২১ ডিসেম্বর ২০১১ , দিনটা ছিল আমার জীবনে অন্যতম বেদনাদায়ক একটা দিন । এই দিনে আমার কলেজের বন্ধু জিসান ব্লাড ক্যান্সারে মারা যায় । জিসান ছিল আমার কলেজের ভাসানী হাউস এর । ২-৩ দিন আগে ব্যাচ গ্রুপে হঠাৎ নাফিজের পোস্ট দেখে স্তব্ধ হয়েছিলাম অনেক ক্ষণ, কোন কমেন্ট করতে পারিনি । পোস্টটা ছিল আমাদের গাইড ব্যাচ এর মুহিব ভাই কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত । আবার এই ক্যান্সার এর আক্রমণ !
বিস্তারিত»মুহিব বাঁচবেই
কৃতজ্ঞতা: রেজা শাওন, পিসিসি, ২০০১-২০০৭
মুহিবদের ব্যাচের একজন হাসান যখন আমাকে বলল, ভাই মুহিবের জন্য ফান্ড রেইজের কাজ শুরু হয়েছে। সম্ভব হলে একটা লেখা রেডি করেন। বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়াগুলোতে লেখাটা ছাপানো প্রয়োজন। হাতে সময় একেবারেই নেই। হাসানের মেসেজটা পাওয়ার পর আমি আমার বয়স হিসেব শুরু করলাম। পহেলা সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ এর হিসেবে আমার বয়স চব্বিশ হতে আরও দুই মাস বাকী। জীবনে এখনও আমার কী কী করা বাকী সেই লিস্টটা যখন আমি বের করি,
বিস্তারিত»পাঁচ মিনিট বিরহের গল্প/ ৪
– তোমার নতুন রুমমেটের সমস্যা কী?
– হার্টের সমস্যা মনে হয়
– নাফিস, ঠিকমতো কথা বলো
– জি, অবশ্যই অবশ্যই
– তোমার সমস্যা কী?
– বিরাট সমস্যা
– মাইর চিনো?
– জি, চিনি
– খামচি চিনো?
– জি, চিনি। যাদের নখ বড় তারা খামচি দেয়, যেমন বাঘ, সিংহ, বিড়াল ইত্যাদি
– আমি বাঘ নাকি সিংহ?
একজন এক্স ক্যাডেটের জীবন ঝুঁকিতে একটু প্রচেষ্টা পারে তাকে বাঁচাতে
মুহিব বাঁচবেইবুয়েট- এর নেভাল আর্কিটেকচার এন্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের মেধাবী ছাত্র মুহিবুর রহমান Muhibbur Rahman
(২৫ তম ব্যাচ, ২০০২-২০০৮, পাবনা ক্যাডেট কলেজ)। সে আজ মরণব্যাধি `ANO-RECTAL CARCINOMA’ তে আক্রান্ত। এটি খুবই খারাপ ধরনের একটি কোলন ক্যান্সার।বর্তমানে সে ইউনাইটেড হাসপাতালে কোলন ও রেক্টাল সার্জন অধ্যাপক ডা. জাহিদুল হক এর অধীনে চিকিৎসাধীন। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য যতদ্রুত সম্ভব তাকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
ধাক্কা!
১।
কেবিনের মধ্যে ঢুকে দেখি বাবা চোখ বন্ধ করে শুয়ে আছেন, জেগে আছেন না ঘুমচ্ছেন- ঠিক বুঝতে পারলাম না। নার্স বেশ কয়েকবার আমাকে বলেছে বাবার সাথে বেশি কথা না বলতে। আমি আস্তে করে বাবার পাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। সাথে সাথে বাবা চোখ খুলে তাকালেন।
-বাবা, এসেছিস।
-জ্বি, অফিস থেকে একটু আগেই বের হয়ে এলাম। ভাবলাম তোমার সাথে একটু বেশি সময় কাটাই…
ICCLMM-2011:একটি অজানা ভালোলাগার গল্প(২য় পর্ব)
প্রতিযোগিতা থেকে বাসায় গিয়ে ধরলাম ঢাকার বাস। খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে ঢাকায় থাকে। তাই অগত্যা কোন উপায় না দেখে আমার ছুটির শান্তি নষ্ট করে ছুতে গেলাম ঢাকা অভিমুখে। ঢাকায় থাকার অন্যান্য সহস্র সমস্যার মধ্যে প্রধান সমস্যা হল – ০১। সকালের অতি আদরের ঘুম বিসর্জন করা ও ০২। মিরপুর-১ থেকে ফার্মগেট গিয়ে পড়া। অবশ্য তাতেও রাজি শুধু যদি পূরণ হয় সে আশা যার জন্য এত জলাঞ্জলি,
বিস্তারিত»পরিবারের কনিষ্ঠতম সন্তান
