বৌদ্ধ ধর্মমতে জীবনের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সকল বন্ধন থেকে মুক্তি। এটাকে নির্বাণ বলা হয়। আক্ষরিক অর্থে নির্বাণ শব্দটির অর্থ নিভে যাওয়া। তা হলে নির্বাণ কি জীবন বিমুখ কোন দর্শন? সক্রিয় সামাজিক জীবন ত্যাগ করে সন্যাস গ্রহণ করা? সন্যাসই যদি মোক্ষ হয় তা হলে পার্থিব জীবনের অর্থ কি? ভোগবাদ বনাম ভাববাদ- এর মূল দ্বন্দটি কোথায়? প্রথমেই স্বীকার করে নেই, বিষয়টি খুবই গভীর এবং আমি এ বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ নই।
বিস্তারিত»বাংলাদেশ বদলাবেই
১
আজ থেকে ৩ বছর আগে মাত্র কেবল সেকেন্ড ইয়ারে পা দিয়েছি। আমাদের একটা কোর্স ছিল (নাম ভুলে গেছি) সেখানে ইন্টারন্যাশনাল বিযনেস পড়ানো হতো। বড় অর্থনীতি কিভাবে ছোট অর্থনীতিকে খেয়ে ফেলে তাই শিখছিলাম। বেনিয়া গোষ্ঠী (পড়ুন রাষ্ট্র) যারা আগে এলাকা দখল করে শোষন করত এখন তারা বিশ্বায়নের নামে অর্থনৈতিকভাবে শোষন করে। তারা ঋণ নিতে বাধ্য করে আবার তার কারনে তাদের নির্দেশিত পথে চলতেও হয়।
বিস্তারিত»স্বাধীনতা তুমি
না, আমি কোন কবিতা লিখতে বসিনি। কোন গল্প-উপন্যাসও নয়। বা আবেগপ্রবণ দেশপ্রেমের কোন প্রবন্ধও নয়। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য ‘স্বাধীনতা’ শব্দটির অর্থ খোঁজা। যেই শব্দটির জন্য আমরা এবং পৃথিবীর আরো অনেক মানুষ অনেক বড় বড় ত্যাগ স্বীকার করেছে, জীবন বিসর্জন দিয়েছে, তার মর্মার্থ কী? আসলে আমি শব্দটিকে বোঝার চেষ্টা করে যা পেয়েছি, সেটাই এখানে সবার সাথে শেয়ার করতে চাই।
অনেক আগেই প্রশ্নটা মনে এসেছিল- ‘স্বাধীনতা’
বিস্তারিত»এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল সেরা অসেরা বিতর্ক এবং এই বিষয়ে আমার ভাবনা
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল বের হলো। তারপরেই শুরু হয়ে গেলো সেরা অসেরা বের করার প্রয়াস। কোন এক সমীকরণের হিসাব মেনে ক্যাডেট কলেজ গুলো বেশ ভালোভাবেই শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে। এটা নিয়ে ফেসবুকে একটা পোলকে ঘিরে কাদা ছোড়াছুড়িও হচ্ছে বেশ। তারমাঝে অতি দুঃখজনক ভাবে লক্ষ্য করলাম আমাদেরই ক্যাডেট ছোটভাই অনেকেই ফেসবুকে কিছু মন্তব্য করেছে যা অনাকাঙ্খিত এবং দৃষ্টি কটুও। কথা বলার মাঝে নুন্যতম সৌজন্য বোধ হারিয়ে সেরা অসেরার কুতর্কে মেতে উঠেছে অনেকেই।
বিস্তারিত»মায়াবিনী সপ্তস্বরা
মাঝে মাঝে বড্ড একা মনে হয় নিজেকে
আর সেই সাথে অনুভূত হয় তোমার শুন্যতা
বুকটাকে ঘিরে এক অদৃশ্য তীব্র যন্ত্রণা
এ যন্ত্রণা বেদনার, পেয়ে হারানোর অব্যক্ত বেদনার
তোমার চোখে আমি এক অদ্ভুত জ্যোতি দেখতাম
তুমি ছিলে তারুণ্যের নদীতে পাল তোলা নৌকা
তোমাকে দেখলেই তাই আমার কবিতা লেখার ইচ্ছে হতো
সেগুলো কবিতা ছিল না , ক’টি এলোমেলো শব্দ
আর এলোমেলো দুঃখের খণ্ড খণ্ড কষ্ট
জীবন নামের এই স্বোতস্বিনীতে
বড্ড একা আমি,
বন্ধুকেঃ মনে রাখার কিছু
একদিন ঝরা পাতার মত নামহীন নিঃশব্দে
তোমাদের কাছ থেকে ঝরে যাব যখন
পিছনে ফেলে রেখে আমার নিদ্রাহীনতার কয়েকটি ফুল
নতজানু তাই আমি, তোমাদের সুখের অভিসারে।
হে আমার সম্ভাবনা, এক সুখ এর মুখোশে আমি
সে সুখ সংশয়হীন- একা একা!
