কলেজে থাকতে নাম নিয়ে একবার এক বড় ধরনের বিপদে পড়ি।
আমি তখন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। কলেজের ডাইনিংহলে আমি তিননম্বর টেবিলের টেবিললিডার ছিলাম।
বিস্তারিত»আমাদের কলেজ থেকে একবার একটি ছেলে পালিয়েছিল
যখন কোন মানুষের জীবনের ইচ্ছাটাই একটা অ্যাডভেঞ্চারের নায়ক হবার, তখন সে মানুষকে কি আর কেউ আটকাতে পারে? নতুন নতুন অ্যাডভেঞ্চারের বুদ্ধি তার মাথায় নাড়া দিয়ে উঠতো। আর বুদ্ধিগুলোও ছিল অনেক আজব, অনেক রোমাঞ্চকর। বলা চলে, “যা আগে কেউ কোনো দিন ভাবেনি”। সে যা করতো আর যেভাবে করতো, তা অবশ্য ম্যাকগাইভারি বুদ্ধিই বলা চলে। অনেকটা সিনেমাতে যে ভাবে দেখা যায়, ঠিক সে রকম। আর তার সময় পরিমাপের ধরনটাও ছিল অসাধারণ।
বিস্তারিত»