ফ্যামিলির ছোট ছেলে কিংবা ছোট মেয়ে হওয়াটা যতখানি সৌভাগ্যের, মাঝে মধ্যে ঠিক ততখানিই বিড়ম্বনার। শৈশবে যেমন সবার আদরের মধ্যমণি হয়ে থাকার বিশ্বজয়ী অভিজ্ঞতা হয়, তেমনি সামান্য ভুল করলেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ার মতন চারিপাশ থেকে নিয়মিত বিরতিতে ছ্যাঁচানি চলতে থাকে। ……আদর পেয়ে পেয়ে মাথায় উঠসো…… ছোটমানুষ, ছোটমানুষের মতই থাকো…… অল্প বয়সে বেশি পাকা পাকা কথা শিখসো…… তোমার ভাইয়া/আপু কোনোদিন এমন করার সাহস পায়নাই আর তুমি কিনা……
বিস্তারিত»মাস্টার প্ল্যান! (শেষ পর্ব)
৫।
-‘শামীম, তোমার ছেলের যে বয়স তাতে করে গিফট বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে তুমি মন জয় করতে পারবে না।‘ ডিপার্টমেন্ট এর ক্যাফেটারিয়াতে বসে কফি খেতে খেতে বললেন ডঃ আনিসুজ্জামান। শামীম হাসানের চেয়ে সিনিয়র হলেও তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
-তাহলে আপনিই বলুন, আমার কি করা উচিৎ…
-প্রতিটি ছেলের কাছেই তার বাবা হচ্ছে তার প্রথম হিরো।
আধাসামরিক প্রেমের গল্প
আধাসামরিক ক্যাডেট কলেজে বেসামরিক প্রেমিকা থাকা শুধু কষ্টের নয়, ভয়াবহ কষ্টের।প্রতিবার ছুটির শেষে প্রিয়
মানুষটিকে ফেলে কলেজে যেতে অনেক কষ্ট হয়।ক্যাডেট কলেজ, সে এমন এক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, যেখান থেকে মুক্ত পৃথিবীর খোঁজ নেয়া অসম্ভব প্রায় । আর্মি হেড কোয়ার্টারের স্বেচ্ছাচারিতায় মুঠোফোনের বেতার তরঙ্গ তখনো জায়গা করে নিতে পারেনি ক্যাডেট কলেজের সেই চৌহদ্দিতে। তবুও সমস্ত কলেজ প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে কখনো আন্ডারগার্মেন্টস এর নিচে,কখনো মোজার ভেতর,মোটা বইয়ের পৃষ্ঠা কেটে,ব্যাগের কোনায়,এংলেটের মধ্যে,
মাস্টার প্ল্যান!
১।
-হাই ড্যাড, কেমন আছো?
প্রশ্নটা শুনে শামীম হাসান কিছুটা থতমত খেয়ে গেলেন। একমাত্র সন্তানের সাথে তিনি কখনোই তেমন আন্তরিক বা বন্ধুত্বপূর্ণ হতে পারেন নি। অনেকবারই চেষ্টা করেছেন কেয়ারিং বাবা হবার জন্য, কিন্তু ছেলের সাথে ‘লিটল টক’ দিয়ে আলাপ শুরু করতে গেলে এমন অবাক ও বিস্ময়মাখা এক্সপ্রেশন দেখেছেন যে কথা আর বেশি দূর কখনো এগোয় নি। আজ শিমুলের আকস্মিক এই পরিবর্তন কিছুটা অবাক হবার মতন বৈকি!
নাগাল
– অ্যাই অন্তু! নামবি না?
বারান্দার রেলিঙ এ গাল ঠেকিয়ে বৃষ্টি দেখছিল অন্তু। নিজের নাম কানে আসতেই নিচের দিকে তাকাল। পাশের বিল্ডিঙের রাকিব ডাকছে ওকে।
– বৃষ্টির ভেতর নিচে নেমে কী করবো? খেলা হবে নাকি? আর কেউ নেমেছে খেলতে?
– পলাশ ভাই ব্যাট বল নিয়ে উনাদের সিঁড়িতে বসে আছে। চার পাঁচজন হলে শর্ট পিচ খেলা হবে।
– দাঁড়া দেখি আম্মা নামতে দেয় নাকি
অন্তুর আম্মা পাশের বাসায় গেছেন।
বিস্তারিত»যুদ্ধ…!!!
বিধাতা কিংবা প্রকৃতি যাই বলি মানুষ কে বাঁচতে শেখায় যুদ্ধ করে। মাঝে মাঝে অবাক লাগে যে অসম কোন কিছুই প্রকৃতি মেনে নেয়না । নর-নারীর প্রেম প্রকৃতির বিধানের অদ্ভুত এক রহস্যময় দিক।
আবেগ খুব তাড়া করে মাঝে মাঝে। অদ্ভুত সেই অসম প্রেমের গল্প। নায়ক নায়িকা নেই,আছে শুধু পাগলামি,উষ্ণতার অনুভূতি। চোখ বন্ধ করে নেয়া চুলের মিষ্টি গন্ধ কিংবা কাছের বান্ধবীর কাছে শোনা নির্ঘুম রাতের কথা ;
বিস্তারিত»no
no
সাভারনামা…
সাভারের ভবনধসের ঘটনা এখন পুরোনো হয়ে গেছে। আজ সেই সময় তোলা কিছু ছবি ফেবু’তে আপলোড করলাম। ছবি দেখে রাজীব ভাই/১৩তম বিসিসি; বললেন “সাভারের উদ্ধারকাজের উপরে একটা লেখা দে”! সাথে সাথে ফেবু বন্ধ করে সেই সময়কার কিছু স্মৃতি নিয়ে আজ লিখলাম। এক বসায় লিখেছি। ভুলভাল হতে পারে।
ভবন ধসে পড়ার পরপরই শাহবাগ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছি। তবু কেমন যেন ছটফট করছিলাম। আরো কিছু করতে ইচ্ছা হচ্ছিলো।
বিস্তারিত»