তোমাদের ছেড়ে যাব…না না, তা কেন ?
আমি আবার আসবো, এই রঙ্গ মেলায়,
রঙের দ্বারা সাজাবো আমার সমস্ত দেহ,
ক্যাডেট লাইফ এবং স্মৃতিগুলো….
মাঝে মাঝে যখন কোন কাজ থাকে না, চুপচাপ বসে থাকি, তখন অতীতের স্মৃতিগুলো এসে একে একে আমাকে ভাবিয়ে তোলে। হ্যাঁ, সেই অতীত যা আমার আত্মার সাথে মিশে আছে। সেই অতীত যেখানে মিশে আছে আমার লাইফের বেস্ট অধ্যায়গুলো। সেই ক্লাস সেভেন এর কান্নাকাটি, এইটে নতুন আসা স্যারকে সাউন্ড দেওয়া কিংবা জুনিয়রকে পানিশমেন্ট দিয়ে ধরা খাওয়া, নাইনে দোতলার লিডার হওয়া, টেন এ ইডি তে গরম পিচে ক্রলিং করে চামড়া উঠানো,
বিস্তারিত»অজানা ডাইরীর পাতা থেকে
জীবনটা আর্শ্চয রকমের ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে।কিছু ভাললাগেনা কিচ্ছুনা।আমার নিজের মধ্যে আর্শ্চয রকমের একটা পরিবর্তন।আমি হেরে যাচ্ছি আমার কাছে।হাজারো চিন্তা আমাকে অজগরের মত পেচিয়ে ধরেছে।শুনেছি অজগরেরা নাকি শিকারকে না মারা পর্যন্ত এভাবে পিষতেই থাকে।জীবন আমাকে হয়ত অমৃত্যু এভাবেই পিষে যাবে।
পড়াশোনাটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তার চেয়ে বড় কথা সুমাইয়ার কাছে চেয়ে নেওয়া সময় গুলো শেষ হয়ে যাচ্ছে।ভয় হয় একদিন হয়ত হঠাৎ দেখব সব শেষ।এই যে জীবন নিয়ে এত চিন্তা সব অর্থহীন হয়ে যাবে।
ভিগো মর্টেনসেনের কবিতা
ইন্টারনেটে ঘুরতে ঘুরতে প্রিয় অভিনেতার প্রোফাইল দেখছিলাম। একটু বিস্মিত হয়ে জানলাম, ভিগো মর্টেনসেন কবিতা লেখেন। প্রকাশিত বই আর নিজের একটা প্রকাশনীও আছে তার। খুঁজে পেতে কিছু কবিতা পড়ে চমকিত, মুগ্ধ। ঝটপট বাংলা করতে ইচ্ছা করলো। কবিতার সুর আসলে ভাষান্তর করা যায় না। তাই নিচের লেখাগুলো মূল কবির প্রবল প্রভাব-আচ্ছন্ন লেখা বলা যায়। পাঠকের প্রতিক্রিয়াও হিসেবেও ধরা যায়।
(মূল লেখাগুলো পাওয়া যাবে এখানে)
সূচীর বাইরে
ফর্শা শাদা পা
দুয়েকটা জন্মদাগ।
ফার্মগেটে কিছুক্ষণ….
এইতো সেদিন ফার্মগেট থেকে ঘুরে আসলাম । মাঝখানে কেটে গেছে দুইটা বছর। ফিরে এসেছিল সেই ঘিঞ্জি ফুটপাত আর পুরানো আমি । আশপাশ থেকে আসছিল গাড়িঘোড়ার সেই পুরানো শব্দত্যাচার । আসছিল দোকানিগুলার চিৎকার , “একশ, একশ। একদাম একশ”, রাস্তায় শুয়ে থাকা হাত পা হীন ভিক্ষুকটার গোঙানি, কপোত-কপোতীদের হাসাহাসি, আরো সব এলোমেলো কোলাহল….
সব কিছুই আগের মতো লাগছিল । কিন্তু সেই এক রকম ছিলাম না আমি ।
বিস্তারিত»মনে হয় করতলে আছি…
[প্রাককথাঃ বর্তমানের কবিতার পাঠক বর্তমানের কবিতার মতোই জটিল ও বিবিধ প্রকারের হয়ে উঠেছেন। কবিতা বিষয়টিকে নিয়ে অনেকের বিরক্তি, উপেক্ষা ও তাচ্ছিল্য আছে জানি। আমাদের কঠিন জীবনে কবিতার স্থান বা অবসর খুব কম। এজন্য মাঝে মাঝে কুণ্ঠাবোধ করি, কবিতার প্রতি অনপনেয় ভালোবাসার প্রকাশ সবার সামনে করতে কুণ্ঠা কাজ করে। আমার লেখার ভাষাকে বদলানোর চেষ্টা করছি কিছুদিন ধরে। সেই চেষ্টার চারাটিতে অনেকেই পড়ে ও মন্তব্য করে পানি ঢালছেন।
বিস্তারিত»অহেতুক যা কিছু
ক
ক্লান্ত সন্ধ্যাবেলা ঘরে ফিরে শার্ট খুলে দেখি
পিঠে বড়ো বড়ো করে “বেকুব” লেখা
সারাদিন ঠারে ঠুরে চাপা হাসি আর হাহাহিহি
পিঠে ও মুখে আছড়ে পড়েছে নির্বিকার
শার্ট খুলতেই দু’কাঁধ ভেঙে এলো অশ্রু
ঘামে ভিজে পিঠের ওপর লেখাগুলো অক্ষয়
খুব চাপা স্বরে জ্বলজ্বল করছে!
প
প্রতিদিন একটু একটু করে ময়লা হই
ভিতরে ও বাইরে ময়লা জমে যায়
অবলীলায় অনায়াসে,
ধরা খাবার কবিতা
সারমর্মঃ একদিন প্রেপে আমি সক্স পরিনি। আর আসাদের শু এক্সকিউজ। ধরা পড়ে গেলাম।
মূল কবিতাঃ
একদা ছিল না মোজা চরণ যুগলে
মন পোড়ে দেহ পোড়ে সেই ক্ষোভানলে।
ফর্ম মাঝে ঢুকি আমি, বিরস বদনে,
পড়াশোনা গেছে জলে, শান্তি নাই মনে।
হঠাৎ দেখি, আসাদ! হায় তার পদ,
জুতাহীন পদদ্বয় কেমন অসদ।
আসাদের খোঁড়া পা দেখে বারবার
অমনি মোজার ক্ষোভ ঘুচিল আমার।
বিস্তারিত»স্মরণীয় পরীক্ষা
২০০৪ সাল।
আমি তখন ক্লাস এইটে। প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে।
ক দিন পর জুনিয়র আসবে তাই তখন তাদের cupboard করা নিয়ে আমরা খুব বিজি। এছাড়াও, রুম চেঞ্জ হয়েছে, নিজের cupboard ও ঠিক করতে হবে।
তো এইসব কাগজ কাটাকাটি ও লাগানোতে আমি একেবারেই আনাড়ি। ফলশ্রুতিতে আমার তৈরি করা cupboard ও হল যাচ্ছেতাই।
আমার Dorm Leader রেজওয়ান ভাই একদিন inspection করে দেখলেন এ অবস্থা।
বিস্তারিত»সংবিধান সংশোধনে আমার ভাবনা
কিছুদিন ধরেই সংবিধান সংশোধন নিয়ে চারিদিকে নানা কথা হচ্ছে। নানা মিডিয়ায় সবাই নিজেদের মতামত দিচ্ছেন। কোন অংশ কেমন হওয়া উচিত, কোনটা থাকা উচিত আর কোনটা উচিত নয় ইত্যাদি ইত্যাদি। এতকিছু বারবার আলোচনায় আসতে দেখে আমিও আমার মত করে কিছু চিন্তা-ভাবনা করলাম। ভাবলাম সিসিবিতে শেয়ার করি। আর সিসিবিতে এই আলোচনাটা এখনও হয়নি। সেজন্যই লিখতে বসা।
সংবিধানের কোন অংশ কেমন হওয়া উচিত সেসব কথায় যাওয়ার আগেই এব্যাপারে আমার কিছু মত আগে বলে নিই-
–
বিস্তারিত»